পরিবারের সাথে কাটানো চমৎকার কিছু মুহুর্ত ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আমি পরিবারের সাথে ঢাকায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। আপনারা ইতিমধ্যেই জানেন যে আমি ঢাকায় ফ্যামিলি বাসা নিয়েছি এবং এখন আমি আম্মু ও ভাইয়া একইসাথে আছি। আমাদের বাসা ঘুরতে এসেছে দুই নানি এক আমার নিজের নানি আরেকজন আমার মায়ের মামি। আজকে আমরা সবাই মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমাদের ঘুরতে যাওয়ার মুহুর্তগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
নানিরা বাসায় এসেছে দুইদিন হলো৷ তাদের নিয়ে তেমন কোথাও ঘোরা হয়নি তাই আমরা কালকেই প্লান করি যে আজকে কোথাও একটা ঘুরতে যাবো নানিদের নিয়ে। আজকে দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে সবাই রেডি হই। আমি শার্ট প্যান্ট, ভাইয়া টি-শার্ট, প্যান্ট ও আম্মু শাড়ি পড়ে। আমি আম্মুর শাড়ির সাথে ম্যাচিং করার জন্য সাদা প্রিন্ট এর একটি শার্ট পড়ি। সবাই মিলে বিকেল ৪ টার কিছুক্ষণ আগে বাসা থেকে বের হই।
বাসা থেকে বের হয়ে আমরা সায়েদনগর ১০ তলায় যাই। সেখান থেকে একটি অটো নেই। আমাদের এদিকে বালুঘাট নদীর একটি ব্রীজ রয়েছে সেই ব্রীজের নিচেই আবার ঘাট রয়েছে আমাদের গন্তব্য ছিলো সেখানে। আমরা সবাই অটো করে সেই ঘাটে যাই। ঘাটে যেয়ে একটি নৌকা করে আমরা নদী পার হই। সবাই মিলে একসাথে নৌকায় উঠি। কারণ কাল থেকেই নানি নৌকায় উঠবো বলছিলো। তাই আগে ঘাটপার যেয়ে নৌকায় করে নদী পার হই। এরপর নদীর ওপারে যাই। নদীর ওপারের পরিবেশ অনেক সুন্দর এবং উপভোগ করার মতো।
নদীর ওপারের ঘাটটি হলো নাওড়া ঘাট। আমি কিছুদিন আগেই এই নাওড়া ঘাটের কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। এই ঘাটে দুইপাশে একদম ফাকা জায়গা যতদূর চোখ যায় এবং ডান দিকে একটি নদী এরপরে আবার ফাকা জায়গা। ঢাকা শহরের মধ্যে এরকম ফাকা জায়গা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এখানকার শীতল বাতাস মনকে ভালো করে দেয় আরো সাথে যদি পরিবার থাকে তখন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরো ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের সকলের মনকে মুগ্ধ করে দিয়েছিল। নাওড়া ঘাটে যাওয়ার পর আশেপাশে ঘুরে দেখতে থাকি এরপর সবাই মিলে কিছু ছবি তুলি। ছবিগুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আম্মুর সাথে আমার ছবিগুলো আমার সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে।
এরপর নাওড়া ঘাটে কিছুক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পর আমরা আনুমানিক বিকেল ৪'৪৫ মিনিটে নাওড়া ঘাট থেকে একটি অটো নেই নীলা মার্কেট যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমরা নাওড়া ঘাট থেকে একটি অটো করে নীলা মার্কেটের উদ্দেশ্যে রওনা শুরু করি। প্রায় ৩০ মিনিটের মতো লাগে এখান থেকে নীলা মার্কেটে যেতে। আমরা নীলা মার্কেটে যেয়ে চারিদিক ঘুরে দেখতে থাকি। এরই মাঝে মাগরিবের আজান দেয় এবং সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। সন্ধ্যার সময় নীলা মার্কেটের সৌন্দর্য জন্য আরো বৃদ্ধি পায়। নীলা মার্কেটের দোকানগুলো এবং এখানকার পরিবেশ একদম মেলার মতো। এখানে বিভিন্ন ধরনের রাইড রয়েছে। যেমন নাগরদোলা,নৌকা, চরকি ইত্যাদি।
নীলা মার্কেটে অনেকগুলো খাবারের দোকানে রয়েছে নানান ধরনের খাবার। আমরা নীলা মার্কেট ঘুরে দেখতে দেখতে বাসার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপকরণ কেনাকাটা করি। বেশ কিছু দোকান ঘুরে কেনাকাটাগুলো করি। বাসার জন্য বেশ কিছু ওয়ালমেট কিনে নেই এরপর বাসার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কেনাকাটাও করি। আমরা মেলায় যেমন আগে বন্দুক দিয়ে বেলুন ফোটাতাম আজকেও ভাইয়া আর আমি বন্দুক দিয়ে বেলুন ফুটিয়েছি এতেই।শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল। সবশেষে বাসায় ফেরার সময় নীলা মার্কেটের মিষ্টি খাই সবাই মিলে। এখানকার মিষ্টিগুলো বেশ সুস্বাদু হয়ে থাকে। এরপর আমরা সবাই একটি অটো নিয়ে বাসায় ফিরে আসি।
আজকের মতো এখানেই। এতোক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরিবারের সকলের সাথে চমৎকার সময় অতিবাহিত করেছেন ভাই। সকলের সাথে সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে। আর ঘুরতে গেলে অনেক আনন্দ হয়। অসাধারণ মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
পরিবারের সাথে সময় কাটাতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমরাও মাঝেমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে থাকি ঘুরাঘুরি করার জন্য। পরিবারের সবাই মিলে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এটা দেখেই বুঝতে পারছি। আপনাদের সবাইকে একসাথে দেখে অনেক ভালো লাগলো। সবকিছুর মাঝে পরিবারকে একটু সময় দিলে ভালোই লাগে। মুহূর্তটা এত সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
পরিবারের সাথে সময় কাটাতে এমনিতেই খুব ভালো লাগে। আপনারা সবাই মিলে বেশ সুন্দর একটি জায়গায় গিয়েছিলেন। সবাইকে খুব সুন্দর লাগছে ফটোতে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন পরিবারের সাথে সময় কাটাতে এমনিতেই খুব ভালো লাগে।
ভাইয়া আপনি দেখতেছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে এবং দুই নানুকে নিয়ে ঘুরতে গেলেন। আসলে বিকেল বেলা কোথাও ঘুরতে গেলে এমনিতে ভালো লাগে। এবং ঘুরতে গিয়ে বাসার জন্য ওয়ালমেট কিনেছেন। নদীর ধারে ঘুরলেন। দেখতেছি পছন্দের মিষ্টি ও খেলেন। আসলে মাঝেমধ্যে কোথাও ঘুরলে মন ও ফ্রেশ থাকে নিজের কাছেও ভালো লাগে। সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।।