আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা ( দ্বিতীয় পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


এই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগার জন্য মানুষ তার ছাত্র জীবন থেকে জীবনের শেষ অব্দি পর্যন্ত নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হয়। এই সিদ্ধান্তহীনতা থেকে বের হতে হলে আপনাকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। আপনাকে এভাবে চিন্তা করতে হবে নিজের জন্য যে সিদ্ধান্তটা আমার ভালো মনে হবে আমি সেই সিদ্ধান্তেই অটল থাকবো। তাতে পরিণতি যাইহোক। তবে আমাদের দেশের সমস্যা হচ্ছে আমরা ছোটবেলা থেকেই এমন ভাবে বেড়ে উঠি যে নিজেদের সমস্ত কিছুর ব্যাপারে পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়। যার ফলে আমাদের ভেতর সেই আত্মবিশ্বাসটা গড়ে ওঠে না এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার সক্ষমতাটাও গড়ে ওঠে না।

Black and Gold Fancy New Year Card_20240916_221518_0000.png

যার ফল আমাদের পরবর্তী জীবনে ভোগ করতে হয়। কিন্তু পাশ্চাত্যের বাচ্চাদেরকে দেখুন। তাদেরকে ছোটবেলা থেকেই এমন ভাবে লালন পালন করা হয় যে তারা একটু বড় হতেই নিজের সমস্ত ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারে। এমনকি যেই বয়সে আমাদের দেশের ছেলেপেলেরা শুধু পড়ালেখা এবং খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সেই সময়ে ইউরোপ আমেরিকার বাচ্চারা অনেকেই কাজকর্ম করে নিজের খরচ যোগাড় করে। তাদেরকে অনেক ছোট বয়স থেকেই স্বনির্ভর হওয়ার ট্রেনিং দেয়া হয়। যার ফলে তারা নিজেদের জীবনের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারে।

তারা কখনো আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগে না। তাই এখন থেকে আমাদের দেশের মা-বাবারা যদি সচেতন হয়। তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আর আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগবে না। যার ফলে তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরই নিতে পারবে। এতে তাদের জীবনে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ

Sort:  
 14 hours ago 

একেবারে যথার্থ বলেছেন, আমাদের উপর ছোটবেলা থেকেই পরিবার বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়। আর যেটা চাপিয়ে দেয়, সেটা আমরা মানতে বাধ্য থাকি। এতে করে আমরা বড় হওয়ার পরেও অনেক সময় বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে থাকি। কারণ ছোটবেলা আমাদের মনের মধ্যে যেটা সেট হয়ে যায়, সেটা কিন্তু সহজে দূর করা সম্ভব হয় না।