করোনা ভাইরাস সম্পূর্ণ লকডাউন ও শিশুদের উপর তার প্রভাব
চীনকে সমগ্র পৃথিবী দোষারোপ করছে এই অতিমারী করোনা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য।শোনা যাচ্ছে চীনা সারা পৃথিবীর উপর তাদের আধিপত্য কায়েম করার জন্য এক অতি শক্তিশালী জৈব অস্ত্র নিয়ে গবেষণা করছিলো।সেই গোপন ল্যাব থেকে কোনো কারণে এই ভাইরাস বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে এবং চীনা সরকার ও প্রশাসন কোনো ভাবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপের কথা চিন্তা করে তারা এটি সুকৌশলে গোপন করে গেছে।আর সারা পৃথিবী ঘুরে বেরিয়েছে চীনা মানুষেরা।ফলস্বরুপ এই মারণ ভাইরাস ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে।আমাদের ভারতবর্ষ ও সুপ্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও এই অভিশাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি।আর তাই আজকে আমার আপনার ঘরে ঘরে দুশ্চিন্তা আর অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ কালো অন্ধকার ডেকে আনছে।
Source
সব ক্ষেত্রেই এই মারণ ভাইরাস ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছে।কিন্তু আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এই ভাইরাসের দরুন শিশুদের জীবনে কি পরিবর্তন নেমে এসেছে।
শিশুরা স্বভাবই চঞ্চল কৌতূহল প্রিয় ও নুতনের প্রতি প্রবল ভাবে আকৃষ্ট।আর এই স্বভাব গুলোই একটি শিশুর সুষ্ঠু মানসিক ও শারীরিক বিকাশে সহায়ক।কিন্তু করোনার ভয়াবহতার কারণে চারিদিকে লোকডাউন ও বাইরে শিশুদের নিয়ে ও বেরোনো নিরাপদ নয়।কারণ আমরা বিশেষ করে বাঙালিরা জাতিগত ভাবে খুবই অসচেতন ও যে কোনো জাতীয় বিষয়ের প্রতি অমনোযোগী।এই কারণে প্রত্যেক পরিবার তার সন্তানের সুরক্ষার কথা ভেবে শিশুদের বাড়িতেই দিনের পর দিন আটকে রাখছে।
এই কারণে শিশুদের মনের উপর দারুন প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে।সেগুলো হলো-
শিশুরা হঠাৎ করে তাদের অভ্যাস বিরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।আর তার করণে তাদের সামগ্রিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
আর এই বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টিতে শিশু মনে প্রবল চাপের সৃষ্টি হচ্চে।এতে করে শিশুটি খিটখিটে মেজাজের হয়ে যাচ্চে।
খাবার ও অন্যান্য স্বাভাবিক কাজের প্রতি নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ছে।
নতুন কিছু না পাওয়া ও ঘরের মধ্যে আবদ্ধ পরিবেশের কারণে তাদের শিখার ইচ্ছে ও কমে যাচ্চে।
একদম ছোট বাচ্চারা হাঁটতে ও কথা বলতে অনেক বেশি সময় নিচ্ছে ।অর্থাৎ তাদের সামগ্রিক বিকাশ ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আমাদের বড়দের কি করনীয়?এর উত্তর সত্যি দেওয়া খুবই কঠিন।
তবে আমরা যেটা করতে পারি বাচ্চা দের অনেক বেশি সময় দেওয়া ।
তাদের সাথে তাদের মতো করে খেলা এবং হাস্যরসের সৃষ্টি করা ।
আজকাল আমরা বাচ্চাদের কোনো কিছু খেলতে ধরিয়ে দিয়ে মোবাইল নিয়ে খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়ি।অন্তত এই সময় এই কাজটি থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।
প্রয়োজন বোধ করলে মাঝে মাঝে শিশু মনোবিদের পরামর্শ নিতে হবে।কারণ শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ তাদের সুরক্ষাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
ভাল বলেছেন ভাই।
এই অবস্থায় আমাদের শিশুদের দিকে আমাদের বেশী যত্নশীল হওয়া উচিত কারণ তারাই তো জাতির ভবিষ্যৎ।
এই মহামারিতে পরিবারের সাথে সময় দেওয়াটা আমার মনে হয় খুব ভালো হয় ভাইয়া
আসলেই শিশুদের মনোবিদ দেখানোর প্রয়োজন রয়েছে এই অবস্থায়। ধন্যবাদ ভাই ভালো তথ্য দিয়েছেন।
এটা সত্য ভাই পুরো পৃথিবী আজ এই বিষয়টি নিয়ে চীনকে সন্দেহের চোখে দেখছে কিন্তু ইতিমধ্যে যা ক্ষতি হওয়ার তাতো হয়ে গেছে এবং হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশী চিন্তা হচ্ছে আমাদের আগামী প্রজন্ম শিশুদের নিয়ে,তথ্যগুলো যথার্ত ছিলো। ধন্যবাদ উপস্থাপন করার জন্য।
শিশুরা স্কুল থেকে দূরে থাকার কারণে এবং পরিবার থেকে আদর ,যত্ন না পাবার কারণে (যাদের পরিবার সচেতন না) মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছে। সময় উপযোগী পোস্ট