Better Life With Steem | | The Diary Game | | 08 June, 2024

in Incredible India6 months ago

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আল্লাহ তাআলার কাছে শুকরিয়া আদায় করি। তিনি আমাকে আরও একদিন সকালের সূর্য দেখার তৌফিক দান করেছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে। তাহলে বন্ধুরা আর দেরি না করে শুরু করা যাক :

The Diary Game _ _ 15 May, 2024_20240609_213803_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতোই গতকালকেও খুব সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই মনটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে। কারণ মা ভাতের চাল করার জন্য অনেকগুলো ধান সিদ্ধ করেছে। আর ধান শুকানোর জন্য রোদের খুব প্রয়োজন।

কিন্তু সকালবেলা উঠেই দেখলাম আকাশ অনেকটা মেঘলা। এমনভাবে মেঘলা ছিল, সারাদিনেও রোদ্দুরের কোন আশঙ্কা ছিল না। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা যদি এরকম করে আমাদের এখানে কিছুই করার নেই। আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি, তারা সবাই খুব ভালো করেই জানি, সিদ্ধ করা ধান বেশিক্ষণ রাখলে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

IMG_20240608_085510.jpg

সৃষ্টিকর্তা যদি রোদ না দেয়, আমরা মানুষ হয়ে বা, কি করতে পারি। যাইহোক, পরে তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। গত কয়েকদিন থেকে এরকম সকালবেলা কাজ থাকার কারণে, মা নাস্তা বানানোর সময় পাচ্ছে না। তাই সকালবেলা শুকনা নাস্তা খেয়েছিলাম। নাস্তা খেয়ে ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।

IMG_20240608_085533.jpg

আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছি। বিগত দিন শুক্রবার ছিল। অন্যান্য দিনের থেকে শুক্রবারে ল্যাবে সবথেকে বেশি কাজ হয়। কাজের চাপ থাকার কারণে রোগীর রিসিভ গুলো নোট খাতায় তুলতে পারি নি।

তাই গতকালকে সকালবেলা যেহেতু একটু অবসর সময় পেয়েছিলাম, তাই রিসিভগুলো দেখে দেখে সব নোট খাতায় তুলেছিলাম। এর মাঝে একজন রোগী এসেছিল ব্লাড দেওয়ার জন্য। পরে রোগী এবং ডোনারের কাছ থেকে ব্লাড কালেকশন করে Cross Matching করেছিলাম।

IMG_20240608_134140.jpg

আলহামদুলিল্লাহ Cross Matching এর কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। আমি যে প্রফেশনে কাজ করতছি, সেখানে সব কাজগুলোই সাবধানতা অবলম্বন করে করতে হয়। যাইহোক, Cross Matching করার পর ডোনারের কাছ থেকে ব্লাড ব্যাগে ব্লাড সংগ্রহ করেছিলাম।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যে রোগী ব্লাড দিতে এসেছিল তার শরীরে Vein খুঁজে পাওয়া খুব দুষ্কর হয়ে গেছিল। বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে Vein খুঁজে পেয়েছিলাম। এরকম মাঝে মাঝে কিছু রোগী পাওয়া যায়, যাদের Vein খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল।

IMG_20240608_164740.jpg

এসব কাজ শেষ করতে কোন দিক দিয়ে বিকেল ৪:০০টা বেজে গেছে বুঝতেই পারিনি। আসলেই কাজ করার মাঝে থাকলে তেমন ক্ষুধাও লাগে না। পরে সব কাজ শেষ করে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম। খাওয়া শেষ করে আর অন্যান্য দিনের মত শুয়ে রেষ্ট করার সুযোগ হয়নি।

গতদিনে কোন ডাক্তার ছিল না তারপরেও ল্যাবে অনেক কাজ হয়েছে। বিকেলের দিকে একটু অবসর সময়ে সামনের হোটেলে গিয়ে ভাজাপোড়া খেয়েছি। পরে সন্ধ্যার পর ল্যাবে কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করেছিলাম।

এর মাঝে হঠাৎ করে সবাই বলল মুড়ি মাখা খাবে। পরে তাৎক্ষণাৎ সবাই মিলে টাকা দিয়ে মুড়ি পার্টির আয়োজন করেছিলাম। তবে অন্যান্য দিনের থেকে গতকালকের মুড়ি মাখাটা বেশ মজার হয়েছিল।খাওয়া শেষ করার পর তখন মোটামুটি রাত ৯:০০টা বেজে গিয়েছে। তাই তাড়াতাড়ি ল্যাব বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম।

IMG_20240608_185925.jpg

আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবেই বাসা পৌঁছে গিয়েছি। কিন্তু বাসায় পৌঁছা মাত্রই দেখতে পেলাম, মায়ের অনেক জ্বর এসেছে। শুনলাম কয়েকবার নাকি বমিও করেছে। আসলে নিজের বাবা-মা অসুস্থ হলে কোন সন্তানের মাথা ঠিক থাকে না। বাসায় কিছু ওষুধ নিয়ে আসা ছিল, আর বাকি ওষুধ কেনার জন্য তৎক্ষণিক বাজারে গিয়েছিলাম।

বাজার থেকে বাসায় আসার পর মা'কে একটু খাবার খাইয়ে ওষুধ খেতে দিয়েছিলাম। দোয়া করবেন আমার মা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। পরে মোটামুটি রাত হয়ে গিয়েছিল। পরে কখন যে না খেয়েই ঘুমিয়ে গিয়েছি বুঝতে পারিনি।

ধন্যবাদ

Sort:  
Loading...
 6 months ago 

যতদুর বুঝলাম আপনারা ধান সিদ্ধ করেন তবে আমাদের এখানে সিদ্ধ করা ছাড়াই খাওয়া হয়। তবে মাঝে মাঝে কিনে খেয়েছি সিদ্ধ চাল, বেশ ভালো লাগে।

আপনি যে প্রোফেশনালে কাজ করছেন সেটা সত্যি খুব গুরুত্বপূর্ণ ও জঠিল একটা কাজ এবং এটা খুব সতর্কতার সাথে করতে। কারন আপনার কাজের উপর অন্য কারো জীবন নির্ভর করে। মুড়ি চানাচুর দেখে খেতে মন চাচ্ছে, যাই দোকান থেকে কিনে আনি এখন। ভালো থাকবেন।

 6 months ago 

ভাই হয়তো আপনি, আমার পোস্টটি ভালভাবে খেয়াল করেননি। আসলে আমি বলেছি আমাদের শুকনা ধান সিদ্ধ করার পর আবারও শুকানো হয়। তারপরে মিল থেকে চাল ভাঙ্গানো হয়, তারপর সেই চাল আমরা খেয়ে থাকি।
জ্বী ভাই! আমি যে প্রফেশনে আছি এখান অন্য কারোর জীবন আমার নিজের হাতে। আমি সবসময় সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ করার চেষ্টা করি।

আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।

 6 months ago 

আবহাওয়া প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। আর প্রকৃতি কন্ট্রোল করে আল্লাহ তায়ালা। তিনি যা করেন আমাদের ভালোর জন্যই করে থাকেন। তবে সিদ্ধ ধান বেশিক্ষণ রাখা যায় না। যদি রোদে না দেয়া হয় তাহলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রার্থনা করুন আল্লাহতালা যেন রোদ দেয়, তাহলে আপনাদের সিদ্ধ ধান শুকিয়ে যাবে। রোগী না থাকার কারণে আপনি বেশ কিছু কাজ নিজের মতো করে সম্পন্ন করে নিয়েছেন। সবাই মিলে আবার মুড়ি পার্টির আয়োজন করেছেন। আসলে মাঝে মাঝে সবাই মিলে এ ধরনের মুড়ি পার্টি আয়োজন করলে খেতে বেশ ভালই লাগে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 6 months ago 

আসলে এই পৃথিবীর সব কিছু সৃষ্টিকর্তার হাতে। আমরা চাইলেও কোন কিছু করতে পারবো না। গত কয়েকদিন থেকে আবহাওয়া খারাপের জন্য ধান শুকাতে পারিনি। অন্যান্য দিনের তুলনায় সেই দিন ল্যাবে একটু কাজ কম হয়েছিল। আমরা প্রায় ল্যাবে এরকম মুড়ি পার্টির আয়োজন করে থাকি।

আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।

 6 months ago 

আবহাওয়া কখন কি ধরনের হবে সেটা আমরা কখনোই ধারণা করতে পারে না। তবে আমার মনে হয় আপনারা আবহাওয়ার খবর জেনে যদি ধান সিদ্ধ করতেন, তাহলে বেশ ভালই হতো। যাই হোক যেটা হয়ে গেছে সেটা তো আর পরিবর্তন করা যাবে না। এখন শুধু আল্লাহতালার কাছে দোয়া করেন যাতে সব কিছু ঠিক করে দেয়। আপনাদের মুড়ি পার্টিতে একদিন আমাকে দাওয়াত করবেন। আমিও আসবো আপনাদের সাথে মুড়ি পার্টি আনন্দ উপভোগ করার জন্য।

 6 months ago 

আপনার পোস্টে বেশ কিছুদিনের দেখতে পাচ্ছি ধানের কাজ চলছে কিন্তু রোদ না থাকায় এখনো শেষ করতে পারছেন না জেনে খারাপ লাগলো। প্রতিদিন এর মতো আজকেও ল্যাবে গিয়েছিলেন ডাক্তার না থাকলেও অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়েছিল। আর এভাবে মুড়ি মাখা খেতে আমার বেশ ভালো লাগে।।

 6 months ago 

হ্যাঁ ভাই! আমাদের এমনিতে ধান শুকানোর কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও চাল করতে পারি নাই। আপনি গ্রামে বসবাস করেন। সে ক্ষেত্রে হয়তো খুব ভালো করেই জানেন। চাল করতে গেলে কত রকমের কাজ করতে হয়।
সেই দিন ডাক্তার না থাকলেও অন্যান্য কাজে বেশ ব্যস্ত ছিলাম।

আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।

 5 months ago 

জি ভাই আমি মাঝে মাঝে মার সাথে ধানের কাজ করি তাই এই বিষয়ে আমারও বেশ অভিজ্ঞতা আছে অনেক কষ্টই করতে হয় আমার মাঝে মাঝে পড়তে ইচ্ছে করে না কিন্তু মায়ের কষ্ট হয় বিদায় করতে হয়।।।