Better Life With Steem || The Diary game || 5th June 2024
Hello Everyone,,,
নমস্কার বন্ধুরা! আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি আর এজন্য বরাবরের মতো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। আজকের পোস্টটিতে আমি আমার নতুন একটা দিনের কার্যক্রম তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে শুরু করা যাক,,,
আজ সকাল ৭ টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠলাম। বিগত দুদিন আগে বাড়ি থেকে খুলনাতে এসেছি। যদিও বাড়িতে থাকলে এত সকালে ঘুম থেকে ওঠা হয় না তবে এখানে নিজের রান্না নিজে না করলে না খেয়ে থাকতে হবে এজন্য নবাবের মতো ঘুমিয়ে থাকলে চলবে না। তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে সকালের ও দুপুরের রান্না একসাথে শেষ করলাম।
ছোটবেলা থেকে রান্নার কাজ কিছুই পারতাম না তবে বাড়ির বাইরে থাকি প্রায় ৭ বছর হতে যাচ্ছে আর একারনেই পরিস্থিতির কারনে এগুলো অভ্যাসে পরিনত হয়ে গিয়েছে। মায়ের কাছ দুরে থাকলে রান্না করে দেওয়ার মতো কেউ থাকে না তাই নিজেকেই করতে হয়, তখনই বোঝা যায় যে মায়েরা কত কষ্ট করে রান্না করে প্রতিদিন।
যদিও রান্না করে দেওয়ার জন্য রাধুনি রাখা ছিলো তবে তারা প্রতিদিন রান্না করতে আসে না, একদিন আসে আর দুদিন আসে না। অনেক রাধুনি পরিবর্তন করেছি তবে সবাই এমন করে এজন্য আর রাধুনি রাখে নি। যাই হোক, স্নান করে সকালের খাবার খেয়ে নিলাম। আপেল এনেছিলাম বিগতদিন তাই খাওয়ার সেটা খেয়েছিলাম।
খাওয়া শেষ করে কমিউনিটিতে বেশ কিছুটা সময় দিয়েছিলাম এবং তারপর পড়তে বসি। আজ থেকে কোচিং এ যেতে হবে তাই আগে থেকে কিছুটা প্রস্তুতি নিয়ে নিলাম।
আকাশ কিছুটা মেঘলা ছিলো মনে হচ্ছিলো হয়ত বৃষ্টি নামবে ভীষণ রকম ভাবে তবে সেটা আর হলো না। বৃষ্টি ঠিকই হলো তবে ফিসফিস করে হয়ে বন্দ হয়ে গেলো।
বাড়িতে থাকলে সবার সাথে থাকি তখন সময় কখন কেটে যায় সেটা টেরই পাওয়া যায় না তবে বাসায় একা একা সময় কাটতে চায় না। যদিও বুঝি, সময় তার আপন গতিতে ছুটে চলেছে তবুও ঐরকমই অনুভব হয়ে থাকে। কোচিং এর সময় এগিয়ে আসলে আমি সব কিছু গুছিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে নেই। আজ প্রথম দিন তাই একটু আগে আগে যেতে হবে তবে আমার একটা বন্ধুও যাবে কিন্তু তার আসতে সামান্য দেরি হলো। তারপর দুজন মিলে পড়তে গিয়েছিলাম।
আমাদের কলেজেই পড়ানো হয়। একটু আগে আগে পৌঁছেছিলাম এজন্য গিয়ে দেখি স্যার এখনও আসে নি। তাই বসে তার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। যাই হোক স্যারকে ২ মিনিট অপেক্ষা করানোর থেকে নিজেরা ১০ মিনিট অপেক্ষা করা ভালো।
কলেজের সামনে অনেক রকমের ফুল গাছে ভরা। বসে কোনো কাজ ছিলো না এজন্য ফুলের কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। অনেক দিন পর কলেজ প্রাঙ্গণে পা রেখেছি। চেনা জায়গায় বহুদিন পর এসে ভালোই লাগছে।
বেশ কিছুক্ষণ পর স্যার আসলো। একটা মিটিং এর জন্য আসতে দেরি হয়েছে। অনেক দিন পর স্যার আমাকে দেখে বললো, আমার নাকি আগের থেকে স্বাস্থ্য ভালো হয়েছে। বাড়িতে থেকে ভালো ভালো খেয়ে নাকি এমন হয়েছে বলে স্যার মন্তব্য করলো। তবে আমার নিজের কাছে তো মনে হয় না যে আমার স্বাস্থ্য বেড়ে গিয়েছে।
পড়া শেষ করতে অনেক সময় লেগে গেলো। আমার নতুন একটা বই কিনতে হবে তাই কোচিং থেকে বাসায় আসার পথে কিনে আনলে সুবিধা হবে এজন্য ছুটি হলে বইয়ের দোকানে গিয়েছিলাম। যদিও এই বইটা আমার আগে থেকেই রয়েছে তবে নতুন সংস্করণে বইটার নিয়মকানুন সম্পূর্ণ পরিবর্তন হওয়ার কারনে আবার নতুন করে কিনতে হবে। পরিচিত একটা দোকান থেকে বইটা ক্রয় করে বাসায় আসতে আসতে প্রায় রাত ৮ টা বেজে গেলো। বইটার মূল্য ৫০৫ টাকা নিয়েছিলো যেটার স্টিম মূল্য= ৯.৯২ স্টিম।
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে সন্ধ্যানী করলাম। আমাদের হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী যারা দীক্ষা নেয় তাদের সন্ধ্যানী করতে হয়। যেহেতু আমি দীক্ষা নিয়েছি অনেক আগেই তাই প্রতিদিন সন্ধ্যানী করতে হয়, সেই সাথে পূজার কাজ শেষ করে রাতের রান্না শেষ করলাম। বাড়িতে মা বাবার সাথে কথা বলার মাধ্যমে আমি আমার দিনের কার্যক্রম শেষ করলাম।
সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আপনার লেখা দুটি লাইন তুলে কমেন্ট করতে হল, আসলে গুরুজনের সম্মান তো আমাদের পরিবারের থেকে এসে থাকে আপনি যে লাইনটি উল্লেখ করছেন এতে করে বোঝা যায় আপনার পরিবার কতটুকু ভদ্রতা আপনাকে শিখিয়েছে।
কয়েকদিন আগেও তো একটা পত্রিকায় করেছিলাম যে স্যার ক্লাস নিতে এসেছে আর ছাত্র স্যার কে ধরে পিটিয়েছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, আর এই শিক্ষা প্রদানকারী অর্থাৎ আমাদের শিক্ষাগুরুকে সকলেরই সম্মান করা উচিত। বলে আমি মনে করি। যদিও শিক্ষকরা অনেক সময় আমাদের বকাবকি করেন তবে সেটা আমাদের ভালোর জন্য করেন তাই তাদের অসম্মান করা উচিত নয়। পত্রিকায় এমন নিউজ পাওয়া যায় তবে, ওরা দেশে ও জাতির কলঙ্ক। ভালো থাকবেন।
একদমই ঠিক বলছেন দাদা ভাই শিক্ষক আমাদের একটু বকাবকি করে তবে এটা আমাদের ভালোর জন্য ভবিষ্যতে চিন্তা করি প্রতিটি শিক্ষক তার ছাত্রকে শাসন করে থাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টটি পড়ে খুব সুন্দর একটি রিপ্লে দেওয়ার জন্য ভালো থাকবেন।
শিক্ষক হলো জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষক কঠোর পরিশ্রম করে আমাদের শিক্ষা দিয়ে থাকেন, ভালো মন্দ বিচারের জ্ঞান দিয়ে থাকে। আর জ্ঞান দেওয়ার পথে আমাদের একটু বকাবকি তবে সেটা আমাদের ভালোর জন্যেই করে। তবে অনেকেই এই শাসনটা মানতে পারে না। ধন্যবাদ আপনাকে।৷ ভালো থাকবেন।
ভাই আপনার দিনের কার্যক্রম পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আরো বেশি ভালো লাগলো জেনে যে আপনি নিজেই খুব ভালো রান্না করতে পারেন। যেহেতু বিগত সাত বছর ধরে বাইরে থাকছেন তাই এক প্রকার রান্নায় অভ্যস্থ হয়েছেন। যারা মেসে বা হোস্টেলে থাকে তাদের অনেকেই রান্না পারে। আমি আমার অনেক বন্ধুকে এমন দেখেছি রান্না করে খেতে। মজার বিষয় হলো তাদের রান্নাগুলো বেশ ইউনিক হয়। বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তারা করে থাকে।
যাইহোক আপনার বইয়ের ছবিটি দেখে আমারো পুরনো স্মৃতি মনে পরে গেলো। সত্যিকথা বলতে ভাই করবিধী সাবজেক্টে আমি বেশ দূর্বল ছিলাম। প্রথম পত্র আমার কাছে খুব কঠিন লাগতো। তাই পুরো সময়টায় আমাকে এই সাবজেক্টে প্রাইভেট পড়তে হয়েছিলো।
ভালো থাকবেন ভাই। শুভ কামনা রইলো।
না ভাইয়া। আমি খুব ভালো রান্না করতে পারি না, কোনো মতে চলার মতো পারি আরকি। বাইরে থাকতে গেলে অনেক কিছুই রপ্ত করতে হয়। কারন রান্না করার জন্য রান্নি রাখলেও তারা সময় মতে আসে না এজন্য খেতে হলে নিজেকেই কিছু করতে হয়। আপনার বন্ধুরাও মজার মজার রান্না করতে পারে জেনে ভালো লাগলো। কর বিধি সাবজেক্টটা আসলেই বেশ কঠিন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন।
মানুষ অনেক সময় পরিস্থিতির শিকার হয়ে যে কোন কাজ করতে বাধ্য হয়। আপনি যেমন ছোটবেলা থেকে রান্না করতে শিখেননি বা কখনো করেননি। কিন্তু পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে আপনাকে এখন রান্না করে খেতে হয়। যাইহোক, ভাই সব কাজ জেনে রাখা ভালো।
আমরা বিগত পোস্টটি অবগত হয়েছি আপনি খুলনাতে গিয়েছেন।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রান্না করেছেন। সত্যিই ভাই আপনার তোলা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে।
সারাদিনের খানিক মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
পরিস্থিতিতে পড়লে অনেক কিছু করতে হয়, সেটা করার অভিজ্ঞতা আগে না থাকলেও করতে হয়। যেমন আগে রান্নার কাজ করতে পারতাম না তবে এখন মোটামুটি পারি নিজের কাজ চালানোর মতো। হ্যা, খুলনাতে এসেছি।কারন পড়াশুনার জন্য খুলনাতে থাকতে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য। ভালো থাকবেন।