পাড়ার মাঠে ছোটদের ফুটবল টুর্নামেন্ট ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা সবাই জানেন আমার বাসা নীলফামারী। আমার বাসা নীলফামারীর বড় বাজারে এলাকায়। আমাদের বাসার পেছনে একটি মাঠ রয়েছে যেখানে আমি অনেক খেলা করেছি কিন্তু এখন নীলফামারী বড় মাঠে খেলি জন্য এই মাঠে তেমন একটা খেলা হয় না। কালকে পাড়ার সব ছোট ভাইরা বলল তাদের একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। আজকে তাদের উদ্বোধনী ম্যাচ ছিল তাই তারা আমাকে সেখানে যেয়ে আজকে খেলা দেখতে বলে। সব ছোটভাইরা খেলা দেখতে বলল তাই আজকে আমি বড় মাঠে খেলতে না গিয়ে তাদের খেলা দেখার জন্য পাড়ার মাঠে গিয়েছিলাম। আজকে পাড়ার মাঠে ছোটদের ফুটবল টুর্নামেন্ট এর উদ্বোধনী ম্যাচ নিয়ে আজকের আমার এই পোস্ট । আশা করি সবাইকে ভাল লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
বিকেল পাঁচটার পর সকল দলের সকল প্লেয়ার মাঠে প্রবেশ করে। আমিও ৫টার একটু পরে মাঠে যাই খেলা দেখতে। তখন দুই দলের প্লেয়াররা কথা বলে নিচ্ছিল। খেলা ছিল চাইনিজ বারের অর্থাৎ ছোট বার। প্রতিটি দলে ৬টি করে প্লেয়ার এর মধ্যে ৫ জন মেইন প্লেয়ার ও একজন এক্সট্রা প্লেয়ার। কিছুক্ষণ পরেই দুই দলের প্লেয়ারসহ রেফারি মাঠে প্রবেশ করে। সেন্টারে বল রেখে টচ করা হয়। এরপর দুই দল মাঠের দুই দিকে দাঁড়ায়। দুই দল দুই পাশে ও রেফারি মাঝখানে দাঁড়িয়ে সব নিয়ম গুলো সম্পর্কে প্লেয়ারদের বলে দিচ্ছিল।
এরপর ঠিক ৫'৩০ মিনিটে রেফারি বাঁশি দিলে খেলা শুরু হয়। দুই দলেই খুব চমৎকার খেলছিল। আমরা যারা দর্শক ছিলাম তারা বাইরে থেকে খুব ইনজয় করছিলাম তাদের ফুটবল খেলা। তাদের সবাইকে সাহস উদ্দীপনা প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছিলাম। দুই দলই গোল করার আপ্রাণ চেষ্টা করছিল কিন্তু দুই দলই গোল দিতে ব্যর্থ হচ্ছিল। ফুটবল খেলাটি খুবই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে যাচ্ছিল। কোন দলেই কোন দলকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিচ্ছিল না। এভাবে খেলাটি চলতে থাকে।
কিছুক্ষণ পরেই হাফ টাইম হয়ে যায়। প্রায় দশ মিনিট বিরতির পর আবার খেলা শুরু হয়ে যায়। বিরতির সময় সবাই আবার প্লান করে নেয়। দ্বিতীয় অর্ধের খেলা চলতে থাকে। আমরা দর্শকরা আবার তাদের ফুটবল খেলা ইনজয় করতে থাকি। এবার দুই দল যেন আরো ভালো খেলছে । প্রথম অর্ধের থেকে অনেক ফাস্ট খেলছে এবার দুই দলই। গোল করার অনেক চেষ্টা করছিল দুই দলেই। অ্যাটাক এরপর কাউন্টার অ্যাটাক এভাবে খেলা চলছিল। আমরা সবাই খেলাটিকে খুব উপভোগ করছিলাম।
শেষ পর্যন্ত কোন টিমই বলে দেখা পায়নি।তাই ম্যাচটি ড্র হয়। ফুল টাইম অব্ধি দুটো দলেই খুব ভালো খেলেছে, কিন্তু বলে দেখা না পাওয়ায় ম্যাচটি ড্র হয়ে যায়। যেহেতু লীগের খেলা তাই ম্যাচ ড্র হলে পেনাল্টি এর মাধ্যমে যেকোনো একটি দলকে জয়ী করতে হবে।তাই ম্যাচটি ড্র হওয়ার পরে দুই দলেই পাঁচটি করে পেনাল্টি শুট আউট পায়। প্রথম দলটি তিনটি গোল ও দ্বিতীয় দলটি মাত্র দুইটি গোল করে। তাই পেনাল্টিতে প্রথম দলটি জয়লাভ করে। এখানেই শেষ হয়ে যায় আমাদের আজকের খেলা। যেই দল জয়লাভ করে তারা উদযাপন করছিল আর যেই দল হেরে যায় তাদের মন একটু খারাপ হয়ে গিয়েছিল কারণ তারা অনেক ভালো খেলেছে। খেলা শেষ হলে আমিও বাড়ি ফিরে আসি।
আজকের মত এখানেই। আশা করছি আমার পোস্টে আপনাদের ভালো লেগেছে। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
এই ধরনের ছোট গোল পোস্ট এ ফুটবল খেলার মজাটাই যেন অন্য রকমের। আমরাও মাঝে মাঝে এই ধরনের ছোট গল্প পোস্ট এর ফুটবল খেলার টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করে থাকি।
আপনি ঠিক বলেছেন এই ধরনের ছোট গোল পোস্ট এ ফুটবল খেলার মজাটাই যেন অন্য রকমের। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এ জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট গুলো খুবই প্রাণবন্ত হয়ে থাকে। বেশ ভালো লাগে ছোটদের এই খেলাধুলাগুলো দেখতে। আমিও প্রায় মাঝেমধ্যে দেখার চেষ্টা করতাম ছোটরা যখন ফুটবল খেলে কিন্তু এখন যেন সেটা আর হয়ে ওঠে না। তারপরেও কিছুদিন আগে দেখেছি দুই এক জায়গায়।
আপনি ঠিক বলেছেন এ জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট গুলো খুবই প্রাণবন্ত হয়ে থাকে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ব্লগটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।