Better Life With Steem | | The Diary Game | | 04 November, 2024

in Incredible India21 days ago

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :

the Diary Game_20241104_220721_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠেছি। ঐ যে একটা বলেছিলাম না, মানুষ হচ্ছে অভ্যাসের দাস। কোন কাজ প্রতিনিয়ত একই নিয়মে করলে সেটা অভ্যাসে পরিণত হয়। ঠিক সেরকম প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে উঠার আমারও অভ্যাস হয়ে গেছে।

যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে মুখে পানি দিয়ে ল্যাবে গিয়েছি। ল্যাবে যাওয়া মাত্রই দেখি ৪-৫ টা কাজ জমে আছে। পরে এক এক করে সব কাজ শেষ করে রিপোর্টগুলো দিয়েছি। আজকে সকালবেলায় এত কাজের চাপ ছিল যা বলার মত নয়। যত দিন যাচ্ছে ততই কাজের চাপ যেন বাড়তেছে। তারপরও সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ। মোটামুটি সকাল ১০টা পর্যন্ত একটানা কাজ করেছি।

IMG_20241104_140500.jpg

আমার সহকারীরা আসার পর আমি রুমে গিয়ে গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। আজকে একটু সকাল সকাল উঠছিলাম এজন্য ফ্রেশ হওয়ার পর একটু শুয়ে রেস্ট করেছি। পরে বাইরে গিয়ে সকালের নাস্তা খেয়েছিলাম।

IMG_20241104_104330.jpg

আজকে সকালবেলা একটা চিন্তার কারনে অন্য মনস্ক ছিলাম এজন্য ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছি। পরে আবারো ল্যাবে এসে কাজ শুরু করেছি। এর মাঝে আমার মালিকের অন্য একটা প্রতিষ্ঠানে কাজ ছিল সেখানে গিয়ে কাজগুলো করে দিয়েছি। মানে সব মিলিয়ে কয়েকদিন থেকে ভালোই ব্যস্ততার মাঝে দিন পার করতেছি। মোটামুটি দুপুর পর্যন্ত ল্যাবে কাজ করার মাঝে ব্যস্ত ছিলাম।

দুপুরে খাওয়ার সময় হলে বড় ভাইয়ের জন্য হোটেল থেকে খাবার আনতে গিয়েছি। পরে বড় ভাই সহ দুপুরের খাবার একসঙ্গে খেয়েছি। আর দুঃখের বিষয় হলো কাজের ব্যস্ততার কারণে দুপুরের খাবার খেতে ৩ টা বেজে গেছিল। আজকে আর বেশিক্ষণ রেস্ট করতে পারি নি, কিছুক্ষণ মোবাইল চালিয়েছি।

IMG_20241104_172409.jpg

আমি বিগত পোস্টে বলেছি, আমাদের হাসপাতালের গাইনি ডাক্তার ছুটিতে আছেন। কিন্তু গাইনি ডাক্তারের বিপরীতে অন্য একজন গাইনি ডাক্তার চেম্বার করতেছেন। তাই বিকেলে গিয়ে আবারো কাজে মাঝে ব্যস্ত ছিলাম। এর মাঝে আমার সহকারী এক আপু ল্যাবের সবার জন্য চিতই পিঠা নিয়ে এসেছিল। এদিকে আবার হাসপাতালের সামনে সবকিছুই পাওয়া যায়। পরে সবাই মিলে পিঠা খেয়েছি।

সন্ধ্যার দিকে সব কাজ শেষ করে বাইরে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু এর মাঝেই ডেন্টাল ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাই আমাদের সবার জন্য রসমালাই নিয়ে এসেছিল। পরে রসমালাই খাওয়ার জন্য আমি দোকান থেকে পাউরুটি নিয়ে এসেছি।

IMG_20241104_190818.jpg

পাউরুটি দিয়ে রসমালাই খেতে আমার বেশ দারুন লাগে। পরে বড় ভাই সহ বাইরে গিয়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়েছি। আজকে আর হোটেলে অন্য কোন নাস্তা না খেয়ে আবারো হসপিটাল চলে এসেছি। কারণ তেমন একটা ক্ষুধা ছিল না। এরপর প্রতিদিনের মতোই পোস্ট লিখতে বসেছি।

ধন্যবাদ

Sort:  
Loading...
 18 days ago 

আমাদের কর্মস্থলে প্রতিটা দিন একই রকম ভাবে অতিবাহিত হয় না। কোনো দিন কাজের চাপ অনেক বেশি থাকে আবার কোনো দিন কম। আজ আপনার সকাল থেকে কাজের চাপ অনেকটা বেশি ছিলো এবং যেটা সুন্দরভাবে সামলে নিয়েছেন আপনি। পাউরুটি দিয়ে রসমালাই কখনও খাওয়া হয়নি। দেখি কোনো একদিন টেস্ট করে দেখবো কেমন লাগে খেতে। ভালো থাকবেন।

 14 days ago 

আপনার আজকের পোস্ট পড়ে এটা বুঝতে পারলাম আপনি অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিন পার করেছেন আমরা প্রত্যেকটা মানুষ ব্যস্ততার মধ্যে থাকি আবার মাঝে মধ্যেও একটু ব্যস্ততা কম থাকে এভাবে চলতে হবে আমাদের এবং এভাবেই চলবে আমাদের জীবন কখনো ব্যস্ততা তো কখনো ফ্রি যাইহোক দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করতেও আপনাদের অনেক দেরি হয়ে যায় অবশেষে খাওয়া দাওয়া করে নিয়েছেন আপনার দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ এতো ব্যস্ততার মধ্যে।