চশমার আবিষ্কার
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি পোস্ট লেখা শুরু করছি।
চশমার আবিষ্কার যা মানব ইতিহাসে এক বিপ্লব এনেছিল,শুরু হয়েছিল প্রাচীন কালে মানুষের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করার প্রয়াস থেকে।ধারণা করা হয় প্রাচীন মিসরীয় ও রোমানরা প্রথমে কাঁচ ব্যবহার শুরু করে দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য।তাদের কৌশল ছিল একটি উত্তল কাচের টুকরো ব্যবহার করা যা তাদের কাছে "বার্নিং গ্লাস" নামে পরিচিত ছিল।এতে সূর্যের আলো ধরে তারা আগুন জ্বালাতে পারত আর একেই পরে তারা দৃষ্টি বাড়ানোর জন্য কাজে লাগায়।
১৩ শতকের দিকে ইতালিতে প্রথম চশমার প্রকৃত রূপ দেখা যায়।ফ্রায়ার আলেসান্দ্রো দেলা স্পিনা এবং সালভিনো ডি’আরমাতে নামের দুই ব্যক্তি প্রথম ভেবে দেখেন যে কাচের টুকরোকে এমনভাবে সেট করলে তা চোখের সামনে রেখে ছোট ছোট লেখা পড়া সহজ হতে পারে।এটি ছিল চশমার প্রথম রূপ যা এক ধরনের ‘রিডিং স্টোন’ ছিল।একে এক ধরনের কাঠ বা হাতলের সাহায্যে চোখের সামনে ধরে রাখতে হতো।
১৪ শতকে ইতালির ভেনিস শহরে প্রথমবারের মতো চশমার ব্যাপক উৎপাদন শুরু হয়।এই চশমাগুলি ছিল মূলত উত্তল লেন্সের যা কাছের বস্তু স্পষ্ট দেখতে সাহায্য করত।সময়ের সাথে সাথে লেন্স তৈরির প্রযুক্তিতে উন্নতি ঘটে এবং বিভিন্ন ধরনের কাচ ও প্রিজম ব্যবহার করে দূরের বস্তুও স্পষ্ট দেখার জন্য চশমা তৈরি হয়।
১৬০৪ সালে জার্মান বিজ্ঞানী ইয়োহানেস কেপলার প্রতিসরণের তত্ত্ব আবিষ্কার করেন যা লেন্স প্রযুক্তিকে এক নতুন মাত্রা দেয়।তার আবিষ্কারই আধুনিক চশমা তৈরির মূল ভিত্তি গড়ে তোলে।এরপর ১৭৮৪ সালে বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বাইফোকাল লেন্সের ধারণা দেন যা একজোড়া চশমাতেই দূর ও কাছের বস্তু দেখার সুবিধা দেয়।
আজকের দিনে আমরা চশমাকে শুধু দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির যন্ত্র হিসেবে দেখি না,এটি হয়ে উঠেছে ফ্যাশনের একটি অংশ।চশমার আবিষ্কার মানব সভ্যতার এক অনন্য কাহিনী যেখানে বিজ্ঞান, শিল্প এবং প্রয়োজনের মেলবন্ধন ঘটেছে আর এর প্রভাব আমাদের প্রতিদিনের জীবনে এখনও বর্তমান।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
দাদা তোমার পোষ্ট মানেই ভিন্নকিছু শেখার ও জানার অভিজ্ঞতা।তেমনি আজ নতুন কিছু জানতে পারলাম চশমার আবিষ্কার সম্পর্কে।তবে এখন দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর থেকে চশমা ফ্যাশনেই বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে, ধন্যবাদ দাদা।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
মিসরীয় ও রোমানিয়রাই মূলত শুরুর দিককার অনেক জিনিস তৈরি করেছিল। তার মধ্যে অন্যতম হলো চশমা। তাদের হাত ধরে এবং জার্মান বিজ্ঞানী ইয়োহানেস কেপলার নতুন আবিষ্কারের ফলপ্রসু আমরা তাহলে আজকের চশমা দেখতে পারছি। আর বর্তমান মানুষ এটাকে ফ্যাশন বানিয়ে ফেলেছে। যাই হোক দাদা চশমা আবিষ্কারের সুন্দর একটি রূপকথা জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
চশমা আবিষ্কার বিষয়ক যে পোস্ট আপনি করলেন তা ভীষণ তথ্যবহুল এবং উপকারী। এমন অজানা তথ্য মানুষের সামনে তুলে আনা ভীষণ প্রয়োজন। অসাধারণ একটি আর্টিকেল পড়লাম আপনার পোস্টে। অনেক অজানা জিনিস জানতেও পারলাম। আপনি সবসময় ভীষণ ইনফরমেটিভ পোস্ট শেয়ার করেন, যা খুব ভালো লাগে পড়তে।
চশমা নিয়ে পুরনো যে তথ্যগুলো দিয়েছেন দাদা, তা সত্যিই আমার জানা ছিল না। বিশেষ করে উপরের দিকের তথ্যগুলো বেশ ভালো লেগেছে। সবমিলিয়ে দারুণ উপভোগ করলাম লেখাটা।
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
অসাধারণ একটি আর্টিকেল পড়লাম। চশমার আবিষ্কার সংক্রান্ত যে তথ্যবহুল কথাগুলো আপনি লিখেছেন তা আমাদের কাছে এক জ্ঞানের দরজা খুলে দেয়। এতদিন তো চশমা ব্যবহার করেছি কখনো মনে হয়নি চশমা কিভাবে আবিষ্কার হয়েছে বা কে করল সেই গল্পটা জানি। আপনার পোস্ট থেকে পড়ে সমৃদ্ধ হলাম।
চশমা আবিষ্কারের বিষয়টি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সকল তথ্য জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।দাদা আপনার এই পোস্টটি না পড়লে হয়তো চশমা আবিষ্কারের বিষয়টি অজানা থাকতো।আপনি সব সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেন।বর্তমান সময়ে চশমা প্রয়োজনের চেয়ে ফ্যাশনে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।অনেক ধন্যবাদ দাদা পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে দাদা চশমা নিয়ে তেমন একটা গভীর চিন্তাভাবনা আমার কখনোই ছিল না। কেননা চশমার ইতিহাস নিয়ে আপনি যে শিক্ষণীয় পোস্টটি শেয়ার করেছেন তা পরে আমি চশমার উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের জিনিস সম্পর্কে অবগত হলাম। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর সুন্দর শিক্ষনীয় পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সভ্যতার শুরুর দিকে যেটা মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং দূষ্পাপ্য বস্তু ছিল। আজ সেই চশমা আমাদের কাছে একটা সাধারণ ফ্যাশান এর বস্তু। চশমা নিয়ে এতো কিছু জানতাম না দাদা। আপনার পোস্ট টা বেশ তথ্যবহুল ছিল। নতুন কিছু জানতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে।।