মাছের কাঁটা ভর্তা
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আমি @bristychaki "আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি আজ একটি রেসিপি ব্লক নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। আশাকরি আমার আজকের রেসিপি টি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
হয়তোবা ক্যাপশন দেখে প্রথমেই অবাক হয়েছেন তাই নয় কি!আসলেই অবাক হওয়ার মতোই কথা।আমরা মাছ খাওয়ার পর সাধারণত কাঁটাগুলো ফেলে দিয়ে থাকি আজ আমি সেই ফেলে দেওয়া কাঁটা গুলো দিয়েই দারুন একটি মজাদার রেসিপি তৈরি করেছি।তেলাপিয়া মাছ আমার ভীষণ প্রিয় একটি মাছ।ছোটবেলায় দেখতাম আমাদের পুকুরে অনেক তেলাপিয়া মাছ হতো।পুকুরের ধারেই বড় একটা আমগাছ ছিলো, জলের ধারে হওয়াতে মাটিগুলো ধুয়ে গাছের প্রতিটি শিকড় জলের সাথে মিশে থাকতো।সেই গাছের শিকড়ের মাঝে মাঝে বড় তেলাপিয়া মাছগুলো লুকিয়ে থাকতো।যখন জেলেরা মাছ ধরতে আসতো পুকুরে জাল নামাতো এবং হাত দিয়ে ওই গাছের শিকড়ের মাঝখান থেকে বড় বড় তেলাপিয়া মাছ ধরে আনতো।সেই মাছ যে কি পরিমাণ সুস্বাদু ছিলো তা বলে বোঝানো যাবে না।মাছের ঝোলের চেয়ে আমরা মাছ ভাজা খেতে বেশি পছন্দ করতাম।তাই মা আমাদের জন্য বড় বড় তেলাপিয়া মাছ ভেজে রাখতো আমরা বসে বসে খালি মুখে মাছ ভাজা খেতাম এবং ভাতের সাথেও মাছ ভাজা খেতাম।বিয়ের পর থেকে বাবার বাড়ি খুবই কম যাওয়া হয় তারপরও যখন যাই সবসময়ই পুকুরের মাছ ভাজা খাওয়া হয়ে থাকে।
তেলাপিয়া মাছ পছন্দ করি এজন্য বাসায় বেশিরভাগ সময়ই এই মাছ কেনা হয়ে থাকে,আমার মেয়েরাও খেতে খুব পছন্দ করে।আমি সবসময় একটু বড় সাইজের তেলাপিয়া গুলো কেনার চেষ্টা করে থাকি বড় তেলাপিয়া মাছের স্বাদ যেমন বেশি হয় কাটাও ঠিক তেমনি কম হয়ে থাকে।বেশি কাঁটাওয়ালা মাছ আমার ছোট মেয়ে একদম খেতে পারে না।আমি এবং বড় মেয়ে কাঁটাওয়ালা সব ধরনের মাছই খেতে পারি কিন্তু ওর জন্য খুবই সমস্যা হয়ে যায়।আমার কর্তা মশাই ছুটিতে এসেছিলেন,সেদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি সে বাসায় নেই পিছনের দিক থেকে গেইট আটকানো অবাক হলাম যে এতো সকাল বেলা কোথায় গেলো!কিছুক্ষণের মধ্যে দেখি হাতে বাজারের ব্যাগ কয়েক প্রকারের শাক অন্যান্য সবজি এবং তেলাপিয়া মাছ।ভালো কথা বাজারের ব্যাগ থেকে যখনই মাছগুলো ঢালতে নিয়েছি ঠিক তখনই মাথাটা গরম হয়ে গেলো। তার কারণ হলো মাছগুলো খুবই ছোট ছোট ছিলো আর এই ধরনের ছোট তেলাপিয়া মাছ খেতে একদম ভালো লাগেনা।আর কয়েকদিন থেকে আমাদের হেল্পিং হ্যান্ড খালাও আসেন না তাহলে এই মাছগুলো আমাকেই কাটতে হবে।মাছ কাটায় আমি খুব একটা পারদর্শী নই সেজন্য মাথাটা আরো বেশি গরম হয়ে গেলো।তখন আমার কর্তা মশাই বললেন তোমাকে চিন্তা করতে হবে না আমি মাছ কেটে দিচ্ছি।আমিও রাগের মাথায় কিছু বললাম না ভাবলাম কেটে দিলে আমার জন্য সুবিধাই হয়। 🤭
সে মাছগুলো সুন্দর করে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে রেখেছে।একদম ছোট ছোট গুলো মচমচে ভাজা করে খেয়েছি,খেতে খুব একটা ভালো লাগেনি,কিন্তু কিছু করার নেই খেতেই হবে পয়সার জিনিস তো নষ্ট করে ফেলে দেওয়া যাবে না।একটু বড় সাইজের কয়েকটা ছিলো সেগুলো আলাদা করে রেখেছিলাম।আজ সেই মাছগুলো বের করেছিলাম রান্না করার জন্য।কড়াইতে দেওয়ার পর পরই মাছগুলো একদম ঘেঁটে ঘ হয়ে গেলো তখন চিন্তা করলাম এই মাছগুলো দিয়ে তো তরকারি রান্না করা যাবে না তাহলে তরকারির বারোটা বেজে যাবে। অনেক চেষ্টায় তিন-চারটা মাছ সফলভাবে ভাজতে পেরেছিলাম সেগুলো দিয়ে তরকারি রান্না করেছি।অবশিষ্ট কাঁটাগুলো আলাদা করে ভেজে তুলে রেখেছিলাম।ভেবেছিলাম খালি মুখে খেয়ে ফেলবো হঠাৎ করে মাথায় বুদ্ধি আসলো কাঁটাগুলো দিয়ে ভর্তা বানানো যেতেই পারে..আর ঠিক তাই সেই কাজটি করে ফেললাম।মাছের কাঁটার ভর্তা যে এতোটা সুস্বাদু হয় তা আমার আগে কখনো জানা ছিলো না।ভর্তাটা বানানোর পর গরম ভাতের সাথে খাওয়ার সময় কেউ বুঝতে পারবে না যে এটা কিসের ভর্তা খাচ্ছি শুধু মুখে স্বাদ লেগে থাকবে এতোটুকুই বললাম।
উপকরণ |
---|
মাছের কাঁটা |
পেঁয়াজ কুঁচি |
রসুন কুঁচি |
কাঁচমরিচ |
শুকনা মরিচ |
সরিষার তেল |
লবণ |
প্রথম ধাপ
মাছগুলোতে লবন হলুদ মাখিয়ে ভেজে নেওয়ার সময় এই করুণ দশা হয়েছে তাই আর এই ধাপটি দেখানোর মতো উপায় নেই।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার কড়াইয়ে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে শুকনা মরিচ গুলো দিয়ে লাল লাল করে ভেজে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
তেলের মধ্যে পেঁয়াজ কুঁচি রসুন কুঁচি ও কাঁচা মরিচ গুলো দিয়ে ভালোভাবে লাল লাল করে ভেজে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এবার শিলপাটা ধুয়ে ভালো করে মুছে নিয়ে মাছের কাঁটাগুলো মিহি করে বেঁটে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
মাছের কাঁটাগুলো বাঁটতে গিয়ে হাতের শক্তি মনে হয় অনেকটাই কমে গেছে, তাই আমি মরিচ গুলোকে খুব একটা মিহি করে বাঁটতে পারছিলাম না এরকম লাগছিলো।😁
ষষ্ঠ ধাপ
এবার পেঁয়াজ রসুন কাঁচা মরিচ ভাজা গুলো ভালো করে বেঁটে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
বাড়তি স্বাদের জন্য কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন ভালো করে বেটে নিয়েছি।কাঁচা রসুনের গন্ধটা আমার কাছে বেশ লাগে আর কাঁচা রসুন শরীরের জন্য বেশ উপকারী।আর যারা কাঁচা রসুনের গন্ধ একদম সহ্য করতে পারেনা সেক্ষেত্রে না দেওয়াই ভালো।
অষ্টম ধাপ
বাঁটাবাঁটির পর্ব শেষ হলে এবার বেশ কিছুটা পেঁয়াজ কুঁচি লবণ সরিষার তেল দিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিয়েছি। কাঁচা পেঁয়াজ দেয়ার উদ্দেশ্য এতে একটু স্বাদের ভিন্নতা আসবে এবং সেই সাথে পরিমাণটাও বেড়ে যাবে।আমার মূল উদ্দেশ্য ছিলো ভর্তার পরিমাণ বাড়ানো।😁আরে এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো সুস্বাদু মাছের কাঁটা ভর্তা।
পরিবেশন
ছোট মেয়ে খেয়ে খুবই খুশি ওর কাছে নাকি খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিলো।ও সহজে কিছু খেতে চায় না আর যেটা খাবে তখন বুঝতে হবে যে সেই জিনিসটা অবশ্যই খেতে ভালো ছিলো।মেয়ে ত্রিপ্তি সহকারে খেয়েছিলো এটাই আমার জন্য বেশ আনন্দের বিষয় ছিলো।
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে! সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।🙏
রেসিপিটি দেখে আসলে অবাক হয়েছি মাছের কাঁটা ভর্তা তাও আবার হয় নাকি। তবে আপনার রেসিপিটি সম্পূর্ণ পড়ে বুঝতে পারলাম আসলে এটা হয়।
রেসিপিটি দেখতে সত্যি খুব লোভনীয় লাগছে মনে হচ্ছে না এটা কোনো মাছের কাঁটা ভর্তা।
ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু ইচ্ছে থাকলেই অনেক কিছুই করা যায় তার জন্য শুধু বুদ্ধি আর ধৈর্যের প্রয়োজন। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আমার বাবার বাড়ির দিকে আবার তেলাপিয়া মাছগুলো একদমই খাওয়া হয় না। এই মাছ আমাদের বিড়ালকে খাওয়ানো হয়। কিন্তু আমার শ্বশুর বাড়িতে সবার খুব পছন্দ তেলাপিয়া মাছ। তাদেরও পুকুর রয়েছে আর সেই পুকুরে তেলাপিয়া মাছ চাষ করা হয়। আমি একদমই তেলাপিয়া মাছ খেতে পারি না। সেজন্য শ্বশুর বাড়ি গেলে খাওয়া নিয়ে খুব ঝামেলায় পড়তে হয়। ভাইয়া সাতসকালে গিয়ে ছোট ছোট তেলাপিয়া মাছ এনে দিয়েছে ব্যাপরটা কিন্তু খুবই ইন্টারেস্টিং। আপনি কাটাতে পারেন না বলে ভাইয়া আবার কেটেও দিয়েছে 😲। আমিও মাছ কাটতে পারি না। সেজন্য সবসময় বাজার থেকে কেটে আনা হয়। যাই হোক খুবই ইউনিক একটি ভর্তা রেসিপি দেখতে পেলাম। এত রাতে এমন লোভনীয় ও ইউনিক ভর্তা দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। আপনার উপস্থাপনা দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার ও ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আমি একদম মাছ কাটতে পারিনা বললেই চলে।আপনার ভাইয়া কেটে না দিলে বিপদ হয়ে যেতো।ধন্যবাদ আপু।
কি অবাক কান্ড!! মাছের কাঁটা ভর্তা, এও কি সম্ভব দিদিভাই। আগে কখনো শুনিনি মাছের কাঁটা ভর্তা করে খাওয়া যায়। আজ নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম। খুব ইউনিক ছিল মাছের কাঁটা ভর্তা রেসিপিটি। আর হ্যাঁ দিদিভাই, জামাইবাবুকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, বাজার থেকে মাছ কিনে নিয়ে এসে, সেই মাছগুলোকে আবার কেটেকুটে আপনাকে একদম রেডি করে দেয়ার জন্য। আহা!! জামাই বাবু ও দিদি ভাইয়ের কতো ভালবাসা 🥰🥰।
আমিও কখনো জানতাম না ভাইয়া।হঠাৎ করেই মনে হলো ভর্তা করে দেখাই যায়!আর তাই সাথে সাথে বানিয়ে ফেলছি।দোয়া করবেন যাতে এই ভালোবাসা সারাজীবন থাকে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই আপু একটু অবাক হয়েছি,যাই হোক ভর্তার কালার দেখেই মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালো হয়েছে। তবে আপনার কর্তামশাই বেশ সাহায্য করে আপনাকে কি সুন্দর মাছ কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে দিয়েছে।আমারও মচমচে ভাজা মাছ ভালো লাগে।আপনার দেখানো কাঁটার ভর্তা বানিয়ে খেতে হবে।তবে এটা বলা যায় আপনি বেশ ভালো রাধুনি। ধন্যবাদ আপু
তা করে আপু।আমার কর্তা মশাই বাহিরের চেয়ে ঘরে থাকতে বেশি পছন্দ করে আর সেই কাজও।অবশ্যই আপু খেয়ে দেখবেন আশাকরি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু।
আপনার মেয়ে দেখছি জমিয়ে খাচ্ছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে ভীষণ মজা হয়েছিলো। মাছের কাঁটা ভর্তা এভাবে কখনো খাইনি। আপনার মাধ্যমে নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম। আপনার হেল্পিং হ্যান্ড আসেনি জেনে খারাপ লাগলো। আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
সত্যিই ভাইয়া মেয়ে অনেক জমিয়ে মজা করে খেয়েছে।আমাদের খালা মাঝে মাঝেই আসেন না তখন খুবই কষ্ট হয়ে যায়।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি তো প্রথমে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম মাছের কাঁটা ভর্তার নাম শুনে।পরে বুঝতে পারলাম আসল ঘটনা কি।আমাদের পুকুরের ঐ আম গাছ ঠিকই আছে কিন্তুু শুধু তেলা পিয়া মাছ গুলো আর নেই।খুব কম পরিমান হয় তেলাপিয়া মাছ হাতে গোনা দু একটা।আপনার ভর্তা রেসুপিটি দেখে তো জিভে জল চলে আসলো।ধাপে ধাপো চমৎকার সুন্দর ও সুস্বাদু করে তেলাপিয়া মাছ ভর্তা বানিয়েছেন এবং আমাদের মাঝে তা ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর সুস্বাদু ও মুখ রোচক রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ঠিক বলছো আমগাছ টা ঠিকই আছে কিন্তু সেই তেলাপিয়া মাছ আর নেই।যে দুই একটা পাওয়া যায় কিন্তু তার স্বাদ আর আগের মতো নেই ধন্যবাদ।
টাইটেল দেখে সত্যিই খুব অবাক হয়েছি আপু। তবে রেসিপিটা কিন্তু খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। বড় সাইজের তেলাপিয়া মাছ খেতে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। তবে ভাইয়া বাজার থেকে ছোট মাছ কিনে আনাই তাকে দিয়ে মাছ গুলো কাটিয়েছেন এবং পরিষ্কার করিয়েছেন জেনে সত্যি খুব মজা পেলাম 😅।মাছ ভাজতে যেয়ে মাছের ওই করুন দশাটি দেখে আমিও খুব কষ্ট পেলাম আপু। তবুও বুদ্ধি খাটিয়ে এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু একটু অবাক হওয়ার মতোই ক্যাপশন ছিলো।আপনার ভাইয়া ঘরের কাজ করতে বেশ ভালোই পারে আর আমিও সেই সুযোগটা কাজে লাগাই।😁😁ধন্যবাদ আপু।
পুকুরের তেলাপিয়া মাছ খেতে আমি নিজেও অনেক বেশি পছন্দ করি। তেলাপিয়া মাছ ভাজা করলে অনেক সুস্বাদু হয়। আপনি তো দেখছি তেলাপিয়া মাছের কাঁটা দিয়ে মজাদার একটা ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। যেটা একেবারেই ইউনিক ছিল আমার জন্য। মাছের কাঁটা দিয়ে ও যে ভর্তা তৈরি করা যায় এটা জানতাম না। তবে ভর্তাটা দেখে জিভে জল চলে এসেছে, সে সাথে ভর্তা অনেক লোভনীয় লাগতেছে। আমি তো ভাবতেছি মাছের কাঁটা দিয়ে এটা তৈরি করবো। আশা করছি গরম ভাতের সাথে খেতে বেশি ভালো লাগবে।
তেলাপিয়া মাছের তরকারির চেয়ে ভাজা খেতেই অনেক বেশি ভালো লাগে।সত্যিই অনেক লোভনীয় ছিলো আপু। তৈরি করে দেখবেন আশাকরি অনেক মজা লাগবে।ধন্যবাদ আপু।
ব্যক্তিগতভাবে আমার এটাই মনে হয় যে তেলাপিয়া মাছ পছন্দ করে না এরকম মানুষকে কমই আছে। আমার কাছে তেলাপিয়া মাছ বরাবরি অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। আসলেই আপনার পোস্টের টাইটেল দেখে প্রথমে কিছুটা অবাক হয়েছিলাম, অনেক ধরনের ভর্তা খাওয়া হয়েছে তবে মাছের কাঁটা এরকমভাবে ভর্তা করে কখনো খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি আমার কাছে একদমই নতুন এবং ইউনিক লেগেছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাইয়া কমবেশি সকলেরই তেলাপিয়া মাছ অনেক পছন্দের।আমিও কখনো খাইনি ভাইয়া।এই প্রথম বানিয়েছি খেতে খুবই দারুণ লেগেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।