RE: রহস্যগল্প 'মাশরুম" - পর্ব ০৩ [শেষ পর্ব]
@rme দাদা,গল্পটি আমি অনেকবার পড়লাম এবং পড়ার পর বুঝতে পারলাম গল্পের সারমর্মটি হলোঃসবকিছু জানার পরেও অবিশ্বাস এবং নিছক সন্দেহ ই একটি মানুষের জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়।
কারণসহ ব্যাখাঃ
গল্পের দ্বিতীয় পর্বের শেষ অংশটিই ছিল গল্পটির আসল টুইস্ট।যেখানে দাদার বর্ণনামতে–"বালাপোরিজি ড.সোমের মাস্টারপিস অংশটা পড়ার সময় প্রচন্ড রকমের ভয় পেয়েছিলেন এবং তিনি বলেছিলের এও কি সম্ভব!"
কারণ ড.সোমের ডাইরির মাস্টারপিস অংশটা সংক্ষিপ্ত হলেও ওখানে গবেষণার প্রধান বিষয়গুলোয় লেখা ছিল।আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন আমি এতসব কিভাবে জানলাম।আসলে দাদার গল্পের তৃতীয় পর্বের একটা অংশে বালাপোরিয়াজি যখন মৃত গিনিপিগ গুলো দেখলেন তখন তিনি একটি মন্তব্য করেছিলেন আর তা হলো-ব্যাপারটা বেশ বোধগম্য মনে হচ্ছে এখন তার(বালাপোরিয়ার)কাছে
অর্থাৎ ডাইরিটা তে সে এক্সাক্টলি এই বিষয়গুলো পড়েছিলেন আর বর্তমানে সে বিষয়টির চাক্ষুস প্রমাণ।সে বুঝতে পারলো গিনিপিগগুলো দিয়ে ড. সোম সেই বিষাক্ত মাংসাশী মাশরুমের উপরই পরীক্ষা চালিয়েছিল।এরপরেও বালাপোরিয়াজির মনে সন্দেহ থাকে এবং সে সেই মারাত্মক ভুল কাজটিই করে ফেলে আর তার শেষ পরিণতি হয় গিনিপিগুলোর মতো মৃত্যু।
এর জন্য আমি গল্পের সারমর্ম টাতেও একই কথা লিখেছি কারণ সে ডাইরির মাস্টারপিস অংশটা পড়েই সবকিছু বুঝতে পেরেছিলেন এবং আমার বিশ্বাস তিনি মৃত্যুর আগে মাসরুমটির যে নাম বলেছিলেন সেটাও ওই ডাইরিতেই লেখা ছিল।আশা করি ব্যাপারটি বোঝাতে পেরেছি।
আসলে আপনার লেখার হাতে জাদু আছে দাদা।আপনি গল্পের তৃতীয় পর্বেই কিছু উক্তির মাধ্যমে সবকিছু পরিষ্কার করে দিয়েছেন।এক কথায় অসাধারণ একটি থ্রিলার সাইন্স-ফিকশন গল্প দাদা।গল্পটিবঅনেক উপভোগ করেছি।ধন্যবাদ সবাইকে