নাওড়া ঘাটের সৌন্দর্য || ফটোগ্রাফি পোস্ট||
হ্যালো, আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আরেকটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আমার করা কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আমার ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
আমি কিছুদিন আগে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি। সেই পোস্টে আমি উল্লেখ করেছিলাম আমরা নাওড়া ঘাট ও নীলা মার্কেটে গিয়েছিলাম ঘুরতে। নীলা মার্কেটে করা ফটোগ্রাফিগুলো আমি ইতোমধ্যে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। এই ফটোগ্রাফি আমি নাওড়া ঘাটে করেছি। আমরা যখন নাওড়া ঘাটে ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন কিছু মানুষ কাশিয়া কেটে ট্রাকে তুলছিলো। জমি থেকে কাশিয়া কেটে যখন ব্রীজের উপর দিয়ে কাশিয়া নিয়ে যাচ্ছিলো সেই মুহুর্তের ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দী করে নিই।
এই ফটোগ্রাফিটি আমার নিজের কাছেই বেশ ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফিতে আমরা যেই গাছটি দেখতে পাচ্ছি সেটি হলো বড়াই গাছ। বড়াই গাছের একদম শেষ এর দিকে সূর্যটিকে নিয়েছি, এটি একদম মেয়েদের কপালেএ টিকলি এর মতো হয়েছে। কিছু ইউনিক ফটোগ্রাফি করার চেষ্টার ফল এটি। আমি মাঝেই মাঝেই এরকম কিছু ইউনিক ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করে থাকি।
প্রথম ফটোগ্রাফিটিতে লোকটির মাথায় যেই কাশিয়া ছিলো সেটি হলো এগুলো। কয়েকজন মিলে জমি থেকে কাশিয়া কেটে এগুলোর বোঝা করে মাথায় নিয়ে একখানে এনে জড়ো করে আবার সেখান থেকে সেই কাশিয়ার বোঝাগুলো অন্য কয়েকজন ট্রাকে তুলে। আমার কাছে কাশিয়াগুলো একসাথে বেশ ভালো লাগে। এগুলো দিয়ে অনেক কিছু বানানো হয় যেমন ঝাড়ু, পাপশ ইত্যাদি। কাশিয়ার বোঝাগুলো একত্রে বেশ দারুণ লাগছে।
আমি ইতোমধ্যেই আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি যে আমি আমার পরিবারের সাথে নাওড়া ঘাটে ঘুরতে গিয়েছিলাম। নাওড়া ঘাটে পথের পাশে এরকম একটি সাইনবোর্ডে লেখা ছিলো নাওড়া ঘাট। এই নাওড়া ঘাট লেখাটি নেওয়ার জন্য এটির ফটোগ্রাফি করেছিলাম। ফটোগ্রাফিতে সূর্যের কিরণ বেশ চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে। আশা করি ফটোগ্রাফিটি আপনাদের ভালো লেগেছে।
আমরা যখন সবাই মিলে নাওড়া ঘাটে সুন্দর সময় পার করছিলাম। তখন আমার চোখে পড়ে নদীর পারে একটি নৌকা ছিলো। জায়গাটি ঘাটের পার অর্থাৎ যেখানে নৌকা থাকে সেখান থেকে খানিকটা দূরে। নদীর পাশে একটি নৌকা দেখে আমি নদীসহ নৌকার এই ফটোগ্রাফিটি ক্যামেরাবন্দী করে নিই।
এই ফটোগ্রাফিটিতে আমি আপনাদের মাঝে নাওড়া ঘাট তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ঢাকা শহরের মধ্যে এরকম ফাকা জায়গা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ফটোগ্রাফিতে আপনারা দেখতে পারছেন যে একটি প্রবাহমান নদী আর নদীর দুপাশে ফাকা জায়গা। নাওড়া ঘাটের এই শীতল বাতাস মনকে মুগ্ধ করে তোলে।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
🌼ধন্যবাদ🌼
বিষয়: ফোটোগ্রাফি 📸
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে। ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি এমন প্রাকৃতিক পরিবেশ গুলো বেশি পছন্দ করি ভাইয়া। যেখানে নদী থাকবে ঘাট থাকবে। এছাড়াও থাকবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মানুষের তৈরি কৃত্রিম সৌন্দর্য। ঠিক তেমনি সৌন্দর্য বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে নাওয়া হাট উপস্থাপন করেছেন।
নাওয়া হাট না আপু জায়গাটির নাম নাওড়া ঘাট।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঘাটের সৌন্দর্য আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন ভাই। বেশ ভালো লাগলো এত সুন্দর ভাবে আপনার ফটোগ্রাফি ধারণ করতে দেখে পাশাপাশি এই ঘাট সম্পর্কে বিস্তারিত শেয়ার করতে দেখে।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
কী অসাধারণ সবকটি ছবি তুলেছো। প্রত্যেকটি ছবির প্রশংসা না করে পারছি না। সূর্যাস্তের ছবিগুলি বারবার করে দেখতে ইচ্ছে করছে। ফটোগ্রাফিতে পারদর্শী না হলে এমন সুন্দর সব ফটো ক্যাপচার করা যায় না। তোমার জন্য অনেক শুভকামনা রইল। তোমার ফটোগ্রাফির দক্ষতা আরো বৃদ্ধি হোক।
দোয়া রেখো যেনো আরো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নিয়ে তোমাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি।
কি দারুন ভাবে ছবিগুলো ক্যাপচার করেছেন। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি প্রশংসার দাবি রাখে। প্রথম দুটি ফটোগ্রাফি দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেছি। সূর্যাস্তের ফটোগ্রাফি গুলো অসম্ভব সুন্দরভাবে ক্যাপচার করেছেন। ছবিসহ এতো সুন্দর বর্ণনা সত্যি প্রশংসনীয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ফটোগ্রাফি পোস্টটি দেখে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন তবে সবগুলো ফটোগ্রাফির মধ্যে প্রথম ফটোগ্রাফি টা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আবার বরই গাছ আর সূর্যের কম্বিনেশন টাও ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যাইহোক তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার ফটোগ্রাফি পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থান দেখলে আসলে হৃদয় এমনিতেই প্রশান্তিতে ভরে যায়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি চমৎকারভাবে ক্যাপচার করেছেন। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
আমার করা ফটোগ্রাফিগুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমার অনেক ভালো লাগলো।
ভিন্ন ভিন্ন রকমের ফটোগ্রাফি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। আপনার তোলার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি এত সুন্দর হয়েছে যে, আমি তো দেখছিলাম আর মুগ্ধ হচ্ছিলাম। আমার কাছে সব রকমের ফটোগ্রাফি দেখতে খুব ভালো লেগেছে। এরকম সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করলে দেখলে অনেক বেশি মুগ্ধ হই। আমি এই ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো করতে এবং দেখতে দুটোই খুব পছন্দ করি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ফটোগ্রাফি পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি দেখতেছি নাওড়া ঘাটের থেকে চমৎকার কিছু অপরূপ সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। এমনিতে আপনি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করে থাকেন। সত্যি বলতে আপনার এক একটা ফটোগ্রাফি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অসাধারণ অসাধারণ ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
নাওড়া ঘাটের কী অপূর্ব সব ছবি শেয়ার করেছ শিপু। তোমার মা ঠিকই বলেন শিপুর ছবি তোলার হাত খুব ভালো৷ প্রথম ছবি জীবনের কথা বলে, আর দ্বিতীয় ছবি! আমি স্তব্ধ দেখে। কী অপূর্ব গোধুলি।