এক তরুণ উদ্যোক্তার সংগ্রামী জীবনের গল্প (তৃতীয় পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


তার মা-বাবাও প্রথমে বুঝতে পারেননি কেন সে একটি "সাধারণ চাকরি" না করে এই ঝুঁকিপূর্ণ পথে হাঁটছে। একদিন, তানিমের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেল। এক ইউটিউবার তার সাক্ষাৎকার নিতে আসে। ভিডিওটিতে সে তার ব্যবসার পিছনের গল্প বলেছিলো। সে কীভাবে গ্রামীণ কুটির শিল্পকে শহরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এতে মানুষ আকৃষ্ট হতে শুরু করল। হস্তশিল্পের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়তে থাকল এবং তার অর্ডারের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে গেলো।

1000002244.png

তার ই-কমার্স সাইটটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠলো। তানিমের ব্যবসার প্রসার ঘটল এবং সে একে একে আরও কর্মী নিয়োগ করতে শুরু করলো। তখন আর তাকে একাই সবকিছু করতে হতো না। সে একটি ছোট টিম তৈরি করলো। যারা প্যাকেজিং, ডেলিভারি, ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি কাজগুলো ভাগ করে নিতো। তার মুনাফাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেল। সে তার কর্মীদেরকে উজ্জীবিত করার জন্য তাদেরকে বেতনের পাশাপাশি নিট মুনাফার কিছু অংশ দেয়ার জন্য মনস্থির করলো। সে একদিন মিটিং করে তার কর্মীদের সবাইকে বিষয়টা জানালো। তার এই সিদ্ধান্ত তার কর্মীদেরকে আরও উজ্জীবিত ভাবে কাজ করার প্রেরণা যোগালো।

তার পরিবারও অবশেষে বুঝতে পারল যে তানিমের সিদ্ধান্তটা ঠিক ছিল। সাফল্যের সাথে আসে নতুন দায়িত্ব এবং চ্যালেঞ্জ। তানিমের ব্যবসা যেমন বাড়ছিল, তেমনি প্রতিযোগিতাও বাড়ছিল। আরও অনেক নতুন ই-কমার্স সাইট তার মতোই পণ্য বিক্রি করতে শুরু করল। তানিম বুঝতে পারলেন, শুধুমাত্র পণ্য বিক্রিই যথেষ্ট নয়; তাকে তার গ্রাহকদের আরও বেশি কিছু দিতে হবে।(চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ

Sort:  
 4 days ago 

আসলে পরিশ্রম কখনো বিফলে যায় না। কিন্তু অনেকেই প্রথম দিকে ব্যবসায় লস খেয়ে, অন্য পথে হাঁটতে শুরু করে। তারা কখনোই সফলতা অর্জন করতে পারে না। যাইহোক তানিমের এমন সফলতা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।