"ঢাকা শহরের প্রচন্ড যানজটে ভোগান্তি"

in আমার বাংলা ব্লগ22 days ago


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ৯ ই জুলাই, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

1000103298.jpg

Pixabay



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কয়েকদিন হলো সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না। আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদার বাবার মৃত্যু তারপর সুমন ভাইয়ের বাচ্চার অর্থাৎ আমাদের ভাতিজার জন্ডিস আবার নিজেও প্রচন্ড গ্যাসের সমস্যায় বেশ ভুগছি। আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি শ্রদ্ধেয় দাদার পরিবারকে যেনো ধৈর্য ধরার শক্তি প্রদান করে, আর আমাদের সুমন ভাইয়ের ছেলে খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে ওঠে। এতকিছুর কারণে কয়দিনে মনটা সত্যিই একদমই ভালো নেই। তারপরও তো জীবন চলে জীবনের গতিতে। যাই হোক তাহলে এবার আসল কথায় আসি আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে আমি ঢাকাতে থেকে লেখাপড়া করি। এইতো গত পরশুদিন বাসা থেকে বের হয়েছিলাম স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে যাওয়ার জন্য কিন্তু পথে প্রচন্ড জ্যামের কারণে শেষ পর্যন্ত না যেতে পেরে বাসায় ফিরে এসেছিলাম। আর সেই ভোগান্তির কথা এখন আর আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।



আপনারা হয়তো যারা ঢাকা শহর সম্পর্কে জানেন তারা বুঝতে পারবেন যে, ঢাকা শহরে যানজটের পরিমাণটা অনেক বেশি। যদিও সরকার এই যানজট কমানোর জন্য অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তারপরেও কিছুতেই কমছে না এ যানজট। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সবার জন্যই ঢাকা শহরে যানজট মানুষকে বেশ ভোগায়। আমার কাছে মনে হয় ঢাকা শহরের যানজটের মেইন কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা।

ঢাকা শহরের ভেতরে যাদের কাছে টাকা আছে তাদের কাছেই প্রাইভেট কার আছে। ঢাকা শহরে রাস্তায় বের হলে প্রাইভেটকারই সবথেকে বেশি চোখে পড়ে। আর যে শহরে এত বেশি প্রাইভেট কার সে শহরে তো যানজট হবে এটাই স্বাভাবিক। যদি ঢাকা শহরে এত প্রাইভেট কার না থেকে সরকারিভাবে বেশি করে ভালো বাস সার্ভিস চালু করত তাহলে যানজট অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব হতো।

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে কোথাও এত প্রাইভেট কার চোখে পড়ে না, সেখানে সরকারিভাবে ভালো বাস সার্ভিস আছে আর সবাই সেই বাসে করেই অফিস করে। প্রায় দুই বছর হলো ঢাকা শহরে লেখাপড়া করার উদ্দেশ্যে এসেছি প্রায় প্রতিদিনই যানজটের শিকার হয়। তবে গত পরশুদিন যে, যানজটের শিকার হয়েছিলাম সেটা আপনাদের কাছে না বলে শান্তি লাগছে না। আমাদের বাড়ির পাশের পুলিশের চাকরিজীবী এক দাদা ঢাকাতে এসেছে ট্রেনিং করার জন্য।

এই পুলিশ দাদার সাথে ছোটবেলা থেকে এই বেশ ভালো সম্পর্ক তাই ভাবলাম যে, আমরা ঢাকার স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়ে দেখা করবো। গত পরশুদিন আমি মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে ছয়টা বাইশের দিকে গুলিস্তানের একটি বাসে উঠলাম। এর আগেও অনেকবার গিয়েছি মোহাম্মদপুর থেকে গুলিস্তান বাসে যেতে সর্বোচ্চ ১ ঘন্টা লাগে। অনেকদিন পর স্বামীবাগ মন্দিরে যাচ্ছি বেশ ভালোই মজা লাগছিলো।

আমি বাসের ভিতরে এক ঘন্টারও বেশি সময় বসে থাকার পরে লক্ষ করলাম কেবলমাত্র সংসদ ভবনের সামনে এসেছি। আমাদের মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে সংসদ ভবন মাত্র দুই কিলোমিটার মতো। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দুই কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছি সত্যি এটা দেখে হতাশ হয়ে গেছিলাম। সেদিনে রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম থাকার কারণে অবশ্য এমনটা হয়েছিলো।

আমি যদি হেটেও যেতাম তবুও দুই কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে আমার সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট মতো সময় লাগতো এখানে বাসের ভিতর আমি এক ঘন্টারও অধিক সময় ধরে বসে ছিলাম। তারপর সংসদ ভবনে সামনে থেকে হঠাৎ করে বাস ড্রাইভার সিদ্ধান্ত নিলো ধানমন্ডি হয়ে গুলিস্তান যাবে। কিন্তু সেদিনে যে, জ্যাম ছিলো সংসদ ভবনের সামনে থেকে গুলিস্তান যেতে কিছু না হলেও দুই ঘণ্টারও অধিক সময় লাগতো।

যেহেতু তখন ঘড়ির কাঁটায় রাত প্রায় আটটা হয়ে গেছিলো আমি বাস থেকে নেমে পরলাম। কারণ গুলিস্তান যেতে যেতে প্রায় রাত দশটা বেজে যাবে। সেখানে বেশি সময় অতিবাহিত করতে পারবো না, কারণ আমাদের বাসার গেট রাত বারোটার আগেই বন্ধ হয়ে যায়। প্রচন্ড গরমের ভিতর বাস থেকে নামার পরে ভীষণ খারাপ লাগছিলো প্রচন্ড মাথা ব্যথাও করছিলো। এরকম প্রচন্ড যানজট আমি অবশ্য ঢাকা শহরে এর আগে কখনো দেখি নাই।

সেদিন শুধু আমার নয় প্রতিটি মানুষেরই প্রচুর ভোগান্তি হয়েছিলো। আমি বাস থেকে নামার পরে পুলিশ দাদাকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলাম যে, প্রচণ্ড জ্যামের কারণে আজকে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না আবার অন্য কোনদিন দেখা করবো। তারপর সংসদ ভবনের সামনে থেকে হাঁটতে বাসায় চলে আসলাম। ঢাকা শহরের যানজটের কারণে মাঝেমধ্যে ছোটখাটো ভোগান্তি হয়, তবে এত বড় ভোগান্তির শিকার এবারই প্রথম হলাম।



পোস্টের ছবির বিবরন

পোস্ট ধরনলাইফ স্টাইল
ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশনমোহাম্মদপুর,ঢাকা


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 22 days ago 

দাদাদেরকে শোক সইবার তৌফিক দান করুক সৃষ্টিকর্তা।সুমন ভাইয়ার বাবু খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে কামনা করি। ঢাকা শহরের জ্যাম নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। আমার তো মনে হয় মাঝে মাঝে ঢাকা শহরে মানুষের চেয়ে প্রাইভেট গাড়ি বেশি।

 16 days ago 

আসলেই আপু ঢাকা শহরে মানুষের থেকে প্রাইভেট কার বেশি। আর এই কারণেই ঢাকা শহরে এত বেশি জ্যাম পড়ে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 22 days ago 

ঢাকা শহরের যানজট আসলে এরকমই। কমবেশি সবাইকে এই যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হয়। ঠিকই বলেছেন প্রাইভেট কারের সংখ্যা ঢাকা শহরে অনেক বেশি। যদিও এখন রাস্তা, ফ্লাইওভার মেট্রো রেল সবকিছুই রয়েছে তারপরও রাস্তার জ্যাম কিছুতেই কমছে না। আপনার এই ভোগান্তির কথা জেনে খারাপ লাগলো।

 16 days ago 

ঢাকা শহরে জ্যাম কমানোর অনেক ব্যবস্থা আছে কিন্তু এর কোন ব্যবস্থা কাজে লাগবে না। এর কারণ হচ্ছে মানুষের থেকে প্রাইভেট কারের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।