"শ্রীমঙ্গলের সাত রঙের চা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৭ ই নভেম্বর, রবিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমরা শ্রীমঙ্গলের লাল পাহাড় ভ্রমণ শেষ করে সমতল ভূমির চা বাগান দিয়ে রাধানগরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। এই রাধানগরে আছে বাংলাদেশের অন্যতম ফাইভ স্টার হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান। তবে আমাদের গ্র্যান্ড সুলতান ফাইভ স্টারে যার কোন ইচ্ছা নেই। আর এসব ফাইভ স্টারে যেতে হলে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। আর আমরা যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বাজেট ট্যুর দিই সেহেতু এসব জায়গায় যাওয়া আমাদের জন্য মোটেও উচিত না।
যাই হোক আমরা সমতলভূমির চা বাগানের ভেতরের সুন্দর রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে যাচ্ছিলাম বেশ ভালই লাগছিলো। শ্রীমঙ্গল যে এতটা সুন্দর সেটা এখানে না আসলে কখনোই উপলব্ধি করতে পারতাম না। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জায়গায় আলাদা আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে। বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করলে বিভিন্ন রকম ভ্রমণ অভিজ্ঞতা হয় এবং জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়। সিলেটের শ্রীমঙ্গলে এসে জানতে পেরেছিলাম যে, বাংলাদেশের চা গবেষণায় ইনস্টিটিউট এখানে অবস্থিত।
যেহেতু শ্রীমঙ্গল চায়ের জন্য অনেক পরিচিত তাই বাংলাদেশের চা গবেষণায় ইনস্টিটিউট এখানে হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা মোটামুটি ১৫ মিনিট মতো বাইকের ড্রাইভ করার পরেই চলে আসলাম গ্রান্ড সুলতানের সামনে। গ্রান্ড সুলতান যে, অনেক সুন্দর সেটা বাইরে থেকে দেখলেই বোঝা যায়। গ্রান্ড সুলতানে যেতে হলে আগে থেকেই অনলাইনে বুকিং দিয়ে রাখতে হয়। আর সেই দুঃসাহস আমরা করতে যায়নি 😎 কারণ এটা ফাইভ স্টার হোটেল।
আর ফাইভ স্টার হোটেল মানেই খরচা আছে হেব্বি। যাইহোক আমরা গ্রান্ড সুলতানের সামনেই রাজু রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। অনেক ছোট একটি রেস্টুরেন্ট যা বুঝলাম শুধুমাত্র চায়ের জন্য এটা পারফেক্ট। একটা লিস্টে দেখলাম বিভিন্ন রকমের চায়ের মূল্য দেওয়া আছে। আমাদের যেহেতু ইচ্ছা ছিল যে শ্রীমঙ্গলে এসে সাত রঙের চা খাব আমরা কোন কিছু না ভেবেই সাত রঙের চা অর্ডার করলাম।
সাত রঙের চা বানাতে একটু সময় লাগে তাই আমাদেরকে রেস্টুরেন্ট থেকে বললো যে, আপনারা কিছু সময় অপেক্ষা করুন তারপর টেবিলে আপনাদের চা দিয়ে যাচ্ছি। তারপর আমি আর আমার বন্ধু রাহুল দুজন মিলে কিছু সময় গল্প গুজব করলাম আর ভ্রমণ প্লানিং নিয়ে আলোচনা করলাম। কয়েক মিনিট পরেই আমাদের সেই বহুল কাঙ্খিত সাত রঙের চা টেবিলে চলে আসলো। এতদিন চা খাতাম কাপে কিন্তু আজকে গ্লাসে খেতে হবে কারণ এটা সাত রঙের চা।
জীবনের প্রথম সাত রঙের চা খাব তার আগে ঝটপট কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম। তারপর সাত রঙের চায়ের গ্লাস মুখে নিতেই জীবনের ভুল ভেঙ্গে গেল। তখন বুঝলাম এটা শুধু দেখতে আর নামেই সুন্দর তাছাড়া চায়ের যে, আসল টেস্ট সেটা একটুও পায়নি। যখন পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলের সাত রঙের চা খেয়েছিলাম না তখন পর্যন্ত এটার প্রতি একটা আকর্ষণ ছিল। কিন্তু শ্রীমঙ্গলের সাত রঙের চা খাওয়ার পরে এটার প্রতি আর কোন আকর্ষন নেই। তবে আমরা দুই বন্ধু মিলে এটা নিয়ে বেশ হাসি তামাশা করেছিলাম।
আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে
শ্রীমঙ্গলের ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ৫ ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেইম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
অনেকবার শুনেছি সিলেটে সাত রঙের চা পাওয়া যায়। আপনার পোস্টের মাধ্যমে আজকে সেই সাত রঙের চা দেখতে পেলাম। কুষ্টিয়াতে ৩ রঙের চা খেয়েছি। সাত রঙের চা এখনো খাওয়া হয়নি।কোনদিন সুযোগ হলে সিলেটে গিয়ে সাত রঙের চা খাবো।আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি আবার কুষ্টিয়া গেলে তিন রঙের চা খেয়ে দেখব কেমন লাগে। অবশ্যই যদি সেরকম সুযোগ আসে সিলেটে গিয়ে সাত রঙের চা খেতে হবে। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সবসময় শুভকামনা রইল।
শ্রীমঙ্গলের এই সাত রঙের চা অনেক বেশি জনপ্রিয়। আমি অনেকের কাছেই শুনেছি এই চায়ের কথা। তবে যতটুকু শুনেছি চা টা দেখতে যত আকর্ষণীয় খেতে তেমন ভালো না। আপনিও সেটাই বলছেন। খেতে ভালো না হলেও জনপ্রিয়তার কারণে সবাই এটা টেস্ট করে। ভালো লাগলো আপনার কাটানো মুহূর্ত গুলো দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ছবি দেখলেই বোঝা যায় শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক দৃশ্য কত সুন্দর। চা বাগান ঘিরে পোস্ট করা প্রতিটি ব্লগই আমি পড়েছি। আজ তো সাত রঙের চা বিষয়টা কি সেটা জানবার জন্য মন দিয়ে পড়লাম। দেখে তো বেশ আকর্ষণীয় লাগলো কিন্তু খেতে যে ভালো না সেটা শুনে বেশ হতাশ হয়ে পড়লাম। ভেবেছিলাম চমৎকার খেতে হবে হয়তো।
চায়ের দেশে গিয়ে চা খাওয়া টা অনেক বেশি মজাদার। আপনি দেখছি শ্রীমঙ্গলের সাত রঙের চা খেয়েছেন। আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে শ্রীমঙ্গলের চা অনেক বেশি জনপ্রিয়।চা গুলো দেখেই মনে হচ্ছে অনেক মজাদার ছিল। কোন একদিন আমি ও গিয়ে চা খাওয়ার চেষ্টা করবো।
শ্রীমঙ্গল নামক এই জায়গাটির বিভিন্ন রকম চায়ের বাহার এবং চা বাগানের কথা আপনি পোস্ট না করলে জানতেই পারতাম না ভাই। আমরা দার্জিলিং আসামের কথা জানি। দার্জিলিং গেলে সারি সারি চা বাগান দেখতে পাই। সেখানে বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গলের চা বাগান দেখে এবং তার এত রকমের চায়ের বাহার দেখে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আপনার বেড়ানোর পোস্টগুলি খুব ভালো লাগে।
কমিউনিটির নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিদিন কিছু টাস্ক কমপ্লিট করতে হবে এবং সেগুলোর স্ক্রিনশট কমেন্টে শেয়ার করতে হবে।
https://steemit.com/hive-129948/@rex-sumon/very-important
ভাই রবিবারে টাস্কগুলো পূরণ করেছিলাম কিন্তু কোথায় স্ক্রিনশটগুলো দিবে বিষয়টা ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পারছিলাম না। এজন্য গতকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে বিষয়টা বুঝে টাক্স গুলো কমপ্লিট করে পোষ্টের নিচে স্ক্রিনশট শেয়ার করতে শুরু করেছি।