পার্কার সোলার প্রোব (Parker Solar Probe) ইতিহাস তৈরি করল।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো আছি। তবে একটু অসুস্থতার মধ্যে রয়েছি ইনশাআল্লাহ সেটা খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে যাবে। আজ আমি একটু মহাকাশের কিছু বিষয় বস্তু নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। মানব সভ্যতা নতুন একটি ইতিহাস গড়ে ফেলেছে হয়ত। এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত অফিশিয়ালি কোন স্টেটমেন্ট পাওয়া যায়নি। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেটা অবশ্যই একটি নতুন ইতিহাস। সেই বিষয়ে আজকে আলোচনা করব।
আমরা সকলেই আমাদের সৌরজগৎ সম্পর্কে কমবেশি ধারণা রাখি এবং এটাও জানি সূর্য আমাদের সৌরজগতের একদম সেন্টারে অবস্থিত। এই সূর্যকে নিয়েই সেই শতাব্দী থেকে শতাব্দি পর্যন্ত গবেষণা চলেছে। এই সূর্য কিভাবে কাজ করছে, কিভাবে নিউক্লিয়ার ফীকশনগুলো ঘটাচ্ছে। সেসব বিষয়গুলো আমরা আগে থেকেই জানার চেষ্টা করেছিলাম। তবে 2018 সালের নতুন একটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল যার কারণে সূর্যকে আরো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবো।
আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে ২০১৮ সালে যখন এই প্রজেক্টটি লঞ্চ করা হয় তখন নাসা কর্তৃক একটি পার্কার সোলার প্রোব পাঠানে করেছিল। যেখানে প্রায় বিশ লাখ মানুষ তার নিজের নাম দিয়েছিল যে নামটি সূর্যের কাছে পাঠানো হবে। অর্থাৎ কোন এক সময় যখন এই পার্কার সোলার প্রুফ স্পেসক্রাফটি সূর্যের ভিতরে পতিত করা হবে তখন সেটা তাদের নাম গুলো সূর্যের মধ্যে চলে যাবে। এরকম একটা ফানি প্রজেক্ট করা হয়েছিল। সেখানে আমিও নাম দিয়েছিলাম। তাই এই প্রজেক্ট সম্পর্কে সব সময় একটু খোঁজ খবর রাখার চেষ্টা করি। বর্তমানে নতুন একটি খবর আমরা শুনতে পারছি সেটা হচ্ছে, সূর্যের যে বাহিরের বায়ুমণ্ডল রয়েছেন সেই পর্যন্ত আমাদের মানব সভ্যতার কোন যন্ত্র কিংবা কোন স্পেসক্রাফট এখন পর্যন্ত যেতে পারেনি।
বর্তমানে সেই স্পেসক্রাফের সাথে আমাদের পৃথিবীবাসীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন গত ২৪ তারিখে হয়তো স্পেসক্রাফটি সৌরজগতের বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করেছে। যদি এটা হয়ে থাকে তাহলে এটা একটা মানব সভ্যতার জন্য নতুন ইতিহাস সূর্যকে এত কাছ থেকে অবজারভেশন করার মত কোন স্পেসক্রাফট এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি। পার্কার সোলার প্রোব এটি বর্তমানে সূর্যের যে বাহিরের বায়ুমণ্ডল রয়েছে সেই বায়ুমণ্ডলের ভিতরেই প্রবেশ করেছে।
বর্তমানে এখন পর্যন্ত সেটার কোন তথ্য কিংবা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন গত ২৪ তারিখেই সেই সোলার স্পেসক্রাফটি সৌরজগতের বায়ুমণ্ডলের ভিতরে প্রবেশ করেছে এবং এটার সাথে এখন সম্পূর্ণভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। হয়তো কয়েকদিন পরেই আবার সংযোগটা সচল হবে। তবে এই সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বিজ্ঞানীরা অনেক টেনশন এ রয়েছেন। তবে তারা ক্যালকুলেশন করে দেখেছেন কোন ধরনের সমস্যা নেই। সেখানে প্রচন্ড পরিমাণের রেডিয়েশন এবং তাপমাত্রার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সেই স্পেসক্রাফটিকে। আপনারা কি মনে করেন, আগামী একশ বছরে আমাদের মানব সভ্যতার টেকনোলজি কত দূর পর্যন্ত যেতে পারে সেটা অবশ্যই মন্তব্য জানাবেন, ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: পার্কার সোলার প্রোব (Parker Solar Probe)
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
আগামী একশ বছরে আরও একটা গ্রহ আবিষ্কার হয়ে যাবে যেখানে মানুষ বা মানুষের মতো অন্য কোন জীব রয়েছে।
গতকাল একটা স্পেশ মিউজিয়ামে গেছিলাম। দারুণ অভিজ্ঞতা হল। সামনে থেকে মঙ্গলযান, চন্দ্রযান আদিত্য এল ওয়ান এদের রেপ্লিকা দেখলাম। তোমার ব্লগ পড়তে পড়তে ওইগুলো চোখে ভাসছিল।
এলিয়েন আবিস্কার হতে আরো লক্ষ বছর অপেক্ষা করতে হবে, কেন তা অন্য পোস্টে তুলে ধরবো।
বিজ্ঞানীদের ধারণা সঠিক হলে তো সত্যি সত্যিই ইতিহাস সৃষ্টি হয়ে যাবে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে বিজ্ঞানীরা সঠিক ধারণাই করছে। যাইহোক আগামী ১০০ বছর বাঁচবো না,তাই এতকিছু ভেবে লাভ নেই ভাই হা হা হা।
বর্তমানে তথ্যই সম্পদ, তাই জানার কোন শেষ নেই ভাই।