বাসা পরিবর্তন
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনাদের সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। গত ২-৩ দিন ধরে যতটা ব্যাস্ত ছিলাম মনে হয় না পুরো বছরে এতো ব্যাস্ত ও কাজ করতে হয়েছে। এই তো গত ১ তারিখ নতুন বাসায় উঠলাম। আগের বাসা ঢাকা থেকে অনেক দূরে ছিলো এবং ঢাকা যাতায়াত করতেও অনেক কষ্ট হত। আগে সেখানেই জব করতাম তাই ও দিকে বাসা নেওয়া হয়েছিলো। যেহেতু জবটা ছেরে দিয়েছি তাই সে দিকে থাকার কোন প্রশ্নই আসে না। তারপর ও এই বাসা পরিবর্তনের ভয়ে কিছু মাস বাসা পরিবর্তন করি নি।
তবে এবার বুকে সাহস নিয়ে বাসা পরিবর্তনের কাজে লেগে পরেছিলাম। তবে এ কাজ যে এতো প্যারা দায়ক আগে জানতাম না। এক হাতে সব কিছু করতে হয়েছে। যদি ও আম্মু আসতে চেয়েছিলো আমি বারন করেছিলাম কারন আমি চাই নি যে আমার মা এর কোন কষ্ট হোক, নিজের একটু বেশি প্যারা হলেও সব কাজ এক হাতে করেছি। তবে নতুন বাসায় যে দিন উঠেছি আম্মু ও চলে এসেছে। তবে ভারি ভারি কাজ গুলো আগেই শেষ করে রেখেছিলাম। এখন আমি, আম্মু ও ছোট ভাই সবাই মিলে আস্তে আস্তে রুম গুলো গুছিয়ে নিচ্ছি।
আসলে সব থেকে প্যারাময় কাজ হচ্ছে ঢাকা শহরে বাসা পরিবর্তন করা এবং এই বাসা পরিবর্তন করতে গিয়ে যে ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যারা এই কাজটি করে তারাই সবথেকে ভালো জানে। সমস্যাটি তখন আরো বেড়ে যায় যখন সেই বাসার পরিবর্তন করতে হয় পাচ তলার উপর থেকে। আমি যেখানে ছিলাম সেখানে পাচ তলার উপরেই আমি থাকতাম এবং সেখান থেকেই সব ধরনের আসবাবপত্র নিচে নিয়ে এসে গাড়িতে গোছানো এবং পরবর্তীতে নতুন বাসায় উঠানো এই বিষয়গুলো সত্যি অনেক কষ্ট কর একটি বিষয়ে ও সময় সাপেক্ষ এবং অর্থেরও বেশি খরচ হয়।
যেহেতু আগের বাসায় আমি একাই থাকতাম তাই সব কাজ একা হাতে করতে হয়েছে এবং আস্তে আস্তে করে সবকিছুই গুছিয়ে গিয়েছিলাম। শেষের দুই দিনে সব বড় বড় ভারী কাজগুলো করেছি। বাসা পরিবর্তনের দিন বেশ কিছু সমস্যার মধ্যে পড়েছিলাম। যে গাড়ি ঠিক করেছিলাম সেই গাড়ি আবার নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, সবমিলিয়ে একটা হয়রানির মধ্যে ছিলাম।
পরবর্তীতে সেই গাড়ি পরিবর্তন করে নতুন আরেকটি গাড়ি ভাড়া করতে হয়েছিল এবং এই বিষয়গুলোতে সময় অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল। তারপরও সবকিছু ভালোই ভালোই হয়েছে এটাই আল্লাহতালার কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া। পরবর্তীতে নতুন বাসায় এসে সব মাল ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম এবং তার কিছুক্ষণ পরেই আমার মা এবং ছোট ভাই নতুন বাসায় প্রবেশ করে। তখন থেকেই নতুন বাসা গোছানোর কাজ চলছে। গতকালকে আমার রুমটা শুধুমাত্র কোনভাবে গোছানো হয়েছিল। এখনো বারান্দায় এবং আমার ছোট ভাইয়ের রুম গোছানো বাকি। পরবর্তীতে রান্নাঘর এবং আরো বিভিন্ন আসবাবপত্র লাগবে সে সবগুলো লিস্ট করে পরে আনতে হবে।
এইতো আজ নতুন বাসায় আম্মু রান্না করছে। আম্মু হাতের রান্না খাবো অনেক দিন পরে, ভেবেই অনেক ভালো লাগছে এবং আজকে শরীরটাও কেন জানি খুব একটা বেশি ভালো লাগছে না। আজকের মত এখানেই শেষ করছি পরবর্তীতে আবার দেখা হবে। আজকের মত বিদায়।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: বাসা পরিবর্তন
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
যাক সব ভালোভাবে মিটেছে তাহলে। শুধু কিছু সমস্যা হয়েছে দেখে খারাপ লাগলো।। তবে সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠেছো এটাই বড় কথা। ঘরগুলো বেশ ভালই হয়েছে। আর পাঁচতলার ওপর হাওয়া বাতাস খেলা হবে। এবার ঢাকা গেলে তোমার বাসায় আসছি।
অবস্বই, দাওয়াত রইলো
হাহা বাসা পরিবর্তন করতে অবশেষে বুকে সাহস নিয়ে লেগে গেলেন।এই কাজটি আসলেই খুব কষ্টের।আর সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার ওইদিনটি যেদিন বাসা ট্রান্সফার করা হয়।যাক তারপরেও আপনি পরিবর্তন করে ফেলেছেন বাসা অবশেষে।এখন শুধু গোছানোর কাজটি বাকি।বাসা পরিবর্তনে হয়রানি কিছুটা হতেই হয়।গাড়ি নষ্ট হওয়ার জন্য আপনার পড়তে হয়েছিল।ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ভাইয়া।
ঢাকা শহরের মধ্যে বাসা পরিবর্তন করা কিছু টা কষ্টকর। আপনি একাই বাসা পরিবর্তনের সকল ধরনের কাজ সম্পন্ন করেছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো। তবে, আপনাকে অনেক টা পরিশ্রম করতে হয়েছে। যাইহোক, আমরা আশা করছি এই বাসায় আপনি দীর্ঘ দিন ধরে থাকতে পারবেন।
বাসা পরিবর্তন করা আসলেই বেশ ঝামেলার কাজ। যাইহোক সবকিছু ঠিকঠাক মতো সম্পন্ন হয়েছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। এখন আপনার জার্নি অনেকটাই কমে যাবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।
ঢাকা শহরে বাসা পরিবর্তনের মতো ঝামেলার আর যন্ত্রণার কিছু সম্ভবত আর হয় না। আপনার ব্যাপার টা আমি বুঝতে পারছি। আপনার লেখার মধ্যেও যেন অস্বস্তি টা ফুটে উঠেছে।
বাসা চেঞ্জ করার মত কষ্টের কাজ আর কিছু নেই। যে বাসা চেঞ্জ করে সেই একমাত্র বুঝতে পারে তার মাথার উপর দিয়ে কি যাচ্ছে।যাইহোক নতুন বাসায় প্রবেশ করেছেন এবং বাসা গোছানোর কাজ চলছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাই। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
পাঁচ তলা থেকে সব জিনিস নিচে নেমে আনা আসলে অনেক কষ্টকর হয়ে গিয়েছে ভাইয়া ।এমনিতেই বাসা পরিবর্তন করলে অনেক কষ্ট হয়ে যায় ।যখন বাসা পরিবর্তন করা হয় তখন অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে সময় কাটে। আশা করি বাসা পরিবর্তন করে নতুন বাসায় গিয়ে আপনার অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া শুভকামনা রইল।