কক্সবাজার ভ্রমণ [পর্ব:-৩১] ~ " শেষ কিছু কেনাকাটা "
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে এই ভ্রমণের অন্য পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে এর আরো একটি পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই ভ্রমণের সবগুলো পর্ব খুব ভালোভাবে গুছিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
এই ভ্রমণের পর্ব একেবারে প্রথম থেকে শুরু করতে যাচ্ছি৷ আপনারা হয়তো অনেকেই ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে আমি কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলাম৷ সেখানে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম৷ হয়তো @bristy1 আপু ও @nevlu123 ভাইয়া ওনাদের মাধ্যমে আমাকে ওনাদের পোস্টে অনেকেই দেখেছেন। তাই আজকে আমি আমার নিজের এই পোস্টের একত্রিশ তম পর্ব শুরু করতে যাচ্ছি৷ আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পর্বগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ আশা করি আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে৷ চেষ্টা করব প্রতিনিয়ত খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তোলার এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে সবকিছু দেখানোর।
আজকে আমি আবার আপনাদের মাঝে আমার ভ্রমণের আরো একটি পর্ব নিয়ে চলে আসলাম। আশা করি আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে পর্বটি শেয়ার করব সেটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে৷ এই পর্বের মধ্যে আমি একেবারে সুন্দর কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করব। আপনারা হয়তো আমার এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝতে পেরে গিয়েছেন যে আমি কি সম্পর্কে পোস্ট করতে যাচ্ছি। আসলে আমাদের বাড়ি ফেরার সময় হয়ে গিয়েছে এবং আমরা সেখানে অনেকদিন যাবত অবস্থান করেছিলাম। তাই আমরা বাড়িতে আসার পূর্ববর্তী সময় সেখানকার কিছু মুহূর্ত উপভোগ করছিলাম। গত পর্বে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম যে আমরা সবাই মিলে শামশুন্নাহার আপুর বাসায় গিয়েছিলাম৷ সেখানে আমরা অনেকক্ষণ সময় অতিবাহিত করলাম এবং উনাদের সকলের সাথে আমরা খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করার পরে আমরা আবার আমাদের বাসায় চলে আসলাম৷ সেখান থেকে আমরা পরদিন সকালবেলা বের হয়ে গেলাম কিছু কেনাকাটা করার জন্য৷ একইসাথে আমরা প্রতিদিনই অল্প অল্প কিছু কেনাকাটা করেছিলাম যাতে করে শেষ দিন আর আমাদেরকে কষ্ট করতে না হয়। তাই আমরা অল্প কিছু কেনাকাটা সবসময় সেরে নিলাম। চেষ্টা করলাম সব কেনাকাটা শেষ করার জন্য৷ তাই সেখানে আমরা সেখানে অবস্থান করছিলাম এবং সেখান থেকে আমরা অনেক কিছুই কিনে নিলাম৷ এরপর আমরা আরো আরো কিছু কেনার জন্য বিচের দিকে চলে গেলাম৷
এরপর আমরা সেখান থেকে আমাদের যে ছোটখাটো কেনাকাটা গুলো রয়েছে সেগুলো করতে শুরু করে দিলাম৷ আমাদের যে খাবার ছিল সেগুলো কিনে নিয়েছিলাম৷ এখানে আপনারা দেখতে পারছেন যে আমরা এখানে একটি আচার চকলেট এর দোকানে অবস্থাব করছি। সেই দোকানটি ছিল আমাদের একজন পরিচিত যে ব্যক্তি ছিলেন তার ভাইয়ের৷ আমরা যে ব্যক্তির সাথে শুটকি কিনতে গিয়েছিলাম এবং হোটেল ভাড়া করেছিলাম ওই ব্যক্তির ভাইয়ের দোকান।৷ তার দোকান আমাদের হোটেলের একটু কাছে ছিল৷ তাই আমরা হোটেল থেকে বের হয়েই তার কাছে চলে আসলাম কিছু কেনাকাটা করার জন্য৷ আমরা তাকে আগে থেকেই বলে রেখেছিলাম যে আমাদের জন্য সবকিছু তৈরি করে রাখার জন্য এবং আমরা তখন সেখানে এসে সবকিছু রিসিভ করে নেওয়ার পরে আমাদের সেখানে আরো কিছু বিষয় পছন্দ হয়৷ সেগুলো আমরা নিয়ে নিলাম৷ একই সাথে সেখানে যে সকল আচার চকলেট ছিল সেগুলোর মধ্যে আমি নিজের জন্য কিছু এক্সট্রা নিয়ে নিলাম৷ একইসাথে বাসার সকলের জন্য নিয়ে নিলাম৷ সবাই সবার বাসার জন্য নিচ্ছিল এবং নিজের জন্য এক্সট্রা অনেকেই নিচ্ছিল। একইসাথে আমাদের আশেপাশে সেখানে আরো অনেক মানুষ সেখানে দোকানগুলোর মধ্যে ভিড় করছিল৷ তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু নিয়ে নিচ্ছিল। এরপর আমরাও আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সবগুলো নিয়ে নিলাম৷
এরপর আমি চলে গেলাম আমার একটি কাজ করার জন্য৷ সেখানে শামুকের উপরে আমার নিজস্ব নাম লেখানোর একটি প্ল্যান ছিল৷ তাই আমি সেখানে চলে গেলাম আমার নাম লেখানোর জন্য৷ একইসাথে বড় একটি শামুকের মধ্যেও আমাদের সকলের নাম লেখানোর কথা ছিল৷ তাই প্রথমে বড় শামুকের মধ্যে সবার নাম লেখার জন্য দিয়ে দেওয়া হলো৷ একইসাথে সেখানে যে ছোট শামুকের মধ্যে আমার নাম লেখার কথা ছিল আমি সেটিও তাকে দিয়ে দিলাম৷ তাকে আমরা নাম লেখার জন্য দিয়ে দেওয়ার পরে সে বলে যে কিছুক্ষণ সময় লাগবে৷ তখন আমরা বললাম যে কিছুক্ষণ পরে আমাদের গাড়ি আছে৷ গাড়িতে করে চলে যেতে হবে৷ তাই উনি যেন একটু তাড়াতাড়ি আমাদের এই কাজগুলো করে দেন৷ তখন আমরা তাকে সবকিছু বলে দিলাম এবং আমরা সামনের দিকে এগোতে শুরু করলাম৷ সেখানে আরো অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর বিষয় ছিল যা আমাদের পছন্দ হচ্ছিল৷ আমরা তা নিয়ে নিলাম এবং এদিক সেদিক অনেক ছোটখাটো কেনাকাটা করার পরে আমরা সেখান থেকে আবারো বাসায় চলে আসলাম এবং বাসায় চলে এসে আমাদের সবকিছু গোছানো শুরু করে দিলাম।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bijoy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
তারিখ | ১৭.১১.২০২৪ |
লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
আজকে এই পর্যন্তই। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। ইনশা আল্লাহ দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
https://x.com/bijoy1__2024_SB/status/1857972542331576682?t=vzWwiQA2p_lzAG0CLHcj8g&s=19
💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 3/6) Get profit votes with @tipU :)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি যখন কক্সবাজার গিয়েছিলাম আমাদের টিমের সাথে আমরা সবাই মিলে শামসুন্নাহার আপুর সাথে দেখা করেছিলাম । আপুর দুইটা মেয়ে ছিল তাদের কথা খুবই মনে পড়ে। আপনারা আপুর সাথে দেখা করেছেন জেনে ভালো লাগলো। সামুদ্রিক ঝিনুক দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মালা ইত্যাদি তৈরি করে। দোকানগুলো অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে বিক্রি করে। আমার কাছে দোকানগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। অনেক কিছুই কেনাকাটা করেছেন সেটা আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
কক্সবাজার ভ্রমণের অনেকগুলো পর্বই শেয়ার করেছেন দেখছি। বেশ কয়েকটা পর্ব দেখা হয়েছে তবে সবগুলো দেখিনি। ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট দেখে। শামুকের ওপর আপনাদের সবার নাম লিখেছেন। এগুলো একটা স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে সব সময়। খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে। সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কক্সবাজার ভ্রমণের অনেকগুলো পর্ব আপনি শেয়ার করেছেন। সবগুলো পড়া হয়নি তবে কিছু কিছু পড়েছি। আজকের কেনাকাটার জন্য নানান ধরনের দোকানের ছবিগুলো বেশ অভিনব লেগেছে। সমুদ্রের ধারে সামুক ঝিনুকের বানানো জিনিসের এই দোকানগুলো দেখতে এত ভালো লাগে। আপনাদের নাম লেখা শামুকটা খুব সুন্দর হয়েছে।
আজকের ব্লগটি পড়তে বেশ ভালই লাগলো।