তার জন্মদিনে ছোটোখাটো কিছু আয়োজন।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আজ ২তারিখ,কিভাবে যে দিনগুলো পার হয়ে যাচ্ছে জীবন থেকে তা যেন টেরই পাচ্ছি না। গতকাল ছিল এই নতুন বছরের প্রথম দিন।সাথে আবার প্রিয় মানুষটার জন্মদিন। বছরের প্রথম দিনটায় তার জন্মদিন যেটা খুব আনন্দের বিষয়।যদিও এখন আর ছোট নেই, তবুও জন্মদিনের আলাদা একটা খুশি বরাবরই থাকে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো তার জন্মদিনে কিছু ছোট খাটো আয়োজন করার মুহূর্তগুলো।
আসলে আমার বিয়ের পর থেকে গত দু বছরই এই দিনটা আমাদের বাড়িতে ছিলাম।সেখানে আমার ছোট ভাই বোন মিলে টুকটাক আয়োজন করত।কিন্তু এই প্রথমবার শ্বশুরবাড়িতে আছি বছরের প্রথম দিনটায়। যদিও বিয়ের প্রথম বছর অসুস্থতার কারণে খুব বেশি কিছু করা হয়ে উঠে নি।আর এবার যেহেতু অনেক কাজকর্মের ভার আমার উপর তাই নিজেই সিদ্ধান্ত নিলাম তার জন্মদিনে তার পছন্দের কিছু রান্না বান্না করবো।আগে থেকেই এই প্ল্যানিং করে রেখেছিলাম।
৩১তারিখ রাতে আমি একটি কেক তৈরি করেছিলাম।বেইসটা রেডি করে ক্রিম কোট করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম।তারপর দিন সকাল বেলা থেকে বিরিয়ানির আয়োজন করেছিলাম।ভোরে উঠে আবার পুডিং বানিয়েছিলাম।আসলে নিভৃত এবং তার আব্বু দুজনের পুডিং খেতে খুব পছন্দ করে।এজন্য মাঝে মাঝেই তাদের পুডিং বানিয়ে খাওয়াতে হয়। যাইহোক সকাল থেকে দুপুরের মধ্যেই সব আয়োজন করে রেখেছিলাম। এদিকে বিরিয়ানির কাজ শেষ করে কেকের বাকি ডেকোরেশন সেরে নিলাম।
আসলে সবকিছু রাতের জন্য আয়োজন করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সন্ধ্যার পর সে অন্য জায়গায় যাবে বলেছিল। আর ফিরতে ফিরতে কত লেট হবে সেটাও জানা ছিল না।তাই ভাবলাম দুপুরের পর কেক কেটে ফেলি।আমি এই ৩য় বার ক্রিম কেক তৈরি করেছি। আসলে রান্নাবান্না তো ভিন্নভাবে রেগুলার করা হয়।আর মাঝে মাঝে কেকও বানাই। কিন্তু ক্রিম কেক তৈরি করাটা আমার কাছে ঝামেলার মনে হয়।তাই কোনো অকেশন ছাড়া এখন ক্রিম কেক তৈরি করি না।যাইহোক সে অফিসে যাওয়ার আগেই আমরা সবাই মিলে কেক কেটে ফেলি। আসলে সে বলছিলো বুড়ো বয়সে এসব কেক কাটার কোনো প্রয়োজন আছে কি।কিন্তু এটা আলাদা একটা মজা।
ছেলে ভাগ্নে তাদের খুশির জন্যই এই ছোট্ট আয়োজন।আর ছোটদের মত তো বেলুন দিয়ে সাজাইনি তাই বাচ্চা মনে করতে হবে না, হাহাহা।কথাগুলো বলে তারপর কেক কাটালাম।এদিকে আমার ছেলে আর ভাগ্নে দুজনে তো মজা খুশি। খুব হাসাহাসি করছিল দুজনে মিলে।তাদের হাসি দেখে আমরাও হাসছি। এদিকে সবাইকে কেক খাইয়ে দিল সে।তারপর আমি সবাইকে আলাদা করে কেক কেটে দিলাম। আমার ভাগ্নে তো হাতে মুখে ক্রিম লাগিয়ে একাকার অবস্থা।নিভৃতকে হাতে না দিকেও তার মুখে ক্রিম লেগে একাকার।এটা দেখে তারা নিজেরাই হাসছে।আমিও কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম।
যাইহোক সে যদিও বলেছিল সন্ধ্যায় থাকবে না। কিন্তু অসুস্থ ফিল করার কারণে সেখানে আর যায় নি। গত কয়েকদিন ধরেই সে অসুস্থ।যাইহোক ভেবেছিলাম সব আয়োজন সন্ধ্যার জন্য করবো কিন্তু সেটা হয়নি।এভাবেই সেই দিনটি কেটে গেল।ও হ্যা, তার জন্য আবার কিছু গিফট নিয়েছিলাম সেগুলো আবার কোনো দিন আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
ভাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আপনি খুবই সুন্দর আয়োজন করেছেন। আসলে প্রিয় মানুষের জন্য এরকম আয়োজন করার মধ্যে অনেক ভালো লাগা কাজ করে। আপনাদের এই আয়োজনটি আমার কাছে দারুন লেগেছে। ভাইয়ের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি।
মাঝে মাঝে একদিনের জন্য হলেও এই আয়োজনটা করা লাগে ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়ার জন্মদিন উপলক্ষে আপনি তো দারুন আয়োজন করেছেন আপু। জন্মদিনের দিন প্রিয় মানুষটার হাতের নিজের পছন্দের রান্না আর এরকম সুন্দর কেক পেলে আর তো কিছুই দরকার হয় না। আপনি খুবই সুন্দর আয়োজন করেছেন আমি দেখে তো ভীষণ খুশি হয়েছি। ভাইয়ার জন্মদিন উপলক্ষে উনার জন্য রইল অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা। সব সময় আপনার পরিবার এরকম সুস্থ হাসি খুশি থাক এই কামনা করি।
আমার হাতের রান্না বরাবরই তার পছন্দ।এ খাবারগুলো সে বেশি পছন্দ করে তাই করেছিলাম।
প্রথমেই আপনার প্রিয় মানুষটির জন্য জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই। তার জীবনে এমন মধুর চেয়ে বারবার ফিরে আসুক। দীর্ঘ আয়ু সুস্থতা কামনা করি। আপনি ঠিকই বলেছেন আপু কেক তৈরি করার বিরাট ঝামেলা। আমিও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া করি না। তবে আপনার কে একটি বেশ ভালই লাগছে দেখতে। বাড়িতে তৈরি হাতে বানানো কেক খাওয়ার ও কাটার মজাই আলাদা।
ধন্যবাদ আপু,আপনাদের প্রার্থনা পেলে ভালোই লাগে।
ইতোমধ্যে আমি জানতে পেরেছি ভাইয়ার জন্মদিন গেছে। প্রথমে আমার পক্ষ থেকে ভাইয়ার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও শুভেচ্ছা। বারবার ফিরে আসো কেমন জন্মদিন আর হাসি আনন্দ মাখা সময় সবার মাঝে বিরাজমান হও। আপনি যতটুক তার প্রতি ভালোবাসা জ্ঞাপন করছেন এতেই আমরা খুশি। হাসিখুশি পরিবার সবসময়ই হয়ে উঠুক। এটাই ব্যক্ত করলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটা দেখে।
বাহ্ একেবারে আদর্শ জীবন সঙ্গী। যিনি কিনা প্রিয় মানুষের জন্মদিন কে ঘিরে এত সুন্দর আয়োজন করেছেন। আমার কাছে কিন্তু বেশ ভালোই লেগেছে আপনার এমন আয়োজন দেখে। আর আমার মনে হয় আমাদের ভাইয়া বেশ খুশিই হয়েছে। ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জি আপু সে তো ভীষণ খুশি হয়েছিল।
গতকাল অনেকের পোস্টে দেখলাম নেভলু ভাইয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। ভাইয়ার জন্মদিনে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা। খুব সুন্দর একটা কেক তৈরি করেছেন আপু। ভাইয়ার পছন্দের আইটেম গুলো তৈরি করেছেন। সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
তার মিষ্টি জাতীয় জিনিসগুলো বেশি পছন্দের। ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়াকে জানাই জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ভাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষে বেশ আয়োজন করেছেন দেখছি। নিজের হাতে প্রিয় মানুষের জন্মদিনে কেক তৈরি করা ব্যাপারটা অনেক সুন্দর। হাতে বানানো কেকের মজাই আলাদা। কেক টা দেখতে কিন্তু দারুন হয়েছে। জন্মদিনের মুহূর্ত বেশ ভালো লাগলো। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপু।
শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।