আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ - ৫১
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
রান্না করা নিয়ে মজার কোন জোকস বা অনুগল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
দাদা, প্রায় আট বছর আগের একটি মজার ঘটনা শেয়ার করছি আজকের লেখায় । তখন আমি এবং আমার দাদা মেসে থাকতাম। সেখানে রান্নার কাজটা আমাদেরকেই করতে হত । রান্না করতে তখন আমাদের মেসে গ্যাসের কোন ব্যবস্থা ছিল না, আমরা কেরোসিনের স্টোভে রান্না করে খেতাম। একদিন সকালে স্টোভে ভাত রান্না শেষ করে, তরকারি রান্না বসিয়ে দেওয়ার তিন মিনিটের মধ্যে হঠাৎ করে স্টোভ -এর তেল শেষ হয়ে যায় । সেই দিন স্কুলে আমার আবার পরীক্ষা ছিল তাই স্কুলে যাওয়ার তাড়া ছিল। এইজন্যে বাইরে থেকে তেল এনে, স্টোভে ভরে পুনরায় তরকারি রান্না করার মত কোনো পরিস্থিতি ছিল না আমার। তাই সেদিন উপায় না পেয়ে নিজের রান্না করা কাঁচা তরকারি দিয়ে ভাত খেয়ে পরীক্ষা দিতে গেছিলাম। সেদিনের পরীক্ষাটা ভালো হয়েছিল তাই কাঁচা তরকারি -কে অনেক ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম। তরকারি পাকা করে খেতে গেলে সেদিন হয়তো আর পরীক্ষা দেওয়াই হতো না।
স্ত্রীঃ রান্না কেমন হয়েছে গো?
স্বামীঃ দারুন হয়েছে।
স্ত্রীঃ তাহলে তোমার ছেলে বলল কেন জঘন্য হয়েছে?
স্বামীঃ ওতো বিয়ে করেনি তাই বলেছে।
(বউয়ের ভয়ে সব কাবু😂)
বিয়ে করলে তখন শুধু মুখ দিয়ে সুনাম বের হবে। এখনো তো ছেলে বিয়ে করেনি। 🤣🤣
সন্ধ্যার সময় বাড়ি সকলে মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করতেছি।হঠাৎ মুরগির মাংস দেখতে পারতেছি সামনে। তারপর আমি বলতেছি বাহ! কি দারুন রান্না। এত সুন্দর রান্না করছে কে? তারপর আমার খবর হয়ে গেল। সে বলে ওঠে যে, আমি রান্না করলে জীবনে প্রশংসা করো না, আজকে পাশের বাসার ভাবি রান্না করেছে।এত প্রশংসা। তারপর লে আমার অবস্থা 😅🤣🤣
পাশের বাসার ভাবির রান্না সবার কাছেই পছন্দের। আর সেই পছন্দ যেন ভাবির রান্না পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে। ভাবির প্রশংসা ভুলেও করা যাবে না ভাইয়া। তাহলে খবর আছে। 😅
অনুগল্প:
ছোটবেলাকার কথা,আমি ছিলাম খুবই বোকা।একদিন মা বললো মাঝে মাঝে তো রান্না করতে পারিস,শিখবি না নাকি--!মা কাজে থাকায় বললো, আজ বেগুন ভাজি কর তো। আমিও সেই মতো আমাদের বাড়ির বেগুন ক্ষেত থেকে বড় বড় বেগুন তুলে নিয়ে এলাম ভাজি করতে।তারপর গোল গোল পিচ করে শুরু করলাম ভাজি করা।প্রথমে কড়াইতে তেল,পেঁয়াজ কুচি, পাঁচফোড়ন দিয়ে হালকা ভেজে দিয়ে দিলাম বেগুনের পিচগুলি।সবই ঠিকঠাক ছিল তারপর চিন্তা আসলো বেগুন সেদ্ধ করার জন্য জল দিতে হবে।তারপর জল দিলাম কিন্তু বেগুন আর কিছুতেই ডোবে না,আমিও সেইমতো জল দিয়েই চলেছি এভাবে এক কড়াই ভরে গিয়েছে বেগুন ডোবার নাম-ই নেই।কিছুক্ষন পর মা এসে দেখে তো অবাক!বললো এটা কি করেছিস জল দিয়ে---।এখনো খুবই হাসি পায় সেদিন কিভাবে বেগুনের পিন্ডি তৈরি করেছিলাম আমি সেটা ভেবে।☺️☺️
এটা একটা সত্য ঘটনা
আম্মু একবার নানুবাড়ি গেছে। আমাকে ১০০টাকা দিয়ে গেছে সকালের আর রাতের খাবারের জন্য। আমি ভাবছি ২০টাকা দিয়ে ২টা ম্যাগি আর ১৬টাকার দুইটা ডিম হলেই সকাল আর রাতের খাওয়া হয়ে যাবে,বাকি ৬০টাকা আমার পকেটে। যে ভাবা সেই কাজ। বাড়ি এসে এতগুলো টাকা পাওয়ার আনন্দে ম্যাগি বানিয়েছি৷ কিন্তু খেতে গিয়ে দেখি গলা দিয়ে নামে না।কারন খুজতে গিয়ে দেখি মশলা,লবণ কিচ্ছু দেইনি। দ্বিতীয় টা বানাতে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলছি। পরে সেরাত্রে না খেয়ে ঘুমানো লাগছে। সেদিন কান ধরছি আর কোন সময় টাকা বাচানোর চিন্তায় যাব না।
আমার তো মনে হয় ডালের জায়গায় পানি নিয়ে ফেলেছে। একেবারে পান্তা ভাত হয়ে গেছে। বেশ ভালো লাগলো আপু।
ছোটবেলায় একদিন আম্মু বাড়ি ছিল না তাই নিজে নিজেই উস্তাদি করে রান্না করতে গিয়েছিলাম। বেগুন আর আলু দিয়ে ঝোল রান্না করার পরে নিজে খেতে গিয়ে আটকে গিয়েছিলাম, এমন রান্না হয়েছিল গলা দিয়ে আর ভাত নামতে ছিল না 😆 তারপরে সেই তরকারি রান্না আবার ফেলে দিয়েছিলাম যাতে আম্মু জানতে না পারে হা হা হা।
আপনার রান্নার অভিজ্ঞতার কথা জেনে সত্যিই ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে এরকম ঘটনা হয়তো আমাদের অনেকের সাথে ঘটেছে। নিজের রান্না শেষে নিজেই খেতে পারি নাই।
প্রথম প্রথম আপনার সাথে এমন হয়েছিল নাকি??
একদিন বড় আপুর বাসায় বেড়াতে গেছিলাম,আপু কিচেন রুমে রান্না করছে। আর আমি আমার ভাগনিকে নিয়ে খেলছিলাম। এমন সময় ভাগনি কিচেন রুমে গিয়ে তার আম্মুকে বলতেছে,আম্মু আমি নান্না করবো,তার মা বলতেছে না, তুমি পারবে না। তখন ভাগনি একটি বসার টোল নিয়ে তার মায়ের পাশে রেখে দাড়ালো। যখন আপু কড়াইতে তৈল দিলো,আর সাথে সাথে কড়াইতে ছেঁত করে আগুন জ্বলে উঠলো, তখন সাথে সাথে ভাগনি লাফ দিয়ে টোল থেকে নেমে বললো মামা আসো খেলি,নান্না শেষ,হা হা হা। 🤷♀️😂😂😂
🤣🤣🤣
ভাগ্নিটা বোধয় অনেক ভয় পেয়েছিল। কড়াইয়ের মধ্যে আগুন ভাবতেই তার ভয় লেগেছিল। তাই তো সেখান থেকে সরে এসেছে।