শব্দ দূষণ

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে শব্দ দূষণ সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


ruhr-area-4352459_1280.jpg



লিংক


আসলে এখন দিনের বেলা বাড়িতে থাকা বড়ই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা যাদের বাড়ি একটু শহর অঞ্চলে তাদের প্রতিনিয়ত এই শব্দ দূষণের সাথে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এছাড়াও আমরা যখন কোন ছোট খাটো বাজারে বাজার করতে যাই তখন সেইসব বাজারে দেখি বিভিন্ন ধরনের শব্দের কারণে সব সময় সে জায়গাটা একটা থমথমে ভাব থাকে। আসলে বর্তমান সময়ে এই শব্দ দূষণের পরিমাণ এতই বেড়ে গেছে যে মানুষ আস্তে আস্তে তাদের শ্রবণ শক্তি কিন্তু দিন দিন কমে যাচ্ছে। কেননা যে হারে প্রতিনিয়ত এই শব্দের ফ্রিকোয়েন্সি বেড়েই চলেছে তাতে করে কিন্তু মানুষের বিভিন্ন ধরনের ব্রেনের রোগ হচ্ছে। এছাড়াও এখন আমরা দেখতে পাই যে প্রতিটা পরিবারে একজন না একজন মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগে। অর্থাৎ যেটাকে আমরা বাংলায় মাথা ধরা বলি।


এছাড়াও এই পৃথিবীতে জনসংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণ যানবাহন বেড়েই চলেছে। আর এই অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে যাওয়ার সময় রাস্তায় যে ট্রাফিক জ্যাম দেখতে পাই তা দেখে আমরা সত্যি অবাক হয়ে যাই। কেননা এখন মানুষের আয় উপার্জন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রায় প্রতিজন তাদের নিজস্ব একটা পার্সোনাল গাড়ি ব্যবহার করে। আসলে এই এত পরিমাণ গাড়ির জ্যাম হলেও তেমন কোন কথা নেই। কিন্তু কোন জ্যামে বসে মানুষ প্রতিনিয়ত যে হারে হর্ন বাজায় তাতে করে সবার অনেক বেশি অসুবিধা হয়। আসলে এই শব্দ দূষণের কারণে এখন শহর অঞ্চলে থাকা প্রায় মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আমরা দেখতে পাই যে রাতের বেলাতেও বাড়িতে আমরা ঠিকঠাক ঘুমাতে পারি না।


আবার কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা তাদের বাইকের সাইলেন্সার মডিফাই করে যেসব সাইলেন্সার লাগায় তা কিন্তু অনেক বেশি শব্দ উৎপন্ন করে। আর এসব শব্দ আমাদের শরীরের জন্য কতটা বেশি ক্ষতিকারক তা আমরা এখনই হয়তোবা টের পাচ্ছি না। কেননা এই শব্দ দূষণের ফলে আমাদের কানের শ্রবন ক্ষমতার কমে যাচ্ছে তা কিন্তু আমরা আমাদের শেষ বয়সে এসে টের পাব। আসলে এখন রাস্তাঘাটে আমরা দেখতে পাই যে পুলিশেরা বিভিন্ন গাড়ির তল্লাশি করে যেসব বাইকে উচ্চ শব্দ যুক্ত সাইলেন্সার পাওয়া যাচ্ছে সেসব গাড়িতে কিন্তু বড় অংকের জরিমানা করা হচ্ছে। আসলে মানুষ যত আধুনিক হয়ে যাচ্ছে ততই কিন্তু মানুষ বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রের প্রতি নির্ভর হয়ে পড়ছে। আর এজন্য আমাদের যত দ্রুত সম্ভব এই শব্দের পরিমাণ অর্থাৎ শব্দ দূষণের পরিমাণ কমাতে হবে।


আসলে আমরা যদি শব্দ দূষণের পরিমাণ কমাতে না পারি তাহলে কিন্তু এতে শুধুমাত্র আমাদের ক্ষতি নয়, এই পৃথিবীতে যেসব ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আসবে তাদের কিন্তু সেই বয়সের শুরু থেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হবে। এছাড়াও আমরা দেখতে পাই যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সভা মিছিলের যে প্রকার উচ্চ শব্দ যুক্ত যন্ত্রপাতি বাজানো হয় তাতে করে কিন্তু আমরা প্রায় অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। আসলে কোন অনুষ্ঠান হলে এখন বাঙালি উচ্চ শব্দ যুক্ত বাজনা না হলে তাদের আবার আনন্দটা মাটি হয়ে যায়। এছাড়াও প্রতিবছর বিভিন্ন পূজা-পার্বণে যে পরিমাণ আতশবাজি ফাটানো হয় তাতে করে যে পরিমাণ শব্দ উৎপন্ন হয় এবং ধোঁয়া উৎপন্ন হয় তাতে করে কিন্তু পরিবেশ সবথেকে বেশি দূষিত হচ্ছে। আর এজন্য সরকার এসব উচ্চ শব্দ যুক্ত আতশ বাজি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তাইতো আমাদের অবশ্যই শব্দ দূষণ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।