আজ আমরা চা বাগানে ঘুরতে গিয়ে একটা সুন্দর সময় কাটালাম
প্রিয়,
বন্ধুরা,
আশাকরি আপনার সকলেই খুব ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আর আজকের দিনটা ভালো কাটিয়েছেন।
গতকাল আপনারা সকলেই দেখেছেন বৌভাতের অনুষ্ঠানে কাটানো আমার সুন্দর সময়। আজ সকালে একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছি। কারন কাল একটু বেশি রাত পর্যন্ত জেগে ছিলাম তার কারনে ঘুমাতে ছেড়ে হয়ে গেছে।
আজ উঠতে প্রায় ১১ টা বেজে যায়। কাল পর্যন্ত আমার ঠিক ছিল না সকালে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার , কারন আসাম আসার পরের দিন থেকেই আমার শরীর খারাপ। তাই সকালে উঠলাম উঠে স্নান করে রেড়ি হয়ে নিলাম চা বাগান দেখতে যাবো বলে।
এরপর আমি, দিদি আর কাকিদের পাশে বাড়িতে থাকে একটি ছোট্টো বোন দিয়া বেড়িয়ে পরলাম। এরপর কোকরাঝাড়ে যাবো বলে বাস স্যান্ডে চলে গেলাম।
বাস স্যান্ডে গিয়ে শুনলাম বাস ১.৩০ টার সময়,দাড়িয়ে থাকলাম কিছু বাস আসতে আসতে প্রায় ২ টো বেজে যায়। তারপর বাসে উঠে পরলাম। একটু এগোতেই পাহাড় দেখতে থাকি। ভাড়ি সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেলাম আজ। আর আপনাদের দেখাবো বলে অনেক ছবি তুলে নিয়ে নিয়েছি।
এরপর প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে আমরা কোকরাঝাড়ে পৌঁছে যাই। তরপর ওখান থেকে টোটো গাড়িতে করে ১৫ মিনিটের আমরা সকলেই চা বাগানের মাঝ বরাবর রাস্তার ধারে নেমে যাই।
তারপর চারদিকে শুধু চা গাছ আর চা গাছ। খুব খুব সুন্দর জায়গা। এতটা অপরূপ দৃশ্য আমি আগে কোনো দিন দেখি নি। মনে হচ্ছিল যে আমি সবুজে ঘেরা স্বর্গে চলে এসেছি।এতটাই সুন্দর পরিবেশ আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।
এরপর আমি চা বাগানের অনেক অনেক ছবি তুললাম। এবং আমরা সকলে মিলে অনেক কটা ছবি তুললাম। এক পাশের চা বাগানের মধ্যে দিয়ে ভেতর থেকে একটু ঘুরতে চলে গেলাম।
তারপর রাস্তায় এসে আবার টোটো করে বাজারের দিকে আসলাম, তখন বাজে ৪টে। কারন কোকরাঝাড় থেকে বাসুগাঁও আসার লাস্ট বাস ৫টার সময়, আমাদের তাড়াতাড়ি আসতে হবে কারন মা বাবা কেউ আসে নি আর এখান থেকে বাসুগাঁও যাওয়ার ট্রেন রাত ৮টার সময় তাই আর দেরি না করে বাজারে চলে আসলাম চা কেনার জন্য।
তারপর টোটো কাকু আমাদের চা বাজারে নিয়ে যায়। এরপর চা কিনে আবার বাসে উঠে পড়লাম এরপর আবার ৪০মিনিট বাসে বসে বাসুগাঁওর দিকে ফিরে আসলাম । তারপর হাটতে হাটতে বাড়ির দিকে চলে আসলাম। আজ অনেক মজা করলাম। মন অনেক খুশি হয়ে গেলো। আশা রাখলাম আবার আকবার আসবো।
আজ এখানেই শেষ করলাম। আমাকে অবশ্যই জানাবেন আমার চা বাগানের কাটানোর মুহূর্তের কথা এবং ছবি আপনাদের কেমন লাগলো।
আপনারা সকলেই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
শুভ রাএি।
আপনার পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া দেখে আমারও ইচ্ছা করছে যেতে।
অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনারা চা বাগানে। খুব ভালো লাগলো দেখে।
চা গাছের ছবিটি ভালো লাগছে দেখতে।
আপনার লেখায় আজকেই আমার শেষ মন্তব্য কারণ, আমার সময় নষ্ট করবার মতো সময় নেই।
অসাধারণ লেগেছে আপনার কথাগুলো।
সেই সাথে আপনার পাহার অন্ঝলের পিকগুলোও❤️❤️