Better Life With Steem | | The Diary Game | | 27 October, 2024

in Incredible India26 days ago

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। জীবনের সবথেকে খারাপ সময় গুলো পার করা যে কতটা কষ্টকর সেটা বলার মত নয়। আজকে আপনাদের মাঝে সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :

Adore The World_20241027_215048_0000.png

Edit by canva

প্রতিদিনের মতোই আজকেও সকাল আট'টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠেছি। ঘুম থেকে উঠেই সর্বপ্রথম ল্যাবে গিয়ে কাজ করেছিলাম। প্রতিদিন এরকম সকালবেলা ঘুম থেকে উঠা আসলেই অনেক কষ্টকর। কিন্তু কি আর করার, চাকরি করতে গেলে কষ্ট করতে হবেই। আর হ্যাঁ! গতকালকে অনেক রাত জাগা হয়েছিল। এজন্য আজকে ঘুম থেকে উঠতে বেশি কষ্ট হয়েছে।

আগের পোস্টেই বলেছি আমার ল্যাবে মেশিন নষ্ট হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার মেশিন ঠিক করার জন্য ঢাকা থেকে রাত ১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসেছিল। তাদের মোটামুটি সন্ধ্যার ভিতরে আসার কথা ছিল। কিন্তু রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে আসতে পারিনি। রাত ৩টা পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে কাজ করেছি।

IMG_20241027_101442.jpg

এজন্য সকালবেলা কাজ করার সময় একটু বেশি ঘুম পেয়েছিল। ঘুম পাওয়ার কারণে পরে সরকারি হসপিটালের ভিতরে গিয়ে একটু হাটাহাটি করেছি। পরে মোটামুটি সকাল ১১ টা পর্যন্ত কাজ করেছিলাম।আজকে আমার সহকারীরা আসতে একটু দেরি হয়ে গেছিল। কারন আমার সহকারী এক আপুর বাবা অনেক অসুস্থ।

সহকারীরা আসার পর আমি রুমে গিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়েছি। পরে বাইরে গিয়ে সকালের নাস্তা খেয়ে আবারও রুমে এসেছিলাম। রাতে ঠিকভাবে ঘুম হয়নি তাই আবারও ঘুমিয়ে ছিলাম। সত্যি কথা বলতে কি অন্যের অধীনে চাকরি করা যে কতটা কষ্টকর যা বলার মত নয়। তারপরও শুকরিয়া আদায় করি আলহামদুলিল্লাহ।

IMG_20241027_134617.jpg

মোটামুটি দুপুর ১টার দিকে ঘুম থেকে উঠে আবারো ল্যাবে গিয়ে কাজ করেছি। আর হ্যাঁ! এর মাঝে এক বড় ভাইয়ের একটা Electrolyte টেস্ট করিয়ে দিয়েছি। আর আশেপাশের হসপিটালের থেকে আমি যে হসপিটালে কর্মরত আছি সেখানে একটু বেশি কাজ হয়। পরে দুপুর ২ টার দিকে বড় ভাই আমার সাথে দুপুরের খাবার খাবে এজন্য বাইরে থেকে খাবার আনতে গিয়েছি।

দুপুরের খাবার খেয়ে আজকে বেশিক্ষণ রেস্ট করতে পারেনি। কারণ আজকে দুপুরের দিকেও রোগীর বেশি চাপ ছিল। পরে আবারও গিয়ে ল্যাবে কাজ শুরু করেছি। এক হিসেবে নিজেকে ব্যস্ততার মাঝে রাখলে ভালই লাগে।কারণ অবসর সময়ে মাথার ভেতর বিভিন্ন রকম চিন্তাভাবনা আসে। যাইহোক, বিকেলের দিয়ে কাজ শুরু করেছি, পরে কোন দিক দিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল বুঝতেই পারিনি।

IMG_20241027_185833.jpg

IMG_20241027_153944.jpg

মোটামুটি সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কাজ করে হসপিটালের বাইরে একটু বসে ছিলাম। পরে কিছুক্ষণ হসপিটালে বসে বাইরে চলে গিয়েছি। কিন্তু আজকে প্রতিদিনের মতো লঞ্চঘাটে গিয়ে আড্ডা দেওয়া হয়নি। শুধু হোটেলে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে আবারো রুমে চলে এসেছি। আসলে সত্যি কথা বলতে আজকে মনটা খুব খারাপ কোন কিছুই কেন জানি ভালো লাগতেছে না। তারপরও আজকে পোস্ট লিখতে বসেছি।

ধন্যবাদ

Sort:  
 26 days ago 

চাকরি করতে গেলে সেখানে নিজের স্বাধীনতা বলে কিছু থাকে না। তাই ইচ্ছা না করলেও অনেক কিছু করতে হয়। রাত তিনটা পর্যন্ত কাজ করে পরের দিন আবারও সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠাটা অনেক কষ্ট হয়ে যায়। তারপর আপনি দিনের বেলায় কিছু সময় ঘুমিয়েছিলেন।আপনি একটা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন আর এজন্য আপনার উপর অনেকে জীবন নির্ভর করে। ভালো থাকবেন।

Loading...