Better life with steem|| The Diray Game||02 July 2024||

in Incredible India3 days ago (edited)
নমস্কার 🙏

IMG_20240702_205031.jpg
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?
আশা করি পরিবার-পরিজনদের সাথে মিলে ভালো একটি সময় অতিবাহিত করছেন। ঈশ্বরের কৃপা ও আপনাদের আশীর্বাদে আমি ভালো আছি। পরিবার-পরিজনদের নিয়ে ঈশ্বর ভালোই রেখেছে।

আমি আজ আপনাদেরকে শোনাতে চলেছি আমার আজকের কার্যক্রম গুলো। আজ আমার যে সমস্ত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দিনটি অতিবাহিত হয়েছে। তার কিছু খন্ড অংশ বিশেষ আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

IMG_20240703_004806.jpg

শুভ সকাল,
চলুন তাহলে শুরু করি।
প্রতিদিনের ন্যায় ঘড়ির কাঁটা ৭:০০ টা বাজার সাথে সাথে মোবাইলে এর্লাম বেজে উঠলো। মোবাইলের এর্লাম শব্দে ঘুম ভাঙলো। আমার অফিস টাইম সকাল ৮:০০ থেকে। আজ শ্বশুরবাড়ি থেকে গিয়ে অফিস করব।
IMG_20240703_010245.jpg

IMG_20240703_010854.jpg
ঘুম থেকে উঠেই টাওয়াল গলায় ঝুলিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে করতে ওয়াশরুম যাই। ওয়াশরুম থেকে স্নান করে এসে একটু পরিপাটি করে নেই। বড় বৌদি চা বিস্কুট দিয়ে যায় আমায়। চা বিস্কুট খাবার পর অফিস যাওয়ার জন্য হাতে ছাতাটা নেই।

সকালে যাবার মুহূর্তে প্রচুর বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ঈশ্বরকে প্রণাম করে ছাতা টানিয়ে নিয়ে ঘর থেকে বের হলাম। রাস্তায় এত পরিমান কাদা ছিল খুব কষ্ট করে ২ মিনিটের রাস্তা পার করে এসে গাড়ির জন্য অপেক্ষা।তারপর পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে সিএনজি চালিত অটো রিক্সা এসে হাজির।
IMG_20240703_012526.jpg সি এন জি চালিত অটো রিক্সা করে রওনা হলাম ১৫ মিনিট সময় লাগবে অফিস যেতে। ঢাকা সিলেট মহাসড়কের রাস্তার সঙ্গে আমাদের ফেক্টরি। ঢাকা- সিলেট মহাসড়ক পিচ ঢালার রাস্তা বৃষ্টিতে ভিজে খুব চমৎকার দেখাচ্ছিল।। অফিসে গেটের সামনে এসে হাজির হলাম। ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করার পর বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ায় হাজিরা দিলাম।
IMG_20240703_013811.jpg তারপর অফিসের রুমের দিকে যাবার জন্য হাঁটা শুরু করলাম। যাবার সময় বৃষ্টি ভেজা শীতল আবহাওয়াতে ফ্যাক্টরির চারপাশ এত সুন্দর দেখাচ্ছিল। তাই তখন একটা পিক নিলাম।
IMG_20240702_205321.jpg
অফিস রুমে ঢুকে প্রত্যেকদিনের ন্যায় অফিসের কার্যক্রম শুরু করলাম। আজ আবার প্যাকেজিং সেকশনের ওয়ার্কারদের নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হল আমাদের কোয়ালিটি ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে। কোয়ালিটির গাইডলাইন সম্পর্কে আলোচনা।

এ মিটিং এর বিষয়বস্তু ছিল কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত পণ্য প্যাকেজিং করা।
অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার আমাদের বস পন্যের কোয়ালিটি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন ওয়ার্কারদের উদ্দেশ্যে। বস ও আমরা যে কয়জন স্টাপ আছি সকলের সমন্বয়ে ১ ঘন্টার এই মিটিং এর পরিসমাপ্তি ঘটে।
IMG_20240702_204602.jpg
তারপর আবার প্রতিদিনের ন্যায় রেনডমলি পণ্যের মান নিশ্চিত করার জন্য প্রথমে আমি বাছাইকরণ বিভাগে পণ্যের মান চেক করি। তারপর চলে যায় গ্লেজ সেকশনে ওখানে কালার করা পণ্য চেক করি।
তারপর আবার চলে যায় ডেকোরেশন সেকশনে ওখানে গিয়ে ডিকেলস করা পণ্যের মান চেক করি।
IMG_20240702_210727.jpg
IMG_20240703_032428.jpg
কোয়ালিটি চেক শেষ করে আসার পর,বস এসে বলল ইন্টারনাল ইন্সফেকশন রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। তো আর কি করার গিয়ে ল্যাপটপে বসলাম। তারপর প্রায় ২ ঘন্টা যাবত ল্যাপটপে কাজ করার পর ইন্টারনাল ইন্সফেকশন রিপোর্ট তৈরি সম্পন্ন করলাম।

তারপর দুপুরের খাবার বিরতিতে গেলাম এক ঘন্টার জন্য। আজ রেস্টুরেন্টে খেতে হবে। তাই ফ্যাক্টরি থেকে বেরিয়ে পড়লাম রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে। রেস্টুরেন্টে ঢুকে ডিম বাটা মাছ দিয়ে খেয়ে আবার অফিসে চলে আসলাম।
IMG_20240702_210318.jpg

IMG_20240703_032528.jpg
তারপর আবার প্রতিদিনের ন্যায় সিরামিক পন্যে মাপার কাজ শুরু করে রিপোর্ট তৈরি করলাম।
IMG_20240703_025344.jpg

IMG_20240703_025459.jpg অফিস শেষ হবার টাইম ৫:০০ টা, অফিস থেকে বেরিয়ে পড়লাম ৫:০০ টা বাসার উদ্দেশ্যে। বাসাতে এসে ফ্রিজ থেকে খুলে একটি আম খেলাম। আম খেয়ে আধা ঘন্টা রেস্ট নিয়ে আমার দুই সন্তানের কিছু কাপড়চোপড় নিয়ে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। গতকাল আমার স্ত্রী ও সন্তানদের শ্বশুর বাড়িতে বেড়ানোর জন্য রেখে আসছি। আমার বাসা থেকে আধা ঘন্টা সময় লাগে আমার শ্বশুর বাড়ি যেতে। তার পর শশুর বাড়ি এলাম ছোট মেয়েকে আমার স্ত্রী কোলে দিল কিছুক্ষণ খুলে নিলাম।
IMG_20240703_040414.jpg
তারপর একটু বিনোদনের জন্য টিভি দেখলাম। কিছুক্ষণ পর মেজ বৌদি এসে বলল রাতের খাবার খেতে। শ্বশুর বাড়িতে সবাই একাদশী করে তাই আজকে কোন দানা শষ্য জাতীয় খাবার ওরা কেউ খাবে না। আমার জন্য শুধু রান্না করেছে ডিম তরকারি আর ডাল।

তারপর রাতের খাবার শেষ করে একেবারে দাঁত ব্রাশ করে চলে আসলাম। আমার সারাদিনের কার্যক্রমের কিছু খন্ড চরিত্র আপনাদের মাঝে গল্প আকারে তুলে ধরলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ এখানে শেষ করছি বন্ধুরা। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
IMG20240702213617.jpg

IMG20240702224105.jpg

Sort:  
 3 days ago 
  • আমাদের এখানেও গত কয়েকদিন যাবৎ বৃষ্টি হয়ে চলেছে। মাঝে কিছুক্ষণ বিরতি দিলেও একটুবাদেই আবার টুপটাপ করে পরছে। আপনার পোস্ট পড়ে মনে হলো, আপনাদের ওখানেও একই অবস্থা।

  • এমন আবহাওয়া বাড়িতে বসে উপভোগ করতে ভালো লাগে, তবে বাইরে বেড়োতে বেশ অসুবিধা। কিন্তু উপায় কি, অফিস তো করতেই হবে। সত্যিই আপনাদের অফিস চত্বর এই আবহাওয়ায় দেখতে বেশ ভালো লাগছে।

  • আপনাদের অফিসের কার্যক্রমের ছবি অন্যান্য অনেকের পোস্টে পড়ি। সবকিছু না বুঝলেও ওখানকার তৈরি জিনিসগুলো নজর কাড়ে আমার। যাইহোক, অফিসের কাজ সমাপ্ত করে, সন্তানদের প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে শশুর বাড়িতে গিয়ে, বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছেন সন্তানের সাথে। দিনের এই মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।

 3 days ago 

নমস্কার 🙏
দিদি
আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন। এই সুন্দর আবহাওয়ার মধ্যে মন চাইছিল না অফিস যেতে। কিন্তু কি আর করার কর্ম তো করতেই হবে। যাইহোক শত ব্যস্ততার মধ্যেও পরিবারের সাথে একটু সময় কাটাতে পেরে ভালো লাগে।

বিশেষ করে অফিস থেকে যখন বাসায় আসি বড় মেয়ে অপেক্ষায় থাকে যে বাবা কখন আসবে আর আমাকে নিয়ে বের হবে ঘুরতে। অফিস থেকে আসার পর ফ্রেশ হয়ে বাসার পাশের রাস্তায় বড় মেয়েকে নিয়ে একটু ঘোরাফেরা করিয়ে নিয়ে আসি।

অফিসের পর পরিবারকে সময় দেওয়ার চেষ্টাই করি বেশি। আপনি আমার পোস্টটি পরে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 3 days ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি আজকের সারাদিনের সকল কিছু আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, আসলে বৃষ্টি এক জায়গাটি হচ্ছে না সব জায়গাতেই টুকটাক বৃষ্টি হচ্ছে আমাদের এখানেও প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। যাইহোক আপনার ফটোগ্রাফির লো অনেক সুন্দর ছিল ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

 3 days ago 

আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি।

 3 days ago 

প্রথমেই আপনাকে স্বাগত জানাই, আমাদের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য। বর্তমানের সব জায়গাতে বৃষ্টি হচ্ছে। আমার এখানে সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আপনার সাথে আমার একটা মিল খুজে পেলাম সেটা হলো, বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ঈশ্বরকে প্রণাম জানানো।

সব কিছুর উর্ধে আমাদের কার্যক্ষেত্র তাই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে অফিসে চলে গিয়েছিলেন। আমার বাড়িতেও একাদশী পালনের রীতি রয়েছে। ভালো থাকবেন।

 3 days ago 

বর্তমানে মনে হচ্ছে সব জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে যার ফলে অনেক অসুবিধাই হচ্ছে।। বিশেষ করে যারা কর্মে ব্যস্ত তাদের জন্য বৃষ্টি এক বিরক্তিকর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।। অবশেষে অফিসে গিয়েছেন আর সেখানে একটা আলোচনা ছিল আজ দুপুরে বাইরে খাওয়া দাওয়া করেছেন।। সব মিলিয়ে দিনটি ভালোভাবেই পার হয়েছে।।

 3 days ago 

বৃষ্টির কথা বলে আর লাভ নেই ভাই। এত পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে যে বৃষ্টির প্রতি ঘৃণা চলে আসছে। বৃষ্টির জন্য অফিস যেতে কষ্ট। দুই বাচ্চার কাপড়-চোপড় কদিন ধরে শুকানো যাচ্ছে না। বাচ্চারাও ঘরের মধ্যে বোর হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে বৃষ্টি আমাকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে।

কি আর করার প্রকৃতির সাথে আমরা মানুষ তো আর কিছু করে উঠতে পারব না। প্রকৃতি তার নিজস্ব গতিতে চলে। খুব বেশি পরিমাণ কষ্ট হচ্ছে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জন্য নানান রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমার পোস্টে পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 3 days ago 

কিছু করার নেই ভাই আমরা চাইলেই তো আর আমাদের মত সবকিছু হবে না।। এটা অবশ্য ভালো বলেছেন বৃষ্টির জন্য বাচ্চাদের কাপড় চোপড় শুকানো অনেক কষ্ট আমাদের বাসায় ছোট বাচ্চা আছে কাপড়-চোপড় নিয়ে অনেক ঝামেলা।

Loading...
 3 days ago 

আসলে যারা চাকরি করে তাদের ঝড় বৃষ্টি যাই হোক অফিসে যেতে হয় এটা আমরা সবাই জানি। আপনি যেহেতু একটি জায়গায় চাকরি করেন এবং প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেও আপনাকে সেখানে যেতে হবেই। এবং আপনি আপনার দায়িত্ব ঠিক ভাবে পালন করেছেন। যাইহোক আপনার একটি দিনের কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।