No murder can be perfect - কোনো হত্যাকাণ্ড নিখুঁত হতে পারে না!
নতুন বছর প্রারম্ভ হয়েছে, কাজেই নিজের লেখা উপস্থাপনের পূর্বে সকলকে জানাই নতুন বছরের আন্তরিক শুভেচ্ছা।
গোটা বছর সুস্বাস্থ্য এবং সফলতা বয়ে নিয়ে আসুক আপনাদের জীবনে এই কামনা করি।
আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো জানেন রহস্যের প্রতি আমার একটি বাড়তি আকর্ষণ আছে, আর নিজের এই কৌতূহল দমনের কারণে আমি ছায়াছবি হোক, সিরিস হোক অথবা গল্পের বই, রহস্য বিষয়টি সবসময় আমাকে বাড়তি আকর্ষিত করে।
গতানুগতিক জীবনের থেকে একটু আলাদা করে ভাবার সুযোগ করে দেয়, এই ধরনের রহস্যে ঘেরা কাহিনী।
কাহিনী সবসময় কাল্পনিক হবে, এমনটা কিন্তু নয়! যারা আমার মত রহস্যের জগতে বিচরণ করতে পছন্দ করেন, তারা জানবেন এই পৃথিবীতে বাস্তবেও এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের মগজ তারা অনেক সময় হত্যার কাজে ব্যবহার করে থাকেন!
অবাক হচ্ছেন? আসলে এই মানুষগুলো হত্যাকেই গঠনমূলক কাজ ভেবে থাকেন!
এটা তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে একটা প্রতিভা!
যদিও সুস্থ্য মানুষ এই মানসিকতাকে বিকৃত বলে থাকেন, কিন্তু যারা হত্যার সাথে জড়িয়ে থাকেন, তারা নিজেদের যুক্তি দিয়ে সাজান নিজেদের হত্যার পিছনের যুক্তি।
এরকম একটি বাস্তব ঘটনা আজকে আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে হাজির হয়েছি।
পনেরো বছর! হ্যাঁ একদম সঠিক, হত্যা করেও পনেরো বছর স্বাভাবিক জীবন যাপন করে চলেছিলেন একজন শিক্ষিত যুবক!
ঘটনাটির সূত্রপাত:- |
---|
এক্ মধ্যবিত্ত পরিবারে সোহেলী নামের একটি মেয়ের বিয়ে হয় সম্বদ্ধ করে, তমাল নামের একজন ইঞ্জিনিয়ারের সাথে।
মেয়ে পক্ষের পরিবারে কনিষ্ঠা কন্যা সন্তান সোহেলী। কাজেই, বেশ ঘটা করে বিয়ে দেয় মেয়ের পরিবার, বাড়ির শেষ অনুষ্ঠান তাই মা বাবা কোনো কার্পণ্যতা করেন নি মেয়ের বিয়েতে।
পাত্র মা বাবার একমাত্র ছেলে, একটি ভালো নামকরা কোম্পানির উচ্চ পদে কর্মরত। পাত্রের নাম পূর্বেই উল্লেখিত।
বিয়ের প্রথম দুটি বছর ভালই কাটছিল, এরপর ঘটনার দিন দুপুরে সোহেলী তার দিদির সাথে ল্যান্ডফোনে কথা বলে।
সেই সময় মোবাইল ফোনের এত প্রচলন ছিল না। চাকরি সূত্রে তমাল তার স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র থাকতো।
ভিড়ের মাঝে সহস্র তমাল এবং সোহেলি বিরাজমান |
---|
রাত দশটা কাজের থেকে বাড়ী ফিরে যা দেখে সেটা রীতিমত গায়ে কাঁটা দেবার মতো!
সোহেলী মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, আর ঘরের সমস্ত জিনিষ ওলট পালট!
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেয় তমাল, এবং ফোন করে সহেলীর বাড়িতে।
নিজেকে ধরে রাখতে পারে না তমাল ফোনেই ভেঙ্গে পড়ে আর কান্নাকাটি করতে থাকে।
সহেলীর মা বাবা পরের দিন হাজির হয়, জামাইয়ের অবস্থা তাদেরকে খুব বিচলিত করে, কারণ তারা জানেন তার মেয়ে জামাইয়ের সাথে সুখেই সংসার করছিলেন।
সহেলীর কথায় সেরকমটাই তারা জেনে এসেছেন ফোনে মেয়ের কাছ থেকে।
সেই সময় থাকা পুলিশের তদন্তকারী অফিসার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়।
সঙ্গে নিয়ে যায় তার ট্রেনিং দেওয়া পোষ্যকে!
কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ করতে বাধ সাধলো এই পোষ্য এমন চিৎকার শুরু করলো তমালকে দেখে!
এদিকে তমালের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা এতটাই খারাপ অবস্থায় যে, নিজের স্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পর্যন্ত হাজির থাকলে পারলো না!
পোস্টমর্টেম এ জানা গেছিলো, সহেলীর মৃত্যুর কারণ শ্বাসরোধ!
ঘটনার কিছুদিন পরে, মানে শেষকৃত্যের কয়েকদিন বাদে, সেই পুলিশ অফিসার তমালকে থানায় তলব করলো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
তমাল সেখানে হাজির হলে, তাকে দেখেই আবার সেই পুলিশের সারমেয় চিৎকার শুরু করে দিলো!
আর, এই একটা বিষয় তদন্তকারী অফিসার কে ভাবাতে শুরু করলো!
এরপর অফিসার ঠিক করলো, তমালকে ল-কাপে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তবে সেটা করবার জন্য আইনি প্রক্রিয়া মেনে করতে হবে।
যতক্ষণে অফিসার কাগজ হতে পেলেন, ততক্ষণে তমাল নিখোঁজ!
সেই সময় মোবাইল না থাকায় ফোন ট্রেস করার কোনো উপায় ছিল না তদন্তকারী অফিসারের কাছে!
সময় কখনও কারোর জন্য বসে থাকে না, দায়িত্বে থাকা অফিসার অন্যত্র বদলি হয়ে গেলো সময়ের সাথে, আর ফাইলে জমতে থাকলো ধুলো!
এক্ একজন অফিসার আসেন, আর প্রমাণের অভাবে বাকি রয়ে যায় তদন্ত! এদিকে সহেলীর মা বাবা হাল ছাড়েন না, তারা দ্বারস্থ হন, তৎকালীন মুখ্য মন্ত্রীর কাছে, বর্তমানে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী!
তার আদেশে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল নিয়োগ করা হয় যার মুখ্য দায়িত্বে ছিলেন সব্যসাচী। ততদিনে কেটে গেছে তেরোটা বছর!
কাজেই, প্রমাণ সব মুছে গেছে, রয়ে গেছে কিছু মানুষ যাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সব্যসাচী জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
আরেকটি ভালো বিষয় হলো এই তেরো বছরে মোবাইল প্রায় সকলের হাতে পৌঁছে গেছে।
প্রথমে তদন্তকারী অফিসার খোঁজ নিলো তমালের পরিবার সম্পর্কে।
জানতে পারলো দেশের দক্ষিণ প্রান্তের একটি গ্রামে তার মা একাকী বসবাস করেন, বাবা গত হয়েছেন অনেক বছর।
- এবার শুরু নতুন খেলা!
সব্যসাচী তার তদন্তকারী দল নিয়ে তমালের মায়ের এলাকার আশেপাশে বসবাস শুরু করলো ভাড়া ঘর নিয়ে।
সময়ের সাথে সাথে পরিচিতি বাড়লো, বৃদ্ধি পেলো নজরদারি।
তমালের মা বছরে একবার ঘুরতে যায় তার ছেলের কাছে, যেটা তিনি নিজেই জানালেন প্রতিবেশীকে।
পাশে থাকার কারণে মোবাইল নম্বর আদান প্রদান করা হলো।
এইভাবে কেটে গেলো আর এক্ বছর। এই একবছরে সব্যসাচী জানতে পারলো তার ছেলে এক্ সময় খুব ভালো ফুটবল খেলতো, কথাটা সহেলীর মা বাবার বয়ানের সাথে মিলে গেলো।
একবার খেলতে গিয়ে বল লেগে ডান হাতের মধ্যমা ভেঙে যায়, চিকিৎসা করেও আঙুল সোজা করা যায়নি।
আগেই উল্লেখিত ঘটনার সময় মোবাইল না থাকায় বিয়ের ছবি থেকে তমাল কে তারা চিনেছিলেন কিন্তু তাতে কি? এরমধ্যে কেটে গেছে দীর্ঘ চোদ্দো বছর!
চেহারায় নিশ্চই পরিবর্তন এসেছে! কাজেই, তারা তমালের মায়ের ফোন ট্যাপ করা শুরু করলো।
যেটা থেকে তারা জানতে পারলো, নমিতা নামের একটি মেয়ের সাথে তমালের মায়ের বেশ কথা হয়!
এবার তদন্তকারী সব্যসাচী বের করলো, এই নমিতা কোন জায়গা থেকে ফোনটা করে?
অল্প সময়ের মধ্যে বেরিয়ে আসলো সেই জায়গা যেখানে থেকে তমালের মায়ের কাছে ফোন আসছে, কিন্তু মোবাইলের একটা বিষয় খারাপ আর সেটা হলো, সময়ের সাথে স্থান পরিবর্তিত হয়, তাই তারা অপেক্ষায় রইলো।
কেটে গেলো আর এক্ বছর, কিন্তু ধৈর্যচ্যুত হলেন না সব্যসাচী!
লেগে রইলেন নিজের লক্ষ্যে। ধৈর্য্যের ফল সবসময় মিষ্টি হয়, কথাটা সকলের জানা। আর, সব্যসাচীর ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হলো না!
একদিন একটি ল্যান্ড নম্বর থেকে তমালের মায়ের কাছে ফোন আসলো, সব্যসাচী ফোন ট্রেস করে জানতে পারলেন, তার মা প্রতি বছর দক্ষিণের যে জায়গায় ঘুরতে যান, সেখানে অবস্থিত খুব নামকরা একটি কোম্পানির ফোন নম্বর ঐটি।
এরপর আর কি! সব্যসাচীর নতুন গন্তব্যস্থল সেই কোম্পানি। প্রথম দু'দিন কোম্পানির আশেপাশেই সাদা পোশাকে ঘোরাঘুরি করে জানতে পারলেন সেখানে কর্মচারীর সংখ্যা এবং উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা কে কতদিন ধরে এই কোম্পানিতে কাজ করছে!
সমস্ত দিক থেকে নিশ্চিত হয়ে, পুরোনো ছবির সাথে প্রায় মিলিত চেহারার সন্ধান পেলেন কিন্তু ব্যাক্তির নাম তমাল নয় জয়ন্ত ঘোষ!
সমস্ত সরকারি পরিচয়পত্র ঘেটে জানতে পারলেন, পাঁচ বছর ধরে নামকরা আইটি কোম্পানিতে কর্মরত এবং পরিচয় পত্র সবটাই ঠিক আছে।
এরপর ব্যাক্তিগত জীবনের খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন, তিন বছর হয়েছে বিয়ে করেছে ওই কোম্পানির কর্মরত একটি মেয়েকে, নাম নমিতা!
আর কি? নিজের মনের ডাক শুনলেন আর ভরসা ছিল এত বছরের পরিশ্রম আর অভিজ্ঞতার উপরে।
দিনটি সোমবার, বেলা তখন সকাল সাড়ে এগারোটা। সাদা পোশাকে নামকরা অফিসে প্রবেশ করেন সব্যসাচী। অফিসের বেয়ারার কাছে জানতে চাইলেন জয়ন্ত বাবুর অফিস রুম কোনদিকে?
বেয়ারা দেখিয়ে দিলেন বটে কিন্তু জানালেন, এখন জয়ন্ত বাবু একটি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন।
সব্যসাচী জানালেন, তিনি ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন, তাকে ডাকা হয়েছিল, কাজেই তিনি কেবিনের বাইরে অপেক্ষা করবেন।
কেবিনের সামনে গিয়ে অর্ধেক কাঁচের ভিতরে বসে থাকা মানুষের সাথে মিলে গেলো সব্যসাচীর কাছে রাখা ছবি।
আর দেরি করলেন না, সোজা কেবিনের দরজা খুলে হাত বাড়িয়ে বলেন, হ্যালো তমাল বাবু কেমন আছেন?
সঙ্গে সঙ্গে তমাল হাত বাড়িয়ে ভালো আছি বলতে না বলতেই সম্বিত ফিরে পেয়ে বুঝতে পারলো তার খেলা শেষ! সে কতখানি ভুল করে ফেলেছে!
আর সব্যসাচীর মুখে তখন জয়ের হাসি, কারণ হাত মেলানোর সময় ডান হাতের ভাঙ্গা মধ্যমা ততক্ষণে তার দৃষ্টিগোচর হয়ে গেছে।
শর্তে নয় সম্মানের পথ বেছে নিয়ে স্বাধীন ভাবে বাঁচুন, সমাজ নয় নিজের জন্য |
---|
সাদা পোশাকে তার সহকর্মীরা আগেই উপস্থিত ছিল, কাজেই পালাবার পথ সব বন্ধ সেটা তমাল বুঝে গেছে ততক্ষনে!
শুধু কেবিন থেকে বেরোবার আগে সব্যসাচী কে একটাই প্রশ্ন করেছিলেন তমাল, আপনি আমাকে খুঁজে বের করলেন কি করে?
এবার, তার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারলো, তমালের অসম্মতিতে তাকে জোর করে সহেলীর সাথে বিয়ে দেওয়া হয়।
বিয়ের শুরুতেই সোহেলীকে সমস্ত সত্যি তমাল জানিয়ে দিয়েছিল, যাতে সোহেলী তাকে ছেড়ে চলে যায়।
তবে, সোহেলী বেছে নিয়েছিল অন্য পথ, যদি সময়ের সাথে সাথে তমালের ভালোবাসা সে অর্জন করতে পারে!
এই আশায় সে দিনের পর দিন শারীরিক অত্যাচার সহ্য করে গেছে মুখবুজে!
কোনোদিন বাড়ির কাউকে জানায় নি, তার উপরে চলছে শারীরিক নির্যাতন;
এরকম একদিন আসে যখন তমাল বুঝতে পারে সোহেলী থাকলে সে কোনোদিন প্রেমিকাকে পেতে পারবে না!
তাই, তার সুপরিকল্পিত হত্যাকে লুটপাটের রূপ দিয়ে, সেদিন সে গিয়েছিল তার বিবাহের পূর্বের প্রেমিকার কাছে, এবং তাকে সব সত্যি জানায় তমাল।
তবে, মেয়েটি তমালকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। এরপর তমাল নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।
তবে, সত্যি কখনোই চাপা থাকে না, যে ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে এতদিন তমাল নিজেকে জয়ন্ত পরিচয় দিচ্ছিল, সেই ব্যাক্তির অস্তিত্ব আছে, কিন্তু তমালের ধরা পরার আগে পর্যন্ত কোনোদিন জানতেও পারেনি আসল জয়ন্ত, তার নামে আরেকজন বহাল তবিয়তে একজন খুনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে।
পরিশেষে, বলবো যদি বোঝেন কোনো সম্পর্কে সমান সম্মান নেই, সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসবেন। সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন।
আজকে সোহেলী বেঁচে থাকতে পারতো, যদি সে সত্যিটা নিজের মা বাবার সাথে ভাগ করে নিত।
মেনে নেওয়া মানিয়ে নেওয়া একটা সীমা পর্যন্ত থাকা উচিত, নিজের আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে কোনো সম্পর্ক জোর করে টিকিয়ে রাখার ফলস্বরূপ সোহেলীকে অসময় জীবন দিতে হলো।
মেয়েদের বিয়েটাই শেষ কথা নয়, শিক্ষিত সমাজে দাড়িয়ে যে অর্থ একটি মেয়ের বিয়েতে ব্যয় করা হয়, সেটা যদি তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যবহার করা যায়, তাহলে সমাজে অনেক সহেলীরা নিজের সত্ত্বা তৈরি করে নিজের মত করে বাঁচতে সক্ষম হতে পারে।
জানিনা! আদেও, লেখাটি মনোযোগ সহকারে কতজন পড়বেন! তবে, এরকম অনেক ঘরোয়া হিংসা আজও অব্যাহত, আর মুখ বুজে যারা সেই অত্যাচার হজম করছেন, কখন সন্তান আবার কখনও সমাজের দোহাই দিয়ে, তাদের বোধহয় একবার চিন্তা করা উচিত, এই অত্যাচারের পরিণতি কি ভয়ঙ্কর হয়ে পারে!
আপনার গল্পটি অনেক অসাধারণ হয়েছে দিদি। আমি গল্পটি সম্পূর্ণই পড়েছি, পড়ে যা বুঝতে পারলাম। আপনি একটি গল্পের মাধ্যমে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।
আপনার উপরের এই কথাটুকু তাৎপর্য অনেক। এখনো আমাদের সমাজের কিছু মানুষ বা পরিবার রয়েছে তারা এই জিনিসটি ভুলে যায় মেয়েরা যে অনেক কিছু করতে পারে। তারা ভাবে মেয়েদের বিয়ে দিলেই, সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। যৌতুক দিয়ে বিয়ে দিলে, মেয়ে সারা জীবন ভালো ভাবে থাকবে। আপনার পোস্টটি পড়ে জানলাম সহেলী ১৪ বছর পর তার সঠিক বিচার পেয়েছে, সহেলী যদি তার মা-বাবার কাছে সংসারের সমস্যার কথা বলতো! তাহলে হয়তবা আপনার গল্পের মাঝে সহেলী বেঁচে থাকত। আপনি সত্যিই বলেছেন এই পৃথিবীর বুকে হাজারো সহেলী রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তাদের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে মানুষ রূপী কিছু জানোয়ার। আপনার গল্প পড়ে আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করলাম, আপনি গল্পের শেষের ফিনিশিং টি অনেক সুন্দর ভাবে দিয়েছেন। যা ছিল অতুলনীয়, যা ভাষা প্রকাশ করার মতো নয়। তমাল ছদ্মবেশে নাম পরিবর্তন করে রেখেছে জয়ন্ত আবার সে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নমিতা ফোন দিয়ে তার মায়ের সাথে যোগাযোগ করত। বেশি পাপ করলে সৃষ্টিকর্তা তখন ছাড়ে না, এটাই হয়েছে তমাল বাবুর ক্ষেত্রে।আপনার এই গল্পটি পড়ে আমি অনেক কিছু উপলব্ধি করতে পেরেছি। প্রথম দিক হচ্ছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা দ্বিতীয় দিক জীবনের সঠিক মানুষকে না পাওয়া ইত্যাদি। এত সুন্দর একটি রোমাঞ্চক গল্প আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন।
TEAM 7
Congratulation!!!
Your post has been supported. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.
Curated By : @wirngo
TERM
AVENGERS ALLIES
Thank you @wirngo sir
একেবারেই সঠিক, কথায় আছে পাপ চড়ে না বাপকে!
মানুষ নিজেদের যতই চতুর মনে করুক না কেনো একসময় সত্য বেরিয়েই আসে।
সাময়িক সফলতায় বিভোর কিছুজন নিজেদের পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চতুর মানুষ বলে গণ্য করে, কিন্তু তারা ভুলে যায় অদৃশ্য এক্ শক্তি প্রত্যেককেই সর্বদা নিরীক্ষণ করে চলেছেন।
ঘরোয়া নির্যাতন অব্যাহত কারণ বেশিরভাগ মেয়েদের এমন একটি ভুল শিক্ষা দিয়ে বড় করা হয়, আর সেখানে তাদের বলা হয়, বিয়ের পরে সেটাই তাদের বাড়ি, ভালো মন্দ মানিয়ে চলতে।
আমার প্রশ্ন কেনো? সর্বাগ্রে তারা একটি মানুষ। সমান বাক স্বাধীনতা সহ, ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে তাকে সংসার করতে হবে শারীরিক মানসিক নির্যাতনের সন্মুখীন হয়ে এটা কেমন কথা!
আমার জানা নেই, কারণ নিজের পায় দাড়াতে হবে এই শিক্ষাটা বোধহয় সর্বাগ্রে মাতা পিতার শেখানো উচিত।
এরপর, বিয়ে হয়ে গেলেই কেনো বাবার বাড়িতে সেই অধিকারের জায়গা হারিয়ে যাবে, যেখানে একটি মেয়ে অত্যাচারিত হচ্ছে জেনেও ঠাঁই পাবে না!
এরকম অনেক বিষয় আছে যেগুলো অনেকের প্রতিবাদী বলে মনে হতে পারে, তবে আমি এই শিক্ষায় বিশ্বাসী যে, শিক্ষা , সম্মানের উপরে সকলের সমানাধিকার।
সকলের সসম্মানে বাঁচার অধিকার আছে।
জি ম্যাম, আপনি সঠিক বলেছেন, আমি আপনার কথার সাথে সহমত পোষণ করি। এত সুন্দর একটি বিষয়বস্তু নিয়ে আপনি আলোচনা করেছেন, আমাদের সাথে তার জন্য ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন,
TEAM 2
Congratulations! Your Comment has been upvoted through @steemcurator04. We support good comments anywhere..Thank you @jyoti-thelight madam
Thank you my dear friend @wirngo for this support 💕
সত্যি দিদি গল্পটি এক কথায় অনবদ্য ও গভীরভাবে শিক্ষণীয়। সত্য এবং ন্যায়ের প্রতি বিশ্বাস রেখে যে ধৈর্য ও অধ্যবসায় তদন্তকারী অফিসার দেখিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। পাশাপাশি নারীর আত্মসম্মান এবং স্বাধীনতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি এত সুন্দরভাবে তুলে ধরা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।
দিদি আপনার লেখায় প্রতিটি শব্দই সচেতনতার বার্তা বহন করে, যা সমাজকে নতুন করে ভাবতে শিখায়। এমন মনোমুগ্ধকর ও মর্মস্পর্শী লেখা উপহার দেওয়ার জন্য দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আধুনিক পোশাক পড়লেই আধুনিক হওয়া যায় না!
যতক্ষণ মানসিকতা আধুনিক না হচ্ছে, ততক্ষণ সমাজের বহু সোহেলী এইভাবে হত্যার শিকার হতে থাকবে।
নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর পাশাপশি সমান বাক স্বাধীনতা সহ সম্মান এই শিক্ষা দিয়ে প্রতিটি মেয়েকে বড় করা উচিত।
পরের ঘরে চলে গেলে, নিজের বাবার বাড়িতে একটি মেয়ে পর হয়ে যাবে এই মানসিকতা যারা বহন করেন, তাদের সাথে এরকমটা হবে ভবিষ্যতেও।
কেনো আগে সুশিক্ষা সহ নিজের পায় দাঁড়াবার প্রবণতা থাকবে না? সাত তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে ঘাড়ের বোঝা নামাবার প্রয়াসের ফল ভোগ করতে হয় সহেলীর মত মেয়েদের।