উত্তরবঙ্গের শীত
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়লার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো আছি। তবে গতকাল ট্রেন জার্নিটা আমার জন্য একটু বেশি কষ্টকর ছিল। কারণ উত্তরবঙ্গে খুব বেশি পরিমাণে শীত পড়েছে এবং এই শীতের পরিমাণ এত অধিক যারা এই দিকে বসবাস করে শুধুমাত্র তারাই অনুভব করতে পারবেন।
দুদিন আগেই ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে। একদিন এই তিনটা করে পরীক্ষা দেওয়ার পরে অনেকটাই ক্লান্ত ছিলাম তাই দুদিন পরে গ্রামের বাসায় আসা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম দুইদিন একটু রেস্ট নেব কিন্তু সেই কাজও হলো না। আমি আমার ঢাকার বাসায়টা ভালোভাবে গুছিয়ে তারপরে নীলফামারীতে এসেছি। এই গোছানোতেই আবার বেশ কিছু খাটনি করতে হয়েছে। জানেন তো বাসার কাজগুলো কত থাকে ছোট ছোট কাজ হলেও অনেক বেশি বেশি কাজগুলো করতে হয়। তাছাড়া এসব কিছু দেখার জন্য আমাদের আলাদা কোন লোক নেওয়া নেই ঢাকায়। তাই যে কোন কাজ আমাদেরকে নিজেই করতে হয়। এই দিক থেকে একটু ঝামেলার মধ্যে ছিলাম গত দুদিন।
গতকাল ট্রেন ঠিক সময়ে এসেছে এবং ঠিক সময় আমরা ট্রেনের মধ্যে ঠিকঠাকভাবে উঠতে পেরেছিলাম। তবে আমাদের উত্তরবঙ্গের ট্রেন বরাবরের মতোই অনেকটা অবহেলিত হচ্ছে। টাঙ্গাইল যাওয়ার আগ পর্যন্তই আমাদের প্রায় তিন ঘন্টার মতো ক্রসিং এর মধ্যে বসে থাকতে হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়ে ট্রেন থামিয়ে দেয়। এদিকে আমাদের যমুনা সেতু পার হতে হতেই রাত একটা বেজে যায়। যেখানে রাত দশটার আগেই ঈশ্বরদীতে পৌঁছানোর কথা ছিল সেই ট্রেন রাত একটা সময় যমুনা সেতু পার হচ্ছে। বিষয়টা একটু অবাক লাগলেও কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের উত্তরবঙ্গে আসার পরে ট্রেন এত স্পিডে চলতে থাকে, আমাদেরকে শুধুমাত্র এক ঘন্টা লেটেই নীলফামারীতে নামিয়ে দিয়েছিল। ঠিক ভোর চারটার সময়।
গতকাল আমাদের এলাকায় খুব একটা বেশি কুয়াশার ছিল না তবে সেই সময় যে প্রকারের ঠান্ডাটা লেগেছে সেটার বলার মত নয় হঠাৎ। করেই মনে হচ্ছে ফ্রিজের মধ্যে ঢুকে পড়েছি তাও আবার নরমালে নয় ডিপ ফ্রিজে। গতকাল ট্রেনে আসার সময় নরমাল বগিতে এসেছি যার কারণে ট্রেনের মধ্যেও খুব বেশি একটা গরম ছিল না। বরঞ্চ ঠান্ডা বাতাস ছিলো। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তো লেগেই রয়েছে। সব মিলিয়ে ভোরের ঠান্ডা টা খুব বেশি লেগেছে রিক্সায় করে যখন বাসায় আসি তখন মনে হচ্ছিল যেন আমি কোন বরফের দেশে চলে এসেছি। যার কারণে আজকে সারাদিনেই কথা বলতে পারি নি। গলা ব্যথায় এবং জ্বর সর্দি তো লেগেই রয়েছে সব মিলিয়ে খুব খারাপ অবস্থা।যাইহোক আজকের মত এখানে শেষ করছি, আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: উত্তরবঙ্গের শীত
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
উত্তরবঙ্গে আসলেই অনেক শীত পড়ে। ঢাকা থেকে নীলফামারিতে যেতে যেতেই তো আপনার অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে ভাই। যে কয়দিন নীলফামারিতে থাকবেন, সাবধানে থাকার চেষ্টা করবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।
পোষ্টের শেষের অংশে শীতের বিবরণ করে আমার নিজেরই তো শীত লেগে যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গে ট্রেন জার্নি করা হয়নি তাই ট্রেন সম্পর্কে কোন আইডিয়া নেই তবে শেষের দিকে ট্রেন অনেকটাই দ্রুত গতিতে গিয়েছিল যার কারণে কিছুটা টাইমমেন্ট করতে পেরেছে।
পরীক্ষা শেষ করে অবশেষে আমাদের উত্তরবঙ্গে এসেছেন শুনে ভালো লাগলো ভাইয়া। আমাদের রংপুরে বর্তমানে রাত্রিবেলা আট বা ৭ ডিগ্রী তাপমাত্রা নেমে আসছে। দিনের বেলা ১৫ ,১৬ এরকম থাকে। আপনিতো ঢাকা শহরে ছিলেন হঠাৎ করেই এদিকে আসার কারণে হয়তো এত ঠান্ডা লেগে গেছে। যাইহোক ঢাকা থেকে নীলফামারী আসার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
উওরবঙ্গে সাধারণত ঠান্ডা বেশিই পড়ে থাকে। পরীক্ষার প্যারা শেষ করে বাড়িতে যাওয়া। আহ এ যেন অন্যরকম একটা ভালোলাগার মতো অনূভুতি। দারুণ লাগল আপনার পোস্ট টা ভাই। সবমিলিয়ে বেশ সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।।