My journal of 8th December| Enjoyed birthday with Steemit Friends! (জন্মদিনে স্টিমিট বন্ধুদের সাথে অবিস্মরনীয় দিনযাপন!)
সময় চলিয়া যায়-
নদীর স্রোতের প্রায়,
যে জন না বুঝে, তারে ধিক্ শত ধিক।
বলিছে সোনার ঘড়ি, “টিক্ টিক্ টিক্”।
- যোগীন্দ্রনাথ সরকার। |
---|
কবি যোগীন্দ্রনাথ সরকারের পরিচিত কাকাতুয়া কবিতার কয়েকটি অনবদ্য শব্দ তোমার পাতায় নথিভুক্ত করে নিজের কালকের দিনলিপি শুরু করছি আমার প্রিয় ডায়রি!
প্রথমে ভেবেছিলাম বাকি দিনলিপির মত, আমার কালকের অনুভূতি ইংরিজিতে লিখবো, তারপর অজানা কারণ বাধ সাধলো!
কবির লেখার মতই গতকাল আমি চেষ্টা করেছি, সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে, কতটা পেরেছি জানিনা! তবে, আমাদের ক্ষমতা তো চেষ্টায় সীমাবদ্ধ তাই না?
এই দেখো, কেমন দেখতে দেখতে জন্মদিনকে অতীত হিসেবে নিজের লেখায় তুলে ধরছি! ব্যস্ততার মাঝে ঘড়ির কাঁটা টিক্ টিক্ করে কখন যেনো একটা দিনকে আবার জীবন থেকে কেড়ে নিয়ে গেলো!
তবে, সময়ের কদর বুঝেই হয়তো কেউ যাতে ধিক্কার জানাতে না পারে, আগে থেকেই কাজগুলোকে গুছিয়ে নিয়েছিলাম।
হুমম! প্রথম ফোন এসেছিল, সাত তারিখ ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটা পার করতেই, আমার মামাতো বোন আর আমার জন্মদিন অদ্ভুতভাবে একই দিনে!
তাই, ফোনের উপরে নাম ভেসে উঠতে, ফোন তুলে সমস্বরে একে অপরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছিলাম।
বেশ মজার বিষয়! ওর পরশু নাইট ডিউটি ছিল, তাই অফিসে থেকেই ফোন করেছিল।
তারপর পেলাম দিদির থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা এছাড়াও আরেকজন মানুষের শুভেচ্ছা বার্তা সহ সম্পা দেবীর বার্তা, তবে সবটাই ওহাটসঅ্যাপে এর মাধ্যমে!
সমান ভাবে রাত বারোটার পর শুরু হয়ে যায় ডিসকর্ড থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পাবার জোয়ার! হাহাহা! কাজের মাঝেই একটু একটু করে ফোনে উঁকি দিয়ে সেই সকল বার্তার উত্তর দেবার হত্যা সম্ভব প্রয়াস করছিলাম।
আমার ল্যাপটপে ডিসকর্ড অথবা ওহাটসঅ্যাপ কোনোটাই নেই! কাজেই, একদিকে ল্যাপটপে কাজ আর অন্যদিকে ফোনে নিজের উপস্থিতির জানান দিয়ে গেছিলাম সমান তালে!
পরের দিনটা শুধু জন্মদিন নয়, সাথে ছিল সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে অনেক দায়িত্ব পালনের দিনও।
আর ঠিক সেই কারণে, সম্পার আর আমার এখানে আসা হলো না! যাক, একদিনে সব আনন্দ কুড়িয়ে নিলে ঝোলা খালি হয়ে যাবার সম্ভবনা রয়ে যায়, তাই কিছু বাকি রাখি, পরের দিনের জন্য।
সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতেই হয়েছিল। ফোন খুলতেই, ওহাটসঅ্যাপে, মেসেঞ্জার এবং ডিসকর্ড সর্বত্রই জন্মদিনের বার্তায় ছয়লাপ!
জানতো, এবারের জন্মদিনটি অনেক দিক থেকেই বিশেষ, অনেক সময় বাদে, আমার দগদগে ঘায়ের যন্ত্রণা খানিক ভুলে থাকতে পেরেছিলাম!
(কিছু তারকাটা আমার কাছের মানুষ!!🤣🤗) |
---|
সম্পর্কের পরিভাষা কেবলমাত্র রক্তে সীমাবদ্ধ নয়, এটা গতকাল আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে।
কিছু মানুষ আছে এই প্ল্যাটফর্মে, যাদের ভালোবাসা এবং সামান্য সম্মান আমাকে প্রতিদিন বেঁচে থাকার রসদ সরবরাহ করে।
উপহার পেতে আমার বেশ ভালো লাগে জানো ডায়রি, নাহ্! আমি লোভী নই, উপহারের মূল্যায়ন করি আমি খানিক অন্যভাবে।
সময়ের হাত ধরে চলতে গিয়ে, মাঝপথে যখন দেখা যায় কিছু মানুষ দলছুট হয়ে গেছে, তখন তাদের সাথে অতিবাহিত সময়, এবং উপহার তাদেরকে চিরস্মরণীয় করে রাখে।
আমার জীবনটা একটা অভিশাপ, অনেক আগে একজন চলে যাবার আগে বলেছিল, আমাকে স্মৃতি নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে! কি ভীষণভাবে সেই অভিশাপ মিলে গেছে, আর দেখো আজ আমার জীবনে স্মৃতি বৈ কিছুই অবশিষ্ট নেই!
গতকাল খানিক বাস্তবকে ভুলে থাকতে সাহায্য করেছিল, কমিউনিটির বেশ কিছু মানুষ, তাদের কৃতজ্ঞতার ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা আমার নেই, কারণ কিছু ঋণ কখনোই পরিশোধযোগ্য নয়।
জন্মদিনের সকালে সকলের শুভেচ্ছার উত্তর দিয়ে, কাজে বসে গিয়েছিলাম, কারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট ছিল যেটা আগের দিন শুরু করেও সম্পূর্ণ করতে পারিনি, এরই মাঝে একবার পি. সি চন্দ্র জুয়েলার্স থেকে ফোনে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করলো!
সাধারণত, অজানা নম্বরের ফোন আমি ধরি না, আর বারংবার ফোন কাজে বেশ ব্যাঘাত ঘটায়।
ফোনে ধন্যবাদ জানিয়ে সবে কাজে হাত দিয়েছি, আবার অচেনা নম্বর থেকে ফোন! কি জ্বালা!
ধুর! ধরিনি ফোনটা, ওরে বাবা, দেখি সেই একই নম্বর থেকে পুনরায় ফোন!
এবার, তুললাম আর তুলেই বুঝলাম আমার প্রথম উপহার আমার ঠিকানায় আসতে প্রস্তুত! কে পাঠিয়েছে সেটা বুঝেছি, আর বুঝেই এক্ চিলতে হাসি ঠোঁটের কোন্ স্পর্শ করে গেলো ব্যস্ততার মাঝেও!
নিচে তালিকা সহ, দামগুলো উল্লেখ করে দিলাম:-
যদিও নামগুলো ইংরিজিতে লিখতে হচ্ছে, কারণ তার নামগুলো না আমার বাংলায় জানা আছে আর ইংরিজি শব্দের বাংলা অর্থ না লিখলে কেমন যেনো বিরক্তবোধ হয়!
এমনিতেই লিখতে গিয়ে সঠিক বাংলা শব্দ না জানায় বেশকিছু ইংরিজি শব্দকে বাংলায় লিখেছি, আর আমি দেখেছি, অনেকেই নিজের মাতৃ ভাষায় অন্য ভাষার ব্যবহার করে থাকেন, লেখা নিজের হলেই হলো!
|
|
|
---|---|---|
Rs.260 | 10.84 Steem | |
Rs.335 | 13.97 Steem | |
Rs.565 | 23.56 Steem | |
Rs.199 | 8.30 Steem | |
Free | ||
6. Container charge | Rs.21 | 0.87steem |
7.CGST(2.5%) | Rs.34.50 | 1.44 Steem |
8. SGST(2.5%) | Rs.34.50 | 1.44 Steem |
Total amount paid | Rs.1,449 | 60.43 Steem |
এই ছিল আমার দুপুরের খাবার, যদিও সব এখনও খেতেও পারিনি, আর গতকাল যে পাঠিয়েছে, সে একদম দুপুরের সময় নির্ধারণ করে পাঠালেও, আমি স্নান সেরে উঠেছিলাম তখন বিকেল চারটে বেজে দশ মিনিট বাকি!
কাজেই, তখন খাবার ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল, এবং আমার কাজ বাকি ছিল, এমনিতেই দিনের বেলায় খাই না, কাজেই, কোনো অসুবিধা হয়নি, তবে যে পাঠিয়েছিল পরে জানতে পেরে বেশ রাগ করেছিল।
আমি নিজেকে যে ঘরে পরিহিত বস্ত্র উপহার দিয়েছিলাম, সেগুলোর একটা পড়েছিলাম গতকাল।
নাইট গাউন | ভারতীয় মূল্য | স্টিম দর |
---|---|---|
14.60 steem | ||
11.68 steem | ||
Total amount paid | Rs.1,190 | 49.63 steem |
এখানেই কিন্তু বিষয়টি গতকাল ক্ষান্ত হয়নি, এরপর আরো উপহার সারিবদ্ধ হয়ে এসেছিল।
প্রথম রিপোর্ট জমা দিয়ে দেখি stef ম্যাম আমাকে ৫০ স্টিম দিয়েছেন জন্মদিনের উপহার হিসেবে, এবং সেটা করেই থেমে থাকেন নি, একটা লেখা আমার জন্মদিন উপলক্ষে লিখেছেন!
লেখাটা পড়ে সত্যি মনে মনে ভাবলাম, আমার মধ্যে ও তাহলে কিছু গুণাবলী আছে! কমেন্ট করে বেশ মজাও করলাম।
আচ্ছা এরপর পাগলামি শুরু হলো আমাদের কমিউনিটির বেশ কিছু জনের, ঘটনাটি টের পেলাম যখন দ্বিতীয় লেখা শেষ করে পোস্ট করার পর বিজয়ীদের পুরস্কৃত করতে গেলাম!
আমার বায়জিদ ভাই চুপচাপ ২০ স্টিম আমাকে কখন যেনো পাঠিয়ে দিয়েছেন! যেই দেখা অমনি লিখে দিলাম discord এ, তখন নিজেকে ক্লান্ত বোধ করছিলাম তাই বিকেলের চা খেয়ে বাকি কাজ সারবো ঠিক করলাম।
এরপর, বাইজিদের সাথে কথা বলে জানলাম, একটি ছোট্ট সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, তবে সত্যি বলতে দুটো পোস্টের পরে তখন তৃতীয় পোস্ট লিখছিলাম।
তবুও মাঝে একবার খানিক উপস্থিত হয়েছিলাম এবং অনেক দিন বাদে সকলকে পেয়ে এমনিতেই হাতে তারা পেয়েছি মনে হচ্ছিল।
ঠিক যেমন কোনো অনুষ্ঠানে অনেকদিন পরে আপনদের কাছে পেলে অনুভূতি হয়, ঠিক তেমনি।
অবশেষে একটি কথাই বলবো, আপনারা ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ সেটা শুধু কাজের ক্ষেত্রে নয়, আমার শুন্য জীবনে আপনারা এক্ একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের ভূমিকা পালন করেন।
অনেক বছর পরে এত ব্যস্ততার মাঝেও ক্লান্তি আমার উপরে ভর করতে পারেনি তার পুরোটাই সেই মানুষগুলোর জন্য যারা তাদের ব্যস্ত সময় দিয়ে উপস্থিত ছিলেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।
গতকালের দিনটি তোমার কাছে লিখিত রূপ নথিভুক্ত করে রাখলাম, কারণ সময় অস্থায়ী ঠিক জীবনের মতো, তবে স্মৃতির পাতায় অক্ষত থাকুক আমার এবছরের জন্মদিনটি।
সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, ঈশ্বর তোমার আশীষ ছাড়া বোধহয় এগি মানুষগুলোর সংস্পর্শে আসার সুযোগ হতো না।
আরো হয়তো অনেক কথাই জমা রাখার ছিল তোমার কাছে আমার প্রিয় ডায়রি কিন্তু পরশু থেকে কাজ করতে করতে বড্ডো ক্লান্ত বোধ করছি, তাই আজ এখানেই ইতি টেনে বিদায় নিলাম।
প্রথমে জানাই দিদি আপনাকে 💐🌺 শুভ জন্মদিন 🌺💐 ! আপনি সারাদিন এত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদেরকে ভুলে যাননি ডিসকোর্ডে সময় দিয়েছেন। আপনার জন্য দোয়া করি সৃষ্টিকর্তা যেন সবসময়ই আপনাকে এই ভাবে হাসিখুশি এবং সুস্থ রাখে। আমি আশাকরি আমাদের পাশে সব সময় এই ভাবে থাকবেন দিদি। আর এই ২০২৫ সালে আপনার জন্য যেন শুভ কিছু নিয়ে আসে এই দোয়া করি দিদি। আবারো জানাই শুভ জন্মদিন দিদি।
Happy birthday!!!
Thank you 😊