আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ - ৬৯
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
চোর ধরা নিয়ে মজার কোন জোকস বা অনুগল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
একদিন চোর ধরা হল। পুলিশ জিজ্ঞাসা করল, "তুমি তো চুরি করতে ভালোবাসো, এখন কেন ধরা পড়লে?"
চোর বলল, "আমি তো চুরি করতে গেছিলাম একটা বই নিয়ে।"
পুলিশ চমকে জিজ্ঞাসা করল, "বই? সেটা কি ছিল?"
চোর হাসতে হাসতে বলল, "হ্যাঁ, 'সারভাইভাল গাইড ফর চোরস'।"
পুলিশ ভুরু কুঁচকে বলল, "তো তাতে কি লেখা ছিল?"
চোর মুচকি হেসে বলল, "ইয়ে, 'ওয়াচ আউট ফর দ্য পুলিশ'!"
একদিন একটি চোর একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ল। সে ভাবলো, সবাই ঘুমিয়ে আছে। হঠাৎ গৃহকর্তা উঠে এসে বললেন, “তুমি এখানে কী করছো?”
চোর উত্তর দিল, “আমি এখানে খাবার খেতে এসেছি!”
গৃহকর্তা বললেন, “তাহলে একটু অপেক্ষা কর, আমি খাবার প্রস্তুত করছি।”
চোর বললো, “কিন্তু আমি তো এখানে চুরি করতে এসেছি!”
গৃহকর্তা হেসে বললেন, “তাহলে তুমি কিছু তো খাও না! চুরি করতে এসে খাওয়ার কথা বলার কি দরকার?”
চোর ভাবল, “অবশেষে তো একজন অতিথির মতো আচরণ করা উচিত!”
স্যার এবং বল্টুর কথোপকথন।
স্যার : বল্টু তুই চোরকে পালাতে দিলি কেন?
বল্টু : স্যার আপনি তো বলেন আমার বুদ্ধিশুদ্ধি কিছু নাই। আমার বুদ্ধি বাড়ানোর জন্য চোরকে পালাতে দিয়েছি।
স্যার : মানে, কি সব উল্টাপাল্টা বলতে চাস?
বল্টু : স্যার প্রবাদ আছে চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। সেজন্য চোরকে পালাতে দিয়েছি যেন আমার বুদ্ধি বাড়ে......
ওরে কেউ বল্টুর দিকে নোবেল ছুড়ে মার, হা হা হা।🥴😜
চোর ধরা নয়, চোর নিয়ে অভিজ্ঞতা বলি। ছোটবেলায় আমাদের ঘরে প্রচুর চুরি হইত। মা ছিলো লিভারসিরোসিস রোগী। রাতের বেলায় উনি বাইরে হাঁটতেন একা একা। চোর জানতো সম্ভবত। ওই সুযোগেই ঘরে ঢুকতো। একবার মা টের পেয়ে যায় আর চিৎকার করে উঠে। চোরও দৌড় দেয়। তখন বাড়ির লোকজন ছুটে যায় পিছে পিছে। চোরকে কি আর পায়? কিন্তু একজন ফিরে এসে 'উঁ উঁ' করতে থাকে চিৎকার দিয়ে। কি হইছে বলতে পারছিলো না। কেবল উঁ উঁ করতেছিলো। উনার অবস্থার কথা মনে পড়লে এখনও হাসি পায়।
মা - গোপালের প্রসাদ এর জন্য এনে রাখা লাড্ডু কে খেয়েছে রে?
ছেলে - আমি খাইনি মা,কি জানি কে খেয়েছে মনে হয় গোপাল নিজে এসে খেয়ে নিয়েছে পূজার আগেই।
মা - আমি বলেছি তুই খেয়েছিস?
ছেলে - ইয়ে মানে মা ,আমি আসলেই খাইনি।
মা - হ্যা বুঝতে পেরেছি তুই সব লাড্ডু খেয়ে নিয়েছিস।ওই ব্যাপার হয়েছে ঠাকুর ঘরে কে আমি তো কলা খাইনি,তবে রে বলেই ধাওয়া শুরু ছেলেকে পূজার আগেই প্রসাদ খেয়ে নেওয়ার জন্য।😁😁🤪
আমাদের গ্রামের বাড়িতে প্রায় চুরি হত, তবে চোরটা ছিল ছিচকে চোর, সামনে যাই পেত তাই চুরি করে নিয়ে যেত, রান্না ঘরের হাড়ি, খুনতি, বালতি ইত্যাদি এগুলি যদি না পেত তাহলে হাড়িধরা, নেতা এমনকি টয়লেটের বদনা পর্যন্ত চুরি করিত। এ জন্য তার যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়ে আমরা একটি প্লান করি চোরকে ধরার জন্য বাসার সবাই বিভিন্ন পজিসন নিয়ে রাত্রে জেগে থাকি। চোর ঠিক রাত্র ৩টার দিকে আমাদের গোয়াল ঘরে ঘুকে তেমন কিছু না পেয়ে রান্না ঘরে ঢোকে অমনি আমার ছোট চাচা রান্না ঘরের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে দিয়ে চোর চোর বলে চিৎকার দেয় সাথে সাথে সবাই এসে চোরকে ধরি। চোরটি অনেক গরিব ছিল তাই সামান্য মারধর দিয়েই ছেড়ে দেওয়া হয়।