হোম মেইড রামেন পর্ব-১
"হ্যালো বন্ধুরা"
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আশাকরি আমার আজকের রেসিপি টি আপনাদের ভালো লাগবে।
রামেন হচ্ছে একটি জাপানি নুডলস ডিশ।রামেন জাপানে জনপ্রিয়তা লাভ করে, বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর খাদ্য সংকটের সময়।১৯৫৮ সালে, মোমোফুকু আন্দো দ্বারা তাৎক্ষণিক নুডলস উদ্ভাবিত হয়েছিল , যা খাবারটিকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছিল।রামেনের জনপ্রিয়তা জাপানের বাহিরেও ছড়িয়ে পড়েছে।বিভিন্ন দেশের মতো বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের কাছেও এটা পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।এখন সুপারশপ গুলোতে গেলেই বিভিন্ন কোম্পানির রামেন গুলো চোখে পড়ে আর তাতেই বোঝা যায় যে বাংলাদেশের মানুষের কাছেও এটা এখন বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।আমার বড় মেয়ের তো রামেন খুবই পছন্দ তাই মাঝে মাঝেই রামেন রান্না করা হয়ে থাকে।আজ হঠাৎ করেই মনে হলো ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে যদি বাসায় রামেন তৈরি করা যায় তাহলে ব্যাপার টা বেশ ভালোই হবে।এই ভেবে তৈরি করার প্রস্তুতি নিলাম এবং ঝটপট তৈরি করে ফেললাম জাপানের এই জনপ্রিয় রামেন নুডলস।
এই রেসিপি তৈরি করতে শুধুমাত্র একটিই উপকরণ প্রয়োজন তা হলো আটা এবং খুবই সামান্য পরিমাণে তেল এবং এক চিমটি লবণ।
প্রথম ধাপ
প্রথমে একটা বাটিতে পরিমাণ মতো আটা নিয়েছি।তারপর খুবই সামান্য পরিমাণে তেল ও একচিমটি লবণ নিয়ে সবগুলো উপকরণ খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার পরিমাণ মতো জল দিয়ে ভালো করে মেখে একটা সফট ডো তৈরি করে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এবার একটা বড় রুটির আকারে তৈরি করে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এবার একটি ছুড়ির সাহায্যে লম্বালম্বিভাবে চিকন করে কেটে নিয়েছি।
শেষ ধাপ
এবার সবগুলো একইভাবে কেটে নিয়ে একটা পাত্রে তুলে নিয়ে সামান্য পরিমাণে শুকনো আটা মিশিয়ে রেস্টে রেখে দিয়েছি।আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো হোম মেইড রামেন রেসিপি টি।
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে!খুবই অল্প উপকরণ এবং খুব সহজেই তৈরি করে যদি বাচ্চাদের খাওয়ানো যায় তাতে করে আমরা দুইদিক থেকে উপকৃত হবো।এক বর্তমান বাজারের যে পরিস্থিতি তাতে করে একটা নুডলস কিনতে গেলেও অনেক গুলো টাকা গুণতে হয়। আর দুই ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি করা বলে,এতে কোনো ক্ষতিকারক উপাদান নেই।সেদিক থেকে বাচ্চাদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি একেবারে নেই বললেই চলে।তাই সবদিক থেকেই এটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত একটি খাবার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
টুইটার লিংক
প্রোমোশন লিংক
এইভাবে রামেন আমিও করি তবে প্যাড নুডুলটা বেশি ভালো লাগে৷ সহজেই হয়। মেয়ে যখন ছোট ছিল তখন অনেক বেশি করতাম। এখন করা হয় না৷ তবে জানেন দিদি চালের গুঁড়ি দিয়েও হয়। তার স্বাদ জিভে লেগে থাকার মতো।
চালের গুঁড়ি দিয়ে হয় এটা আজকে আপনার মাধ্যমে জানলাম দিদি,অবশ্যই এরপর ট্রাই করবো।ধন্যবাদ দিদি।❤️❤️
আপু আপনি অনেক গুনি একজন মানুষ। তাই তো সব বিষয়ে অনেক বেশি পারদর্শী। আসলে বাসায় যদি কোন কিছু তৈরি করা হয় সেই খাবারের টেস্ট সত্যিই অনেক বেড়ে যায়।
হ্যাঁ আপু বাসায় তৈরি করা খাবারের টেস্ট সবসময়ই অনেক ভালো হয়ে থাকে।আপনার গুণের কাছে আমি কিছুই না তবে চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত নিজেকে উন্নত করার।ধন্যবাদ আপু।❤️❤️