উপকরণপরিমাণ |
কাঁকড়ার পা | পরিমাণ মত |
লবণ | ১ চা চামচ |
মরিচ গুড়ো | ২ চা চামচ |
হলুদ গুড়ো | আধা চা চামচ |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
পেয়াজ কুচি | ১ টি |
মাংসের মসলা | ২ চা চামচ |
সয়াবিন তেল | ১ টেবিল চামচ |
প্রথমে আমি কাঁকড়ার পা গুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি। কয়েকবার করেই ধুয়ে নিলাম যাতে কাদা না থাকে।
এ পর্যায়ে আমি হলুদ গুড়ো, মরিচ গুড়ো,রসুন বাটা আর লবণ দিয়ে মেখে নিলাম কাঁকড়ার পা গুলোকে।
তারপরে চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে দিলাম গরম হওয়ার জন্য।
তেল গরম হয়ে এলে এর মধ্যে আমি মসলাগুলো দিয়ে মেখে রাখা কাঁকড়ার পা দিয়ে দিলাম এবং ভাজতে থাকলাম।
কিছুক্ষণ ভেজে নেয়ার পর যখন এগুলো লাল হতে শুরু করল তখন এরমধ্যে মাংসের মসলা দিয়ে দিলাম।
নেড়েচেড়ে ভাজতে থাকলাম কিছুক্ষণ। এরপরে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিলাম। সব মিলিয়ে ভেজে নিলাম কিছুক্ষণ। এর সাথে আমি কিছুটা পরিমাণ পানিও দিয়ে দিলাম যাতে ভালোভাবেই সিদ্ধ হয়।
এইভাবে রান্না করতে করতে পানি শুকিয়ে এলো এবং এই কাঁকড়ার পা গুলো মুচমুচে হয়ে গেল। তারপর আমি এগুলো নামিয়ে নিলাম।
কাকড়ার মুচমুচে পা গুলো খেতে অসাধারণ লেগেছিল। আসলে আমি পূর্বে যদিও তেমন একটা খাইনি তবে এইবার খেয়ে দারুন লেগেছে।
আশা করি এই রেসিপিটি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লাগবে।কেমন লাগলো আমার আজকের এই রেসিপি তা মন্তব্য করে জানাবেন।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
💦
💦 BRISTY 💦
💦
কাকড়া আমি এর আগে কখনো খাইনি। তাই আমার এর স্বাদ সম্পর্কে জানা নেই। তবে আপনার পটল দিয়ে কাকড়ার রেসিপিটি অসাধারণ ছিল। আজকের রেসিপিটিও খুব ভালো লেগেছে। নিশ্চয়ই এগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু। রেসিপি টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কাঁকড়া ভাজা রেসিপি টা দারুন ভাবে রান্না করেছেন।
অনেক দিন আগে একবার খেয়েছিলাম রেস্টুরেন্টে এ অনেক ভালো লেগেছিল। মনে হচ্ছিল না যে কাঁকড়া খাচ্ছি মনে হচ্ছিল চিংড়ি মাছ ভুনা খাচ্ছি। আজকের রেসিপি টা আবার খেতে ইচ্ছা করছে। রান্নার করা স্টেপ গুলো সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত।
আমি কখনো কাঁকড় খাই নি।শুনলেই আমার কেমন লাগে।তবে আপনার পটলের রেসিপিতে কাকড়ার ব্যবহারটা বেশ ভালো লেগেছিল। আজকে পা দিয়ে ভাজিটাও দেখতে বেশ ভালো লাগছে।ধন্যবাদ
কাঁকড়ার দেখছি কোন কিছুই ফেলানো যায় না কাঁকড়ার পা দিয়েও আপনি একটি রেসিপি তৈরি করে ফেলেছেন, ভালই হয়েছে একই কাঁকড়া দিয়ে আপনি দুই রেসিপি করতে পারলেন। কাঁকড়া আমিও তেমন একটা খাই না তবে অনেকদিন আগে একটি রেস্টুরেন্টে খেয়েছিলাম। কাঁকড়ার পা দিয়ে আপনি ইয়াম্মি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখতে তো ভালই লাগছে তবে খেতে কেমন হয়েছে বুঝতে পারছি না ।কাঁকড়ার পায়ের ভিতরে কি কোন মাংস থাকে জানার ইচ্ছা।
এই পড়ন্ত বিকেলে আপনি এমন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন যা দেখে আসলেই লোভ সামলাতে পারছিনা।। কাঁকড়া আমারও খুব ফেভারিট তবে আমি এখন পর্যন্ত একবার খেয়েছি তাও রেস্টুরেন্টে।। আপনার প্রস্তুত করা কাকড়া রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছিল।।
কাকরা ভাজা রেসিপিটি দেখতে খুবই চমৎকার হয়েছে। কিন্তু আমার এখনো কাঁকড়া খাওয়া হয়নি। খেতে কেমন তার স্বাদও আমি জানিনা। তবে দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কাকড়া ভাজার রেসিপি টা দেখে জিভে জল চলে আসলো। অনেকদিন হয়ে গেল কাকড়া ভাজা খাওয়া হয়নি। খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। দারুন কালার হয়েছে কাকড়া বাজার রেসিপিটার। অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু কাঁকড়া আমি কখনোই খাইনি আমার কাছে কেমন জানি লাগে খেতে। তবে অনেকেই কাকড়া ফ্রাই করে খায় দেখলাম। নিশ্চয়ই অনেক মজা।উইংক্লেস দাদা কিন্তু প্রায় সময় কাঁকড়া ফ্রাই করে রেসিপি তৈরি করে। আপনার রেসিপি দেখে একটু খাওয়ার আগ্রহ হলো।
ওয়াও অসাধারণ মজাদার কাঁকড়া ভাজা রেসিপি করেছেন। কাঁকড়া ভাজা আমার খুব প্রিয়। এটি আমি অনেকবার খেয়েছি। আপনি অনেক সুন্দর রেসিপি কিভাবে বানিয়েছেন তা উল্লেখ করেছেন এবং খুব সুন্দর ভাবে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি পটলের রেসিপি করার জন্য যে কাকড়া গুলো এনেছিলেন সেই কাকড়াগুলোর পা দিয়ে আবার নতুন একটি রেসিপি তৈরি করে ফেললেন বেশ চমৎকার লাগলো আমার কাছে বিষয়টি। আমি কখনো কাঁকড়ার রেসিপি খাইনি। আপনার কাকড়া ভাজার রেসিপিটি সত্যিই চমৎকার হয়েছে ।পঞ্চম ধাপে যখন উপর দিয়ে পেঁয়াজ ছড়িয়ে দিলেন দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। লাস্টের ছবিটা অসাধারণ হয়েছে। মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।