কক্সবাজার ভ্রমণ [পর্ব:-৩২] ~ " কক্সবাজার টু চট্টগ্রাম "
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে এই ভ্রমণের অন্য পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে এর আরো একটি পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই ভ্রমণের সবগুলো পর্ব খুব ভালোভাবে গুছিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
এই ভ্রমণের পর্ব একেবারে প্রথম থেকে শুরু করতে যাচ্ছি৷ আপনারা হয়তো অনেকেই ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে আমি কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলাম৷ সেখানে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম৷ হয়তো @bristy1 আপু ও @nevlu123 ভাইয়া ওনাদের মাধ্যমে আমাকে ওনাদের পোস্টে অনেকেই দেখেছেন। তাই আজকে আমি আমার নিজের এই পোস্টের বত্রিশ তম পর্ব শুরু করতে যাচ্ছি৷ আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পর্বগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ আশা করি আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে৷ চেষ্টা করব প্রতিনিয়ত খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তোলার এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে সবকিছু দেখানোর।
আজকে আমি আবার আপনাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি ভ্রমণের পর্ব নিয়ে চলে আসলাম৷ আমি এতদিন ধরে আপনাদের মাঝে খুব সুন্দর কিছু ভ্রমনের পর্ব শেয়ার করার মাধ্যমে আমার কক্সবাজার ভ্রমণের অনেক কিছু শেয়ার করেছিলাম যা আপনাদের অনেক ভালো লেগেছিল৷ তাই আজকে শেষের দিকে একটি পর্ব শেয়ার করব৷ গত পর্বে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম যে আমরা কক্সবাজার থেকে অনেককিছুই কেনাকাটা করেছিলাম। সেখানকার ছোটখাটো অনেকগুলো কেনাকাটা সেরে নিলাম৷ এরপর আমরা কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে চলে আসলাম৷ এরপর আমরা সেখান থেকে আমাদের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম৷ সেখানে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে করতে আমরা অনেক সময় সেখানে অপেক্ষা করলাম৷ সকালবেলা সেখানে এত বেশি পরিমাণে রোদ ছিল যা আমরা এতটাই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম যা একেবারে বলার বাইরে৷ একইসাথে সেখানে আমাদের পাশাপাশি অনেক মানুষ সেই ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন৷ আমাদের পূর্বে অনেকে সেখানে এসেছিলেন৷ আমাদের পরেও সেখানে অনেকে এসেছিলেন৷ এরপর সেখানে আমরা কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম৷ সেখানে এত সুন্দর সুন্দর কিছু স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে যা একেবারে অসাধারণ ছিল৷
এরপর আমরা সেই সুন্দর জায়গাগুলো থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম৷ সেখানে ঘোরাঘুরি করতে শুরু করে দিলাম৷ এখানকার আশেপাশের এত সুন্দর জায়গাগুলো দেখে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না৷ আমি যখন এত সুন্দর কিছু স্থাপনা সেখানে দেখতে পাই তখন এতটাই মুগ্ধ হয়ে যাই যা একেবারেই বলার বাহিরে৷ সেখানে এত সুন্দর কিছু জায়গা যখন আমি দেখি তখন তা দেখে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না৷ একই সাথে এখানে আপনারাও যখন এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এই বিষয়গুলো দেখতে পাবেন তখন আপনারা অনেক মুগ্ধ হয়ে যাবেন৷ সেখানে আরো অনেকগুলো স্থাপনা করার প্রস্তুতি চলছিল৷ হয়তো ভবিষ্যতে যদি আবার কখনো যাওয়া হয় তখন সেখানে আবারও আপনারা নতুন কিছু বিষয় দেখতে পাবেন৷ সেই নতুন বিষয়গুলোর মধ্যে আমি আরো বিস্তারিতভাবে আপনাদের মাঝে সবকিছু শেয়ার করার চেষ্টা করব. একই সাথে সেখানে তারা এখন যে সৌন্দর্যগুলো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ভবিষ্যতে হয়তো আরো অনেকগুলো সুন্দর বিষয় সেখানে দেখতে পাবেন যা আপনাদেরকে অনেকটা মুগ্ধ করে তুলবে৷ যেরকম এখনকার সময়ও আমাদেরকে সবকিছুই মুগ্ধ করে তুলেছে৷
এর কিছুক্ষণ পরে আমাদের ট্রেন চলে আসে এবং আমরা সবাই মিলে ট্রেনে উঠে পড়লাম৷ আমরা ট্রেনে ওঠার কিছুক্ষণ পরে আমাদের ট্রেন সামনের দিকে এগোতে শুরু করল৷ সবাই যখন ট্রেনে উঠে সেখান থেকে চলে যাচ্ছিল তখন অনেকটাই খারাপ লাগছিল৷ কারণ এতদিন আমরা সেখানে অবস্থান করছিলাম। আজকে এখান থেকে চলে যেতে হচ্ছে৷ যার ফলে অনেকটাই কষ্ট লাগছিল৷ তারপরও আমরা সামনের দিকে এগোতে শুরু করে দিলাম৷ সেখানে আমরা আসার সময় যে সকল সৌন্দর্য গুলো উপভোগ করেছিলাম ঠিক সেরকমই সৌন্দর্য গুলো আজকে আমরা উপভোগ করছিলাম৷ আমরা যতই সামনের দিকে এগোতে শুরু করলাম ততই আমরা আরো সুন্দর কিছু বিষয় সেখানে দেখতে পেলাম৷ এরপর আমরা আবারো আমাদের সেই চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌছালাম এবং সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পরে আমরা সেখানে আমাদের ট্রেনের জন্য অনেক সময় বসে থাকতে হয়েছিল৷ কারণ যে ট্রেনটি ফেণী থেকে চট্টগ্রামের দিকে এসেছিল সে ট্রেনে করে আমাদেরকে আবার চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে যাওয়া হবে৷ তাই আমরা সেখানে অনেকক্ষণ সময় অপেক্ষা করলাম এবং সেখানে অপেক্ষা করার পরে আবারো আমাদের ট্রেন চলে আসবে৷ সেই ট্রেনে আমরা উঠে পড়লাম৷ পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে আমি শেষ পর্ব শেয়ার করার চেষ্টা করব।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bijoy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
তারিখ | ২৫.১১.২০২৪ |
লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
আজকে এই পর্যন্তই। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। ইনশা আল্লাহ দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
https://x.com/bijoy1__2024_SB/status/1860871188534468847?t=Mi61KQT5Vl1JNDWTFpcN0Q&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
25.11.2024
কক্সবাজারে আপনার কিছু কেনাকাটার পোস্ট টা দেখেছিলাম। বেশ অনেকগুলো পর্বের মাধ্যমে আপনি আপনার কক্সবাজার ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো শেয়ার করছেন। আজকের পর্ব টা দেখেও ভালো লাগলো। কক্সবাজার রেল স্টেশন টা সত্যি খুব সুন্দর। যদিও আমার কখনো যাওয়া হয়নি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনাদের মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছেন। ভালো লাগলো দেখে।