এবিবি-স্কুল লেভেল ০৩ ক্লাস লেকচার শীট [# Level 03 Lecture Sheet]

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

Abb_school_Lecture-3.png

Professor : @hafizullah

আমরা যারা স্টিমিটে কিছু করার প্রত্যাশা করি এবং ভবিষ্যতে ভালো একটি অবস্থান তৈরীর স্বপ্ন দেখি, তাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে সেগুলো আজ আমরা জানার চেষ্টা করবো। কারন ভালো অবস্থান তৈরীর পিছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে দক্ষতা, আর দক্ষতা অর্জনের জন্য চাই সঠিক বিষয়ের সঠিক জ্ঞান। আজ চেষ্টা করবো সেই রকম কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আপনাদের সাথে আলোচনা করার।

Markdown

আমরা নিজের অনুভূতি কিংবা আবেগ, ভালো লাগা-মন্দ লাগা যাই প্রকাশ করতে চাই না কেন? তার জন্য আমাদের লিখতে হবে এবং কমিউনিটিতে তা উপস্থাপন করতে হবে। একটা কথা নিশ্চয় মনে আছে পরীক্ষার খাতায় একই প্রশ্নের উত্তর লিখে আমরা ভিন্ন ভিন্ন নম্বর পেতাম। কারন উত্তরটি একই হলেও উপস্থাপনার কৌশল একই ছিলো না। একই উত্তর হলেও যাদের উপস্থাপনা সুন্দর ছিলো, শিক্ষক তাদের বেশী নাম্বার দিতেন।

আমাদের স্টিম ব্লকচেইনেও সে বিষয়টি কার্যকর রয়েছে, নিজের লেখাগুলোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হলে এবং লেখাকে দৃষ্টি নন্দন করতে চাইলে আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু কোড ব্যবহার করতে হবে, যাদেরকে আমরা মার্কডাউন বলে থাকি। তাহলে মার্কডাউন হলো আমাদের লেখাগুলোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য এবং লেখাগুলোর প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু টেক্সট ফরম্যট।

মার্কডাউন কেন ব্যবহার করবো এবং এর গুরুত্ব কি? প্রথমত আমাদের লেখাগুলোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য, লেখার মাঝে নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্ট হাইলাইট করতে চাইলে, নির্দিষ্ট কিছু লেখাকে বোল্ড/ইটালিক করতে চাইলে, আমাদের মার্কডাউন ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে লেখার হেডিংটা একটু বড় সাইজের করতে চাইলে, লেখার মাঝে ফটোযুক্ত করতে চাইলে এবং প্রয়োজন মতো ফটোকে ডানে কিংবা বামে নিতে চাইলে, মার্কডাউন সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। সুতরাং মার্কডাউন ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা নিজের লেখাগুলোকে আরো বেশী আকর্ষনীয় ও দৃষ্টি নন্দন করে উপস্থাপন করতে পারবো। তাই ব্লগিং কিংবা কনটেন্ট এর জন্য মার্কডাউন খুবই উপকারি এবং গুরুত্বপূর্ণ টেক্সট ফরম্যট ।

তাহলে আমরা জানতে পারলাম মার্কডাউন কি? মার্কডাউন কেন ব্যবহার করবো এবং এর গুরুত্ব কি? এখন আমরা জানার চেষ্টা করবো মার্কডাউন এর ব্যবহার কিভাবে করতে হয়। এই বিষয়গুলো শুধু দেখলেই হবে না, বরং আপনাদের শুরুর দিকে নিয়মিত প্রাকটিস করতে হবে, তাহলে কোডগুলো মনে রাখা আপনাদের জন্য সহজ হবে। চলুন প্রয়োজনীয় কিছু টেক্সট ফরম্যট দেখি-

১) বোল্ড/ইটালিক-

লেখাগুলোকে বোল্ড করার জন্য

<b> দিয়ে শুরু করবো এবং শেষে </b> দিয়ে শেষ করবো। 

আর ইটালিক করতে চাই তাহলে

<i> দিয়ে শুরু করবো এবং একইভাবে </i> দিয়ে শেষ করবো। 

এখানে আরো একটি সহজ পদ্ধতি রয়েছে লেখার শুরুতে ডাবল ষ্টার এবং শেষে ডাবল ষ্টার ব্যবহার করলে লেখাগুলো বোল্ড হবে এবং একটি ষ্টার ব্যবহার করলে লেখাগুলো ইটালিক হবে।

২) লেখার শিরোনাম বা হেডিংকে মোটা এবং বড় সাইজের করতে চাইলে-

# খুবই বড় সাইজ
## বড় সাইজ
### মিডিয়াম সাইজ
#### ছোট সাইজ
##### খুব ছোট সাইজ
###### টিনি সাইজ

এখন এগুলোর ব্যবহার নিচে লক্ষ করুন-

খুবই বড় সাইজ

বড় সাইজ

মিডিয়াম সাইজ

ছোট সাইজ

খুব ছোট সাইজ
টিনি সাইজ

৩) মার্কডাউন ফরম্যাটের দৃশ্যমান-

এখন আমরা জানবো মার্কডাউন টেক্সট ফরম্যাটের ব্যবহার না করে কিভাবে দৃশ্যমান করা যায়। এগুলো সাধারণ মার্কডাউনের কার্যকর ব্যবহার উপস্থাপন করার জন্য ব্যবহার করা হয় অথবা যে কোন কোড বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটা খুবই সহজ টেক্সট ফরম্যাট শুরু করার পূর্বে চারটা স্পেস দিতে হবে, তাতেই কোডটি দৃশ্যমান থাকবে।

<b>এখানে শুরুতে শুধু চারটা স্পেস দেয়া হয়েছে</b>

৪) লেখাগুলোকে কিভাবে জাষ্টিফাই করবো-

সাধারণ লেখার প্যারাগ্রাফগুরোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আমরা জাষ্টিফাই ফরম্যাটটি ব্যবহার করে থাকি। নিচের ফরম্যাটটি লক্ষ করুন

প্যারাগ্রাফের উপরে <div class="text-justify"> এবং নিচে </div> এটা লিখবো

তবে দুইটি প্যারাগ্রাফের মাঝে অবশ্যই ‘< br>’ লিখতে হবে, না হলে প্যারাগ্রাফগুলো একত্রে মিলে যাবে, মাঝের ফাঁকাটুকু থাকবে না।

৫) টেবিল কিভাবে তৈরী করতে হয়-

আমি এখানে তিনটি কলাম এবং তিনটি রো দিয়ে একটি টেবিল উপস্থাপন করলাম। যার মার্কডাউনগুলো হবে এই রকম

|কলাম-১|কলাম-২|কলাম-৩|
|---|---|---|
|১|১|১|
|২|২|২|
|৩|৩|৩|

এবার নিচে এর কার্যকারিতা দেখুন-

কলাম-১কলাম-২কলাম-৩
লক্ষ্য করুন আপনি কলাম বৃদ্ধি করতে চাইলে "।" এটির সংখ্যা বৃদ্ধি করবেন ডানে এবং রো বাড়াতে চাইলে "।" সংখ্যা বৃদ্ধি করবেন নিচের দিকে।

টেবিলের আরো দুটি সহজ ব্যবহার উপস্থাপন করছি যা আমাদের ব্লগিং এর জন্য কাজে আসতে পারেঃ প্রথমে দেখবো লেখার শুরুতে এবং মাঝে হেডিংটা কিভাবে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করবো, আগে নিচের কোডটি দেখুন এবং তার নিচে ব্যবহারটি লক্ষ্য করুন

|<center>**মাছের রেসিপি**</center>|
|-|

মাছের রেসিপি

দ্বিতীয়ত টেবিলের মাধ্যমে পাশাপাশি দুটো ছবি/দৃশ্য কিভাবে উপস্থাপন করবো, শুরুতে কোডটি এবং তারপর ব্যবহারটি লক্ষ্য করুন

|ফটো-১|ফটো-২|
|-|-|

রেসিপি (1).jpgরেসিপি (2).jpg

৬) কোন উক্তি বা লেখার অংশকে কোট করা-

আমরা আমাদের লেখার মাঝে অনেকের লেখার কিছু অংশ কিংবা উক্তিকে কোট করে সংযুক্ত করার চেষ্টা করি, এই ক্ষেত্রে আমরা যদি মার্কডাউনের টেক্সট ফরম্যাট ব্যবহার না করি, সে ক্ষেত্রে প্লাগারিয়াজম হিসেবে গন্য হতে পারে।

> শুধু মাত্র এই চিহ্নটি ব্যবহার করলেই হয়ে যাবে

যে উক্তি কিংবা অংশটুকু আপনি ব্যবহার করতে চার তার শুরুতে > চিহ্নটি ব্যবহার করলেই সেটা কোট হয়ে যাবে। নিচের উদাহরণটি দেখুন-

আপনাকে বড় বলে বড় সে নয়

দেখুন উপরের লাইনটি কোট করা হয়েগেছে, এটা খুবই সহজ কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যারা অন্যের লেখা কোট করে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন।

৭) সোর্স উল্লেখ করার নিয়ম-

আমরা যদি আমাদের কনটেন্টের মাঝে কালো লেখার অংশ কিংবা উক্তি ব্যবহার করতে চাই অথবা ফটো সংযুক্ত করতে চাই তাহলে আমাদের অবশ্যই সোর্স উল্লেখ করতে হবে। চলুন দেখি সোর্স উল্লেখ করার টেক্সট ফরম্যাট কি-

[সোর্স](এখানে লিংক বসাবো)

উপরের পদ্ধতিটি ব্যবহার করে করে আমরা দুটি কাজ করতে পারবো এক. সোর্স উল্লেখ্য করতে পারবো, দুই. হাইপার লিংক তৈরী করতে পারবো। নিচে এর ব্যবহারটি লক্ষ্য করুন-

সোর্স সোর্স লেখাটি দেখুন হাইপার লিংক হয়ে অন্য কালার হয়ে গেছে। আশা করছি বিষয়টি সকলের নিকট পরিস্কার হয়ে গেছে। এ বিষয়ে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা এ্যাডমিনের দুটি টিউটোরিয়ার রয়েছে, নিচে লিংক দেয়া হলো-

মার্কডাউন টিউটোরিয়াল-১
মার্কডাউন টিউটোরিয়াল-২

Content

কনটেন্ট এই বিষয়ের সাথে আমরা অনেকেই যুক্ত কিন্তু বিষয়টি অধিকাংশ ইউজারদের নিকট পরিস্কার নয়, কারন কনটেন্ট এর আভিধানিক কিংবা শব্দিক অর্থ অনেকেই বলতে পারেন না। শুধুমাত্র কিছু লেখাকেই কনটেন্ট বলে না, এর সাথে আরো কিছু বিষয় সংযুক্ত রয়েছে যেমনঃ জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীলতা। অর্থাৎ আপনি নির্দিষ্ট কোন একটি বিষয়ে যখন নিজের অভিজ্ঞতা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে অনুভূতি/ভালো লাগার বিষয়টি লেখার মাধ্যমে উপস্থাপন করবেন, তখন সেটাকে সহজভাবে কনটেন্ট হিসেবে গন্য করা হবে। মনে করুন আপনি কোন একটি অ্যাপ ব্যবহারে ভালো দক্ষতা অর্জন করেছেন, এখন সেই বিষয়টি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে অন্যদের নিকট বোধগম্য করে তোলার জন্য তথ্য সংযোজন করার মাধ্যমে শুরু হতে ধারাবাহিকভাবে শেষ পর্যন্ত উপস্থাপন করলেন, তখন সেটাকে টিউটোরিয়াল কনটেন্ট বলা যাবে।

কনটেন্টের আবার প্রকারভেদ রয়েছে, তবে ক্যাটাগরি বিবেচনা করে কনটেন্টকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমনঃ অডিও কনটেন্ট, ভিডিও কনটেন্ট এবং টেক্সট কনটেন্ট। বিষয়বস্তু বিবেচনা করে টেক্সট কনটেন্টকে আবার ভিবিন্নভাবে ভাগ করা হয়, যেমনঃ গল্প, রেসিপি, ভ্রমণ কাহিনী, ফোটোগ্রাফি ও কবিতা।

এখন যে বিষয়ে আপনার সঠিক জ্ঞান, অভিজ্ঞতা অথবা দক্ষতা বেশী রয়েছে, কনটেন্ট তৈরী করার ক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে সেই বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করা। কারন যে বিষয়ে আপনি জানেন না বা আপনার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা নেই, সে বিষয়ে ভালো কিছু উপস্থাপন করা আপনার পক্ষে সহজ/ভালো হবে না। বরং যে বিষয়ে আপনার দক্ষতা রয়েছে, সে বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা এবং অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা আপনার জন্য সহজতর হবে। তাই কনটেন্ট লেখার পূর্বে নিজের অভিজ্ঞতা, ভালোলাগা এবং দক্ষতার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া বেশী জরুরী। তথাপিও নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে কোন কমিউনিটিতে কিছু শেয়ার করতে চাইলে আপনাকে সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু গাইড লাইন অনুসরণ করতে হবে।

ধরুণ আপনি রেসিপি শেয়ার করতে চান, এই ক্ষেত্রে কিছু কমন বিষয় রয়েছে যেগুলোকে আপনার কনটেন্টে সংযুক্ত করা আবশ্যক। না হলে আপনার রেসিপির কনটেন্টটি পূর্ণতা পাবে না এবং অন্যদের নিকট তা আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে। আবার ধরুণ আপনার পছন্দের কোন একটি নাটক অথবা মুভি রিভিউ করতে চান সেই ক্ষেত্রেও আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট পয়েন্ট এর উপর আলোকপাত করতে হবে, না হলে রিভিউ কনটেন্টটি আকর্ষনীয় হবে না। এই ক্ষেত্রে "আমার বাংলা ব্লগ" এর নিয়মাবলীর সর্বশেষ আপডেট সম্পর্কিত পোষ্টটি দেখতে পারেন-এখানে কনটেন্ট তৈরীর বিষয়ে কিছু নির্দেশনা পাবেন।

আমার বাংলা ব্লগে কনটেন্ট শেয়ার করার নিয়মাবলী

Curation

ইতিমধ্যে আমরা নিশ্চয়ই পোষ্টের রিওয়ার্ডস সম্পকে বুঝে গেছি, আমরা যারা পোষ্ট করছি এবং সেখানে এবিবি-স্কুল কিংবা আমার বাংলা ব্লগ হতে ভোটের মাধ্যমে রিওয়ার্ডস পেতে শুরু করেছি। আমরা যেমন ব্লগ লিখে কিংবা অনুভূতি/অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাধ্যমে রিওয়ার্ডস পাচ্ছি, যারা আমাদের ভোট দেয়ার মাধ্যমে রিওয়ার্ডস প্রাপ্তির পথ সুগম করছেন ঠিক তেমনি তারাও একটা নির্দিষ্ট পরিমান রিওয়ার্ডস পাচ্ছেন, যেটাকে আমরা কিউরেশন বলে আখ্যায়িত করে থাকি।

কোন একটি বিষয়ে আমরা যখন ব্লগ শেয়ার করি এবং সেখানে যে পরিমান আয় নিশ্চিত হয় তার 50% রিওয়ার্ডস হিসেবে আমরা প্রাপ্ত হই একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর, একইভাবে যারা আমাদের ভোট দিয়েছেন তারা বাকী 50% কিউরেশন রিওয়ার্ডস লাভ করেন। ধরুন একটি পোষ্টে আপনি লাজুক খ্যাঁক হতে ১০ ডলার এর ভোট পেলেন, তাহলে নির্দিষ্ট সময় পর ৫০% রিওয়ার্ডস হিসেবে ১০ ডলার এর অর্ধেক ৫ ডলার আপনি পাবেন তবে এই ৫ ডলারের অর্ধেক পাবেন লিকুইড ডলার হিসেবে আর বাকিটা পাবেন স্টিম পাওয়ার হিসেবে কিন্তু লাজুক খ্যাঁক ১০ ডলারের অর্ধেক ৫ ডলার পাবে কিন্তু পুরোটাই স্টিম পাওয়ার হিসেবে কোন লিকুইড ডলার পাবে না।

একটু পরিস্কার করার চেষ্টা করছি, ধরুণ স্টিমের মূল্য ০.৫০ সেন্ট এবং স্টিম-এসবিডি কনভার্শন রেট ২। তাহলে আপনার প্রাপ্তির ৫ ডলার এর অর্ধেক মানে ২.৫ ডলার মূল্যের স্টিম পাবেন আপনি, সেই হিসেবে ২.৫*২=৫ স্টিম পাওয়ার পাবেন। আর কিউরেটর পাবেন ৫ ডলারের সমমূল্যের স্টিম অর্থাৎ ৫*২=১০ স্টিম পাওয়ার।


কিন্তু ভোট দেয়ার ক্ষেত্রেও একটা নির্দিষ্ট ফর্মুলা অনুসরণ করতে হয়, না হলে কিউরেশন রিওয়ার্ডস কমে যেতে পারে। তাই ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে এ বিষয়ে ফর্মুলার প্রতি দৃষ্টি রাখা জরুরী, তা না হলে যথেষ্ট কিউরেশন রিওয়ার্ডস হতে বঞ্চিত হবেন। তবে এর জন্য চাই আপনার যথেষ্ট স্টিম পাওয়ার। চলুন তাহলে দেখি কোন ফর্মুলার মাধ্যমে সর্বোচ্চ কিউরেশন রিওয়ার্ডস নিশ্চিত করা যায়-

কেউ পোষ্ট শেয়ার করার সাথে সাথে কিন্তু আমরা ভোট দিতে পারবো না, হ্যা পারবো তবে সেখান হতে আমরা কাংখিত পরিমাণ কিউরেশন রিওয়ার্ডস নিশ্চিত করতে পারবো না। এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় যদি আমরা পোষ্ট করার ৬ মিনিট বা আরো পরে ভোট দেই। এই ক্ষেত্রে সময় অনুপাতে কিউরেশন রিওয়ার্ডস বন্টনের একটি চিত্র দেখানো হলো নিচে-

পোষ্ট করার সাথে সাথে যদি আপনি কারো পোষ্টে ভোট দেন তাহলে আপনি কোন কিউরেশন রিওয়ার্ডস পাবেন না, পুরোটা চলে যাবে রিওয়ার্ডস পুলে। যদি আপনি ১ মিনিট পরে ভোট দেন তাহলে আপনি পাবেন মাত্র ২০% আর বাকী ৮০% যাবে রিওয়ার্ডস পুলে। যদি আপনি ২ মিনিট পরে ভোট দেন তাহলে আপনি যাবেন ৪০% আর বাকী ৬০% যাবে রিওয়ার্ডস পুলে। একই ভাবে ৩মিনিট পর ভোট দিলে ৬০%, ৪মিনিট পর ভোট দিয়ে ৮০%। কিন্তু আপনি যদি ৬ মিনিট পর ভোট দেন তাহলে কিউরেশন রিওয়ার্ডের ১০০% পাবেন আপনি। সুতরাং এই জন্য আমাদের উচিত নির্দিষ্ট সময় পর ভোট প্রদান করা।




এখন প্রশ্ন হলো আপনার নিজের পোষ্ট হতে আপনি কিভাবে বেশী সুবিধা মানে কিউরেশন সুবিধা পাবেন। এখানে একটি চমৎকার বিষয় রয়েছে কিউরেশন এর ফর্মুলায়। আপনার পোষ্টে যদি বড় কোন ভোট কিংবা লাজুক খ্যাঁকের ভোট পরার পূর্বে কিছু পেন্ডিং রিওয়ার্ডস থাকে তাহলে সেই বড় ভোট কিংবা লাজুক খ্যাঁকের ভোটের পরিমান কিছুটা বৃদ্ধি পাবে, এটাকে বলা হয় কনভার্জেন্ট লিনিয়ার ইকুয়েশন। সুতরাং এই ক্ষেত্রে আপনারা যদি আপনাদের স্টিম পাওয়ার এর নির্দিষ্ট একটা অংশ @heroism কে ডেলিগেশন করেন আর লাজুক খ্যাঁকের ভোটের পূর্বে যদি হিরোইজম এর ভোট দেয়া হয় তাহলে আপনি কনভার্জেন্ট লিনিয়ার ইকুয়েশন এর কারনে একটু বেশী সুবিধা পাবেন।

কিউরেশন সম্পর্কে নিচের টিউটোরিয়ালটি দেখতে পারেন-

কিউরেশন ও অথর রিওয়ার্ড আদ্যোপান্ত

break.png

banner-abb23.png

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

break.png
standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

break.png


Sort:  
 3 years ago 

মার্কডাউন সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য একসাথে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। এই পোস্টের মাধ্যমে সকলে অনেক উপকৃত হবে। আমি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো এই পোস্টের মাধ্যমে শিখতে পারলাম। লেকচার শীটটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এই লেকচার শীটটি সকলের জন্য খুবই উপকারী। আশা করছি সকলে খুব মনযোগ সহকারে এই লেকচার শীটটি পড়বে এবং সঠিকভাবে এর ব্যবহার করবে। ধন্যবাদ সকলকে।

 3 years ago 

ভাইয়া খুবই চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন। পোস্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। মার্কডাউন বিষয়ে অনেকগুলো তথ্য একসাথে পেয়ে আমার অনেক ভালো। আমি মনে করি এই পোস্টটি সবার জন্য উপকারে আসবে। তাই সকলের উচিত এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে মার্কডাউন সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।

অসাধারণ একটি পোস্ট করেছেন।এই পোস্ট টি পরে অনেক অনেক বিষয় গুলো সম্পর্কে অবগত হলাম যা আমাকে সামনে এগোতে অনেক সহযোগিতা করবে।

 3 years ago 

মার্ক ডাউন সম্পর্কে অনেক সুন্দর তথ্য দিয়েছে এ বি বিস্কুল।
আমিও বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম।

এবং নতুনরা যদি তাদের পোস্টকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চায় তাহলে এই মার্ক টাউন সম্পর্কিত পোস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাদের জন্য।

 3 years ago 

এই লেকচার সীটার জন্য এতো দিন বসে ছিলাম। নিজের আর কোন ভুল আছে নাকি দেখতে আর এই পোষ্ট পড়ে আমার আরো ভালো ভাবে সব কিছু মাথায় গেথে গেছে। ধন্যবাদ এই লেকচার সীটটার জন্য।

 3 years ago 

খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। পোস্ট টি থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারলাম।আমিও অনেক কিছু জানতাম না। সবার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষানীয় পোস্ট ছিল।
ধন্যবাদ 🙂

 3 years ago 

খুবই চমৎকার একটি লেকচার শীট তৈরি করা হয়েছে যেখানে প্রত্যেকটি বিষয় বস্তু খুব সুন্দর করে হাতে কলমে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে এবং লেকচারশীট মনোযোগ দিয়ে পড়ার মাধ্যমে যে কেউ এই বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে বুঝে নিতে পারবে। অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য এত চমৎকার একটি লেকচার শীট তৈরি করার জন্য।

 3 years ago 

ভাইয়া অনেক শিক্ষণীয় একটি পোস্ট এটি। আমি বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ।

 3 years ago 

মার্কডাউন নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমরা যারা নতুন আছি তাদের জন্ন।অনেক উপকারি।এখানে মার্ক ডাউন নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়েছে যা আমাদের নতুন মেম্বারদের জন্য অনেক হেল্প হবে আশা করছি।এই রকম পোস্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপ্নাকে।এবং ধন্যবাদ abb-school কে।