চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় কাটানো কিছু মুহূর্ত / প্রথম পর্ব।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় কাটানো কিছু মুহূর্ত এই বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
আমাদের জীবন একটাই এই পৃথিবীতে কয়দিন বাঁচবো জানি না। তবে খুব তাড়াতাড়ি মৃত্যুর কাছাকাছি চলে যাচ্ছি তা জানি। তাই খুব ইচ্ছে হয় প্রজাপতি হয়ে ঘুরে ঘুরে এই পৃথিবীর বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। পৃথিবীর প্রত্যেক প্রাণীর কাছাকাছি যেতে। ঐ প্রাণী গুলো সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে প্রাণী গুলো সৌন্দর্য খুব কাছ থেকে উপভোগ করতে। আসলে মনে ইচ্ছে অনুযায়ী জীবনে সব কিছু হয় না। জীবন পরিবেশ এবং পরিস্থিতির মাঝে টিকে থাকা খুবই বড় দায়। তারপরেও মাঝে মাঝে নিজের জীবনকে প্রকৃতির মাঝে বিলিয়ে দিতে প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে দূর দূরান্তে ছুটে যায়। নিজেকে কিছুক্ষণ প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে দিতে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করে হৃদয় প্রশান্তি আনার জন্য।
কিছুদিন আগে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম একটা প্রোগ্রামে। সকাল প্রায় ছয়টায় বাসা থেকে বের হয়ে যায়। একটা মাইক্রো বাস ভাড়া করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। চট্টগ্রাম আমরা সাড়ে নয়টার দিকে পৌঁছালাম। তারপর আমরা প্রোগ্রামে উপস্থিত হলাম। আমাদের প্রোগ্রাম দুপুরে শেষ হয়ে গেলো। প্রোগ্রাম শেষে রেস্টুরেন্টে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করার পর কি করবো ভাবছি। কয়েকজন বলছে, তারা তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাসায় যাবে দেখা করতে। আমি প্রথমে চিন্তা করলাম চট্টগ্রাম সমুদ্র সৈকতে যাবো। আমরা যেখানে আছি সেখান থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত অনেক দূর।
রাস্তায় অনেক যানজট রয়েছে যেতে যেতে সন্ধ্যায় নেমে আসবে। তাই সমুদ্র সৈকতে আর যাওয়া হলো না। পরে চিন্তা করলাম মিনি বাংলাদেশ ঘুরে দেখবো।মিনি বাংলাদেশে কয়দিন আগে আমাদের কয়েকজন গিয়েছে তাই সেখানেও যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিলাম। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম চিড়িয়াখানা গিয়ে কিছু সময় অতিবাহিত করবো। তারপর সন্ধ্যা হলে বাসায় ফিরে আসবো। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা চিড়িয়াখানার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। চিড়িয়াখানায় বিকেল তিনটার দিকে গিয়ে পৌঁছালাম। আমি চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় অনেকবার এসেছি। যখন আমি ক্লাস থ্রিতে পড়ি তখন থেকে চিড়িয়াখানা আসা শুরু আমার।
আমার পশু পাখিদের প্রতি অন্যরকম আবেগ এবং ভালোবাসার অনুভূতির থাকার কারণে আমি বারবার চিড়িয়াখানায় আসি। যখনই সুযোগ পাই তখনি চিড়িয়াখানায় এসে বিভিন্ন রকম পশুপাখি দেখে যায়। পশুপাখি দেখলে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা পাহাড়তলী ইউএসটিসি মেডিকেল কলেজের বিপরীত পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। আমরা জনপ্রতি ৭০ টাকার টিকিট কেটে চিড়িয়াখানার ভিতরে প্রবেশ করলাম। চিড়িয়াখানা ঢুকতে বাঘের গর্জন শুনতে পেলাম। বর্তমানে চিড়িয়াখানাতে প্রায় ৬৫ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। যার মধ্যে স্তন্যপায়ী, পাখি এবং সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে।
পশু পাখিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বাঘ, চিতাবাঘ, সিংহ, জিরাফ, ঘোড়া, ভাল্লুক, কাঠ বিড়াল, বুনো বিড়াল, মায়া হরিণ, ক্যাঙারু, জলহস্তী, বাঘডাসা, ধনেশ, মুখপোড়া হনুমান, ময়ূর, উঠপাখি, তিতির পাখি, বুনো মোরগ, টিয়া পাখি, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বগ, সাপ প্রভৃতি। তাছাড়া এখন চিড়িয়াখানাতে আর নতুন নতুন নানা ধরনের প্রাণী নিয়ে আসা হয়েছে। চিড়িয়াখানায় এখন বড় আকর্ষণ সাদা ডোরাকাটা বাঘ আর হরিণ । নানা রকমের পশু পাখি থাকার কারণে বর্তমানে এখন চিড়িয়াখানাতে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে। বিভিন্ন প্রজাতির দেশ-বিদেশ থেকে আনা পশুপাখি ও প্রাণী দেখে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে সময় কাটায় দর্শনার্থীরা।
আমরা যখন গিয়েছি বিকেল বেলায় তখন চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের বেশ ভিড় ছিলো। আমরা গিয়ে ঘুরে ঘুরে পর্যায় ক্রমে ভিন্ন পশু পাখি দেখছি। প্রথমে আমি বাঘ দেখতে চলে গেলাম। সাদা ডোরাকাটা বাঘ দেখে আমার কাছে খুবখুবলো লাগলো। কারণ এই প্রজাতির বাঘ তেমন বেশি দেখা যায় না। আজ আর নয়। আগামী পর্বে বিস্তারিতভাবে বিভিন্ন পশু পাখি সম্পর্কে তুলে ধরবো আপনাদের মাঝে।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://x.com/MdAgim17/status/1868300324068585709?t=MMJTabAPnSROF8xxQZGF5Q&s=19
চিড়িয়াখানায় পশু পাখিদের সঙ্গে সময় কাটাতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনি অনেকটা সময় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পশুপাখিদের সঙ্গে কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগছে। অনেক রকম পশুপাখি আছে তো চিড়িয়াখানাটাতে৷ খুব ভালো লাগলো পশুপাখিদের প্রত্যেকটি ছবি। বিশেষ করে বাঘের ছবিগুলি ভীষণ ভালো তুলেছেন। খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন।
এই ছোট্ট পৃথিবীতে ঘুরে দেখার হয়তো অন্ত খুঁজে পাবো না। তবুও যথাসাধ্য চেষ্টা করি ঘুরাঘুরি করার। একদম ঠিক বলেছেন সামান্য সময়ের জন্য এই পৃথিবীতে আসা সেজন্য সময় পেলে উচিত ঘুরে দেখার। চিড়িয়াখানায় আমার কখনো যাওয়া হয়নি । আপনার আজকের পর্বে চিড়িয়াখানার অনেক সুন্দর সুন্দর প্রাণীর দৃশ্য দেখে ভালো লাগলো। যাওয়ার সেটা জাগ্রত হল।
চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানায় তো দেখছি অনেক ধরনের পশু পাখি রয়েছে। চিড়িয়াখানা দেখতে আমারও বেশ ভালো লাগে। আর আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারছি, আপনি বেশ ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছেন।
বেশ অনেক সুন্দর পশুপাখিতে ভরা চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানার মধ্যে যদি সব রকমের পশু পাখি দেখতে পাওয়া যায় তাহলে খুবই ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আজকের এই পোস্ট। বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে এত সুন্দর একটি চিড়িয়াখানার দৃশ্য দেখে।
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
অনেক বছর আগে দেখেছিলাম চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানা। তবে মধ্যখানে অনেকদিন হলো দেখি না। কিন্তু আবারও দেখার ইচ্ছে জাগছে বাচ্চারা বললো তারা চিড়িয়াখানা দেখবে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে।
Best shot
চিড়িয়াখানা কিংবা যেকোনো জায়গায় ভ্রমণ করতে অনেক ভালো লাগে। আর আপনি চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানায় ভ্রমণ করেছেন আর ভ্রমণ পর্ব আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন এই পৃথিবীতে মানুষ কয়দিন বাঁচবে। তাই প্রজাপতির মত ঘুরে বেড়ানোর দরকার। আপনি দেখতেছি চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ঘুরতে গেলেন। আর চিড়িয়াখানাতে ঘুরতে গেলে বিভিন্ন ধরনের পাণী ও অন্যান্য জিনিস দেখা যায়। আমি নিজেও এই চিড়িয়াখানা ঘুরতে গেলাম আরো আগে। তবে এটি ঠিক বলেছেন এইখানে ৭০ টাকা করে চিড়িয়াখানার টিকিটের দাম। আর চিড়িয়াখানা ঘুরতে যাওয়া প্রথম পরবর্তী থেকে অনেক ভালো লাগলো।