স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা বেশি কঠিন
হ্যালো বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনার সবাই কেমন আছেন? জানি, আপনাদের মনের অবস্থা খুব একটা ভালো নেই। কারণ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ঠিক আছে কিন্তু এরপরে যে অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে তা মোটেও কাম্য ছিল না। আসলেই স্বাধীনতা কি কিংবা আমরা কি আসলেই স্বাধীন হতে পেরেছি নাকি একটি অসভ্য জাতি হয়ে রয়ে গেছি?
আজকের দিন বাংলাদেশের জন্য অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এই দিনে বেশ কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। যেগুলো আসলে বাংলাদেশের পরবর্তী ভাগ্য নির্ধারণের ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা প্রায় সকলেই আপনারা জানেন। কোথাও কোথাও বিজয় মিছিল বের হয়েছিল এবং আনন্দ উল্লাস হচ্ছিল কিন্তু এর মাঝে একটি দল জান-মান ধ্বংস করছিল, লুটরাজ করছিল। আসলে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার একটি বিষয়। ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে আন্দোলনের মোড় পরিবর্তন করে দিয়েছিল, যার কারণেই শেখ হাসিনাকে আজকে পদত্যাগ করে পালিয়ে যেতে হলো।
দুপুর তিনটা পর্যন্ত তারপরও দেশের অবস্থা মোটামুটি ভালো ছিল কিন্তু যখন এই শোনা গেল শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছে তখন থেকে নৈরাজ্যতা বেড়ে গেল। বিভিন্ন বাসায় ভাঙ্গচুর করা হলো। অগ্নি সংযোগ দেওয়া হলো এবং যেখানে সেখানে লুট করা শুরু হলো। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্থাপনায় এছাড়াও বিভিন্ন জন ক্ষুদ্র জাতির উপরেও নির্যাতন শুরু হয়েছে। আসলে এটাই কি আমাদের কাম্য ছিল? আমাদের এইদিকেও প্রচুর বাসায় আগুন দেওয়া হয়েছে। প্রচুর অফিস ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। আসলে, কেন আবার হিংসার বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। যেহেতু বাংলাদেশের ছাত্ররা স্বৈরাচারকে দমন করতে পেরেছে তাহলে এই জনগণের মধ্য থেকে আরেক স্বৈরাচার দল কিভাবে ও উঠে পড়ল?
বাঙালি এমন এক জাতি যে জাতি নিজের ভাষার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত হয়েছিল। কিন্তু আজ যখন দেশের ভাগ্য পরিবর্তনের দায়িত্ব ছাত্রদের কাঁধে এসে পড়ল এর মাঝে একদল সন্ত্রাসী লোক...... আসলে এই লোকরা বা কোন ছাত্র হতে পারে না, বরং এটা সন্ত্রাসী দলের কর্মকাণ্ড হতে পারে। মানুষকে ম্যানুপুলেশন করার জন্য এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের এজেন্ডা থাকতে পারে। তারপরও বাংলাদেশের ছাত্ররাও কিন্তু কম নয়, বিভিন্ন মন্দির সামনে তারা অবস্থানরত রয়েছে। প্রত্যেক মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে আর অরাজকতা ছড়ানো জাতে না হয়, সে বিষয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও একদল বখাটে সন্ত্রাসী তারা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। জানিনা আগামীকাল সকালে উঠে কি কি শুনতে পারবো আবারও।।।
দেশটা আমরা স্বাধীন করতে পারলাম ঠিকই কিন্তু আমাদের সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই স্বাধীনতাকে বজায় রাখা। তারপরও সৃষ্টিকর্তার কাছে অকুল আবেদন জানাই সমস্ত পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক হয় এবং প্রত্যেকেই আমরা মিলেমিশে যেন এই বাংলাদেশে বসবাস করতে পারি। এছাড়া আর কিছু চাওয়ার নেই। অনেক কিছুই লিখব ভাবছিলাম আসলে মন মেজাজ কোনটাই ঠিক নেই। এবং ঠিকভাবে লিখতে পারছি না তারপরও কিছু লিখেছি। আজকের মত আপনাদের সকলকে বিদায় জানাচ্ছি, ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা বেশি কঠিন
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
সত্যিই ভাইয়া আমিও আনন্দ মিছিলে কাল টি এস সি গিশেছিলাম।কিন্তু ৫ টায় যখন বাসায় ফিরি তখন বাসার কাছে এসে দেখি থানায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।এটা কোন ছাত্রের কাজ নয়।এটা সন্ত্রাসী দের কর্মকান্ড।দেশ স্বাধীন হওয়া বড় ব্যাপার নয়।বরং এটা রক্ষা করা খুব জরুরী। আশাকরি দেশ থেকে এ ধরনের নৈরাজ্য দূর হবে।সবাই নিরাপদে থেকে ভালো থাকবে এমনটাই আশাকরি।
বিষয়গুলো সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। এত শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরার পর যখন স্বাধীনতা এলো তখন সন্ত্রাস রা অনেকগুলো জায়গাতেই হামলা করেছে। এছাড়াও বিজয় উল্লাসের নামে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতিতে ভাঙচুর করেছে। এসব এখন সত্যিই তৃতীয় পক্ষের কাজ। সত্যিই স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।
আমাদের দেশটা হয়তো স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু এইসব কর্মকান্ডের কারণে সত্যি অনেক খারাপ লাগছে। সন্ত্রাসীরা সবকিছুই ধ্বংস করে দিচ্ছে, কিন্তু এসব কিছু স্টুডেন্টদের কাজ না। অফিস থানা সবকিছুই এখন ধ্বংস করে দিচ্ছে সন্ত্রাসী। এই স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করাটা আসলেই কিন্তু অনেক কঠিন ব্যাপার। তবে সবকিছু সুন্দরভাবে শান্তিপূর্ণ হবে কিনা এটা দেখতে হবে শুধু আমাদের। খুব সুন্দর করে লিখেছেন ভাইয়া আপনি এই লেখাগুলো। ধন্যবাদ সময় উপযোগী বিষয়গুলোকে নিয়ে এত সুন্দর করে লেখার জন্য।
এই কথাটা আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছিলেন, কিন্তু তখন কেউ বিশ্বাস করেনি। কি পরিমাণে ভাংচুর এবং লুটপাট করা হয়েছে গতকালকে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। অসংখ্য মানুষ নির্ঘুম কাটিয়েছে সারাটা রাত। যাইহোক আমাদের সবার উচিত সংখ্যালঘুদেরকে রক্ষা করার চেষ্টা করা। সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।