ভালো ছিলো শুনতে হলে মরতে হবে!

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

মানুষ হিসেবে যখন জন্মগ্রহণ করেছি তখন মৃত্যুর স্বাদ অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা এটা নিজেই বলেছেন যে, প্রতিটি জন্মকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং এটা আমাদের সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অর্থাৎ আমাদের সকলকেই কখনো না কখনো এই পৃথিবীর মায়া এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে।

আসলে আমরা আমাদের জীবদ্দশায় অনেক ভালো কাজ করি। অনেক খারাপ কাজ করি। এই ব্যাপারগুলো যেমন স্বাভাবিক। ঠিক তেমনটাই আমি যে ব্যাপারটি খেয়াল করেছি। সেটা হচ্ছে আমরা যখন বেঁচে থাকি। তখন আসলে মানুষ আমাদেরকে অনেক বেশি অপছন্দ করে। অর্থাৎ আমাদের আশেপাশের বেশিরভাগ মানুষ, আমি সবার কথা বলছি না।

কিন্তু দেখবেন যে, এটা আপনি নিজে খেয়াল করলেও বুঝতে পারবেন। সেটা হচ্ছে, ধরুন আপনার পরিবারের কোনো একটা লোককে আপনার পরিবারের অনেক মানুষই দেখতে পারে না। এবং তিনি কোনো কারণবশত মৃত্যুবরণ করলেন। তখন দেখবেন যে, অনেকেই বলা শুরু করবে যে, ওই মানুষটা খুব ভালো ছিলো। ওই মানুষটা তাদের অনেক উপকারে আসতো। ওই মানুষটা তাদেরকে অনেক ভালোবাসতো ইত্যাদি ইত্যাদি। অর্থাৎ মৃত্যুবরণ করার সাথে সাথেই সেই মানুষগুলো সুনাম শুরু হয়ে যায় এবং এটা শুনতে হয় যে, সে অনেক ভালো ছিলো।

এখানে কিন্তু এটা আমার সমস্যা নয় যে, মৃত্যুর পরে ভালো ছিলো এটা বলছে। এখানে আমার সমস্যা হলো, যেই মানুষটার সাথে আপনারা আজীবন হিংসা করে গেলেন। সেই মানুষটাকে আসলে মৃত্যুর পর ভালো বলে কি লাভ? কারণ আপনি যাকে ভালো বলছেন। সে তো নিজেই শুনতে পাচ্ছেনা তাকে তো আপনি বেঁচে থাকতে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। তাহলে এখন আর এই মিথ্যে লোক দেখানো সুনাম করার কি দরকার! তাই নয় কি?

আজকাল আসলে ওই মানুষগুলোকে দেখলে এমন মনে হয় যে, বেঁচে থেকে আমি ভালো মানুষ এটা শোনার সৌভাগ্য কখনোই হবে না। কিন্তু মৃত্যুর পরে অবশ্যই এই সৌভাগ্যটা হবে। আর যেই সৌভাগ্য দিয়ে আসলে কোনো লাভ নেই।