আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -৪৫
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
পরিক্ষার হলে পাশের জনের খাতা দেখে লেখা নিয়ে মজার কোন কৌতুক বা হাসির অনু গল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
পরীক্ষার হলে গিয়ে আমার নিজের খাতার থেকে অন্যের খাতায় চোখ বেশি থাকতো!🤪😛 আমার একটা বিশেষ ট্যালেন্ট ছিল সেটা হলো, আমি নিজের খাতার দিকে না তাকিয়ে, অন্যের খাতার দিকে তাকিয়ে নিজের খাতায় লিখে যেতে পারতাম। একবার এরকম ঘটনা ঘটেছিল পিছনের বন্ধুর খাতা দেখে লেখার কারণে আমার খাতা নিয়ে চলে গেছিলো অথচ আমি বুঝতেই পারিনি । একা একা বেঞ্চের উপর লিখে যাচ্ছিলাম আমি খাতা ছাড়াই। যদিও ঘটনাটা ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ডের মত ঘটেছিল। তবে যখন ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিলাম অনেক লজ্জায় পড়ে গেছিলাম। অনেক হাসাহাসি হয়েছিল পরীক্ষার হলে আমার এই বিষয়টা নিয়ে।
ভাইয়া এত টেলেন্ট সামাল দেন কিভাবে,হে হে হে।
অনুগল্প:
দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি, যে আমার পরীক্ষার সময় আমার চেনা বান্ধবীদের সিট আমার আশেপাশে পড়ে না।এমনিতেই ছোটবেলা থেকেই আমি নিজে যেটাই পারি সেটাই লেখার চেষ্টা করি পরীক্ষার হলে।পাশের জনের কাছে খুব কম শোনা হয়।তবুও একবার যখন ছোট ক্লাসে ছিলাম তখন আমাদের বাইরের স্কুলে সিট পড়েছিল।তখন অন্য স্কুলের একটি মেয়ের আমার পাশে সিট পড়েছিল।গণিত এমনিতেই বিরক্তিকর লাগতো ছোটবেলায় আমার কাছে এখন অবশ্য ভালোই লাগে।তো সেই গণিত পরীক্ষার সময় একটি পাটিগণিত অর্ধেক করে কিছুতেই আমি মিলাতে পারছিলাম না,তাছাড়া লেখাতে আমি একটু ধীর ছিলাম।তাই প্রায় শেষ টাইমে এসে আমি তার কাছে ওই অঙ্কটি জিজ্ঞাসা করেছিলাম।সে প্রথমে আপত্তি করলেও পরে আমাকে দেখিয়েছিল।আমি দেখে তো লিখলাম কিন্তু বাড়ি এসে দেখলাম ওটা ভুল ছিল।আর আমি এটাও লক্ষ্য করেছিলাম মেয়েটি খুবই দ্রুত লেখে তাই আমাকে ওই অঙ্কটি সে ভুলটি দেখিয়ে পরে পুরো অঙ্কটি কেটে দিয়ে নতুনভাবে করেছিল।খুবই মন খারাপ হয়েছিল😢সেদিন তাই দ্বিতীয়বার আর মানুষের কাছে কোনো কিছুই জিজ্ঞাসা করি না।বুঝলুম নিজের ভুল নিজে করলেও আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়।☺️☺️
পরীক্ষার হলে আমি এবং আমার একটা বন্ধু পাশাপাশি বসেছি। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে। বন্ধুর সাথে আলাপ আলোচনা করে নিলাম যে ওর কমন আসলেও আমাকে দেখাবে আর আমার কমন আসলে আমি ওকে দেখাবো। ১১ সেট প্রশ্নের মধ্যে উওর দিতে হবে ৭ টার। প্রশ্ন হাতে নিয়ে দেখলাম আমার মাত্র ২ সেট প্রশ্ন কমন পড়েছে। বন্ধু আমাকে জিজ্ঞেস করলো বন্ধু তোমার কয়টা কমন পড়েছে। আমি বললাম মাত্র দুইটা কমন পড়েছে। তারপর আমি বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম তোমার কয়টা কমন পড়েছে। তখন ও সঠিক করে বললো না সুধু বললো পড়েছে কয়েকটা। তারপর ও বললো আগে তোমার গুলা দেখোও পরে আমি তোমাকে বলে দিবনি। যাইহোক ওর কথা মতো আমি দেখালাম। এরপর আমার কমন করা দুইটা সেট লেখা শেষে আমি বললাম বন্ধু এক নম্বর টা বলো। ও বলল এটা কমন পড়েনি তারপর বললাম দুই নাম্বারটা তখন বললো এটাও কমন পড়েনি। তিন নম্বর এবং চার নম্বরটা আমার কমন পড়েছিল তাই আমি বললাম পাঁচ নম্বরটা কমন পড়েছে। ও প্রশ্নটা দেখে বলল না এটা কমন পড়েনি । এভাবে যেতে যেতে ১১ নম্বরে চলে গেলাম কিন্তু ও বললো ওর নাকী একটাও কমন পড়েনি। তখন আমি ভাবলাম তাহলে ও এতো লিখছে কি আর আমাকে যে বললো ওর কয়েকটা কমন পড়েছে । যাই হোক তারপর কোন উপায় না পেয়ে বাকিগুলা বানিয়ে বানিয়ে লিখে দিয়ে চলে আসলাম। কিন্তু বাইরে এসে যখন অন্য বন্ধুদের সাথে দেখা হল। তখন আমার সাথে যে বন্ধুটা বসেছিল ও বললো বন্ধু পরীক্ষাটা না সেই হয়েছে সবগুলা কমন।
শিক্ষক: বল্টু কিরে তুই গণিত পরীক্ষায় খাতাতে এটাকি অংক করে ছিস।
বল্টু: ক্যানো স্যার কি হয়েছে?
শিক্ষক: কোন অংকের শেষের ফলাফলের মিল নাই,
বল্টু:স্যার আমার কোন দোষ নাই?সব রাকিবের দোষ।
শিক্ষক: রাকিবের দোষ মানে।
বল্টু:স্যার রাকিব তো আমাকে রাফ করে অংকের ফলাফল দেখাইনি?তাই ফলাফল ঠিক লিখতে পারি নাই স্যার। সব দোষ রাকিবের ওরে ধরেন স্যার।।
শিক্ষক: ওরে শয়তান দাড়া,আজকে তোর খবর আছে.....।
এটা গল্প নয় বাস্তব ঘটনা
অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা। ফাইনাল পরীক্ষা চলে এসেছে তারপরেও আমি সিলেবাস ই বুঝি নি। যাই হোক পরীক্ষা দিতে গেছি।আমার পেছনে যে আছে তার অবস্থা আমার থেকেও বাজে। সে আমার দেখে লেখছিল।তখন স্যার বলল
স্যার:কি রে তোমার পেছনের জন তো সব তোমার দেখে লিখল।
আমি:স্যার দেখতে দেন।আমি একা কেন ফেল করব, ওকে সাথে নিয়েই করি।
স্যার শুনে হাসতে হাসতে শেষ। এরপর আর আমার পেছনের জন আমার কখনোই দেখে নি।
হুম ফেল করলে দুজনে একসাথেই করতে হবে। সত্যি অনেক মজার ছিলো দাদা।
মরলে দুইজন একসাথেই মরি,হা হা হ।
স্কুল পড়ুয়া দুই বন্ধুর পরীক্ষার শেষে স্কুল মাঠে দেখা-
১ম বন্ধুঃ কী রে, তোর পরীক্ষা কেমন হলো ?
২য় বন্ধুঃ পরীক্ষা ভাল হয়নি রে ! তবে ৫ নম্বর নিশ্চিত পাবো।
১ম বন্ধুঃ কীভাবে ? ২য় বন্ধুঃ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য ছিল ৫ নম্বর ! তাই আমি পরীক্ষার খাতায় কলমের একটা আচড়ও দেইনি ! তাই ৫ নম্বর নিশ্চিত পাবো ।
১ম বন্ধু :- হায়! সর্বনাশ হয়েছে- আমি ও তো তোর মতো পরীক্ষার খাতায় কলমের একটা আচড়ও দেইনি ! আমাদের দুই জনের খাতাই একই রকম দেখলে- শিক্ষিকা মনে করবে না তো যে আমরা দুজনে টুকলি করেছি!
ছোটবেলায় পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরলেই মা জিজ্ঞেস করতেন, খোকা, কেমন হয়েছে পরীক্ষা?
আমি বলতাম, ভালো।
এক দিন, দুই দিন, তিন দিন, প্রতিদিন মায়ের একই প্রশ্ন।
এভাবে একদিন স্কুল থেকে ফেরার পর আবারও মা জিজ্ঞেস করলেন, খোকা, কেমন হয়েছে পরীক্ষা?
আমি ব্যাগ থেকে পরীক্ষার খাতা বের করে দিলাম মায়ের হাতে।
আজ আর খাতা জমা দিইনি মা। বাসায় নিয়ে এলাম। তুমি নিজেই দেখে নাও, আমি কেমন পরীক্ষা দিই!
আমার এসএসসি পরীক্ষার সময় পাশের স্কুলের এক বন্ধুর আমার সামনে সিট পড়েছিলো। আমার সামনের সিট পেয়ে বন্ধু তো সেই খুশি, কারণ আমার খাতা দেখে হয়তো পাশ করতে পারবে। কিন্তু পরীক্ষার হলে স্যার থাকতে আর একজনের খাতা দেখে লিখে পাস করা অতটা সহজ ব্যাপার নয়। বন্ধু খুবই চালাক চতুর ছিলো প্রথম দিন থেকে যেই স্যারই আমাদের রুমে গার্ড দিতো আসতো সেই স্যারের সাথে কথা বলে ভাব জমিয়ে নিতো। পরীক্ষা শুরু হলে আমার খাতা দেখলেও ছাড়া আর কিছুই বলতো না। এভাবেই পরীক্ষা সবগুলো শেষ হয়ে গেল তারপর রেজাল্ট বেরোনোর দিন আমাকে ফোন করে বললো যে, তোর জন্যই এই এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছি। তখন আমি বললাম আমার জন্য কেন তুই পাস করবি! প্রতিদিন স্যারের সাথে ভাব জমিয়ে সিস্টেম করে আমার খাতা দেখে লিখছিত বলেই পাশ করেছিত।
পরিক্ষার হলে সামনের ছাত্র লেখে বিপদের সময় সম্রাট জাহাঙ্গীর ভাঙ্গিয়া পরিতেন না।
তাকে দেখে পিছনের ছাত্র লেখে বিপদের সময় সম্রাট জাহাঙ্গীর জাঙ্গিয়া পরিতেন না,ইতিহাস পরিক্ষার সাথে তার লেখাও ইতিহাস হয়ে গেল,হা হা হা।🤪😛🤪