নিভৃতের ২য় জন্মদিনের কিছু মুহূর্ত এবং অনুভূতি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
দেখতে দেখতে কিভাবে যে দুইটা বছর পার হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না যেন। আসলে জীবন নিজের গতিতে চলমান। কোন কিছুই কিন্তু জীবনকে থামিয়ে রাখতে পারেনি। জীবনের মত করে জীবন চলে যাচ্ছে। আজ আপনাদের মাঝে খুব আনন্দের একটা মুহূর্ত শেয়ার করতে যাচ্ছি। যেটা আসলে আমার জীবনের বিশেষ মুহূর্তের একটি অংশ। গতকাল ছিল ২১জুন, আর এটা ছিল আমার একমাত্র ছেলের দ্বিতীয় জন্মদিন। আজ থেকে সে ৩ বছরে পা রাখল।
এইতো গত দুই বছর আগে,২০২২ সালের ২১ জুন তারিখে আমার ছেলের জন্ম হয়। আমি প্রথমবারের মতো মা হয়ে উঠি। আর দেখতে দেখতে একটা বছর পার হয়ে আরো একটা বছর পার হয়ে গেল। সময়টা যেন কত দ্রুত চলে যাচ্ছে। মা বিষয়টা কেমন সেটা একটা মেয়ে তখনই বুঝতে পারে যখন সে মা হয়। দুই বছর হয়ে গেল, ছেলেটাও বড় হয়ে গেল। তবে আনন্দ যেমন হচ্ছে ঠিক তেমনি মনের কোণে কষ্টটাও জমছে।সে বড় হচ্ছে,তার শৈশব পার করে ফেলবে।চোখের দেখাতেই সব হবে।
আসলে একটা বাচ্চা ছোট থাকলে তখন একটা ভিন্ন রকম মায়া জন্মায়।একদম যেকোনো বাচ্চা যখন ছোট থাকে তখন তারা নিষ্পাপ হয়।তাদের প্রতি কখনো ঘৃণা আসে না।কারণ তারা সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলের মত।মায়াবী আর কোমল। তাদের কোমল হৃদয় টা তখন ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে।যাইহোক বাচ্চারা বড় হবে এটাই নিয়ম। এভাবেই চলবে সবার জীবন।
যদিও প্রথম জন্মদিনে আমরা ফেনীতে ছিলাম।তখন শুধুমাত্র ওর দাদু, ওর বাবা আর আমি ছিলাম।আমি তো সকাল সন্ধ্যা বাইরেই থাকতে হতো।ক্লাস করে ফিরতে ফিরতে রাত ৮/৯টা বেজে যেত।তখন প্যাস্ট্রি কেক একটা এনেছিলাম।কারণ সে তো খাবেই না,পাশাপাশি তার দাদুও খেতে পারবে না।আর আমি ক্রিম কেক কম খাই। তাই আর বড় কেক কেনা হয় নি। কিন্তু এবার তো আমার বাবার বাড়িতে আছি। তাই তার খালামণি আর মামা ছোট্ট একটা আয়োজন করেছিল।
গতকাল অবশ্য সবার দাওয়াত ছিল অন্য জায়গায়।তাই আর বাসায় কিছু তৈরি করা হয় নি।আমি নিভৃতকে নিয়ে একা একা কিছু করতে পারি নাই, তাই করা হয় নি। আর সে এখনো ছোট,কিছু বুঝেও না।তাই মূলত বেশি কিছু আয়োজন করতে নিষেধ করেছিলাম।তাদের ভালোবাসা আর দোয়াই যথেষ্ট। এমনিতেও তারা সাধ্যের বাইরে গিয়েও অনেক কিছু করে,কিন্তু অনেক সময় সে প্রাপ্যটাও পায়নি।সেটা অন্য বিষয়,আর আমার ছেলের সাথে করা অন্যায়ের ছাড় আমি কখনো দেব না।সেই দায় বিধাতার কাছেই পাঠিয়ে দিলাম।
যাইহোক,সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন। আর সবার মাঝে সবার প্রতি ভালোবাসা থাকে না। হিংসুক আর লোভী মানুষদের কাছে কারো জন্যই দয়া ভালোবাসা থাকে না।তাতে কি,কারো জীবন কি থেমে আছে?আমি চাই আমার ছেলেটা একজন ভালো মানুষ হোক।সে তার জীবনের প্রতিটি বাঁধাকে যেন জয় করতে পারে। জীবনটাকে এমনভাবে গোছাতে পারে যাতে কেউ আঙুল তুলে কথা বলতে না পারে।বাবা মা ছাড়া সন্তানকে সুপ্রতিষ্ঠিত কেউই করতে পারে না।
সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দেওয়ার তৌফিক দান করুক বিধাতা,আমাদের। যাতে তাকে আমরা একজন বিবেকবান,মানবিক আর সুপ্রতিষ্ঠিত করে তুলতে পারি।আমার ছেলের ২য় জন্মদিনে তাকে অনেক অনেক ভালোবাসা আর দোয়া জানাই।সে যেন সুস্থভাবে বেড়ে উঠে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম ঠিক বলেছেন আপু সময় সময়ের মতোই চলতে থাকে। তাছাড়া বাচ্চারা যে কখন খুব দ্রুত বড় হয়ে যায় বুঝতেই পারা যায় না। আর দেখতে দেখতেই সময় চলে যায়। আপনার ছেলের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে অনেক অনেক অভিনন্দন রইল আপু। ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে।
আসলে বাচ্চাদের বড় হওয়াটা যেন চোখের সামনে নিমিষেই হয়ে যায়। এজন্য মূলত অনেক সময় চিন্তা করলে খারাপ লাগে সময় কত দ্রুত চলে যাচ্ছে।
আপনার ছেলের ২য় জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো ❣️
দেখতে দেখতে নিভৃত অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। পাঞ্জাবি পড়াতে নিভৃত কে দেখতে কিউট লাগতেছে। দোয়া করি আপনাদের মনের আশা পূরণ হোক। আমাদের সাথে আনন্দ মুহূর্ত গুলো ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া অবশ্যই। আপনাদের দোয়া এবং ভালোবাসা এই আল্লাহর রহমত নিয়ে যাতে অনেক বড় হতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ জন্মদিন নিভৃত বাবু সোনা অনেক অনেক বড়ো হও তুমি।মা,বাবার মুখ উজ্জ্বল করো।একদমই ঠিক বলেছেন আপু ছোট বাচ্চাদের প্রতি কখনোই ঘৃনা আসে না তাদের মায়াবী মুখটা দেখলে পৃথিবীর সব কষ্ট ভুলে থাকা যায়।আস্তে আস্তে বড়ে হয়ে যাচ্ছে আপনার ছেলেটা ভালোবাসা অবিরাম ।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপু। আমার বাবুর জন্য দোয়া করবেন যাতে সে একজন ভালো এবং মানবিক মানুষ হতে পারে।
আপনার ছেলের জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো। সেই সাথে বাবুর জন্য অনেক দোয়া রইল। নিভৃতের ২য় জন্মদিন উপলক্ষে তার মামা এবং খালামনিরা খুব সুন্দর আয়োজন করেছে। কেকটা ভীষণ সুন্দর লাগছে দেখতে। সুন্দর এই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে ও তো একদম ছোট আর কিছুই বোঝে না। সেজন্য তো খুব বেশি কিছু আয়োজন করা হয়নি। যখন একটু বড় হবে তখন হয়তো বুঝবে। সেজন্যই ভাবলাম ছোটখাটো করে কিছু আয়োজন করা যাক।
সত্যি আপু সময় সময়ের মতোই চলমান। আর বাচ্চারা চোখের সামনে কখন যে বড় হয়ে যায় বুঝা মুশকিল। গতকাল আমার মেয়ে ছোটজনের জন্মদিন ছিল। এভাবেই প্রতিটি সন্তান তার বাবা মার কাছে বেড়ে উঠুক। শুভ জন্মদিন।
তাহলে দুজনের জন্মদিন একই দিনে হয়ে গেল। যাই হোক আপনার মেয়ের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুক সবাই অনেক ধন্যবাদ আপু।
ছেলের জন্মদিনে ছেলের জন্য রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। মায়ের চোখের সামনেই ছেলের বেড়ে উঠা।একদিন দেখতে দেখতে বড় হবে ছেলে।এখনকার অনুভূতি আর বড় হয়ে যাওয়া অনুভূতি সম্পুর্ন ই ভিন্ন।আপনার ভাই -বোন মিলে খুব সুন্দরভাবে ই উদযাপন করেছে ভাগ্নের জন্মদিন তা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারলাম।ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য। পোস্ট পড়ে মনে হলো মনের কোনে কিছু মেঘ জমে আছে। 🙂
আসলে আমার বাচ্চার প্রতি যে অন্যগুলো হয়েছে এগুলো কখনোই ভোলার মতো না। এজন্যই মাঝে মাঝে মন থেকে কিছু কথা বেরিয়ে আসে। ধন্যবাদ আপু ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটা পড়ে।
নিভৃতের জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা রইলো- শুভ জন্মদিন। জন্মদিনের আনন্দঘন মুহূর্তের মতোন প্রতিটি মুহূর্ত নিভৃতের বেশ সুন্দর ভাবে কাটুক। ভবিষ্যতে মানুষের মতো বিবেকবান মানুষ হয়ে আপনাদের সকলের মুখ উজ্জ্বল করবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। নিভৃত বড় হয়ে সফলতার সকল পর্যায়ে অতিক্রম করবে হৃদয়ের এই প্রত্যাশা রইলো। আপনাদের সকলকে দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে জন্মদিনের এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাদের দোয়ায় এবং ভালোবাসায় যাতে সে অনেক বড় হতে পারে। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর একটা মন্তব্য পড়তে পেরে।