~"|| বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে যাওয়ার অনুভূতি ||"~ (১০% লাজুক শিয়ালের জন্য বরাদ্দ)।
২৪ জৈষ্ঠ্য , ১৪২৯ খ্রিষ্টাব্দ
০৭ জুন,২০২২সাল
ভর্তি পরীক্ষা দিতে যাওয়ার অনুভূতি।
হ্যালো
বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দিতে যাওয়ার অনুভূতি।
জীবন এক যুদ্ধের নাম আপনি যদি আপনার জীবনে ভালো জায়গায় যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে অনেক ত্যাগ এবং সংগ্রামী হতে হবে। পৃথিবীর কেউ মনে হয় মায়া নিয়ে ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি। এই জীবনে আবেগের কোন অস্তিত্ব নেই জীবন শুধুই দেখবে আপনার পারফরম্যান্স। আপনি কতটা পরিশ্রম নেই কতটা সংগ্রামে তার উপর ডিপেন্ড করবে আপনার আগামী। যারা সংগ্রাম করে এগোতে পারে জীবনে তারাই সফল সফলতার দেখা পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে মায়া-দয়া ত্যাগ করে সংগ্রাম করতে হবে তবেই আপনি সফলতার দেখা পাবেন। সেটা এখন আপনি যে কোন ক্ষেত্রেই যেকোনো জায়গাতেই যান না কেন আপনাকে সুস্থ প্রতিযোগিতা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
বন্ধুরা আমি যে গল্পটি আপনাদের সাথে বলতে এসেছি আজ এই গল্পটি সঙ্গে উপরের কথাগুলো র অনেকটাই মিল আছে এজন্যই আমি শুরুতেই এই কথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। আমি একজন ছাত্র এবং আমি সেই পরিচয় এগিয়ে যাচ্ছি। একজন ছাত্র যদি ভালো ছাত্রর পরিচয় পেতে যায় সে ক্ষেত্রে তাকেও অনেক সংগ্রাম করতে হয় অনেক স্ট্রাগল করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। আর আপনি যদি ভালো কিছু করতে পারেন তাহলে এই সমাজ আপনাকে ভালো কিছু উপহার দেবে। ছাত্র জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় হলো আপনি যখন ইন্টারমিডিয়েট পাশ করবেন তারপর যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষার যুদ্ধ চলে এই যুদ্ধের সময়টা। ভর্তি পরীক্ষার এই একঘন্টা সময় অনেকের জীবন বদলে দেয় এই এক ঘন্টার গল্প অনেকের কাছেই অনেক সুখস্মৃতির এবং আবার অনেকের কাছে অনেক কষ্টের বেদনা এবং হতাশার নাম এই এক ঘন্টার পরীক্ষা।
এই ভর্তি পরীক্ষার পূর্বের সময় টা মোটামুটি একটা লম্বা সময় হাতে পাওয়া যায়। আর আমার মনে হয় ছাত্র জীবনের সবথেকে যদি বেশি পড়ার সময় বলা যায়, কোন এক ছাত্রকে যদি প্রশ্ন করা যায় যে_ তুমি সব থেকে কোন সময়টাতে বেশি পড়ালেখা করেছিলে, সে হয়তবা কোন ভাবনা চিন্তা ছাড়াই বলে দিতে পারে যে- আমার ভর্তি পরীক্ষার যুদ্ধের আগের মুহূর্তে আমি জীবনের সবথেকে বেশি পড়ালেখা করেছি। এই সময়টা বিশেষ করে যারা ভর্তি পরীক্ষা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তারা এতটা সংগ্রাম করে তাহলে মুখে বলে বা লিখে প্রকাশ করার মত অনুভুতি নয়। আমিও অনেকটাই সংগ্রাম করেছি কেননা আমার স্বপ্ন ছিল বা এখনও আছে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করব এবং ভবিষ্যতে ভালো কিছু করব। এই আশা রেখে সামনের দিকে আগাচ্ছে এখন বাকিটা আল্লাহ তায়ালার অপর আমি আমার প্রস্তুতি যতদূর পারি ইনশাল্লাহ ভালো ভাবেই নিয়ে এগোচ্ছি।
আরো অন্যান্য ছাত্র দের মত আমিও অনেক ভালো প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দেবার উদ্দেশ্যে পরীক্ষার আগের দিন রওনা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। যদি আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা ছিল এটি কিন্তু আমার সিট ছিল রাজশাহীতে এজন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সিট পড়েছিল। আগের দিন রাজশাহীতে যাবার পর সেখানে এক বড় ভাইয়ের কাছে আমি থাকলাম এবং তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে অনেক আলাপ আলোচনায় হল এবং এসব আলাপচারিতা শেষে একটু পড়াশোনা করে সে রাতের জন্য ঘুমিয়ে পড়লাম। পরদিন সকাল এগারো টায় আমার সেই ফাইনাল স্টেপ অর্থাৎ এতদিনের সংগ্রামী জীবনের এক ঘন্টার এক পরীক্ষা এখানে জীবন বদলে দিতে পারে অনেকের। আমি চিন্তা করছিলাম যতটা ভালো পরীক্ষা হবে ঠিক ততটা আশানুরূপ আমার পরীক্ষা হয়তোবা হয়নি তবে আমার মনে করি অনেক ভালো পরীক্ষা দিয়েছেন অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের তুলনায়। আশা করা যায় আমার ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল হলে অবশ্যই আমি সফলতার সহিত উত্তীর্ণ হতে পারব।
বন্ধুরা সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হতে পারি। পরিশেষে সকলের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। সকলে ভাল থাকবেন এবং অন্যকে ভাল রাখবেন।
Join the Discord Server for more Details
জীবন পাতার শেষ হওয়া একটা পাতার সংরক্ষণঃ
আসলে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়া অনেকেরই স্বপ্ন থাকে। আপনি আপনার স্বপ্ন নিয়ে এই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন এবং ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন শুনে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক দোয়া রইলো ভাই আপনি যেন খুব ভালো ফলাফল নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন।
আপনার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দিতে যাওয়ার অনুভূতি গুলো খুব সুন্দর করে লিখেছেন। তবে আপনার ব্লগ লেখার প্রশংসা করতে হয়। কারণ আপনি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারেন। তবে হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন ভালোবাসা কিংবা মায়া নিয়ে ভালো কোনো কিছু করা যায় না। জীবনসংগ্রামী এবং ভালো কিছু অর্জন করতে হলে সংগ্রাম করে যেতে হয়। আপনার প্রত্যেকটা কথাই ছিল দারুণ। আপনার অনুভূতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আসলে কথাটা ঠিক বলেছেন। এক ঘণ্টার এই পরীক্ষাটা সবার জীবন বদলে দিতে পারে। আসলে সবাই এই পরীক্ষাটার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকে। এমনকি অনেক পড়াশোনা করতে হয়। আপনার পরীক্ষা দেওয়ার মুহূর্ত সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার পোস্ট পড়ে আমার অতীত এর কথা মনে পড়ে গেলো। যদিও আমি ভর্তি পরীক্ষা দেইনি। তবে আমার বন্ধুরা দিয়েছিলো ওদের সাথে ঘুরেছি।
আপনার জন্য দোয়া রইলো ভাই। ইনশাআল্লাহ চান্স পেয়ে যাবেন। পরীক্ষার বিষয়টা মূলত আত্মবিশ্বাস এর উপর নির্ভর করে। আপনার যদি মনোবল ভালো থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি ভালো কিছু করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।