Words have magic! If we know how and when to utilise them! শব্দ ঔষধি, সঠিক প্রয়োগে!
পৃথিবীতে আসার পর যে দুটি বিষয় আমাদের জীবনে সর্বাগ্রে বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে, তার একটি নিজের পায়ে দাঁড়ানো, এবং কথা বলতে শেখা।
যদিও এই দুটি বিষয় শিশু নিজে কতটা উপভোগ করে বলতে পারব না, কিন্তু সদ্য মা বাবা হওয়া এবং পরিবারে উপস্থিত আর সকলে বিষয়টিকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেন।
সময়ের সাথে সাথে কথার ধরন ধারণ বদলে যায়।এমনকি, প্রায়শই কথার সঠিক প্রয়োগ অনেকেই শিখে উঠতে পারেন না, সে যতই বয়স হোক না কেনো!
এটা হয় অনেক শিক্ষার অভাবে!
তবে যারা শব্দের প্রয়োগ জানেন, তারা কোনো কথা বলার আগে যেমন ভাবেন, তেমনি বলার পরে, ভুল বলার কারণে অনুতাপ ও করেন!
এই কথার সমষ্টি দিয়ে তৈরি আচরণকেই বলে ব্যবহার।
আচ্ছা! আপনাদের কখনও কোনো ডাক্তার দেখাতে গিয়ে তার কথা শুনেই নিজেকে সুস্থ্য মনে হয়েছে?
আমার কিন্তু এরকম অভিজ্ঞতাও আছে, ভীষণ অসুস্থতা নিয়ে শিলিগুড়িতে থাকাকালীন এক্ ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম, ওনার নাম সলিল দত্ত, বেশ বয়স অথচ তার কথা এত নম্র এবং এমন তার উপস্থিতির গাম্ভীর্য না দেখে বিশ্বাসের উপায় নেই!
(কিছু মানুষের মন ফুলের মতই কোমল, নিজেকে তার জায়গায় রেখে শব্দের প্রয়োগে অভ্যস্থ করা শিখতে হবে!) |
---|
শান্ত কণ্ঠে কি হয়েছে? এটার মধ্যে এত মায়া যেনো শুনলেই সমস্ত অসুখ এমনিতেই পালিয়ে যায়!
আমরা যারা মুক নই, বধির নই তাদের যেমন সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা উচিত, তেমনি এই ইন্দ্রিয় গুলোর পাশাপশি বাকি ইন্দ্রিয়ের প্রয়োগ শেখার প্রয়োজন আছে।
একটি বাক্য যেমন মানুষকে বুদ্ধিজীবীর আখ্যা দিতে সক্ষম, তেমনি শব্দের সমষ্টি দ্বারা তৈরী বাক্যের অপপ্রয়োগ নির্বোধ আখ্যা দিতেও সক্ষম!
এই শব্দের প্রয়োগ আমরা শৈশবে নিজেদের ঘর থেকেই শিখে বেড়ে উঠি, যেমন ঘরের মানুষ একে অন্যের সাথে ব্যবহার করে, সেটা দেখেই আমরা বড়ো হই বলে, পরবর্তীতে চেটস করেও অনেক সময় কথা বলার ধরন পরিবর্তন করতে ব্যার্থ হই।
আরো একটি বিষয় দেখবেন, পড়াশুনার সময়, মঞ্চে কাউকে বক্তৃতা দেবার সময় কিছু জনের কথা আমাদের চিরকাল স্মৃতির পাতায় রয়ে যায়, আবার অনেক সময় বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে!
ইংরিজিতে একটি প্রবাদ আছে কথার ধার তলোয়ারের ধারের চাইতে বেশি, আর ঠিক সেই কথায় অসময় জীবন দিতে দেখেছি কাছের মানুষদের।
তাই, আমার মনে হয় একবার কাছের না দূরের, চেনা অথবা অচেনা এসবকিছু ভুলে যদি কথা বলার আগে শব্দের প্রয়োগের দিলে একটু দৃষ্টি রেখে কথা বলার অভ্যেস রপ্ত করতে পারি, তাহলে এই কথাই কিন্তু ঔষধির কাজ করতে সক্ষম।
যারা কর্কট রোগে আক্রান্ত তাদের চিকিৎসার একটি বড়ো ঔষধ হলো এই কথা!
ডাক্তার একটাই কথা রোগীদের বলেন, হেরে যাওয়া সহজ, হারানো কঠিন!
মনের জোর হারালে চলবে না, লড়াই করে যেতে হবে, শরীর নিজেদের তাই তার পরিচালনার দায়িত্ব ওই ব্যাধিকে দিলে চলবে না।
ভারতের একজন কর্কট রোগাক্রান্ত চলচ্চিত্র নাটক সঞ্জয় দত্ত, যার এই ব্যাধি ধরা ফুসফুসে ধরা পড়েছিল চতুর্থ ষ্টেজে!
এক্ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে একদিন হঠাৎ অসুস্থবোধ করায়, ডাক্তারের কাছে গিয়ে জানতে পারলাম, আমার ফুসফুসে ক্যান্সার প্রবেশ করেছে, শুধু তাই নয়, তখন সেটি চতুর্থ ষ্টেজে!
প্রথমে ভীষণ কাঁদলাম, তারপর শুরু হলো চিকিৎসা, ডাক্তার বলেছিলেন কেমো দেবার পর শরীর দুর্বল লাগবে, চুল উঠে যাবে ইত্যাদি।
প্রথম কেমো নেবার পর সঞ্জয় দত্ত ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এখানে জিম কোথায়?
ডাক্তার অবাক! কেমো নেবার পর টানা এক ঘণ্টা উনি জিম করেছিলেন বলে সাক্ষাৎকারে জানান।
চুল বিহীন অবস্থায় KGF2 নামক ছায়াছবির শুটিং করেন আর এখন তিনি ক্যান্সার কে হারিয়ে ভালো আছেন।
(সহাবস্থানের এটা প্রমাণিত হয় না, উভয়েই একই শিক্ষায় শিক্ষিত) |
---|
দৈনন্দিন জীবনে ঘরে বাইরে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা একদিকে অনুপ্রেরণার উৎস তেমনি কিছুজনের থেকে আমরা দূরত্ব বজায় রাখি কেবলমাত্র তাদের শব্দের অপপ্রয়োগের জন্য।
কথায় আছে, ব্যবহার মানুষের পরিচয়।
তবে, অনেকেই দেখেছি নকল শব্দের আড়ালে নকল শুভাকাঙ্ক্ষীর আড়ালে একটা কদর্য চেহারা বহন করে, এদের থেকেও সাবধানতার প্রয়োজন আছে।
সামনে কিছুই বোঝে না, কিছুই জানে না কিন্তু এরাই সবচাইতে বেশি বোঝে এবং বেশি জানে, তাই এদের থেকে বেশি সাবধানতার প্রয়োজন আছে।
আগেও বলেছি কথাটি সেটার পুনরাবৃত্তি করছি খারাপ ব্যবহার, ক্ষতির জন্য কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন নেই, বরং বিপরীত স্রোতে সাঁতার কাটতে সঠিক যোগ্যতা এবং শিক্ষার প্রয়োজন।
|
---|
হৃদয় বিদারক কিছু কথা!
আজীবন সুপ্তবস্থায় রয়ে যায়,
যার অপরিবর্তিত ব্যথা!
বাক স্বাধীনতার অপপ্রয়োগ
আজও অব্যাহত;
নির্বাক শ্রোতা হয়ে বয়ে চলেছি
নিজের দগদগে ক্ষত!
সময় দেবে উত্তম জবাব,
পাশে নেই যার কেহো;
পণ্যের দরে কিনতে চায় যারা
ভালোবাসা, বিশ্বাস আর স্নেহ।
বিবেক বোধ গেছে অস্তাচলে;
অপপ্রয়োগ বাক স্বাধীনতার
বেপরোয়া শব্দ বাণে,
দেখিয়ে ক্ষমতা, আর? অহংকার!
অনু কবিতাটি গতকালের একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার নিরিখে আজকে লিখেছি, এবং আজকের শীর্ষক নির্বাচন সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে।
আমার সব অনুভূতির কেন্দ্রস্থল হলো এই প্ল্যাটফর্ম আর তাই প্রতিদিন জীবন থেকে কুড়িয়ে পাওয়া শিক্ষাগুলো ভাগ করে নিতে চলে আসি আপনাদের মাঝে।
আজ তাহলে ইতি টেনে বিদায় নিলাম, তবে যাবার আগে বলে যাই, কাউকে সম্মান দিতে না পারলেও ক্ষতি নেই, কাউকে অযথা অপমান করবেন না। ভালো মানুষ হতে যোগ্যতা লাগে, ভালো মানুষের অভিনয় করতে অধিক মানুষ সক্ষম।
Gorgeous flowers. Very nice pink color. You can look at such flowers for a long time :) They do not irritate the eyes.
@hardphotographer,
My friend, it's a great honour to get a compliment from an expert!
I have seen your photographs, and honestly, I don't have that knowledge like you about photography!
I captured those pictures from my mobile, those flowers blooming on my neighbourhood rooftop, and whenever I opened my Westside windows, it caught my eye, you are absolutely right!
Those colours and natural beauty never irritate our eyes and convey various messages that we can implement in our lives!
😊😊😊 I am very pleased. But I am definitely not an expert. It is very cool that such beautiful flowers grow under your window. When you look out the window and flowers grow by the window, they lift your spirits. I started my blog on Steemit by taking pictures of everything on my phone. And after about two years I was able to buy a camera.
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.