সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কিছু দর্শনীয় স্থান সমূহের পরিচিতি। ।
হ্যালো বন্ধুরা!
আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আপনাদের মাঝে বাংলাদেশের সিলেট জেলার কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান নিয়ে আলোচনা করব।
জাফলং
শুরুর প্রথমেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ নিদর্শন জাফলং। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত জাফলং। সিলেট সদর থেকে জাফলং যেতে মাত্র ৫৬ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে হয়।
সারা বাংলাদেশে প্রকৃতি কন্যা হিসেবে পরিচিত সিলেটের জাফলং। পিয়াইন নদীর তীরে ইন্ডিয়া কাশিয়া পাহাড় ও বাংলাদেশের জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে সিলেটের প্রকৃতি কন্যা জাফলং অবস্থিত ।পিয়াইন নদীর তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তুূপ প্রকৃতি কন্যা কে করেছে আরও আকর্ষণীয়।
সীমান্তবর্তি ইন্ডিয়া ডাউকি পাহাড় থেকে অঝর ধারায় জলপ্রপাত প্রবাহমান। নদীর স্বচ্ছ ঠান্ডা জলের উপর দাঁড়িয়ে আছে ডাউকি ঝুলন্ত ব্রিজ, পাহাড়ে গহীন অরণ্য ও শুনশান পরিবেশের কারণে এলাকাটি পর্যটকদের দারুন ভাবে আকর্ষণ করে। তাই দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিন এই প্রকৃতি কন্যাকে দেখার জন্য ছুটে আসে অসংখ্য পর্যটক।
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট
বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুল। সিলেট জেলা গোয়াইনঘাট উপজেলা ফতেপুর ইউনিয়নে রাতারগুল অবস্থিত। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট যেতে সিলেট সদর থেকে 26 কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে হয়।
প্রায় ৩০ হাজার একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত বন ও ছোট-বড় জলাশয়ে পূর্ণ।
তবে বর্ষায় রাতারগুল পুরো এলাকাটা জলাবন দেখতে লাগে। এই রাতারগুল জলাবন ৪ থেকে ৫ মাস পানির নিচে তলিয়ে থাকে। তবে অনেক পর্যটক বাংলাদেশের রাতারগুলকে আমাজন বলে ডাকে।
চা বাগান
সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আরেকটি নিদর্শন হলো দুটি-পাতা একটি-কুঁরি চা বাগান। সিলেট জেলায় ছোট-বড় মিলে ১৯ টির মত চা বাগান রয়েছে।
চীনে ১৯৫০ সালে প্রথম চা উৎপাদন শুরু হয়।
চীনের বুদ্ধিজীবীদের সারাদিনের কাজের মধ্যে চা পান করা ছিল একটি কাজ।
মালনীছরা চা-বাগান উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম ও প্রথম প্রতিষ্ঠিত চা বাগান। যা সিলেট জেলায় লর্ড আর্ডসন ১৮৫৪ সালে ১৫০০ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠা করেন। মালনীছড়া চা বাগানটি সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্বল্প দূরে অবস্থিত।
যদিও সিলেটের শ্রীমঙ্গলকে চায়ের দেশ বলা হয়। তবে চায়ের গোরাপওন প্রথম শুরু হয় এ মাননিছড়া চা বাগান থেকে। সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে টমাস বাগানের রাস্তায় দিয়ে হেটে যাবার সময় বলেছিলেন,পৃথিবী এত সুন্দর যে মালনীছড়া চা-বাগান না দেখলে কেউ বুঝতে পারবে না। মালনীছরা চা বাগানের সবুজ মায়ায় হাজার হাজার দেশি বিদেশি পর্যটক জড়ো হন।
শিমুল বাগান
সিলেটের প্রাকৃতিক নিদর্শন এর আরেক একটি নিদর্শন শিমুল বাগান। যা সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় অবস্থিত। যা ১০০ বিঘারও বেশি বিস্তৃত জায়গা জুড়ে জাদুকাটা নদীর তীরে ঘেঁসে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিমুল বাগান।
সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ধনাট্য ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন সৌখিনতার বসে নিজের জায়গার উপর ৩ হাজার শিমুল গাছের চারা রোপন করেন। দিনে দিনে বেড়ে উঠে শিমুল গাছগুলো বাগানে পরিণত হয় । শিমুল বাগানের পাশাপাশি লেবুর বাগানো গড়ে উঠেছে।
বসন্ত এলে ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শিমুল গাছগুলো। বাগানের শিমুল ফুল গুলো ফাগুনের অরুন আলোয় ফুটে ওঠে। টাঙ্গুয়ার হাওর চোখের তৃষ্ণা মেটাতে জাদুকাটা রুপের নদী মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশের মধ্যস্থলে ফুটে ওঠা বিশাল টুকটুকে শিমুল ফুল গুলো দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটক ছুটে আসে এই শিমুল বাগানে।
সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় পাহাড় মধ্যে রূপের নদী জাদুকাটা আর শিমুল বন। সব মিলে গড়ে উঠেছে প্রকৃতির এক অনবদ্য নিদর্শন।
আরো অনেক সিলেটের প্রাকৃতিক নিদর্শন এর মধ্যে যে স্তান গুলো আছে তা হল - সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর, মৌলভীবাজারের মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, শ্রীমঙ্গলের মাধবপুর লেক, সিলেটের টাঙ্গুয়ার হাওর ইত্যাদি।
শুধু এগুলোই নয় সিলেটে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর স্থান রয়েছে যা পরবর্তী এক সময় আলোচনা করব।
সবাই ভাল থাকেন সুস্থ থাকেন ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করি।
ধন্যবাদ
জাফলং জায়গাটি সিলেটের অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান যেটি বাংলাদেশের বহু মানুষ এখানে ঘুরতে ফিরতে যায়, আপনি যে সিলেটের চা বাগানে কথা বলেছেন সেটাও অনেক প্রাচীন যুগের চা বাগান। যাইহোক আপনি সিলেটের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে অনেক পোস্টটি সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
এবং আমি আপনাকে বলতে চাই আপনি যে ফটোগ্রাফি ট্যাগ টি বসিয়েছেন, সেটা ঠিক হয় নাই কারণ আপনি তো আপনার নিজের ঘুরতে গিয়েছেন সেই ফটোগ্রাফি দিচ্ছেন না তাহলে আপনি ফটোগ্রাফি ট্যাগ একটা কিসের জন্য দিবেন।
আমি চাই আপনি ফটোগ্রাফি ট্যাগ মুছে ফেলো।🙏
0.00 SBD,
1.41 STEEM,
1.41 SP
Thank you
For your kind information.
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আসলে আমি কখনো সিলেটের যায়নি। আমি আমার একটি পোস্টে উল্লেখ করেছিলাম সিলেট ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছা আমার অনেক আছে। এবং সৃষ্টিকর্তা যদি কখনো বাংলাদেশের নিয়ে যায় তাহলে একবার হলেও সিলেটে আমি ঘুরতে যাব।
এবং আজকের আপনার লেখা পড়ে সিলেটে যাওয়ার ইচ্ছাটা আরো নিজের মনে বেশি আসলো কারণ সেখানে প্রাকৃতিক দৃশ্যের কথা শোনে না ঘুরতে গেলে আর হবেনা বলে মনে হলো।
আমাদের সিলেট নিয়ে আপনার আগ্রহ সম্পর্কে জেনে খুবই ভালো লাগলো। খুব খুশি হতাম যদি আপনি আমাদের সিলেটে এসে একবার ঘুরে যান।আমি নিজে থেকে আপনাকে সিলেটে প্রত্যেকটি দর্শনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থানগুলো ঘুরে দেখাবো। আমি সিলেট সম্পর্কে লেখার মাধ্যমে বলতে চেষ্টা করেছি। যদি আপনি এসে প্রত্যেকটি স্থান দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন সত্যিকার অর্থে সিলেট কত সুন্দর জায়গা। সিলেট নিয়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.
আজকে আপনি সিলেটের, বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে লিখেছেন এর মধ্যে কিছুটা আমার পরিচিত আবারও কিছু অপরিচিত।। সিলেটে বা চট্টগ্রামে দেখার মত অনেক কিছু আছে এখনো যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি।। কখনো সুযোগ হলে অবশ্যই জায়গাগুলো ভ্রমণ করে আসব।।