নিজ হাতে সিম্পল মেহেদী ডিজাইন করা।

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।

আজ চলে এলাম ভিন্নরকম একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে সচরাচর মেহেদী ডিজাইনগুলো দেখতে যেমন ভালো লাগে ঠিক তেমনি আঁকতেও ভালো লাগে। তবে আমি অনেকদিন পর আপনাদের মাঝে মেহেদি ডিজাইন নিয়ে এলাম।একটা সময় ছিল যখন মেহেদী পড়তে অনেক বেশি ভালো লাগতো। একটা মেহেদী শুকানোর আগে আরেকটা মেহেদি লাগানো শুরু করে দিতাম। কিন্তু বর্তমান সময়ে সেই সুযোগটুকু হয় না।

20241113_181011.jpg

এখন আর মেহেদী পড়ার মত সময় হাতে থাকে না।আমি গত ২দিন আগে এই মেহেদী হাতে দিয়েছিলাম। ভাবলাম কিছু ছবি তুলে নিলে হয়তোবা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাবে। তাই মেহেদী লাগাতে লাগাতে কিছু ছবি তুলে নিয়েছি। আর এই ছবিগুলোই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।যদিও খুব বেশি ভালো হয়নি।কারণ আমার নিজ হাতে মেহেদী পড়ার অনেক দিন হলো।অনেকদিন পর লাগানোর কারণে খুব বেশি ভালো করতে পারিনি। যাইহোক যতটুকু পেরেছি ততটুকুই শুকরিয়া।

উপকরণসমূহ

  • মেহেদী

প্রথম ধাপ

প্রথমে হাতের কব্জির দিকে গোল করে কিছু ডিজাইন করে নিলাম।কয়েকটা পাতা দিয়ে আবার উপরের দিকে একইরকম করে ডিজাইন করলাম।

20241113_174522.jpg

20241113_174748.jpg

দ্বিতীয় ধাপ

এই ধাপে লতানো করে কিছু ডিজাইন এঁকে নিলাম।বাঁকা করে ডিজাইনগুলো আঙুলের দিকে নিতে থাকলাম।

20241113_175121.jpg

20241113_175259.jpg

তৃতীয় ধাপ

এখন কিছু পাতার ডিজাইন দিলাম প্রতিটি বাঁকা অংশে।তারপর কনিষ্ঠ আঙুলে কিছু লতা টেনে নিলাম।

20241113_175823.jpg

20241113_180049.jpg

চতুর্থ ধাপ

আড়াআড়িভাবে আরও কিছু লতা এঁকে নিয়েছি।প্রতিটা জয়েন্টে কিছু বিন্দু এঁকে নিলাম।

20241113_180237.jpg

20241113_180329.jpg

পঞ্চম ধাপ

এবার মাঝের আঙুলটার উপরে কিছু ডিজাইন করলাম।পাতা আর বিন্দু দিয়ে ডিজাইন করে নিলাম।

20241113_180433.jpg

20241113_180522.jpg

ষষ্ঠ ধাপ

এখন বাকি দুইটা আঙুলেও কিছু ডিজাইন করে নিলাম।কাছাকাছি কিছু ডিজাইন করে নিয়েছি পাতা আর বিন্দু দিয়ে।

20241113_180839.jpg

20241113_180948.jpg

ফাইনাল আউটলুক

20241113_181011.jpg

20241113_181018.jpg

20241113_180948.jpg

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

images (4).png

20221126_200743.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Sort:  
 6 days ago 

আপনি দেখছি আজকে আপনার হাতের মধ্যে খুবই সুন্দর একটি মেহেদী ডিজাইন অ্যাপলাই করেছেন। আপনার হাতে আর্ট করা মেহেদী ডিজাইন টি সিম্পল হলেও অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। আর নিজের হাতের মধ্যে নিজেই মেহেদী ডিজাইন আর্ট করলে অনেক বেশি ভালো লাগে।

 19 hours ago 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আসলে সময় হলে হয়তো আপনাদের মাঝে আরো কিছু শেয়ার করব।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 6 days ago 

হাতে মেহেদি লাগাতে আমি নিজেও অনেক বেশি পছন্দ করি। আর এরকম সিম্পল ডিজাইনগুলো আমার অনেক বেশি পছন্দের। অনেক সুন্দর একটা মেহেদির ডিজাইন আর্ট করেছেন আপনি নিজের হাতে। এই সিম্পল ডিজাইনটা আপনার হাতে অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে। আমাদের মাঝে এটি শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।

 yesterday 

দেখতে সিম্পল হলেও করতে অনেকটাই সময় লেগে যায় আপু, এজন্যই করা হয়ে ওঠে না। ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 days ago 

আপু সময় পরিবর্তন। আসলে এখন মেহেদী নিতে ইচ্ছে করলেও সময় থাকে না। আপনার মেহেদী ডিজাইন সিম্পল হলে ও দেখতে বেশ ভালো লেগেছে। আর এই সিম্পল ডিজাইন গুলোই বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 yesterday 

হ্যা আপু,সময় করতে পারলেও অনেক সময় ইচ্ছে করে না।যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 days ago 

আপনার হাতে এই সিম্পল মেহেদির ডিজাইন টা দেখেই তো আমার কাছে খুব ভালো লাগলো আপু। পুরোটা আপনি অনেক সুন্দর ভাবে অংকন করেছেন নিজের হাতে। সিম্পল ডিজাইন টা অনেক সুন্দর ছিল। অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে ডিজাইন টি শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ।

 19 hours ago 

ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আমার এই ডিজাইনটা দেখে প্রশংসা করার জন্য।

 6 days ago 

আসলেই সময়ের সাথে সাথে সবকিছুর পরিবর্তন হয়। আগের মতো এখন আর মেহেদী দিতে ইচ্ছে করেনা ইচ্ছে করলেও সময় থাকে না। আজ আপনি আপনার হাতে সিম্পল একটি মেহেদি ডিজাইন করেছেন। ডিজাইনটি দেখতে সুন্দর হয়েছে। সুন্দর ডিজাইনটি প্রত্যেক ধাপে ধাপে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 19 hours ago 

ঠিক বলেছেন আপনি সময়ের সাথে সব কিছুর পরিবর্তন হয়ে যায়। যাইহোক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।।

 6 days ago 

বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে নিজ হাতে সিম্পল মেহেদী ডিজাইন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা মেহেদীর ডিজাইন দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে হাতের মধ্যে ডিজাইন অল্প হলেও দেখতে কিন্তু বেশ আকর্ষণীয় ছিল ডিজাইনটি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 19 hours ago 

সিম্পল হলেও এটা করতে আমার বেশ সময় লেগেছিল। অনেকদিন পরে করেছি তো তাই।

 6 days ago 

ডিজাইনটি খুব চমৎকার হয়েছে। সত্যি বলতে সিম্পল হলেও দেখতে ভালই লাগছে। ধন্যবাদ তোমাকে এই মেহেদি অংকনের দৃশ্যটি তুলে ধরার জন্য।

 19 hours ago 

এরকম সিম্পল ডিজাইন গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।।

 6 days ago 

আসলে সবকিছুই সময়ের সাথে পরিবর্তন হতে থাকে। আগে হাতে মেহেদি পড়ার সময় থাকতো কিন্তু এখন সেই সময়টুকু পাওয়া যায় না। তারপরেও আপনি নিজের হাতে অনেক সুন্দর মেহেদী আর্ট ডিজাইন আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। এরকম সিম্পল ডিজাইন গুলো আমার কাছেও পছন্দ হয়। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

 yesterday 

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই পরিবর্তন হয়। আর এজন্যই এখন সময় পাইনা মেহেদি দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 days ago 

একে বলে বুদ্ধি প্রয়োগে কম পরিশ্রমে বাজিমাত। কি সুন্দর করে হালকা ডিজাইনের উপর কিন্তু স্মার্ট দেখতে মেহেন্দি পড়েছেন আপনি। এটা তো সত্য কথাই পুরো হাত জুড়ে ঘন করে মেহেন্দি করতে হলে অনেকটা সময় লেগে যায়। সংসারে মেয়েদের এত সময় কোথায়! তবে হাতের উপর মেহেন্দি দেখতে আমারও বেশ ভালোই লাগে। ডিজাইনটা হালকা হলেও খুব স্মার্ট ও স্টাইলিশ লাগছে দেখতে।

 19 hours ago 

পরিশ্রম কম হয়নি আপু। অনেকদিন পর দেয়ার কারণে অনেক সময় লেগেছে। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে।

 18 hours ago 

হ্যাঁ পরিশ্রম হয় খুবই। আমারও হাত ব্যথা করত। কারও দুই হাত ভর্তি করে পরাতে গেলে তো আরওই কষ্ট হত।