"বস আই হেইট ইউ" নাটকের রিভিউ।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
হায় বন্ধুরা
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি।সৃজনশীলতা লক্ষ্যে আজ আমি আমার পোস্টে কিছু ভিন্নতা আনার জন্য আপনাদের একটি নাটকের রিভিউ পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। ইদানীং আমি লক্ষ্য করলাম আমার বাংলা ব্লগে অনেক সুন্দর সুন্দর রিভিউ পোস্ট করা হচ্ছে।তাই আমিও রিভিউ করার প্রতি উৎসাহিত হলাম।আমি আশা করি, আমার আজকের নাটকের রিভিউটি পড়ে আপনাদের বেশ ভাল লাগবে।
প্রাপ্তি: YouTube
তাহলে চলুন শুরু করা যাক-
গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
নাটক : | বস আই হেইট ইউ |
পরিচালনা: | বি ইউ শুভ |
অভিনয়ে : | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, কেয়া পায়েল, সিয়াম নাসির, পীরজাদা শহীদুল হারুন প্রমুখ। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | হাসির ও রোমান্টিক |
মুক্তিরতারিখ | ১৯ শে মে, ২০২২ইং |
দৈর্ঘ্য | ৪৪ মিনিট ১০ সেকেন্ড। |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
শুরুতে দেখা যাচ্ছে এই নাটকের পার্শ্বচরিত্র নায়িকা যার এই নাটকে নাম নোরা তার বন্ধু এবং বান্ধবীকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে।এমন সময় তার বান্ধবী তার আরেক বন্ধুকে বলছে,তুই যে গদ গদ করে মিষ্টি গিলতেছিস।কি কারনে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে জানিস তুই।তার বন্ধু বলে মিষ্টি যেহেতু খাওয়াচ্ছে, কোন সু:সংবাদ আছে। তাই খাওয়াচ্ছে। তোর কোন সমস্যা।এমন সময় নোরা তার বান্ধবীকে বলে তুই আরেকটা খা।তার বান্ধবী বলে,আমি একটা কেন অনেকগুলো খাবো।তার আগে তুই কারনটা বল।কি কারনে তুই মিষ্টি খাওয়াচ্ছিস।এমন সময় নোরা বলে,কারনটা হচ্ছে, আমি একটা জব পাইছি।এমন সময় নোরার বন্ধু বলে,দোস কংগ্রেচুলেশন সবচেয়েূ আমি বেশি খুশি হয়েছি।আগে তুই বল,কোথায় তুই জব পাইছিস।আমি ওইখানে যাবো।দুই-তিনটা জব নিয়া আইসা পরবো।এমন সময় নোরার বান্ধবি আর বন্ধুকে বলে,বন্ধু সবসময় তুই সব বিষয় নিয়ে মজা করিছ।থাক এগুলো বাদ দে।তার বান্ধবি বলে, কংগ্রেচুলেশন।আরও বলে,তবে একটা ব্যাপার কি জানিস,আমি আগে দেখতাম কারো ব্রেক হলে চোখের নিচে সেডো পরে কি খারাপ অবস্থা!তোর জব হয়ে গেল।তোর কপালটা দেখছিস।এমন সময় নোরা বলে,আমার কি যোগ্যতা নাই জব হবার।আমার যোগ্যতা আছে দেইখা আমারে জবটা দিছে।আরও বলে আমার ব্রেকআপ হইছে কি রিসেন্ট।সেই কবে।কিসের মধ্যে কি।তাদের বন্ধু বলে, এই যে তুই মহা মানবের মতো মিষ্টিটা নিয়া আইসা পরলি।এখন কি মিষ্টির চল আছে।এখন জব হইলে মানুষ কি করে, ঢাকা শহরে এত সুন্দর সুন্দর রেস্টুরেন্ট।সেখানে নিয়ে পিৎজা খাওয়ায় আরও কত কি? নোরা বলে,এইজন্য তো আমার স্যালারিটা পেতে হবে।একটু ওয়েট কর।যেহেতু স্যালারিটা বেশি,খাবার দাবারটা ও ততবেশি হবে।
(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)
পরের দৃশ্যে দেখা যায় এই নাটকের মূল চরিত্র নাটকের নায়ক যার নাটকে নাম সাব্বির।অফিসে বসে এক কর্মচারির সাথে কথা বলছে।তার মুখ প্রথমে যে কাগজ নিয়ে কর্মচারির সাথে কথা বলছিল তা দিয়ে ঢাকা ছিল।এমন সময় নোরা মে কামিং স্যার বলে বসের রোমে ঢুকে।তখন নোরা বলে,স্যার আমি নোরা।আজকে ফাস্ট জয়েন করেছি। সাব্বির যখনই তার সামনে থেকে কাগজটি সরায়। বলে, ইয়া আই নো।এমন সময় নোরা বলে তুমি।এই শব্দ শুনে নোরার দিকে তাকিয়ে বলে,আপনি।এমন সময় নোরা পাশে থাকা কর্মচারির দিকে চেয়ে লজ্জা পায় এবং বলে সরি স্যার।এরপর বলে,আপনি ।তখন সাব্বির বলে বস।এমন সময় সাব্বির যখন কর্মচারির সাথে কথা বলছিল তখন নোরা চেয়ারে বসতে নিলে সাব্বির বলে, আমি বসতে বলেছি?তখন নোরা বলে ,স্যার আপনি তো বললেন।তখন সাব্বির বলল,আমি বলেছি,আমি তোমার বস।আমি কি তোমাকে বসতে বলেছি? নোরা চোখে মুখে ফুলতে থাকে।এরপর সাব্বির বললেন,দাড়িয়ে আছেন কেন।নোরা বলল,আপনি বললেন দাড়িয়ে থাকতে।ঠিক আছে বস।এরএরপর সাব্বির জিজ্ঞেস করে কি নাম?এমন সময় নোরা বলে,স্যার নাম তো আপনি জানেন? এমন সময় সাব্বির সাথে থাকা কর্মচারী দিকে তাকিয়ে বলে,আমাকে দেখে কি মনে হয় আমি মানুষের নাম মনে রাখতে পারি ।কর্মচারী বলে, জিনা না স্যার।কারো নাম মনে রাখার সময় কি আছে আমার।কর্মচারী বলে, জিনা না স্যার।তাও আবার আম জনতার।তখন সাব্বির বলে, নাম মনে থাকলেও ভুলে গেছি।নামটা বলে,মনে করিয়ে দাও। তখন নোরা বলে নোরা মাহবুব।এরপর সাব্বির বলে,তুমি সিনসিয়ারলি কাজ করবে।পাংচুয়ারলি হবার চেষ্টা করবে।এটা কিন্তু ওয়াল্ড ডিসিপ্লিন অফিস।ডিসিপ্লিন মেনে চলবে।এরপর আরও বলে ফোন হা, সবসময় হাতের কাছে রাখবে।একবারের জায়গায় যাতে দুইবার ফোনে রিং না হয়।কারন কেউ যদি ফোন ধরতে দেরি করে বা না ধরে আমার কিন্তু মাথার তার ছিড়ে যায়।এমন সময় সাব্বির সাথের কর্মচারীকে আরও কিছু বুঝায়।এরপর নোরাকে বলে,তুমি বসে আছো কেন? এরপর বলে ডেস্কে যাও, কাজ কর।এরপর নোরা চলে যাওয়ার সময় সাব্বির বলে, তুমি যাচ্ছ কার কাছে?জামান সাহেবের কাছে।ওকে,জামান সাহেব সব বুঝিয়ে দিবে।মাথায় ঘিলু কম নাকি।এত হাই স্যালারি দিয়ে এমন একটা, ঠিক আছে ,সমস্যা নেই।এরপর নোরা যখন চলে যাবে তখন সাব্বির বলে,সালাম কে দিবে।এমন সময় নোরা ঘুরে সালাম দেয় এবং চলে যায়।সাথে থাকা কর্মচারিও যখন চলে যায়,সাব্বির তখন খুব হাসে।
(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)
পরের দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে, নোরা তার বন্ধুদের সামনে কান্না করছে আর বলছে,দোস আমি তো ফাইসা গেছি।এমন সময় তার বন্ধু বলে,দুইদিন ধরে চাকুরি পাইসত আর ফাসা ফাসির কি আছে।নোরা বলে,আমি যে অফিসের পিএস হিসাবে চাকুরি নিছি না ! ওই অফিসের এম ডি আমার এক্স বয় ফ্রেন্ড।এমন সময় যখন নোরা মন খারাপ করে তখন তার বান্ধবি বলে,ওয়েট ওয়েট ওয়েট এক্স বয় ফ্রেন্ড মানে তুই যাকে নাকে দড়ি দিয়া ঘুরাইতি,সেই সাব্বির।নোরা বলে,নাকে দড়ি দিয়া আমি কবে ঘুরাইছি,সব আজব কথা।আমি তো একটাই প্রেম করছি।নোরার বন্ধু বলল,ও বস হইল কেমনে।নোরা বলে,আরে ও ওই অফিসের এমডি ছিল না।ওর বাবা ওই অফিসের এমডি।ওর বাবা ওকে এখন নতুন করে এমডি হিসেবে ওকে নিয়োগ দিয়েছে।নোরার বন্ধু বলে,ব্যাপারটা বুঝতে পারছি।ওর বাপ ওকে এমডি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।আর ও তোকে পিএস হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।আরও বলে তুমি ফাইসা গেছো।নোরার বান্ধবী বলে ফাসার কি আছে।ভালো না লাগলে চাকুুরি ছাইড়া দিবে।নোরা বলে,তোর মনে কি হয় পারলে আমি চাকুরিটা ছেড়ে দিতাম না।আমি চাকুরি করার জন্য বসে আছি নাকি।আরে আমি তো পুরোপুরি ফেসে গেছি।ওদের সাথে আমি দুই বছরের এগ্রিমেন্ট করেছি।আবার পেপারসে,নিজ হাতে সাইনটা করছি।দুই বছরের মধ্যে চাকুরিটা ছাড়তে পারবো না।
(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)
এর পরের দৃশ্যে দেখা যায় সাব্বির অফিস থেকে বের হয় সাথে নোরাও বের হয়।সাব্বির হঠাৎ টিস্যু চায়।নোরা ব্যাগ থেকে টিস্যু বের করে দেয়।সাব্বির টিস্যু দিয়ে কপাল মুছে নোরার হাতে তুলে দেয়। বলে, ব্যাগে রেখে দাও।নোরা রাগে মাটিতে ফেলে দেয়।সাব্বির নোরাকে বলে,টিস্যুটা মাটিতে ফেললে কেনো?নোরা বলে, জি বস।এরপর সাব্বির বলে,তোমাদের মতো মানুষের জন্য শহরটা আজ নোংরা।তোল,টিস্যুটা মাটি থেকে তোল।তোল বলে ধমক দেয়।আর সাথে সাথে তোলে এবং বলে,কোথায় কোন ডাসবিন পেলে সেখানে ফেলে দিবে। নোরা রাগে ফুলতে থাকে।এরপর সাব্বির বলে,সেক্রেটারি বাহিরে অনেক রোদ্র।আমার চেহারাটা সালবান হয়ে যাচ্ছে। ভিতর থেকে ছাতা নিয়ে আসো।নোরা বলে,বস সানই তো নাই,বান হবেন কিভাবে?সাব্বির বলে,মাথায় যদি কোন গিলু থাকতো এবং আকাশের দিকে হাত দেখিয়ে বলে সান আছে মেঘের আড়ালে।ক্লিয়ার ।গো এন্ড গেইট মাই আমরেলা।নোরা অফিস থেকে ছাতা এনে ছাতাখুলে সাব্বিরের মাথায় ধরে।সাব্বির বলে গুড।পেছন থেকে নোরা মুখ বাকা করে বলে,শয়তানের শয়তান সুযোগের সদ্ব্যবহার করতাছিস না। একবার যদি আমি সুযোগ পাই না তোরে দেখিস কি করি।সাব্বির বলে,মনে মনে গালি গালাজ করে কোন লাভই নেই।এরপর বলে চলো। গাড়ির সামনে গিয়ে সাব্বির বলে দাঁড়িয়ে আছো কেন?নোরা বলে কি করব, বস!সাব্বির বলে তুমি আমার সেক্রেটারি।সেক্রেটারি হিসাবে এটাও জানো না,অব কোরস ডোর ওপেন করতে হবে।নোরা ইয়েস বস বলে, দরজা খোলে এবং সাথে সাথে সাব্বিরের সাথে ঐ দরজা দিয়ে গাড়িতে ঢুকতে নেয়। সাব্বির বলে,আমার পাশে না,ফ্রন্ট সিটে।
(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)
রের দৃশ্য দেখা যায় নোরা সাথে যার বিয়ে হবার কথা তার নাম আদিক, সে একটা রেস্টুরেন্টে বসে আছে।নোরার যেতে একটু দেরি হয়।তখন নোরা বলে, সরি সরি। তখন আদিক বলে,নোরা তোমার কি হয়েছে। অনেকক্ষণ ধরে তোমার জন্য ওয়েট করছি।তখন নোরা বলে,আসলে আমি আসলে আমি যে অফিসে নতুন জয়েন করেছি সে অফিসে আমাকে এত প্যারার মধ্যে রাখে যে সময়টা মেইনটেন করতে পারছি না।তখন আদিক বলে তাহলে চাকরি ছেড়ে দাও। আসলে চাকরি তো ছেড়ে দিতেই চাই ।আমাকে এত প্যারার মধ্যে রাখে যে আসলে ওদের সাথে আমার দুই বছরের একটা কন্টাক হয়েছে।এই কারনে আমি ছাড়তে পারছি না।এটা কোন কথা।সামনে আমাদের বিয়ে।এভাবে যদি চাকুরি নিয়ে ব্যস্ত থাকো,তাহলে আমাদের বিয়ের টাইম পাবে কখন।নোরা হাসতে হাসতে বলে,আরে বিয়ের সময় পাবো,বিয়ের সময় পাবো না।আবার মনে মনে ভাবে যেভাবে প্যারার মধ্যে রাখে, পাব কিনা কে জানে। তখন আদিক বলে নোরা বিয়ের আগে আমাদের একে অপরকে জানার জন্য কিছুটা সময় দেওয়া দরকার না।নোরা মনে মনে ভাবে সময়টা কো। এমন সময় সাব্বিরের ফোন আসে।নোরা ফোন রিসিভ করে বলে, বস আমি তো এইমাত্র রেস্টোরেন্টে আসলাম।কথা বলার এক পর্যায়ে নোরা বলে,এখনি আসতে হবে বস। ওকে আসছি বস।তখনি নোরা চলে আসে।
(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)
এই দৃশ্য দেখা যায় নোরা ও ও হুজুর এটা বিয়ের ব্যাপারে কথা বলার জন্য দুই পক্ষ কথা বলছে।একপর্যায়ে আদিকের বাবা নোরার বাবাকে বলল,বিয়াই সাহেব আজকে আমরা আসলাম একটা শুভতারিখ ঠিক করতে।অথ্যাৎ নোরা আর আদিকের বিয়ের তারিখ ঠিক করতে।নোরা কই,নোরাকে তো দেখছি না।নোরার বাবা বলে, নোরা একটু ব্যাস্ত সময় পার করছে তো। তাই একটু অফিসে গেছে ।আদিকের বাবা বলে না না। এই সময় ,একটু সময় বের করতে হবে না ।না হলে কিভাবে বিয়ের কথাবার্তা বলব।নোরার মা বলে, ভাইজান আসলে বিয়ের সময় যাতে ও একটু ফ্রি থাকতে পারে সেজন্য এখন একটু প্রেসারটা নিচ্ছে।আদিকের বাবা বলে,বুদ্ধিমতী মেয়ে এখন একটু প্রেশারটা নিচ্ছে যাতে বিয়ে সময় একটু সময় বেশি দিতে পারে। আসলে এই বিষয় না।আসছি শুধু বিয়ের তারিখটা ঠিক করতে।নোরার মা বলে ভাইজান ,নোরা তো এখন আপনাদের ।আপনারা যা ভালো মনে করেন সেটাই হবে। আদিকের বাবা বলে, শুনেন, আপনার মেয়ে কিন্তু আমার বাড়িতে বউ হিসেবে থাকবে না,মেয়ের মত থাকবে।আমাদের কোনো আপত্তি নাই ।আমরা চাচ্ছি আগামী মাসের ২০ তারিখে যদি বিয়ের তারিখ টা ঠিক করি।আদিকের বাবা আদিকে জিজ্ঞেস করল,তোমার কোন সমস্যা নেই তো।আদিক বলে, না বাবা ।আদিকের বাবা তখন বলে,আমার ছেলে একেবারে আমার মত উদার মন।তখন নোরার মা বলে, আমাদের কোন সমস্যা নেই ভাইজান ।
(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)
এই দৃশ্য দেখা যায় সাব্বির তার অফিসে বসে আছে।এমন সময় নোরা সালাম দিয়ে ঢোকে ।সাব্বির বলে ওয়ালাইকুম সালাম ।সাব্বির বলে আজকে আমার কেজিওএল কি কি?নোরা বলে আজকে বিকাল চারটায় আপনার ক্লায়েন্টের সাথে মিটিং। রাতের বেলা আপনার বন্ধুর বিয়েতে যাবেন। সব্বির বলে ও হো আচ্ছা আচ্ছা ভুলেই তো গিয়েছি। ওর জন্য ভালো গিফট কিনা হয়েছে কি? ও হে সিউর বস ভালো গিফট কিনেছি ।তখন সাব্বির বলে ঠিক আছে, সময় হলে দেখা যাবে। তোমাকে তো আমি ভালো করে চিনি। সাব্বির বলে, ওকে ঠিক আছে।এমন সময় নোরা বলে, কালকে আমার একটা ছুটি দরকার।সাব্বির বলে, কেন?আমার ক্লোজ একটা বান্ধবীর জন্মদিন।সাব্বির বলে ওকে এবং এও বলে একটা এপ্লিকেশন দিয়ে যান।নোরা ওকে বলে চলে যাওয়ার সময় সাব্বির বলে,সালাম দিবে কে। তখন নোরা আস সালামু আলাইকুম খুশিমনে তাড়াতাড়ি বলে চলে যায় তাড়াতাড়ি চিঠি আনার জন্য। একটু পরে খুশিমনে নোরা চিঠি এনে সাব্বিরের কাছে দেয়।সাব্বির দেখে বলে,ছি ছি ছি ,এটা কারো হাতের লিখা।নোরা বলে, বস এটা তাড়াহুড়া করে লিখা হয়েছে তো।সাব্বির বলে,এত বানান ভূল।আবার ঠিক করে নিয়ে আসার জন্য বললেন।নোরা পুনরায় ঠিক করে আনলেন। এবার লেখা দেখে সাব্বির বললেন ,এবার ঠিক আছে। এও বলে,সব গুগোল দেখে ঠিক করেছেন। আরো বলে সব ঠিক আছে কিন্তু অ্যাপ্লিকেশন গ্রেনটেড না।নোরা বলে,সরি।সাব্বির সরি মানে।নোরা বলে,কিন্তু কেন?সাব্বির বলে,সিরিয়াসলি কাজ করার জন্য।ও বলে এইসব আলতু-ফালতু বান্ধবীর জন্মদিন খাওয়া বাদ দিয়ে অফিসের কাজে মনোযোগ দাও।
ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)
এই দৃশ্য দেখা যায় সাব্বির তার অফিসে বসে আছে।এমন সময় নোরা সালাম দিয়ে ঢোকে ।সাব্বির বলে ওয়ালাইকুম সালাম ।সাব্বির বলে,এই মাসের এই মাসের বিদ্যুৎ বিল ও বাসের বিলটা দিয়ে এসো। নোরা বলে,বস পে করা হয়ে গেছে।সাব্বির কৌতুহলি ভাবে নোরার দিকে তাকায়।আবার সাব্বির বলে, তোমাকে বলেছিলাম বাসার পানির টাংকিটা একটু সমস্যা,ওটা ঠিক হয়ে গেছে।সাব্বির এবারও কৌতুহলি ভাবে নোরার দিকে তাকায়।ঠিক আছে যাও। আমার কিছু লাগলে আমি তোমাকে বলবাে।তখন নোরা সালাম দিয়ে চলে যায়।
এই দৃশ্য দেখা যায় সাব্বির ও নোরা তার অফিসে বসেকথা বলছে।সাব্বির বলে,নোরা তুমি এইসব কি শুরু করছো।নোরা বলে, আমি আবার কি শুরু করবো, আমি জাস্ট আপনার একজন পার্সোনাল সেক্রেটারি।কিন্তু আমি সেই দায়িত্বই পালন করছি, বস ! সাব্বির বলে,তুমি যা যা করছ, মোটেই ঠিক হচ্ছে না। নোরা বলে,খারাপের দেখছেনটা কি।এই অফিসের প্রত্যেকটা মানুষকে আমি বলব, আপনি আমাকে প্রপোজ করেছেন। তখন আপনার সম্মানটা কোথায় থাকবে,বস।নিজের পার্সোনাল সেক্রেটারিকে আপনি প্রপোজ করেছেন ।সাব্বির বলে,তুমি বললেই সেটা সবাই বিশ্বাস করবে না। নোরা তার মোবাইল থেকে ছবি দেখায় এবং বলে এটা দেখলে তো বিশ্বাস করবে । তখন সাব্বির বলে, এটা তো আগের ছবি। তখন নোরা বলে,এটাতো আপনি আমি জানি আর কেউ জানে না।পুনরায় বলে,তুমি যে আমাকে পোস্ট করছো এটাই স্পষ্ট এখানে দেখা যাচ্ছে। তখন সাব্বির বলে, তুমি কি চাও?নোরা বলে,এই বস বস খেলা বন্ধ করো তুমি।এই কথা বলে,নোরা উঠে চলে যায়।
(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)
এই দৃশ্য দেখা যায় সাব্বির অফিসে বসা তখন নোরা তার রোমে ডুকে এবং বলে,সরি বস অনুমতি না নিয়ে ঢুকে গেলাম। তখন সাব্বির ঠিক আছে।সাব্বিরকে একটি চিঠি দেয়।সাব্বির বলে এটা কি? নোরা বলে, এটা রিজাইন লেটার।আরও বলে,আমার পক্ষে এ চাকুরিটা করা আর সম্ভব না। হা আপনাদের সাথে আমার একটা দুই বছরের কন্টাক ছিল।আমার পক্ষে আসলেই এ চাকুরিটা করা আর সম্ভব না।এখন আপনারা চাইলে আমার এগেনেস্টে যেকোনো অ্যাকশন নিতে পারেন।একথা বলে নোরা যখন চলে যাবে তখন সাব্বির বলে, নোরা আমি তখন তোমাকে আটকাইনি এখনও আটকাবো না।তখনো তোমার মতামতকে রেসপেক্ট করেছি এখনও করি। আমার কোম্পানি তোমার এগেনেস্টে কখনও যাবে না। এটা তুমি নিজেও জানো।এরপর নোরা চলে যায়।
ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)
এই দৃশ্য দেখা যায় বাসায় নোরা বাসায় হাঁটছে ।তার পেছনের কথা মনে পড়ছে।তারা দুজনে একসাথে রেষ্টুরেন্টে বসেছিল।নোরা তখন সাব্বিরকে বলে সে আর সম্পর্ক রাখবে না।সাব্বির কথা শুনে কেমন যেন হয়ে।একসময় সাব্বির সেখান থেকে চলে যায়।
ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)
এই দৃশ্য দেখা যায় নোরা আদিকের সাথে বসে রেস্টুরেন্ট এ কথা বলছে।আদিক বলে,আমাদের বিয়ের ডেট ঠিক হওয়ার পর থেকে তো তোমার সাথে দেখা করার সুযোগই নেই।আজ এত জরুরি তলব, কি ব্যাপার? নোরা বলে আজ আপনার সাথে আমার জরুরী কথা বলা ছিল।হা, প্লিজ বল।আসলে আমি বিয়েটা করতে চাচ্ছি না,সরি।আদিক বলে,বিয়ে করতে চাচ্ছি না মানে?নোরা বলে,আসলে আমি একজনের প্রতি অনেক অবিচার করে ফেলেছি।কারো প্রতি কেউ অবিচার করে সুখী হতে পারে না। তাকে আমি আমার মনের মধ্যে রেখে আপনাকে আমি ঠকাতে চাচ্ছি না। আমি খুব দুঃখিত। আমি বিয়েটা করতে পারব না। আমাকে ক্ষমা করে দিবেন বলে সেখান থেকে চলে আসে।
ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)
এই দৃশ্য দেখা যায় গাড়ি নিয়ে সাব্বির নোরাদের বাড়ির সামনে আসে আর নোরাও রাস্তায় বের হয়। সাব্বির গাড়ি থেকে বের হয়ে নোরার সামনে আসে এবং নোরাকে জিজ্ঞেস করে হঠাৎ কেন আমার সাথে দেখা করতে চাইলে।সাব্বির বলে,সম্পর্ক ছেড়েছ, চাকরি ছেড়েছ। আবার হঠাৎ করে আসতে বললে কেন?নোরা বলে,আমার নিজের জন্য।নিজের জন্য।কি হয়েছে? সাব্বির বলে,আবার কোন পুরনো ছেড়ে নতুন আঁকড়ে ধরছো।নোরা বলে নতুন করে আর কিছু ছাড়তে চাচ্ছি না।পুরনো কে আবার নতুন করে আঁকড়ে ধরতে চাচ্ছি ।সাব্বির বলে,এটা কি আমাকে বিশ্বাস করতে বলছ? আমার কেন জানি মনে হয়,তোমার কোন কিছু পুরনো হয়ে গেলে সেটার প্রতি আকর্ষণ কমে যায়।যেমন আকর্ষণ কমে গিয়েছিল আমার উপর থেকে। নোরা বলে,পৃথিবীর মূল্যবান বস্তু গুলো কিন্তু পুরনো।সাব্বির বলে, তারপরও আমার ভয় হয় ।যদি তুমি আবার আমাকে ফেলে চলে যাও। নোরা বলে, আমি তোমাকে ছেড়ে আর যাবো না চলে, বিশ্বাস করো। নোরা বলে যাব না। ওই যে কথায় আছে না,যদি কেউ চলে যেতে চায়, তাকে চলে যেতে দাও।সে যদি তোমাকে সত্যিকারের ভালবেসে থাকে,সে ফিরে আসবে। সাব্বির বলে, নোরা আমি কিন্তু আর কষ্ট নিতে পারবো না,তোমাকে আগে থেকে বলে দিলাম।এবার এলে প্লিজ আমাকে ছেড়ে আর যেও না।নোরা বলে যাব না। দু'বছরের জন্য না।সারা জীবনের জন্য চুক্তি করতে চাই।নোরা বলে, তোমাকে আমার খুব জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে।এরপর নোরা বলে,একটি কথা বলি,এখন থেকে বস আই হেট ইউ না।বস ! আই লাভ ইউ ।সাব্বির বলে, আই লাভ ইউ টু।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। নাটকের গল্পটিও চমৎকার ছিল।পুরু নাটকটিতে হাসি এবং রোমান্টিকতায় ভরপুর ছিল ।তাছাড়া জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এর নাটক আমার কাছে বেশ ভালো লাগে এবং কেয়া পায়েল এর অভিনয় আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।আর পরিচালকও খুব সুন্দর করে নাটকটি পরিচালনা করেছেন।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকটির লিংক
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বস আই হেইট ইউ নাটকটি সত্যি দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমিও এই নাটকটি কিছুদিন আগে দেখেছিলাম ভাবছিলাম যে আমি শেয়ার করব। কিন্তু দেখছি এখন আমার আগে আপনি শেয়ার করে ফেলেছেন থাক কিছুদিন পরে শেয়ার করব তাহলে একটু মজা হবে। এমনিতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে ইউঅপূর্ব ও কেয়া পায়েল এর যে কোন নাটক। ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট আমার কাছে মনে হয় আরো বেশি দিলে কোন সমস্যা ছিল না। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রিভিউ এর মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
হা ভাইয়া আমার কাছে ও নাটকটি খুব ভালো লেগেছে।রিভিউ করার পরও দেখলাম।আসলে যেকোনো কিছুর মধ্যে আনন্দ না পেলে ভালো লাগে না। আর এই নাটকটিতে অনেকটাই আনন্দ পেয়েছিলাম।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
অপূর্ব মানে অন্যরকম একটি ব্যক্তিত্ব এবং অপূর্বর নাটক আমার অনেক বেশি পছন্দ। এই নাটকটি আসলে দেখা হয়নি, তবে আপনার রিভিউ এর মাধ্যমে দেখার ইচ্ছা পোষণ করছি ধন্যবাদ আপনাকে।
হা ভাইয়া নাটকটি দেখবেন খুব মজা পাবেন।
ঠিক আছে ভাইয়া খুব শীঘ্রই এটা দেখে নেব ধন্যবাদ
আপনার রিভিউটি পড়ে আর নাটক দেখার প্রয়োজন মনে করছি না। রিভিউটি অনেক ভালে ছিলো। নাটকটিতে চমৎকার কিছু রোমান্টিকতা ছিল এছাড়াও অনেক কমেডির বিষয়গুলো ছিল। আমার দেখা মতে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে সেরা রিভিউ দের মধ্যে একটি আপনার পোষ্ট। আপনার জন্য শুভকামনা রইল এভাবেই এগিয়ে যান।।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
ভাইয়া এই নাটকটা আমি নিজেও দেখেছি কয়েকদিন আগে। অসম্ভব মজা লেগেছে সত্যি বলতে । অনেক হেসেছি। নায়িকাটা দেখতে বেশ সুন্দর ছিল তাই জন্য দেখে আরো মজা পেয়েছি 🤪। শুধু ভাবছিলাম এরকম স্যালারির চাকরি আমাদের কপালে যদি একটু হতো! 😅, শেষটা বেশ ভালো ছিল নাটকের। আর আপনি যেভাবে লিখেছেন মনে হচ্ছে প্রতিটা সংলাপ যেন আমি আবার শুনতে পাচ্ছি। খুব সুন্দর ছিল আপনার উপস্থাপনাটা।
শুরুতে হায় টা হাই করে দিলে বেশি ভালো লাগতো নাহ্ ভাই? একবার একটু দেখবেন কেমন 🙏
দাদা, এ রকম স্যালারির জন্য নায়িকা হলেই তাড়াতাড়ি সম্ভব।আর আপনি তো নায়কের ন্যায়।হা হা হা।হা দাদা পরবর্তীতে আপনার উপদেশ মেনে চলবো।আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা।
আজকে তো আপনি খুব সুন্দর নাটকে রিভিউ দিয়েছেন । আপনার নাটকের পোস্টটি দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। আসলে নাটকটি আমার দেখা হয় নি তবে আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে খুবই সুন্দর নাটক। অবশ্যই সময় পেলে দেখে নেবো। এত দুর্দান্ত নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,আমার রিভিউ করা নাটকের জন্য এত সুন্দর উৎসাহমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
দাদা আমি যদিও নাটক খুব একটা দেখি না। ওয়েব সিরিজ আর সিনেমাই আমায় বেশী টানে তবে আপনার পোস্টটা এত ডিটেইলস হয়েছে যে এটা যে একবার পড়বে তার আর নাটকটা দেখার প্রয়োজন পড়বে না। আমিও পড়ে নিলাম। যদিও অনেকটা বড় তাই সময় লাগলো তবে এই ধরনের নাটক বা ওয়েব সিরিজের তো আর একাধিক পর্ব করা সম্ভব না। তাই এখানে কিছু করার নেই। তবে গল্পকে একটু চাইলে সঙ্কুচিত করতে পারা যায়। আর নায়িকার নাম দেখলাম আমার নামে। এটা মজা পেলাম। 😀ধন্যবাদ দাদা।
এটা ঠিক বলেছেন, গল্পটি একটু সংকুচিত করা যেতো।আসলে পুরো বিষয়টি ভালো করে তোলার জন্য একটু বড় হয়েছে। নায়িকা নাম আর আপনার নাম একই। মজা না দিদি। হা হা হা।
এই নাটকটি আমি কিছুদিন আগেই দেখেছি । আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অপূর্বর নাটক আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে নাটকটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।