Poetry- Comparisons (কবিতা- তুলনা!)

in Incredible India14 days ago (edited)
1000042669.png

আজকে ঘুম থেকে উঠে জানালা খুলতেই পাশের বাড়ির ছাদের টবে দেখি একটি গাছে পাশাপশি দুটি গোলাপী জবা ফুল ফুটে আছে, আরেকটিতে লাল জবাফুল।

ছবি তুলে নিলাম মোবাইল জুম করে! তবে, সঙ্গে সঙ্গে মনে হলো তুলনা, বিবাদ কি কেবলমাত্র মানুষের জীবনের অঙ্গ? নাকি প্রকৃতিতে উপস্থিত উদ্ভিত কুলেও একই বিষয় বিদ্যমান?

যেমন ভাবা তেমনি কাজ, বিবাদ বাধানোতে মানবজাতি সিদ্ধহস্ত, তাই নিজের মননে কিছু বিবাদ মূলক শব্দ উঁকি দিতে থাকলো, সেগুলো নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম আজকে।

তুলনা, কি কেবলমাত্র বিবাদ করতেই উপস্থিত হয়, নাকি নিজের অবস্থান এবং দর্পচূর্ণ করতেও সহায়ক?
দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক কিছু নিয়েই নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ বলে মনে করি।

তবে, শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয় পরিণতি দিয়ে, মানে শেষ নির্ধারণ করে, যেকোনো কিছুর গুরুত্ব, সেটা মানুষের ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য, হয়তো তেমনি প্রকৃতির অনেক অবহেলিত বিষয় থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি।

1000041845.jpg
1000041844.jpg

যেমন, একটি অনুষ্ঠানে যাবার সময় আমাদের চোখ খোঁজে সেই সকল সুগন্ধী ফুলেদের যারা শুধু নিজেকে সুন্দর করবে তাই নয়, সাথে আসে পাশের পরিবেশকে তার নিজস্ব সুঘ্রাণে ভরিয়ে তুলবে।

আবার পুজোয় বসলে বেশিরভাগ সেই সকল ফুলেদের সন্ধান করি যাদের রং আছে কিন্তু ঘ্রাণ নেই।

একজন অন্যের খুশির সাক্ষী, অপরজন সেবার।
আর এই পার্থক্য দিয়ে যদি দুজনের মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে কে জিতবে?
অবশ্যই সে, যে নিজেকে সৃষ্টিকর্তার চরণে নিবেদিত করেছে।
নিজের সুগন্ধ বিক্রি করে ভ্রমরদের আকৃষ্ট করতে আগ্রহী নয়!

1000042648.jpg
1000042649.jpg
1000042646.jpg

জীবনে ভোগের প্রতি যত মায়া, ত্যাগের প্রতি খুব কম মানুষের নজর, আর তাই কোনো কিছু হারিয়ে গেলে নাওয়া খাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম!

অথচ, সৃষ্টিকর্তা বলেই রেখেছেন, আমরা কিছু নিয়ে আসিনি, আর সঙ্গে কিছুই যাবো না, যা কিছু নিয়েছি এখান থেকেই, আর দিয়ে যেতে হবে এখানেই।

তবুও আমরা লোভ, লালসা, তুলনা, ঈর্ষা এগুলোকে পরিত্যাগ করতে অক্ষম!

তাই সৃষ্টিকর্তা বোধহয়, ফুলের মত করেই মানুষের পরিণতি উপরিউক্ত বিষয়গুলো দ্বারা নির্ধারণ করে থাকেন! জানা নেই খুবই নগন্য আমি! তাঁর শিক্ষাকে প্রতিদিন দৈনন্দিন এবং পারিপার্শ্বিক বিষয়বস্তু থেকে শেখার প্রয়াস করে চলেছি মাত্র।

1000042647.jpg

তুলনা - Comparisons!

কদর অধিক মোর,
সুগন্ধী ফুল কয় হেসে!
কি কদর তোমার আছে!
ওহে জবা...এ ধরায় এসে?
মুচকি হেসে, দেয় জবা সাড়া;
মায়ের পুজো অসম্পূর্ণ
আমার উপস্থিতি ছাড়া!

তোমার সুবাস সমাদৃত
সমগ্র প্রাণী কুলেতে,
আমি করি মায়ের সেবা
বিরাজ তাঁর পদধূলিতে!
তোমার অন্তর্নিহিত বাক্যে
অহংকার বিদ্যমান;
তাই করো গৃহ সজ্জা,
নেই চরণে স্থান!

রূপে, গন্ধে কি যায় আসে?
যদি সৃষ্টিকর্তা নাই ভালোবাসে!

তুমি করো আকৃষ্ট নিজ গন্ধ বশে;
বৃথা তব অহংকার,আর ক্ষণস্থায়ী যশে!

শেষ সকলের নির্ধারিত,
রবে না কিছুই অক্ষত!
পরিণতি শেষ কথা কয়;
মূল্যায়ন তার ভিত্তিতেই হয়।

ঔষধি গুনের অধিকারী জন্মে
জঙ্গলে, আদারে বাদাড়ে;
সমাপ্তি, সদাই স্থান নির্ধারণ করে!
খোঁজে ফেরে মানবকুল,
সেই জঙ্গলে জন্মানো নাম না জানা ফুল!

জানিনা, আপনাদের কেমন লাগবে কবিতাটি, তবে, যোগ্যতা বোধহয় সেটা নয়, যেটা দিয়ে আমরা ঐশ্বর্য্য উপার্জন করি, যোগ্যতা সেটা যেটা সার্বিক স্বার্থে ব্যবহৃত!

আপনাদের অভিমত জানার প্রতীক্ষায় রইলাম!
জীবনকে পরিচালনা করা আর সঠিক পথে টিকে থাকা বোধহয় সবচাইতে কঠিন কাজ, আপনারা কি ভাবেন এই বিষয়?

1000010907.gif

1000010906.gif

Sort:  

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

Loading...
 13 days ago 

এই পৃথিবীর বুকে উচ্চ সম্মান ও উচ্চ মর্যাদাশীল তারাই যারা সৃষ্টিকর্তাকে প্রাধান্য দিয়ে জীবন গড়ছে। সৃষ্টিকর্তার বিধান অনুযায়ী জীবন গরা অতটা সহজ নয় তবে যারা একবার জীবন গড়ে ফেলছে তাদের সম্মান আমরা হয়তোবা খালি চোখে দেখতে পাচ্ছি না তবে সেটা একদিন প্রকাশ পাবে।

জবা ফুলের গন্ধ না থাকলেও সে যে স্থানে থাকে সেই স্থান দখল করার মতো কোনো গন্ধরাজ ফুলের নাই। আমি আপনার সাথে একমত যে গন্ধরাজ ফুলের মত চরিত্র কিছু কিছু মানুষের ভেতরে রয়েছে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কবিতার সহ খুব সুন্দর একটি আর্টিকেল আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।