এবিবি-ফান প্রশ্ন-৫৪ || কাজের সময় কাজী, কাজ ফুরালেই পাজি কথাটি কেনো বলা হয়?
আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- এবিবি-ফান এ সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি উদ্যোগ, শুধুমাত্র ভিন্নভাবে কিছু বিষয় নিয়ে আনন্দ উপভোগ করার জন্যই করা হয়েছে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে অবশ্যই যারা নিয়মগুলো মেনে এই উদ্যোগের সাথে সংযুক্ত হতে হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতিদিন একটি প্রশ্ন শেয়ার করা হবে, বাস্তব বিষয় নিয়ে যা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের চারপাশে দেখে থাকি। তারপর সে প্রশ্নের উত্তরটি একটু ভিন্নভাবে দিতে হবে। আমরা প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জানতে আগ্রহী নই কিংবা সঠিক উত্তরটি জানতে চাই না। বরং প্রশ্নটির ভিন্ন ধরনের এবং মজার কিছু উত্তর জানতে চাই। সুতরাং যে প্রশ্ন করা হবে, সেই প্রশ্ন সম্পর্কে আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি, সৃজনশীলতা এবং মজার চিন্তা ভাবনা জানাতে হবে, যার ক্রিয়েটিভিটি যত বেশী আকর্ষণীয় ও মজার হবে, সে বিজয়ী হওয়ার ততো বেশী সম্ভাবনা তৈরী করতে পারবে। যেমন, প্রশ্ন করা হলো আকাশের রং কেন নীল? উত্তরগুলো এই রকম হতে পারে, আকাশের বউয়ের মন খারাপ, আকাশের বান্ধবীর পছন্দের রং নীল, এই রকম মজার মজার নানা ধরনের উত্তর দিতে পারবেন আপনারা। আশা করছি সকলের অংশগ্রহণে উদ্যোগটি সফলতা পাবে।
আজকের প্রশ্নঃ
কাজের সময় কাজী, কাজ ফুরালেই পাজি
প্রশ্নকারীর অভিমতঃ
আজকে আমি কিছু বলবো না , তবে আপনারা কি মনে করেন সেইটা জানতে ভীষণ ইচ্ছুক ?
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- উত্তর বা কমেন্টটি এডিট করা যাবে না।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
- অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
- উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই মজার হতে হবে।
- এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
কাজের সময় কাজী
কাজ ফুরালে পাজি
বিশেষ করে হাজি,,
বুড়ো বয়সে ও রাজি।
হতে কনের মাঝি,,,
এরাই ভীষণ পাজি
বলে গেলাম আজি,,,
♥♥
অসাধারণ লিখেছেন আপু।
ধন্যবাদ,,,,,
বিয়ের সময় কাজীকে খুব প্রয়োজন হয়। আর বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই আপদকে গলায় ঝুলিয়ে দেওয়ার জন্য কাজীকে পাজি মনে হয়।😅😅
ধর ধর ধর ব্যাটাকে কোন আপদ ঝুলিয়ে দিলো আমার কপালে, এই রকম ঠিক না হা হা হা
আপদ মানে খালি আপদ একেবারে বড় একটা বিপদ। 😅😅😅
ভালো বলেছেন তো আপু।
এই প্রশ্নের সাথে আমি টিস্যু পেপারের মিল পাই। যতক্ষণ কাজের মনে হয় তাকে পকেটে বা ভ্যানিটি ব্যাগে সুন্দর করে ভাজ করে রেখে দেই। যেই ঘাম মুছা শেষ তখন তাকে পাজি মনে হয় এবং ফেলে দেই। হা হা হা।
আসলে সোজাসাপ্টা এই কথাটার ব্যাকগ্রাউন্ডে বিশাল এক গভীরতা আছে।
একজন কাজী যখন বিয়ে পড়ায়, তখন তাকে কাজী মানা হয়। কিন্তু বিয়ের পর যখন জীবনটা তেজপাতা হয়ে যায় তখন কাজীকে পাজি বলা হয়। কারন বিয়ের ভাঙা নৌকায় ওই বেটা কাজীই উঠিয়ে দিয়ে গেছে।
আসলে এই ব্যাপারটা থেকেই ঐ কথাটার উৎপত্তি।😝
ঘটনাটা কি ভাবি যানে ,জীবন যে তেঁজপাতা হয়ে গেছে। 😜😜
সব কথা উপর মহলের জানতে নেই।, 😆
আমরা আছি কি করতে,😜😜।আমরা তো উপর মহলের জানানোর জন্যই আছি😉।জীবনটা যেহেতু তেঁজপাতা ভাবিকে বলবো তরকারিতে দিয়ে খেয়ে ফেলতে😉
জাতি দেখুক,, মেয়েরা কি ভয়ঙ্কর!! , 🤭
হুম জাতিক দেখুক,ছেলেরা যে শুধু শুধু মেয়েদেরকে দোষ দেয়😉।
আমারও সেটাই মনে হলো। সুমন দার জীবন আসলেই তেজপাতার মতো।
আমি কিন্তু তেজপাতা পুড়ার গন্ধ পাচ্ছি, হি হি হি।
তেজপাতা পুড়া না,তেজপাতার ঘ্রান।নাকটাও গেছে আপনার😉
তাই তো ভাবিকে বলবো,, মাংসের সাথে এই তেজপাতা দিলে খেতে ভালো লাগবে😉
কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা 🥹
দারুন বলেছেন ভাই।
অর্থ: প্রয়োজন সিদ্ধির জন্য কারও প্রশংসা এবং কার্যসিদ্ধির পর তারই নিন্দা করা।
আরেকটু বাড়িয়ে বললে হবে এক্স বয়ফ্রেন্ড / এক্স গার্লফ্রেন্ড এই চরিত্রের সাথে হুবহু মিল রয়েছে।
উদাহরণটা চমৎকার হয়েছে।
একটি মেয়ে তার প্রয়োজনে যখন কাউকে খুঁজে পাচ্ছিল না তখন কাজী নামের ছেলেটি তাকে সাহায্য করে।একসময় দুইজনের মধ্যে প্রেম হয়।কিন্তু মেয়েটির যখন ভালো জায়গায় বিয়ে ঠিক হয় তখন কাজী নামের ছেলেটিকে অপমান করে।এক্ষেত্রে মেয়েটি ছিল খুবই পাজি।
বাহ ভালো একটি গল্প বানিয়ে ফেললেন তো।
😅😅
মেয়েরা প্রেমের সময় নানান রকম বাহানায় এবং ভালো ব্যবহার করে প্রেম করে। অনেক ভালবাসবে প্রেমিককে এটাই কথা দেয়, কিন্তু বিয়ের পরে তাদের কাজটা হয়ে যায়। তখন শুধু প্যারা দিতে থাকে।
কথাটা কি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলেন নাকি? হা হা হা।
বর্তমানে আশেপাশে অনেকই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছে। সেটা দেখেই ভাইয়া হাহাহা।
কিছু সুবিধাবাদী মানুষ আছে যারা নিজের প্রয়োজনে কিংবা স্বার্থসিদ্ধির জন্য এসে অনেক কাকুতি-মিনতি করে কিন্তু যখন নিজের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় ঠিক তখনই তারা অস্বাভাবিক আচরণ করে অর্থাৎ পাজির মত আচরণ করে। তাইতো বলা হয় কাজের সময় কাজী কাজ ফুরালে পাজি।
পরিক্ষার হলে মেয়ের পাশে কোন ছেলের সিট পরলে,
মেয়ে:- ভাইয়া আপনিতো অনেক স্মার্ট,অনেক সুন্দর,অনেক কিউট এই প্রশ্নের উত্তরটা একটু দেখান।
ছেলে:- আচ্ছা ঠিক আছে দেখে দেখে লেখুন।
পরিক্ষা শেষ হওয়ার পরে,
ছেলে:- আপু ভালভাবে লিখছেন তো..?
মেয়ে:- কোন দুনিয়া থেকে আসছেন,আপনাকে তো চিনলাম না।
এখন আপনারাই বলেন,কে কাজী, কে পাজি,আমি আর কিছু বলবো না।
হাহাহা একেবারে গল্পের মাধ্যমে উত্তর দিয়ে দিলেন।
কাজে সময় কাজি টাকা পয়সা চায় না,কিন্তু কাজ শেষ হওয়া মাত্রই টাকা দাবি করে। আর আমরা বাংগালীরা টাকা নিতে যত ভালবাসি টাকা দিতে তার থেকে বেশি কষ্ট পাই।তাই কাজী টাকা চাইলেই সে পাজি হয়।এটা উদাহরণ মাত্র।কেউ আপনার উপকার করলে ভবিষ্যতে তার উপকার ও আপনার করতে হবে,তাই মানুষ উপকারি কে পাজি বানায় যাতে তার উপকার করা না লাগে।
বাহ বেশ নতুন ধরনের একটা ব্যাখ্যা পেলাম তো।