সততার পুরষ্কার (প্রথম পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


রাশেদ বাড়ি থেকে বেশ অনেকটা সময় হাতে নিয়ে বের হয়েছিলো অফিসের উদ্দেশ্যে। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হয় নি। প্রায় পৌনে এক ঘন্টা যাবত তার বাস জ্যামে আটকে আছে। রাশেদ বারবার তার ঘড়ি দেখছিলো। প্রতিদিন সে সময় মতো অফিসে পৌঁছাতে চায়। রাশেদ কখনো কোন নিয়ম ভাঙ্গে না। সে খুবই ডিসিপ্লিনড লাইফ লিড করে। দীর্ঘক্ষণ জ্যামে বসে থাকার পর রাশেদের মনে হলো আজকে তাকে অফিসে গিয়ে অনেকগুলো কথা শুনতে হবে। এমনিতেই অফিসের লোকজন তার উপরে খুব একটা খুশি না। তারপর যদি কোনো বিষয়ে কথা বলার সুযোগ পায়।

1000001426.png

তাহলে সেটা তারা ছাড়বে না। এই জন্য রাশেদ বাস থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করলো। রাশেদ চিন্তা করেছে হেঁটে কিছুদূর আগাতে পারলে রিক্সা নিয়ে গলির ভেতর দিয়ে তাড়াতাড়ি অফিসে পৌঁছে যাওয়া যাবে। সেই হিসাবে রাশেদ তাড়াতাড়ি হাঁটতে থাকে। তারপর একটা গলির ভেতরে ঢুকে সেখান থেকে রিক্সা নিয়ে অফিসের দিকে রওনা দেয়। সে যখন অফিসে পৌঁছায় ততক্ষণে নটা দশ বেজে গিয়েছে। তার অফিসে প্রবেশের সময় সকাল ন'টা। কিন্তু অফিসে ঢুকে দেখে সে আর দু একজন বাদে কেউই তখনো অফিসে আসেনি।

এই বিষয়টা দেখে রাসেল কিছুটা দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়। যেহেতু তার আগে অফিসের অন্য কোন কর্মকর্তা আসেনি। তাই আজকে তার কোনো সমস্যা হবে না। রাশেদ তার টেবিলে বসে জমে থাকা কাজগুলো করতে থাকে। এর ভেতর একে একে অফিসের সকলে চলে আসে। রাশেদ নিজের টেবিলে মনোযোগ দিয়ে কাজ করছিলো। এর ভেতরে অফিসের পিয়ন তার টেবিলে একটা ফাইল দিয়ে যায়। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ

Sort:  
 3 hours ago 

অফিসে যাওয়ার সময় জ্যামে আটকে থাকলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তবে রাশেদ এই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছে। কারণ তার আগে যদি অফিসে কোনো কর্মকর্তা পৌঁছে যেতো, তাহলে তো নির্ঘাত তাকে কথা শোনাতো। যাইহোক গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।