ফটোগ্রাফি: "প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৫ শে নভেম্বর, রবিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমরা সবাই আমাদের চারপাশের প্রকৃতিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আমার কাছে মনে হয় প্রকৃতি আমাদের জীবন প্রকৃতি আছে বলেই আমরা জীবিত আছি। আর এই প্রকৃতিকে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখার দায়িত্বটাও আমাদের। প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়কে মুগ্ধ করে। প্রকৃতির সাথে সুন্দর সময় কাটাতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। আমি গ্রামে গেলে সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝেই ঘুরে বেড়ায় আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমার ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করে রাখি। ব্যক্তিগতভাবে প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ পছন্দ করি আর ফটোগ্রাফির ভেতরেই আনন্দ খোঁজার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি করেছি যেগুলো আমি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে আমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসি।
প্রথম ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩ রা নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে শিশির ভেজা ফসলের ক্ষেত। কিছুদিন আগে যখন আমি বাড়িতে ছিলাম তখন কোন এক ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফসলের ক্ষেতের কাছে গিয়ে এই ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। তখনো গ্রামে ভালো শীতের আমেজ শুরু হয়নি তবে হালকা হালকা কুয়াশা আর শিশির গ্রামীণ প্রকৃতি ভরিয়ে তুলেছিল। খুব সকালে সবুজ ফসলের খেতে যখন শিশির ফোঁটা জমে আর কুয়াশা চারদিক তখন প্রকৃতি অনেক সুন্দর দেখায়।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩ রা নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিতে রয়েছে ঘাসফড়িং এর দৃশ্য। সকালের শিশির ভেজা ধান গাছের পাতার উপর চঞ্চল ঘাসফড়িং এর দৃশ্য আমাকে মুগ্ধ করেছিল। এই ফটোগ্রাফি টা করতে আমার অনেক সময় ব্যয় করতে হয়েছিল কারণ ফটোগ্রাফি গুলো করার সময় ঘাসফড়িং আলাদা আলাদা জায়গায় চলে যাচ্ছিলো। লাল রংয়ের এই ঘাসফড়িং দেখতে চমৎকার ছিল তাই আমি ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম।
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩ রা নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার তৃতীয় ফটোগ্রাফিতে রয়েছে কস্তরী ফুল। আমাদের বাড়ির সামনে একটি পরিত্যক্ত পুকুর আছে আর সেই পুকুর কস্তুরী গাছে ভরপুর। যখন সম্পূর্ণ পুকুরে কস্তুরী ফুলে ভরা থাকে দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে। কস্তুরী ফুলের গন্ধ আমার কাছেও খুব সুন্দর লাগে।
চতুর্থ ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ শে আগস্ট ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার চতুর্থ ফটোগ্রাফিতে রয়েছে বাঁশের পাতায় শিশির ফোঁটার দৃশ্য। আমি যখন গ্রামে থাকি তখন খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করি কারণ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে গ্রামীণ সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। বিশেষ করে শীতকালে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে যখন চারপাশে ঘন কুয়াশা আর শিশির ফোঁটা দেখা যায় তখন খুব ভালো লাগে।
পঞ্চম ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৯ ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: ঢাকা
আমার পঞ্চম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে অচেনা জংলি ফুল। এই ফুলের নাম আমার জানা নেই। গ্রামে গেলে রাস্তার আশেপাশে এই ফুল গুলো দেখা যায়। অনেক ছোট ছোট গোলাপি রঙের এই ফুলগুলো দেখতে চমৎকার সুন্দর হয়। এই ফুলের গাছগুলো খুব একটা বড় নয় গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এই ফুলের নাম যদি আপনারা কেউ জেনে থাকেন তবে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন।
ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৫ ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার ষষ্ঠ ফটোগ্রাফিতে রয়েছে একজন জেলের বরশি দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য। আমাদের বাড়ির সামনে ঘন কস্তুরী ভরা পরিত্যাক্ত একটা পুকুর আছে সেখানেই মাঝেমধ্যে এই লোক এসে মাছ ধরে। এই পুকুরে সাধারণত দেশীয় মাছগুলো পাওয়া যায় টাকি, কৈ, শিং। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এইসব পুকুর থেকে বরশি দিয়ে প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরতাম। সেইসব স্মৃতিময় দিনগুলো এখন খুব মনে পড়ে।
সপ্তম ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৫ ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার সপ্তম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে সূর্যাস্তের দৃশ্য। শীতকালীন সময়ে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। কারণ এ সময়ে সূর্য যখন অস্ত যায় তখন অনেক বড় এবং লাল ডগডগে দেখায়। গতবার যখন আমি বাড়িতে ছিলাম তখন কোন এক বিকালে এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম।
পোস্টের বিবরন
ডিভাইস : স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা : ১০৮ মেগাপিক্সেল
লোকেশন : মোহাম্মদপুর,ঢাকা
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আজকের অ্যালবামটির সাজিয়েছেন। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি বাংলার প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য বহন করেছে। শীতের সকালের কুয়াশা ভেজা খেত সে যেন অপরূপা। সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো সহ সাবলীল ভাষায় বর্ণনা করে পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
সকালে সুন্দর প্রকৃতি হৃদয় শান্তি আনে। আমি চেষ্টা করেছি ফটোগ্রাফি গুলো বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ সুন্দর লাগছে। শীতকালীন সৌন্দর্যের পাশাপাশি ঘাস ফড়িং এর দৃশ্যটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে যাইহোক অসাধারণ সুন্দর সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য গুলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ধারণ করার চেষ্টা করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে প্রকৃতির সৌন্দর্য গুলো দেখলে মনের মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। তবে, আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারন হয়েছে।
চমৎকার এবং দুর্দান্ত সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিল। বিশেষ করে শিশির ভেজা ধান ক্ষেতের ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে।
প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে জাস্ট মুগ্ধ হয়ে গেলাম। দারুন ছিল আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো। শিশির ভেজা ফসলের ক্ষেত এবং কচুরিপানা ফুলের ফটোগ্রাফি অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। শেষের ফটোগ্রাফিটা ও ভীষণ সুন্দর হয়েছে। আপনার দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ।
লালন ফকিরের দেশ শুনেছি কুষ্টিয়া। তাই ছবিগুলোর মধ্যেও আমি লালনের স্বাদ পেলাম যেন। কি অসাধারণ ফটোগ্রাফি হয়েছে অংকন ভাই৷ প্রতিটা ছবি অদ্ভুত সুন্দর। প্রকৃতির হৃদয়ের কথা তুলে এনেছে যেন। খুব ভালো লাগলো দেখে ছবিগুলো।
ভাইয়া এত চমৎকার সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন কোনটা রেখে কোনটা সুন্দর বলবো। প্রকৃতির ফটোগ্রাফি দেখতে খুব ভালো লাগে। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য সবসময়ই আমাদের মুগ্ধ করে। ফটোগ্ৰাফিগুলো একদম ক্লিয়ার হয়েছে বলে দেখতে আরও বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বাহ খুবই সুন্দর লাগল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। দারুণ করেছেন ভাই। শিশিরভেজা ঘাস সুন্দর কচুরিপানার ফুল। এবং অসাধারণ প্রকৃতি। সবমিলিয়ে অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।