গল্প :-ভালোবাসায় বিশ্বাস অর্জন করতে হয়।(প্রথম পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাস্তবে একটি গল্প। আমার শশুর এলাকা একদম গ্রামাঞ্চলে। এইখানে মানুষগুলো একদম সরল মানুষ তাদের মনে তেমন কোন দ্বন্দ্ব বা ঝামেলা নেই। আর এইখানে যতটুকু দেখেছি আমি মনে করি তারা অনেকে ভালো মনের। এবার আসা যাক আমার শ্বশুরবাড়ির পাশে একটি বাড়ি আছে। এবং সেই বাড়িতে অনেক ফ্যামিলি আছে। ফ্যামিলি তো অনেক মানুষ আছে যারা এক মতে থাকে না। তেমনি অনেক বাড়িতে মানুষ আছে তারও একমতের নেই। তবে একজনের বিপদ দেখলে অন্যজন সেই নিয়ে তামাশা করবে সেটিও ভালো না।
এবং ওই বাড়িতে আলাম নামে একটি লোক আছে। তার একটি ছেলে আর একটি মেয়ে আছে। যদিও ছেলেটির ছোট মেয়েটি বড়। এবং মেয়েটির নাম হচ্ছে জেসমিন। এবং জেসমিনের বাবা আলাম কৃষিকাজ করে। তার মোটামুটি জায়গা সম্পত্তি ও অনেক আছে। তবে সেই সব সময় চেষ্টা করে ছেলেমেয়েদের এবং ফ্যামিলি কে সুখে রাখার জন্য। তবে জেসমিন বর্তমানে কলেজে পড়ে। আর কলেজে পড়ার জন্য সে বাবার থেকে মোটামুটি ভালই টাকা নেই। এবং বাবাও সরল মনে তার মেয়েকে টাকা দেয়। মেয়েটির পড়ালেখা খুব ভালো। যখন মেয়েটি বড় হয়েছে তার বাবার চেষ্টা করে ভালো ছেলে দেখে তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য।
তবে মেয়েটি ও ভালো ছেলে পেলে বিয়ে বসবে। তবে এর আগেও মেয়েটির জন্য অনেক বিয়ের পাত্র আসলো। হয়তোবা একেকটা কারণে পাত্র গুলোর সাথে বিয়ে ঠিক হয় নাই। কিছুদিন আগে পাশের এলাকায় একটি ভালো সম্পর্ক আসলো মেয়েটির জন্য। তবে ছেলেটি বিদেশ থাকে এবং ছেলেটির পরিবার খুব ভালো। এবং দুই ফ্যামিলি কথা বলে মোটামুটি বিয়েটি করাতে আগ্রহ আছে। এবং ছেলেটিও মেয়েটিকে দেখে পছন্দ করেছে। এতে করে দুই ফ্যামিলির মতে তাদের বিয়েও ঠিক হল। এবং মেয়েটির বাবা কৃষক হতে পারে শিক্ষা আছে এবং মানুষের সাথে ভালো ব্যবহারও করে। এই কারণে মেয়েটির বাবা তার মেয়ের বিয়ের জন্য বড় করে অনুষ্ঠান করবে।
আর মেয়ের বাবার বিশ্বাস হচ্ছে তার মেয়েকে সেই যেখানে বিয়ে দেবে তার মেয়ে সেটি মেনে নেবে। কারণ এত আদর করে মেয়েটিকে সেই ভালো করেছে। তার কথার বাইরে সে যাবে না। আর মেয়েটি ও বাবা মাকে অনেক সম্মান করে। মোটামুটি বাড়ির মানুষগুলো মেয়েটিকে ভালো পায়। যখন আস্তে আস্তে বিয়ের দিন সামনের দিকে এগোচ্ছে তখন মেয়েটি আস্তে আস্তে করে তার ব্যবহার এবং উদাসীনতা দেখাচ্ছে। হয়তো অনেকে মনে করতেছে বিয়ে ঠিক হওয়ার কারণে হয়তো বা মেয়েটি একটু উদাসীন দেখাচ্ছে। আর এই বয়সে নাকি মেয়েরা এরকম একটু উদাসীন থাকে।
এদিকে দিন যখন এগিয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে মেহমান এবং মানুষদের দাওয়াত দেওয়া শুরু হয়ে গেছে। বিয়ের দুই দিন আগে থেকে মেয়েটির আত্মীয়-স্বজন কিছু তাদের বাড়িতে আসলো। এবং জেসমিন তাদের বড় মেয়ে এই কারণে তাদের প্রথম অনুষ্ঠান তার কারণে বড় করতেছেন । বিয়ের আগের দিন জেসমিন বলতেছে সে একটু কলেজে যাবে এবং তার কিছু বন্ধুবান্ধবকে দাওয়াত দেবে। এতে করে বন্ধু-বান্ধা গুলো তাকেও ভালো মনে করবে। মেয়েটির মা এবং বাবা সরল মনে বিশ্বাস করে মেয়েদেরকে বলতেছে যাও তোমার বন্ধুবান্ধবকে দাওয়াত দাও। এই বলে মেয়েটি বাড়ি থেকে বাইর হলেন কলেজের উদ্দেশ্যে। (চলবে)
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1875524531860980092?t=qz01748W-0Lo2Nwit5P-uQ&s=19
অনেক সুন্দর একটি গল্প আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। প্রত্যেক পিতা-মাতাই এমনটাই আশা করে যে নিজের সন্তানকে নিজের মতো করে বিয়ে দেবো এবং তার মেয়ে তাতে সম্মতি দিবে। কিন্তু এমন সময় দেখা যায় অনেক ছেলে-মেয়ে প্রেম ভালবাসায় জড়িত হয়ে পড়ে। যা হোক আপনার সুন্দর একটি গল্প পড়ে বেশ কিছু জানতে পারলাম।
সত্যি আপু ভালোবাসায় বিশ্বাস অর্জন করতে হয়। তবে মেয়েটি তো বেশ ভালোই কথা শোনেছিল। কিন্তু বিয়ে ঠিক হয়েছে তবে কলেজের উদ্দেশ্য চলে গেল। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
বেশ সুন্দর গল্প লিখেছেন আপনি। ভালোবাসায় বিশ্বাস অর্জন করতে হয় তা খুবই বাস্তব। ভালোবাসা বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল। আপনার গল্পটি আমাদের সমাজের সাথে বেশ মিল রয়েছে। প্রত্যেক পিতা-মাতা আশা করে নিজের সন্তানকে নিজের মতো করে বিয়ে দেবো। পরবর্তী পর্ব দেখা যাক মেয়েটি কি হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর গল্পের আজকের পর্ব শেয়ার করার জন্য।