Better Life With Steem | | The Diary Game | | 30 October, 2024

in Incredible India23 days ago

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। অনেকদিন পর প্রতিদিন এভাবে নিজের কথাগুলো শেয়ার করতে পেরে খুব ভালো লাগতেছে। আজকে আপনাদের মাঝে সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :

1_20241030_213423_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতোই আজকেও সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেছি। তবে আজকে সকালবেলা কাজ ছিল না। এজন্য একটু দেরিতেই ঘুম থেকে উঠেছিলাম। ঘুম থেকে উঠে ল্যাবে গিয়ে কাজ করেছি। সকালবেলা এভাবে কাজ করা আমার ক্ষেত্রে অনেক কষ্টকর হয়ে যায়।

কারণ আমি প্রতিদিনই অনেক রাত জেগে থাকি। এভাবে রাত জেগে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠা কষ্টকর হবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু কি আর করার চাকরি জীবন উঠতে তো হবেই। আজকে সকালবেলা অনেক বেশি ক্ষুধা লেগেছিল। কিন্তু আমার সহকারীরা না আসা পর্যন্ত আমি ল্যাব থেকে বের হতে পারিনি। মোটামুটি সকাল ১০টার দিকে আমার সহকারীরা এসেছিল।

IMG_20241030_105834.jpg

আমি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়েছি। পরে বাইরে নাস্তা খেতে গিয়েছি। এদিকে সব জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি। আমাদের উত্তরবঙ্গে সকালবেলার নাস্তা ৩০ টাকা হলেই খাওয়া হয়ে যায়। আর এদিকে তো সকালবেলা পঞ্চাশ টাকার নিচে নাস্তা খাওয়া হয় না। যাইহোক, নাস্তা খাওয়া শেষ করে আমাদের মালিকের নতুন প্রতিষ্ঠানে গিয়েছি। সেখানের রিসিপশনে গিয়ে সবার সঙ্গে গল্প করেছিলাম।

IMG_20241030_110625.jpg

নতুন প্রতিষ্ঠান হিসেবে যা কাজ হচ্ছে তাতেই আলহামদুলিল্লাহ। সেখান থেকে আবারও ল্যাবে চলে এসেছি। কাজ করার মাঝেই হঠাৎ দেখি আবহাওয়া খারাপ হয়েছে। আবহাওয়া খারাপের কিছুক্ষণ পরেই বৃষ্টি এসেছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় বৃষ্টিটা বেশিক্ষণ থাকে নি। আর হালকা বৃষ্টি হওয়ার পর গরমের তাপমাত্রা কম হওয়ার থেকে আরও বৃদ্ধি পায়।

দুপুরে খাওয়ার সময় হলে বড় ভাইয়ের জন্য বাইরে থেকে খাবার আনতে গিয়েছি। প্রতিদিনই এক হোটেল থেকে খাবার নেয়া হয়। তাই হোটেলে যাওয়া মাত্রই খুব সুন্দর ভাবে পার্সেল দিয়ে দেয়। পরে রুমে এসে দুই ভাই সহ দুপুরের খাবার খেয়েছি। খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতো বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছি।

IMG_20241030_170319.jpg

এর আগেও বলেছি আমাদের প্রতিষ্ঠানে দুপুরে রোগীর চাপ কম থাকে। মোটামুটি বিকেল ৪টা নাগাদ আবারও ল্যাবে গিয়েছি। পরে কাজ করার মাঝে শুনলাম নতুন প্রতিষ্ঠানে কাজ এসেছে। তাই আমি নিজেই নতুন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজ করে দিয়েছি। কারণ নতুন প্রতিষ্ঠানে এখনো টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

মোটামুটি সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ সব কাজ শেষ করে বড় ভাইয়ের সাথে বাইরে বের হয়েছি। তবে আজকে রাতের বেলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ ছিল।

Screenshot_20241030_194743.jpg

মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া

আমাদের মেডিকেল টেকনোলজিস্টের একটি সংগঠন তৈরি করা হয়েছে। সেখানে আমি এখনো জয়েন করিনি। তাই বড় ভাইয়ের মাধ্যমে গ্রুপে জয়েন হয়েছিলাম। আমাদের সংগঠনের নাম হল: "বাংলাদেশ কম্বাইন্ড মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন" (বিসিএমটিএ)। আসলে এরকম সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে থাকলে যেকোন সমস্যায় সহযোগিতা পাওয়া যায়। এর মাঝে হসপিটাল থেকে ফোন দিয়ে বলে ল্যাবে কাজ এসেছে তাই আবারও হসপিটালে এসে কাজ করে দিয়েছি। পরে কাজ শেষ করে প্রতিদিনের মতোই পোস্ট লিখতে বসেছি।

ধন্যবাদ

Sort:  
Loading...