বন্ধুদের সাথে খেজুর রস খেতে যাওয়ার মুহূর্ত
আসসালামুআলাইকুম/আদাব
শীতকালে প্রতিবছরই আমরা বন্ধুরা মিলে খেজুর রস খেতে যাই। আর খেজুর রস খেতে যাওয়ার এই মুহূর্তগুলো সত্যি অনেক আনন্দের। বিশেষ করে সকল বন্ধুদের সাথে নিয়ে আনন্দের সাথে এই মুহূর্তটা আমরা উপভোগ করি আপনি বিশেষ করে সকল বন্ধুরা মিলে যখন যায় তখন সেই মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো লাগে। সকল বন্ধুরা একসাথে হয়ে খেজুরের রস খাওয়াইতে যাওয়ার মুহূর্তটা অনেক আনন্দময়। তাই এবারও বন্ধুদের সাথে নিয়ে খেজুর রস খেতে গিয়েছিলাম। আর এবার আমরা গিয়েছিলাম ট্রেনে করে গিয়েছিলাম, কারণে অনেক বেশি মজা হয়েছিলো। প্রতিবছর মোটরসাইকেল নিয়ে যাই। তবে কুয়াশার মধ্যে মোটরসাইকেল চালাতে কষ্ট হয়।তাই এবার ট্রেনে করে আমরা আনন্দের সাথে বন্ধুরা মিলে গিয়েছিলাম। তো সকাল সকালেই বন্ধুদের সাথে ভোর সাড়ে পাঁচটায় ট্রেনে করে সিরাজগঞ্জে থেকে রওনা দিলাম।
তাই সকল বন্ধুরা মিলে আমরা ভোর সাড়ে চারটার সময় রওনা দিলাম। সিরাজগঞ্জ শহরে আমরা হেঁটে হেঁটে আসলাম স্টেশনে। ইস্টিশনে এসে দেখতে পেলাম তখন পাঁচটা বাজে। আর সাড়ে পাঁচটার সময় আমাদের ট্রেন যাত্রা শুরু করবে। তাই স্টেশনে বসে বসে আমরা গল্প করতেছিলাম। তবে অনেক বেশি শীত ছিল এবং স্টেশনে দেখতে পেলাম এক চা ওয়ালা চা বিক্রি করছে। আর এই শীতের সময় গরম গরম চা খেলে খারাপ হবে না। তাই ভেবে আমরা চা খাওয়ার জন্য কয়েক বন্ধু মিলে অর্ডার করলাম। আর চা খাওয়ার এই মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো লাগতেছিলো।আসলে বন্ধুরা সকলে একসাথে এই ট্রেনে করে যাওয়ার মুহূর্তটা অনেক আনন্দের। কারণ ট্রেনের মধ্যে আমরা অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করতে করতে যেতে পারবো। তাই আমরা সাড়ে পাঁচটার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।
চা খাওয়া শেষে আমরা বন্ধুরা মিলে ট্রেনে উঠলাম। ট্রেন যাত্রা শুরু করলো। চার বন্ধু মিলে একই জায়গায় বসেছিলাম যার কারণে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে ট্রেনে বসে থাকার চাইতে ট্রেনের ভিতরে ঘোরাঘুরি করা অনেক বেশি আনন্দদায়ক। তাই আমরা চার বন্ধু মিলে আনন্দের সাথে ঘোরাঘুরি করতে ছিলাম। আসলে আমরা ট্রেনের কোন টিকিট কাটেনি, কারণ সিরাজগঞ্জ থেকে উল্লাপাড়া যেতে টিকিটের চেক করা হয় না। উল্লাপাড়া থেকে আবারো যাত্রা শুরু করে এই ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে। যার কারণে আমরা টিকিট ছাড়াই আনন্দের সাথে চার বন্ধু অনেক মজা করতে করতে উল্লাপাড়া স্টেশনে এসে নামলাম।
উল্লাপাড়া স্টেশনে এসেই দেখতে পেলাম কাঁধে করে খেজুরের রস নিয়ে যাচ্ছে। সে বলল যে তার নিজের কাছ থেকে সকাল সকালেই খেজুরের রস পেড়ে নিয়ে এসেছে।সে নাকি প্রতিদিনই স্টেশনে খেজুর রস বিক্রি করে। আর সবাই তার খেজুরের রসের অনেকেই প্রশংসা করল। তাই আমার বন্ধুরা বলল এখান থেকে এক গ্লাস করে আমরা খেজুরের রস খাইয়ে, তারপরে বাগানে যাব। সেই লোকটি বলল যে আমার খেজুর রস খেয়ে যদি ভালো না লাগে টাকায় দিতে হবে না। যার কারণে আমরা স্টেশনে বসে তার খেজুরের রস এক গ্লাস করে খেতে লাগলাম। সত্যি এই খেজুর রস খেতে অনেক বেশি মজাদার ছিল।
তারপরে আমরা বন্ধুরা মিলে এক গ্লাস করে খেজুরের রস খেলাম।আর এই খেজুর রস অনেক সুস্বাদু ছিল। তারপরেও আমার বন্ধুরা বলল যে চল এখন খেজুরের বাগানে যায়। আসলে খেজুরের বাগান গিয়ে খেজুরের রস আর চোখের সামনে খেজুরের গুড় বানিয়ে বাসায় নিয়ে যাব। সেজন্য আমরা খেজুরের বাগানের দিকে রওনা দিলাম। আসলে খেজুরের রস খাওয়ার মুহূর্ত আর বেশি ভ্রমণের মুহূর্ত অসাধারণ ছিল সেই। মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগছে। পরবর্তীতে আবার আপনাদের মাঝে খেজুরের রস খেতে যাওয়ার মূহুর্ত শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। 🖤✨।
ধন্যবাদ সকলকে✨💖
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রাইটিং ✨ |
মডেল | এম-৩১ |
ক্যাপচার | @alif111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ -রাজশাহী- বাংলাদেশ। |
https://twitter.com/AhmedAlif135308/status/1869375061708415234?t=j6EimPtH9ma6YEDx5AkZFQ&s=19
অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের খেজুরের রস খাওয়ার অনুভূতি পড়ে। প্রথমে আপনারা চা পান করেছেন তারপরে খেজুরের রস। শীতের সকালের এমন চা পান করার মুহূর্ত আর খেজুরের রস খাওয়ার মুহূর্তটা খুবই ভালো লাগে।
শীতের মধ্যে বন্ধুদের সাথে খেজুর রস খেতে যাওয়ার মুহূর্ত অসাধারন। আপনারা ট্রেনে ভ্রমণ করে এই খেজুর রস খেতে গিয়েছিলেন, জানতে পেরে ভালো লাগলো।