জেনারেল রাইটিং || নিজের কাজ নিজে করাই উত্তম
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আসলাম। আজকে আপনাদের মাঝে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো। আজকে আপনাদের সাথে নিজের কাজ নিজে করাই উত্তম শেয়ার করবো। পূর্ববর্তী সময়ে আমি আপনাদের মাঝে অনেক জেনারেল রাইটিং শেয়ার করেছিলাম যা আপনাদের অনেক ভালো লেগেছিল৷ তাই আজকে আরো একটি জেনারেল রাইটিং আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে চলে আসলাম৷ আজকের জেনারেল রাইটিং এর বিষয়টি হচ্ছে নিজের কাজ নিজে করা নিয়ে। আসলে আমরা অনেকে আছি যারা যেকোনো ধরনের কাজ নিজে করতে তেমন একটা পছন্দ করি না৷ অন্যকে দিয়েই কাজ করানোর ক্ষেত্রে আমরা বেশি পছন্দ করি৷ তবে এরকম করা কখনো ঠিক নয়৷ এই কাজের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় সরকারি কাজগুলোর ক্ষেত্রে হয়ে থাকে৷ আমরা নিজেদেরকে কোন ভাবেই সেই কাজের ক্ষেত্রে সময় দিতে চাই না৷ আমরা শুধুমাত্র সেখানকার যে সকল অন্যান্য মানুষগুলো রয়েছে অথবা দালাল রয়েছে তাদেরকে দিয়ে কাজ করাতে চাই৷ তবে এটা করা কখনো ঠিক নয়৷ সরকারি কাজগুলোর ক্ষেত্রে একটু অবহেলা দেখা যায়৷ তবে সে অবহেলাগুলোকে আমাদের মেনে নিতে হবে এবং সেই অবহেলাগুলো যাতে করে তারা করতে না পারে সেদিকে আমাদের একটু বেশি জোর প্রদান করতে হবে। তাদেরকে যদি আমরা আমাদের সময়ের মূল্য বোঝাতে পারি তাহলে তারা অতি সহজেই আমাদের কাজ করে দিবে৷ তা নাহলে তারা কখনো আমাদের এই কাজ অতি তাড়াতাড়ি সময়ে করে দিবে না৷ তারা এমন একটা ভাব নিয়ে থাকবে যে তারা অনেক বড় কিছু৷
আসলে সরকারি যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে তারা এমন একটা ভাব নিয়ে থাকে যে তারা সবকিছুই জানে৷ তারা সবকিছু সম্পর্কে অবগত৷ আসলে তারা হয়তো অনেক কিছুই জানে না৷ তাদের এই না জানার কারণে অনেক মানুষ অনেক বিপদে পড়েছে৷ তাদের কারণে অনেক সাধারণ মানুষের অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে একটা সময় আমরা অনেকে দেখেছি যে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করা হয়েছিল এবং সেই জাতীয় পরিচয় পত্রের মধ্যে অনেকেরই অনেক ভুল পাওয়া গিয়েছে৷ তাদের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম সবকিছুই ভুল হয়েছে৷ এমনকি তাদের পিতার বয়স থেকে তাদের বয়স বেশি এরকম অনেক ঘটনাও আমরা দেখেছি৷ আসলে এই ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দায়ী হচ্ছে ওই মানুষগুলো যারা এই কাজের প্রতি অবহেলা দেখায়৷ অবহেলার কারণে এই ভুলগুলো হয়ে থাকে৷ এই ভুলগুলো সংশোধনের ক্ষেত্রে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়৷ অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়৷ এই ভোগান্তি দূর করার জন্যই আমরা অন্য কাউকে দিয়ে কাজগুলো করানোর চেষ্টা করি৷ সে ক্ষেত্রে আমাদের অনেক টাকা খরচ করতে হয়৷
আবার এমন কিছু মানুষের রয়েছে যারা ইচ্ছে করে এই ভুলগুলো করে থাকে৷ যাতে করে পরবর্তীতে তাদের লোকের মাধ্যমে এই কাজগুলো করানো যায়৷ সেখান থেকে তারা বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিবে এরকম অনেক পরিকল্পনাও তাদের মধ্যে থাকে৷ এরকম অনেক ঘটনাই আমরা অনেকেই দেখেছি৷ নিজের জন্ম তারিখ এবং নাম ভুল থাকার মতো আর খারাপ কিছুই হতে পারে না৷ আর সেগুলো ঠিক করার জন্য আমরা অনেক ভোগান্তির শিকার হয়ে থাকি৷ ম যখন আমাদের এই নাম ভুল চলে আসে তখন আমরা অনেকটাই হতাশ হয়ে যাই৷ সেই কাজগুলো যখন সংশোধনের জন্য আমরা চলে যাই কোন একটি বোর্ড অফিসে অথবা কোন পৌরসভায় তখন আমাদের এই খারাপ ব্যবস্থা সম্পর্কে দেখার সুযোগ হয়৷ তাদের এই ব্যবস্থা এতটাই অবহেলার যা একেবারে বলার বাহিরে৷ এত কিছু করার পরেও তারা যখন ইচ্ছে করে ভুল করে অথবা অবহেলার কারণে ভুল করে তখন তাদেরকে ইচ্ছা করে সেখান থেকে উঠিয়ে আমরা নিজেরাই বসে যাই৷ তবে তা কখনোই করা যাবে না৷ আমাদের রাগকে কন্ট্রোল করেই আমাদেরকে সবকিছু করতে হবে এবং সবকিছুতে আমাদেরকে সময় দিতে হবে৷
কিছু কিছু মানুষ তাদের এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য দালাল দ্বারা কাজগুলো করানোর চেষ্টা করে৷ তবে দালালরা কোনভাবেই কাজগুলো সময় করে দিতে পারে না এবং তারাও ঠিক একই কথা অবলম্বন করে যাতে করে ওই ভোক্তার কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিতে পারে৷ সেই ভোক্তার কোন উপায় থাকে না সে কি করবে৷ সে সবার কাছে বাধা হয়ে যায়৷ কারণ তার এই কাজটি ঠিক করা লাগবে৷ এখন সেই টাকা দিয়ে হোক সময় দিয়ে হোক যা কিছু দিয়েই হোক না কেন তাকে এই কাজগুলো করতেই হবে৷ তাই সে দালালদেরকে অনেক টাকা দেয় এবং দালালরা এর সুযোগ নেয়৷ তারা একের পর এক ডেট দিতে থাকে এবং তারা চাইলে একদিনেই কাজটি করে দিতে পারতো অথবা এক সপ্তাহের মধ্যেই তারা কাজটি করে দিতে পারতো৷ তবে তারা টাকা খাওয়ার জন্য এক মাস দুই মাস পর্যন্ত কাজগুলোকে নিয়ে যায়৷ প্রতি সপ্তাহে ওই ভোক্তার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়৷ তার কাছ থেকে এত বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মাধ্যমেই তারা এখন তাদের জীবনের মধ্যে অনেক ভালো কিছুই করে ফেলতে পেরেছে৷ একইসাথে যারা এই কাজগুলোর সাথে জড়িত এবং যারা ইচ্ছে করেই ভুল সম্পাদন করে থাকে তাদেরও এখন লক্ষ কোটি টাকা হয়ে গিয়েছে৷ আসলে আমরা দেখে থাকি যে পুলিশ অথবা অন্য কাউকে যদি ঘুষ দেওয়া হয় তাহলে সেটি এমন ভাবে দেওয়া হয় যা আমরা দেখতে পাই। তবে এখানে যেভাবে চোরাই পদ্ধতিতে অথবা মানুষের চোখ ফাঁকি দিয়ে যেভাবে টাকা দিয়ে নেওয়া হচ্ছে সেগুলো কোন মতেই ঘুষের থেকে কম নয়৷ যাই হোক আমাদের উচিত সব সময় কাজের প্রতি আগ্রহ দেখানো৷ যদি আমরা যে কোন কাজের প্রতি আগ্রহ দেখে এসব কিছু সম্পাদন করতে পারি তাহলেই আমরা অনেক কিছুই শিখতে পারবো৷ তাদের এই ভুল আর কখনোই তারা করতে পারবেনা বলেই আমাদের উচিৎ সব সময় আমরা নিজেদের কাজ নিজেরাই করা৷
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bijoy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
তারিখ | ১৮.১০.২০২৪ |
লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
আজকে এই পর্যন্তই। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। ইনশা আল্লাহ দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
https://x.com/bijoy1__2024_SB/status/1847114138985943143?t=mrrfmdy-zUiDmpyszMVqGA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। নিজের কাজ নিজে করা সম্ভব হলে নিজে করাটাই শ্রেয়। তবে সরকারী অফিসের কাজের যে উদাহরণ দিলেন, সেখানে তারা যে সিস্টেম করে রেখেছে, তাতে তাদের মাধ্যমে কাজ না করালে অনেক ভোগান্তি বা দেরী হয় কাজ উদ্ধারে। সংস্কার জরুরী এসব ক্ষেত্রেও।
ভাল লিখেছেন। ভাল থাকুন।
আমাদের মুখমন্ডলে (Face) একটা ত্রিভুজাকার জায়গা আছে যেটাকে বলে ড্যাঞ্জার এরিয়া অফ দ্যা ফেস (Danger area of the face) বা দ্যা ডেথ ট্রায়াংগেল (the death triangle) বা ট্রায়াংগেল অফ ডেথ (triangle of death)। এটা উপরের ঠোট থেকে শুরু করে নাকের উপর দিয়ে গিয়ে কপাল পর্যন্ত বিস্তৃত (ছবি)। এই জায়গার যেকোন ইনফেকশান যেমন সাইনুসাইটিস (sinusitis), ফোড়া (Acne), চামড়ার প্রদাহ (skin cellulitis) ইত্যাদি হলে সেই ইনফেকশান শিরা পথে মাথার ব্রেইন পর্যন্ত চলে যেতে পারে।
কিছু কিছু সাধারন কাজ, যেমন, নাক খোটা, নাকের পশম টেনে তোলা, ব্ল্যাক হেড নখ দিয়ে তোলা, কোন পিম্পল থাকলে সেটা নখ দিয়ে খুচিয়ে তোলা ইত্যাদি এই জায়গার ইনফেকশান ব্রেন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে ভুমিকা রাখে। অনেক জটিলতা হতে পারে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্তও!
নিজের কাজ নিজেই করা উত্তম। নিজের কাজ অন্যের দ্বারা পরিচালিত করলে সেটি খুবই একটা সুন্দর হয় না।আর মানুষ কখনোই অন্যের কাজ গুলো কে সুন্দর করার চেষ্টা করে না। আমাদের সমাজের মধ্যে এমন কিছু মানুষ রয়েছে, যারা অন্যের কাজ কে ইচ্ছে করেই খারাপ করার চেষ্টা করে।
নিজের জিনিসের প্রতি যতটুকু গুরুত্ব থাকে অন্য জিনিসের প্রতি ততটা গুরুত্ব থাকে না। এটা বোঝাতে চাইছে সবসময় নিজের কাজ নিজে করাটাই উত্তম আর সেটা উত্তমরূপে করা হয়ে থাকে। যে কাজটা আপনি নিজে করবেন অন্যের দ্বারা সেই কাজটা সেই উত্তমরূপে করা সম্ভব নয়। তাই নিজের কাজ নিজে করাটাই শ্রেয়।
কিছু কিছু বিষয় রয়েছে নিজের কাজ নিজেকে করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন আরেকজনের মাধ্যমে কাজ করার চেষ্টা করে থাকে কিন্তু সেখানে অনেক ভোগান্তির শিকার হয়ে থাকে। তাই সব জায়গায় চেষ্টা করতে হবে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা দ্বারা নিজের কাজ সম্পন্ন করা।
নিজের কাজ নিজে করাটা সবথেকে ভালো। কারণ নিজের কাজ যখন নিজে করা হয় তখন কাজের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। যখন অন্যকে দ্বারা সেই কাজগুলোকে করোনা হয় তখন অলসতা বেড়ে যায়। তাই আমাদের সকলের উচিত নিজের কাজ গুলো নিজের হাতে করা।এতে করে গুছিয়ে কাজ গুলো করা হয়।আর কাজগুলো ভালো তো হয় সাথে আমাদের উপকার হয়। খুব সুন্দর কিছু কথা তুলে ধরেছেন ভাইয়া। পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। আসলে ভাইয়া সব কাজ মানুষ দিয়ে করানো সম্ভব নয়। নিজের কাজের প্রতি নিজের যতটা গুরুত্ব আছে অন্যের ক্ষেত্রে তা নয়।আমাদের সবার উচিত যতদূর সম্ভব নিজের কাজ নিজেরি করা।ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকে আপনি খুব মূল্যবান একটি পোস্ট করেছেন। তবে এটি ঠিক নিজের কাজ নিজে করাই উত্তম। আসলে নিজের কাজ অন্য লোককে দিয়ে কখনো সঠিকভাবে করানো যায় না। দালাল ভাগ ঘুষ দিও ওই কাজ নির্দিষ্ট সময়ও করা যায় না। আবার কারো দিয়ে কোন কাজ করাতে লাগলে সে এমন ভাব নেই মনে হয় সে সবকিছু জানে। ভালো লাগলো আপনার পোষ্টটি পড়ে।
আসলে প্রত্যেকটি কাজ আমাদের নিজেদের করা উচিত। কেননা আমরা যদি আমাদের কাজ অন্যের উপরে ভরসা করে রেখে দেই তাহলে সেই কাজটি কখনো নাও হতে পারে। আজ আপনি আপনার পোস্টে যে কথাগুলো বলেছেন সে কথাগুলো একদম সঠিক কথা। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।