আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা ( দ্বিতীয় পর্ব)
যার ফল আমাদের পরবর্তী জীবনে ভোগ করতে হয়। কিন্তু পাশ্চাত্যের বাচ্চাদেরকে দেখুন। তাদেরকে ছোটবেলা থেকেই এমন ভাবে লালন পালন করা হয় যে তারা একটু বড় হতেই নিজের সমস্ত ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারে। এমনকি যেই বয়সে আমাদের দেশের ছেলেপেলেরা শুধু পড়ালেখা এবং খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সেই সময়ে ইউরোপ আমেরিকার বাচ্চারা অনেকেই কাজকর্ম করে নিজের খরচ যোগাড় করে। তাদেরকে অনেক ছোট বয়স থেকেই স্বনির্ভর হওয়ার ট্রেনিং দেয়া হয়। যার ফলে তারা নিজেদের জীবনের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারে।
তারা কখনো আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগে না। তাই এখন থেকে আমাদের দেশের মা-বাবারা যদি সচেতন হয়। তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আর আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগবে না। যার ফলে তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরই নিতে পারবে। এতে তাদের জীবনে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
একেবারে যথার্থ বলেছেন, আমাদের উপর ছোটবেলা থেকেই পরিবার বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়। আর যেটা চাপিয়ে দেয়, সেটা আমরা মানতে বাধ্য থাকি। এতে করে আমরা বড় হওয়ার পরেও অনেক সময় বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে থাকি। কারণ ছোটবেলা আমাদের মনের মধ্যে যেটা সেট হয়ে যায়, সেটা কিন্তু সহজে দূর করা সম্ভব হয় না।