মহেশখালীতে ঘুরাঘুরি করার মুহুর্ত ||পর্ব-২
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
মহেশখালী যাওয়ার পর সেখানে ঘাটের উপরে আমরা বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। কারণ চারিদিকে পরিবেশটা এত সুন্দর লাগছিল এজন্য খুব ভালো লাগছে। আর অনেক ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। আশেপাশের পানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম গাছপালা দেখতে ভালো লাগছে। যাই হোক সেখান থেকে আমরা চলে গেলাম পান খাওয়ার জন্য। আসলে মহেশখালিতে ঢুকে পান খাব না তা কি করে হয়। প্রথমবার যখন গিয়েছিলাম তখন সবাই মিলে পান খেয়েছিলাম। আর পানগুলো এত মজা লেগেছিল যে এবারও প্রথমেই পান খেয়ে নিয়েছিলাম। যদিও বিক্রেতা আমাদের আগুন পান অফার করেছিল কিন্তু আমরা খাইনি। সবাই নরমাল পানগুলো খেয়েছিলাম।
এরপর হাঁটা শুরু করলাম একদম অনেক দূর পর্যন্ত। আসলে এখান থেকে মহেশখালীর মেইন রাস্তাটায় যেতে অনেক দূর হাঁটতে হয়। এদিকে নিভৃত তার আব্বুর হাত ধরে রেলিং এ হাঁটাহাঁটি করছিল। যদিও খুবই সাবধানে তাকে নিয়ে আসতে হয়েছিল। অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর আমরা মেইন জায়গাটায় পৌছালাম। আর সেখানে আমাদের পরিচিত ভাইয়া তার একটা লোক আর গাড়ি রিজার্ভ করে রেখেছিল। আর সেটা করেই আমরা মূলত চলে গিয়েছিলাম মহেশখালীর ভেতরের দিকে। অর্থাৎ পূরো এরিয়াটা আমরা ঘুরে বেড়াবো এ গাড়ি রিজার্ভ করেই।
প্রথমে আমরা চলে গেলাম মহেশখালীর আরেকটা ঘাটে। যেখানে সবাই ঘুরাঘুরি করতে বেশ পছন্দ করে। যাই হোক সেখানে যেতে যেতেই আমরা অনেক ফটোগ্রাফি করছিলাম। তবে মহেশখালী যাওয়ার পর বুঝলাম এখানে এত পরিমান গরম সবাই কিভাবে থাকে সেটাই ভাবছিলাম। রোদ সরাসরি গায়ে এসে লাগছিল। যাই হোক অনেক রোদ হলেও ঘুরাঘুরি তো বন্ধ হয়নি। আমরা সেখানে গিয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। আশেপাশের প্রকৃতিটা এতটা মনোরম লাগছিল যে সেখানে থেকে যেতে ইচ্ছে করছিল।
তারপর আমরা আদিনাথ মন্দিরটার পাশে গিয়ে বসলাম। যদিও উপরে ওঠা হয়নি কারণ গতবার যখন গিয়েছিলাম তখন উপরের দিকে উঠেছিলাম। খুব বেশি কিছু দেখার মতো নেই বিধায় সেখানে আর যাওয়া হয়নি। নিচ থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করে আবার আমরা এদিকে চলে এসেছিলাম। যেখানে কিছু দোকানপাট ছিল সেখান থেকে আমরা আর কয়েকটা শাল দেখলাম। আর দুটো শাল নিয়েছিলাম। আদিনাথ মন্দিরের সামনে অনেকগুলো দোকান বসে। সেখানে পর্যটকরা বিভিন্ন রকমের জিনিস কেনাকাটা করে।
গরমের মাঝে আমরা কিছুক্ষণ সেখানে রেস্ট নিয়েছিলাম। তারপর হালকা পাতলা খাওয়া-দাওয়া করলাম। এরপর সেখানে আইসক্রিম খেলাম। যদিও কিছুটা ঠান্ডা ভাব ছিল তবুও আইসক্রিম খেতে খুব ভালো লাগছিল। নিভৃতের জন্য বেশি কিছু নেয়া হয়নি। শুধুমাত্র ডিম এবং পানি খেয়েছিল আর কেক খেয়েছিল। আসলে এমনিতে ওর খাবার নিয়ে খুব বেশি ঝামেলা করতে হয় না। কারণ সে দোকানের কোন জিনিসের প্রতি আকর্ষণ দেখায় না। যেটা ওকে খেতে দেবো ওটা খেয়ে সে তৃপ্তি সহকারে খেলবে। আর এজন্যই আমরা যাওয়ার সময় তার জন্য ডিম নিয়ে গিয়েছিলাম।
যাই হোক যেখানে ঘুরাঘুরি করার পর আমরা অন্য আরেকটা জায়গায় গিয়েছিলাম। সেটা না হয় আরেকদিন আরেকটা পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনাদের মহেশখালীতে ঘোরার আগের পর্বটিও পড়েছিলাম বেশ ভালো লেগেছিল। এই পর্বটিও বেজায় ভালো লাগলো। এই পর্বের সবথেকে ইন্টারেস্টিং মোমেন্ট টা হচ্ছে পান খাওয়া। পান গুলো দেখেই খাওয়ার ইচ্ছা করতেছে। তাছাড়াও প্রকৃতির চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় পর্বটি আমার কাছে দারুন লেগেছে। তাই অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য।
মহেশখালীতে খুব সুন্দর কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছেন দেখছি। মহেশখালী জায়গাটির পার্টি ভীষণ সুন্দর এবং খুব সাজানো গোছানো। আদিনাথ মন্দির যাওয়ার রাস্তাটিও খুব সুন্দর। সব মিলিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন।
আপনাদের মহেশখালী ভ্রমণের প্রথম পর্ব টা দেখেছিলাম। আজকে দ্বিতীয় পর্ব টা দেখেও খুবই ভালো লাগলো আপু। প্রত্যেকটা জায়গা সত্যি ভীষণ সুন্দর। এরকম মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পারলে কার না ভালো লাগবে। আমার তো ফটোগ্রাফিতে দেখেই ভালো লাগছে। রোদ্রউজ্জ্বল দিন থাকার কারণে ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার এসেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য। পরবর্তী আরো পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
বাহ তাহলে তো আপনি বেশ ঘোরাঘুরি করছেন দেখে বুঝতে পারছি। যেহেতু আপনি আজকে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করলেন প্রথম পর্ব তো পড়ি নাই। আমাদের এই চিরচেনা ঘাট প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়ার মধ্যেই সম্মুখীন হয়ে থাকে। আজকে আপনার শেয়ার করা সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং অনুভূতিগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো।